সৌদি আরবের প্রাচীন শহর আল উলায় সম্প্রতি উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে কাতারের ওপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার করে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে জিসিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে চলা টানাপড়েনের অবসান হয়। কিন্তু একটি প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে- এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকা কী হবে?
কাতারের ওপর উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের আরোপিত অবরোধ যে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে, তা অন্যরা আগে বুঝলেও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বুঝতে সাড়ে তিন বছর লেগেছে। প্রতিবেশী একটি স্বাধীন দেশের উচ্চকণ্ঠ থামিয়ে দিতে সৌদি আরব ও তার মিত্ররা কাতারে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। শেষ পর্যন্ত কাতারের ওপর অবরোধ তুলে নিয়ে বন্ধুত্ব প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে...
সাড়ে তিন বছর পর কাতারের ওপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার করেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় দেশগুলো। এর মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশ দুটির সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হলো। কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ নাসের আল সাবাহ এক বিবৃতিতে সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা জানান। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটবে বলে আশা করা হয়
তথাকথিত মধ্যপন্থী সুন্নি দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব দেখছে বিশ্ব। মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ইসরাইল। সৌদির সঙ্গেও ইসরাইলের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক হবে হবে করছে। তেলআবিবের সঙ্গে এখনও সম্পর্কে জড়ায়নি কুয়েত
মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইসরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়কে অনেকেই ভারতের জন্য ইতিবাচক মনে করলেও বিষয়টা এখনও ততটা সহজ নয়। ভারতের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব বিস্তারের পথ এখনও অনেকটাই বন্ধুর। ভারতকে বরং ইসরাইলের দিকে একপেশেভাবে ঝুঁকে না পড়ে আরব দেশগুলোর সঙ্গেও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে