কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেও এখন এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্ম্পকে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বহু মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো পালন করতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা। এই প্রথম পরস্পর বিরোধী দেশগুলো কাছাকাছি আসছে। এমনকি দশকের পর দশক ধরে ইরানের সাথে আরব দেশগুলোর যে বিরোধ তা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইরানের সাথে বিশ্বশক্তির পারমানবিক চুক্তির বিরুদ্ধে ইসরাইল অবস্থান নিলেও আরব দেশগুলো অনেকটা নিরব। অপরদিকে ঘনিষ্ট হচ্ছে তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর ও কাতারের সাথে সর্ম্পক। সিরিয়ার সাথে আরব আমিরাত, কাতার ও তুরস্ক সর্ম্পক স্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোর পরিবর্তিত সর্ম্পকের নানা দিক থাকছে মুনতাসীর মুনীরের প্রতিবেদনে।
সিরিয়ায় ইসরাইলের সম্ভাব্য উপস্থিতির ক্ষেত্রে যেসব ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্টীকে হুমকি মনে করবে, তাদের হত্যার কোনো সুযোগও ইসরাইল বাদ দিবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে, তুরস্ক অতি সম্প্রতি আকাশ থেকে প্রতিপক্ষকে গুপ্তহত্যার মিশনে নিজেদের নাম লিখিয়েছে
দ্রুজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এতোদিন পর্যন্ত অনেকাংশে সিরিয়ায় নয় বছরের গৃহযুদ্ধের প্রভাবমুক্ত ছিল। তবে দেশটি চরম অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত হওয়ায় তারা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হয়েছে। তারা সরাসরি আসাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। বলছেন, ‘তোর ওপর অভিশাপ, আমরা তোর পতন ঘটাতে আসছি।’
মুসলিম বিশ্বের মধ্যে অনৈক্য রেষারেষি ও হানাহানির ইতিহাস বহু পুরনো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা যে কী ভয়ঙ্কর রুপ নিয়েছে, তা তো ইয়েমেন ও সিরিয়ার ধ্বংসস্তুপের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। একদা সমৃদ্ধ ইরাক ও লিবিয়া আজ প্রায় অকার্যকর দেশ। ইরান ও কাতার প্রায়-একঘরে। এবার কি শনির দৃষ্টি পড়েছে তুরস্কের ওপর?
কুর্দি সম্প্রদায় মধ্যপ্রাচ্যর চতুর্থ বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। মেসোপটেমিয়ান সমতল ভূমি ও পাহাড়ি অঞ্চলের একটি নৃতাত্বিক গোষ্ঠী এই কুর্দিরা। বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, উত্তর ইরাক, উত্তর-পশ্চিম ইরান এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আর্মেনিয়া অঞ্চলে তারা ছড়িয়ে রয়েছে। সংখ্যায় বড় হলেও তাদের বেশির ভাগই রাষ্ট্রহীন জনগোষ্ঠী হিসেবে বসবাস করছে।