অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এমরি কালিসকান মনে করেন , এরদোয়ানও সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাচ্ছেন। আরব বসন্তের আগে দুই দেশের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। এখন দুই দেশকেই ভিন্ন এজেন্ডার মধ্যে একযোগে কাজ করা শিখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে এরদোয়ান হচ্ছে বাস্তববাদী নেতার সেরা উদাহরণ
বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করবেন। এছাড়া রিয়াদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে এই ডেমোক্র্যাট নেতার। বহুবছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরব। জো বাইডেন চাইলেই সেটি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে
মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়া একটি বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে তার প্রয়োগের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে থাকে। কিন্তু চীন ও রাশিয়া কোনো শর্ত দেয় না। তাদের ভাষ্য হলো-অস্ত্র কেনার পর ক্রেতা সেটি কীভাবে ব্যবহার করবে তা একান্তই তার মর্জি। এক্ষেত্রে বিক্রেতা কোনো শর্ত দিতে পারে না
আরব শাসকদের টিকে থাকার জন্য তাদের দরকার পড়বে আঞ্চলিক শান্তি, গণতান্ত্রিক বিকাশ, সমন্বয় ও উন্নয়ন। আর এসব করতে গেলে দরকার হবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার আমূল পরিবর্তন। ডেমোক্র্যাটরা আরব বসন্তের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। কিন্তু আরব শাসকরা রাজনৈতিক পরিবর্তনের সে সুযোগ কঠোরভাবে দমন করেছেন। আরব বসন্ত ব্যর্থ হয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আগামি দিনে মধ্যপ্রাচ্য রাজনৈতিক পরিবর্তন আরো রক্তাক্ত হয়ে উঠতে পারে
দুর্ভাগ্যজনক হলো, জিনিজয়াংয়ে চীনের বর্বরতা নিয়ে মুসলিম বিশ্ব শুধু নীরবতাই পালন করে না, অনেক ক্ষেত্রেই চীনকে জোরালো সমর্থন দেয়। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান চীনা সংখ্যালঘু বিষয়ক নীতির প্রশংসাও করেছেন৷ অন্য আরব দেশগুলোরও অবস্থান একই রকম। ইরান চীনা নীতির সমালোচনা করে না। ইরান থেকে তেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চীন, ইরানের তেল ও গ্যাস খাতেও চীন প্রচুর বিনিয়োগ করে। ইরানের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো প্রসারিত করছে দেশটি। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কও সুগভীর
তিউনিসিয়া ও মিশরে ক্ষমতাসীনদের পতনের পরপরই সেখানে জন্ম হয়েছে তিনটি অক্ষের। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছে সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমীরাত। এ অক্ষটি পুরোপুরি বিপ্লববিরোধী বা প্রতিবিপ্লবী। দ্বিতীয় অক্ষটি ইসলামী-সংস্কারপন্থী। এদের সমর্থন বিপ্লবের প্রতি এবং ইসলামী ব্রাদারহুড ও সমমনা সংগঠনগুলোর প্রতি। এ অক্ষের নেতৃত্বে আছে তুরস্ক ও কাতার। তৃতীয় অক্ষটি প্রতিরোধপন্থী। আমেরিকা ও ইসরাইলকে প্রতিরোধ করাই এদের ধ্যানজ্ঞান। এ অক্ষে আছে ইরান, সিরিয়া ও হেজবুল্লাহ
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে তুরস্ক সমর্থিত বাহিনীর একের পর এক বিজয় দেশটির লৌহমানব খলিফা হাফতারের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এই বিজয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ছায়াযুদ্ধে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া বিদেশি শক্তিগুলোর মধ্যে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তুরস্ক
প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান প্রানশক্তি। তাদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রায় বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা গতি পায়। করোনা প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসীরা এখন কঠিন সময় পার করছেন। অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন । তারা আবার ফিরে যেতে পারেবন কিনা তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্ম মোহাম্মদ বিন সালমান। একই সাথে উত্তরাধিকার সূত্রে বিপুল অর্থের মালিক। দুনিয়ার অর্থশালী ব্যক্তিরা যেভাবে বিলাসী জীবন যাপন করেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স তার ব্যতিক্রম নন। ৩৩ বছর বয়সী ক্রাউন প্রিন্স সৌদি রাজ পরিবারের বিস্তৃত সম্পদের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রন করেন। যার পরিমান হতে পারে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।