শিরিন আবু আকলেহ। ফিলিস্তিনের দর্শকদের কাছে আল জাজিরা মানেই ছিলো এই একটি নাম। তিনি ছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের কণ্ঠস্বর। টেলিভিশনের পর্দায় যখন তাকে তাকে দেখা যেতো, উজ্জীবিত হতেন ফিলিস্তিনীরা। তার একেকটি প্রতিবেদন ছিলো নিপীড়িত মানুষের ভাষা। ইসরাইলি সেনার গুলিতে এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোকে কাঁদছে অশান্ত ভুমি। তাকে নিয়ে আমাদের আজকের প্রতিবেদন। তৈরি করেছেন শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
লন্ডনে ভূ-রাজনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান ড সাদি হামদি বিবিসিকে বলেন, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফারহান বা প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সালের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে ইসরাইলের সাথে সম্পর্কের প্রশ্নে বাদশাহ সালমান এবং তার ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ থেকেও মন্তব্য এসেছে। তারা বলেছেন, আল-আকসা মসজিদকে নিয়ে ফিলিস্তিনিদের যে চাওয়া, তা নস্যাত করার জন্য আরব আমিরাত বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের পথে এগোচ্ছে
সুদানের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কটিও বরাবরই ভঙ্গুর। দু' দেশের সেনাবাহিনীর মুখোমুখি হওয়া ছাড়াও উভয় দেশ গত কয়েক দশক ধরে পরস্পরের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে অঘোষিত লড়াই। ১৯৯০ সালে সুদানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলী এয়ারফোর্স। সুদানের যে পথ দিয়ে প্যালেস্টাইনের হামাস গোষ্ঠীর কাছে ফজর-৩ রকেট যায়, সেই পথটাই ছিল এ হামলার টার্গেট। এ হামলায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয় সুদান। তারা বলে, ''অপর দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা বেআইনী কাজ।'' এর দু' বছর পর পোর্ট সুদানে হামাসের একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরাইল
যুবরাজের দুজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা জানান, তিনি ইসরাইলের সঙ্গে চুক্তি করতে চান। কিন্তু তিনি এটাও জানেন যে তার বাবা বাদশা সালমান বেঁচে থাকতে এটা সম্ভব নয়। তবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার ক্ষেত্র তৈরি করে রাখতে চান যুবরাজ। এজন্য তিনি সৌদি গণমাধ্যমগুলোতে ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত ও বাহরাইনের চুক্তির গুণগান করার নির্দেশ দিয়েছেন
সৌদি আরব কয়েক বছর ধরে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রকাশ্যে নিয়ে আসার পক্ষে জনমত তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে ইহুদদিদের জয়গান এবং ইহুদদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে উৎসাহিত করে গত রমজান মাসে দুটি বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করেছে সৌদি সরকার পরিচালিত একটি টিভি চ্যানেল। সমালোচকরা বলছেন, ইসরাইলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক তৈরির পথ সুগম করতে আরবদের মনোভাব পরিবর্তনের এটা একটা নিলর্জ্জ প্রচেষ্টা
ইসরাইলকে অনেকে বলেন ''মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া'', অনেকে বলেন ''অবৈধ রাষ্ট্র''। তা বিষফোঁড়া হোক কিংবা অবৈধ, কঠিন বাস্তবতা হলো, এক কোটিরও কম জনসংখ্যার এই ছোট দেশটিই সেই ১৯৪৮ সাল থেকে প্রবল প্রতাপে টিকে আছে। তারা জাতিসংঘ, বিশ্বজনমত কিছুরই তোয়াক্কা না-করে একের পর এক বিতর্কিত নিয়ে চলেছে। আর এ অপকর্মে তাদের প্রধান মদদদাতা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মানচিত্রে এই পবিত্র ভূমিতে ভেসে উঠে একটি সোনালি গম্বুজ। সোনালি গম্বুজের এই মসজিদটিকে অনেকেই আল আকসা ভেবে ভুল করেন। আবার অনেকের ধারণা মসজিদুল আকসাই হলো বাইতুল মুকাদ্দাস। মূলত বাইতুল মোকাদ্দাস বলা হয় পুরো কম্পাউন্ডটিকে। এর মধ্যে সোনালী গম্বুজের ওই মসজিদটির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে
অশান্ত ভূমি ফিলিস্তিন। ইসরাইলের দখলদারি নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে দেশটি। এর মধ্যে যোগ হয়েছে নতুন লড়াই। এই লড়াই প্রাণঘাতি ভাইরাস করোনার বিরুদ্ধে। এই ভাইরাস ঠেকাতে এখন লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। ইসরাইলও এর বাইরে নয়। এতে কিছুটা হলেও ক্ষান্ত হয়েছে দেশ দু’টির পুরনো লড়াই।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ নামে পরিচিত কাশ্মীরের এই বিশেষ মর্যাদায় কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই শুধুমাত্র সেখানে বৈধভাবে জমি কিনতে পারবেন, সরকারি চাকরি করার সুযোগ পাবেন এবং সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।