পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। তালেবানরা কাবুলের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তানের ভেতরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান বা পাকিস্তানি তালেবান। চলতি...
একটু পেছনে ফিরে তাকালেই আমরা দেখবো, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো তার দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি চিরাচরিত মার্কিন কায়দায় পাকিস্তানকে তুলাধুনা করেন। তার মুখেও সেই একই গৎ পাকিস্তান তালিবান নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প যখন এ অভিযোগ করছেন তখনও পাকিস্তান কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে
ছোট আরব দেশ দুটি যখন ইসরাইলের সাথে দোস্তির ঘোষণা দিয়েছে তখন আরেকটি আরব দেশ ফিলিস্তিনিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। প্রকাশ্য জানিয়ে দিয়েছে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ছাড়া ইসরাইলের সাথে সর্ম্পক স্বাভাবিক করবে না। এই দেশটি হচ্ছে কাতার
২০ বছর ধরে তালেবানদের যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই টিকিয়ে রাখা এবং বিধ্বস্ত তালেবানদের বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গেরিলা বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার পেছনের কারিগর হলেন মোল্লা ইবরাহীম সদর। বলা হয়ে থাকে মোল্লা ইবরাহীম সদরের কারণেই যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে হচ্ছে। তবে মোল্লা ইবরাহীম সদর আফগানিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র এবং বহির্বিশ্বে কোনো পরিচিত নাম নয়
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রাশিয়ান যে সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের হত্যার জন্য তালেবান সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের গোপনে অর্থ দিয়েছে, সে ইউনিটটি পশ্চিমা দেশে বিশেষ করে ইউরোপে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং গোপন হত্যা মিশন পরিচালনায় যুক্ত। ২০১৮ সালের মার্চে এ ইউনিটের সাবেক একজন কর্মকর্তা সার্গেই স্ত্রিপাল এবং তার কন্যাকে বৃটেনে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ ইউনিটির নাম প্রতিবেদনে জি আর ইউ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে
করোনা মহামারীর কারণে আলোচনা থেকে প্রায় -হারিয়ে গেলেও আফগানিস্তানে বিশ্ব শান্তির ক্ষেত্রে বাস্তবিকই একটি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। এ চুক্তির ফলে একটি অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্টিত হলেও কার্যত তা বৈশ্বিক রাজনীতির ওপরই প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তাঁরা। চলতি বছরের ২০ ফেব্রয়ারি স্বাক্ষরিত চুক্তিতে সই করেন তালিবান প্রতিনিধি আবদুল গনি বারাদার এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
ভারত যখন তার বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্বস্তিতে ম্রিয়মান, পাকিস্তান তখন চাপা উল্লাসে ফেটে পড়তে চাইছে। কারণ, আফগানিস্তানের তালিবানের সাথে পাকিস্তানের বন্ধুত্বের কথা সবাই জানে। তাই তালিবান যদি আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরে, তবে পাকিস্তান ওই দেশের ওপর তার হারানো প্রভাব ফিরে পাবে। পাশাপাশি তার পশ্চিম সীমান্তও নিরাপদ হবে।