শেখ হাসিনার সরকারের পতন কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশে^র অন্যান্য দেশের গনতন্ত্রকামী জনগণ ও কর্তৃত্ববাদী শাসকের মধ্যে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে একটি বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে। যারা গনতন্ত্রকামী জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে স্তব্ধ করে দিতে চায় তাদের মুখে বাংলাদেশের তরুন ও যুবসমাজ কড়া চপেটাঘাত করেছে। বিশে^র যেসব স্বৈরশাসক মনে করেন যে, ক্ষমতার উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ কোনদিনই শিথিল হবে না, তাদের জন্য বাংলাদেশের ছাত্রদের এই বিজয় একটি শক্তিশালী বার্তা। এই বিজয় বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
                    রেভল্যুশনারি পিপলস ফ্রন্ট বা আরপিএফের সশস্ত্র শাখা পিএলএ সেই ১৯৭০-এর দশক থেকেই মেইতিদের মধ্যে সক্রিয়। এই বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল মূলত চীনারা। তিব্বতের রাজধানী লাসার কাছের এক সামরিক ক্যাম্পে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মনিপুরের মেইতি-অধ্যুষিত ইমফাল উপত্যকায় পিএলএ বেশ কতগুলো হামলা চালিয়েছে। পরে তারা বেশ কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। আর মূল গ্রুপের বাকি অংশ মিয়ানমার সীমান্তের কাছে আশ্রয় নেয়।
                    অনেক বিশ্লেষক মনে করেন চীন-ভারত কোনো বলয়ে জড়িয়ে পড়া বাংলাদেশের ঠিক হবে না। চীন তার নিজস্ব বলয় তৈরি করছে, ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে আমেরিকা। বাংলাদেশের চেষ্টা থাকা উচিত এই দুই বলয়ের বাইরে থাকা। লাদাখের ঘটনা প্রমাণ করে, ভারত-চীনের এই উত্তেজনা ও সংঘর্ষ সহজে থামবে না। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চেষ্টা থাকা উচিত কারও মুখোমুখি না হওয়া, নিরপেক্ষতা বজায় রাখা
                    সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস সামরিক পরিবহন বিমানের নির্মাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন। বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে যে বিমানগুলো ক্রয় করছে তা লকহিড মার্টিন নির্মান করেছিল বৃটিশ রয়াল এয়ারফোর্সের জন্য। বাংলাদেশ সরকার বৃটিশ সরকারের সাথে তাদের এ বিমান ক্রয় চুক্তি করে ২০১৮ সালে। বিমানগুলো বাংলাদেশের কাজে ব্যবহারের উপযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মোডিফিকেশন করা হয়েছে
                    করোনায় বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা প্রায় দেড় কোটি বাংলাদেশির জীবন-জীবিকা আজ হুমকির মুখে। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশে থাকা অন্তত ১৬৫ বাংলাদেশির প্রান কেড়ে নিয়েছে সর্বনাশা করোনা। বাংলাদেশের বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশি কমিউনিটির কাছ থেকে পাওয়া গেছে এসব মৃত্যুর খবর। করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে । সেখানে ১০০ জন মারা গেছে। এরপর বৃটেনে মারা গেছে ৪১ জন। ইতালিতে ৭ জন। কানাডায় ৪ জন। কাতারে ২জন, সৌদি আরবে এক চিকিৎসকসহ ৭ জন, স্পেন, সুইডেন , লিবিয়ায় এবং গাম্বিয়ায় ১জন বাংলাদেশি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
                    পঙ্গপালদের যুদ্ধের কাজেও ব্যবহারের দৃষ্টান্ত আছে। একবার দক্ষিণ আমেরিকায় পেরু তখনকার তার শত্রু রাজ্য ইকুয়েডরের বিপক্ষে পঙ্গপালদের ব্যবহার করেছিল। পেরু তার দেশে পঙ্গপালদের আস্তানার তিন দিক আগুন লাগিয়ে ইকুয়েডরের দিকটি খোলা রাখে। পেরু থেকে এই আগুনবিহীন পথে পঙ্গপাল উড়ে যায় ইকুয়েডরে। সম্প্রতি কক্সবাজার অঞ্চলে পঙ্গপালের আবির্ভাব হতে পেরেছে। অনুমিত হচ্ছে, এরা এসেছে মিয়ানমার থেকে। পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রয়োজন কীটনাশর রাসায়নিক দ্রব্যের। যা কেবল আমরা সস্তায় কিনতে পারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে
                    মিয়ানমার চীন থেকে সংগ্রহ করছে ব্যালিস্টিক মিসাইল। স্বল্প পাল্লার এ ব্যালিস্টিক মিসাইলের নাম এসওয়াই-৪০০ মিসাইল সিস্টেম। বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন এ মিসাইল বহন করতে পারে বিভিন্ন ধরনের ভারী আর শক্তিশালী বোমা।
                    ভারতের চিকিৎসকরা করোনা রোগ নিয়ে খুব একটা হইচই করছেন না। কিন্তু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বললেন, ছাত্রদের তিনি অটোপাশ দেবেন। বাংলাদেশ যা এ পর্যন্ত বলেনি। বাংলাদেশের মানুষ ভারতের তুলনায় অনেক বেশি বিজ্ঞানমনষ্কতার পরিচয় দিচ্ছেন। রোগ একটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সমস্যা।
                    পাল্টে গেছে দাবার চাল। এখন খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে মানুষ। আর অবাধ বিচরণ করছে বন্যরা। নতুন করে জাগছে প্রকৃতি। পৃথিবী এমন একটা অবস্থায় দাঁড়াবে, ঠিক কিছুদিন আগেও কি ভাবা যেতো? না!
                    বনরুই এক রকম স্তন্যপায়ী প্রানী। কিন্তু বাইরে থেকে দেখে মনে হয় কতকটা সরীসৃপের মত। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও শ্রীহট্ট অঞ্চলে একসময় প্রানীটি প্রচুর পাওয়া যেত। আমাদের দেশে মারমা ও চাকমা উপজাতির প্রিয় খাদ্য বনরুইয়ের মাংস। তবে বাঙ্গালী মুসলমান বনরুই আহার করে না। যদিও বনরুইকে বলা চলে না হারাম। বনরুই খেলে মানুষ অসুস্থ হয় না। কিন্তু বর্তমানে বনরুই হয়ে উঠেছে বিশ্বের অন্যতম আলোচ্য জন্তু। কারণ করোনা ভাইরাস এসেছে বাদুড় থেকে; আর বাদুড় থেকে তা এসেছে, বলা হচ্ছে, বনরুইয়ের মাধ্যমে। কী করে এটা সম্ভব হলো, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
                    করোনার কারণে নিশ্চিতভাবেই ধানের উৎপাদন কমবে। আর এর ফলে ঘটবে অন্নাভাব। করোনার কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। হারাচ্ছে তাদের সাধারণ কর্মশক্তি। পত্র-পত্রিকায় করোনার প্রভাবে কত ট্রিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে যাচ্ছে তার সম্ভাব্যতার কথা বলা হচ্ছে। সেটা একটা বিরাট অংক। চীনের করোনা ভাইরাস সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভয়ানক বিপর্যয় বাড়বে।
                    আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। ব্যাপক অর্থে এমনটা বলা হলেও প্রাণঘাতি ভাইরাসের আক্রমণের বইরে রয়ে গেছে এখনো অনেক দেশ। আর এসব দেশের অধিকাংশ গরিব অথবা যুদ্ধবিধ্বস্ত। নয়তো বিশ্ব থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন। প্রশ্ন হচ্ছে আসলে এসব দেশের প্রকৃত অবস্থা কী? নাকি তথ্য লুকাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন দেশের উদাহরণ হিসেবে টেনে আনা যায় উত্তর কোরিয়ার নাম। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যাদের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এমন আরো একটি দেশ মিয়ানমার।
                    বিশ্ব প্রস্তুত হচ্ছিলো ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধের জন্য। অস্থির হয়ে উঠেছিলো রাজনীতি। মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো কয়েকটি বিশ্বশক্তি। চারদিকে যখন রণহুঙ্কার, ঠিক তখনি গর্জন করে মানুষের ওপর হামলে পড়লো প্রকৃতি। চীন দেশ থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো করোনা ভাইরাস।
                    যাকে বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় সাধারণ সর্দি রোগ উৎপাদক ভাইরাসদের সঙ্গে। সাধারণ সর্দি রোগ উৎপন্ন হয় প্রায় ষাট রকম বা ষাট প্রকার সর্দি রোগের ভাইরাসের জন্য। যাকে বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাস, যার প্রভাবে উদ্ভব হচ্ছে করোনিয়া নিউমোনিয়া, তা আগে ছিলনা। রোগটার উদ্ভব হয়েছে হঠাৎ করেই। মনে করা হচ্ছে এই রোগজীবাণুটির সৃষ্টি করেছে চীন। জীবাণু যুদ্ধের প্রয়োজনে।
                    আর্ন্তজাতিক আদালতে এই রায় রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে কতটা সুরক্ষা দেবে? কিংবা যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের ফিরে যাওয়ার পথ কী তৈরি করবে? কতটা চাপে পড়তে পারে মিয়ানমার? এসব প্রশ্ন খুবই গুরুত্বপূর্ন। আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের এই আদেশ মানতে মিয়ানমার বাধ্য। তবে আদালত এজন্য তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারবে না। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, এই রায় উপেক্ষা করা মিয়ানমারের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে।
                    ২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। তখন থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের নেতাদের সমালোচনা করছেন। দেশটির বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
                    এতে তিনি বলেন,নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে ভারতের রাজনৈতিক সমস্যা। ফলে নদীর পানিবণ্টন সমস্যা হয়ে উঠছে অনেক জটিল।নদীর পানিবণ্টন সমস্যা থাকছে কেবলই নদীর পানিবণ্টনে সীমাবদ্ধ।ভারতের মধ্যে দিয়ে ৫৪টি নদী বয়ে আসছে বাংলাদেশে।
                    ভারতের রকেট-গবেষণা শুরু হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তায়। ভারতের নির্মিত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ “আর্যভট্ট” রাশিয়া থেকে উৎক্ষেপন করা হয়। আর্যভট্ট ছোঁড়া হয় ১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল। ১৯৭৯ সালের ৭ জুন ভারতের তৈরি দ্বিতীয় কৃত্রিম উপগ্রহ “ভাষ্কর-১” ছোঁড়া হয় রাশিয়ায় অবস্থিত আর একটি উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে রুশ রকেটের সহায়তায়।
                    ভারতের আসাম প্রদেশে ঠিক কি হতে যাচ্ছে, আমরা অনেকেই তা আন্দাজ করতে পারছি না। কারণ, আসাম ভারতের একটা অঙ্গরাষ্ট্র।নিজে কোন একটা পৃথক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়
                    মিয়ানমারে আর্ন্তজাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ এখন বড় ধরনের নিরাপত্তা ঝুকির মুখে পড়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থীর বোঝা যেমন বহন করতে হচ্ছে তেমনি দেশটি অব্যাহতভাবে
                    এই রোগের জীবানু একরকম ভাইরাস। ভাইরাসরা খুব ছোট রোগ-জীবানু। এদের দেহের ব্যাস শূণ্য দশমিক এক মাইক্রোণ (১ মাইক্রোণ = ১ মিলিমিটারের ১০০০ ভাগের এক ভাগ)। ইলেক্ট্রোন মাইক্রোসকোপের সাহায্যে ডেঙ্গু ভাইরাসের ছবি তোলা হয়েছে। এরা দন্ডাকৃতির।
                    ভূগোল ও ভূরাজনীতি এই সম্পর্ককে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত করে রেখেছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশকে পরিবেষ্টিত করে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রীয় অবস্থানে থেকে কন্টিনেন্টাল আয়তনের ভারত নিজকে এ দেশের জন্য একটি ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে গণ্য করতে আমাদের বাধ্য করেছে।