দক্ষিণ এশিয়ায় নিসঃঙ্গ ভারত : প্রভাব বাড়ছে চীনের

অস্বীকার করার উপায় নেই যে গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিবেশী নীতি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে - ইন্টারনেট

  • ইলিয়াস হোসেন
  • ২৪ জুন ২০২০, ০৪:১৬

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছে উদীয়মান পরাশক্তি চীন। অন্যদিকে আঞ্চলিক শক্তি ভারত নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছে। নেপালের মতো ভারতের দীর্ঘদিনের মিত্র দেশও এখন চরম দিল্লি-বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও চীনের দিকে ঝুঁকছে বলে ভারতের অনেক বিশ্লেষক মনে করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রতিবেশী নীতি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কোণঠাসা অবস্থার কারণ নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করবো।

ভারতের অনেক স্বাধীন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটো ঘটনার তুলনা টানছেন অনেকেই। এর একটি ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অপরটি ২০২০ সালের ৫ মের। প্রথম ঘটনাটি ছিল পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কথিত সার্জিকাল স্ট্রাইক আর দ্বিতীয়টি চীনা পিপলস আর্মির লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় বাহিনীর ওপর ভয়াবহ হামলা। এতে ভারতে ২৩ সেনা নিহত এবং আরও অন্তত ৭০ সেনা গুরুতর আহত হন।
দুটি ঘটনার তুলনা টেনে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম লিখছে, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকার বালাকোট হামলা নিয়ে বাগাড়ম্বর করলেও চীনা বাহিনীর আগ্রাসন নিয়ে দীর্ঘদিন মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

কংগ্রেসসহ ভারতের বিরোধী রাজনীতিকরাও এই দুই ইস্যুতে মোদিকে তুলোধুনো করছেন। প্রথমত তারা পাকিস্তানে ভারতের হামলার কথা বিশ্বাস করেনি। দ্বিতীয়ত, চীনা বাহিনী ভারতের বিশাল এলাকা দখল করে নিলেও মোদি সরকার চুপ করে আছেন বলে অভিযোগ তাদের। ফলে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়েই।

কারণ যে সময়ে চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু ভারতীয় সৈন্য হতাহত হলেন সেই তখনই নেপালের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও সেদেশের নতুন ম্যাপ সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হলো। এতে ভারতের দখলে থাকা ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাকে নেপালের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে তা পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করা হয়েছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনোদিনই ভালো ছিল না। চীনের সঙ্গে মতবিরোধতো ছিলই। তবে নেপালের মতো ভারতের বন্ধু রাষ্ট্রও এখন কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। এর আগে বিজেপি সরকার বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন পাস করলে বাংলাদেশের তিনজন মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছিলেন। বাংলাদেশের সাথে এক ধরনের শীতল সর্ম্পক বিরাজ করছে। মালদ্বীপ ও শ্রীলংকার সাথেও ভারতের সর্ম্পক নির্ভর মোটেও উষ্ণ নয়। আসুন আমরা জেনে নেই এসব দেশের সাথে ভারতের সর্ম্পক কেমন।

বাংলাদেশের সাথে ভারতের সর্ম্পক শীতল হয়ে পড়ে বির্তকিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে। এই আইনে প্রতিবেশী কয়েকটি দেশের হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ভয়, ভারতের নাগরিকত্ব আইনে দেশটির বহু মুসলিম দেশহীন হয়ে পড়বেন। তাদেরকে অবৈধ বাংলাদেশি বলে এদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে ভারত। অবশ্য আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকার বলেছে যে আইনটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

এছাড়া তিস্তা নদীর পানি বন্টন নিয়ে চুক্তির ব্যাপারে ভারত বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা ভঙ্গ করেছে। সীমান্তে নিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের মানুষকে ভারতের ওপর বিক্ষুদ্ধ করে তুলছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ভারতের ভুমিকা একেবারেই নগন্য। অবকাঠামো খাতে ভারত কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ দিলেও তা নানা শর্তের কারণে বাংলাদেশ ব্যবহার করতে পারেনি। আর এসব ঋণ মূত বাংলাদেশের নদীবন্দর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পন্য পরিবহন অবকাঠামো নির্মাণে দেয়া হয়েছে। এসব ঘটনা থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন গত কয়েক বছর ধরে নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে?

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অশ্বিনী রায় বলেন, এই অঞ্চলের প্রতিটা দেশই বোঝে যে চীন-ভারত সম্পর্কের ওপরেই নির্ভর করছে তারা নিজেরা কতটা স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে পারবে। নেপাল এই সুযোগটা আগে থেকেই নিয়েছে। এখন আরও বেশি করে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের বৈদেশিক সম্পর্ক ভারতের থেকে অনেক উন্নত। তারা বেশ আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই এই অঞ্চলে কাজ করে, তারই ফলে এখন দেখা যাচ্ছে নানা দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কেও অবনতি হচ্ছে। ভারত প্রকৃত অর্থেই নিজেদের জমি হারাচ্ছে।

মে মাসের মাঝামাঝি কালাপানি আর লিপুলেখকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেপাল সরকার। নেপালের মতে, নতুন মানচিত্রর ভিত্তি হচ্ছে ১৮১৬ সালের সুগাউলি চুক্তি। অথচ ভারতের সব থেকে বন্ধু রাষ্ট্র বলে মনে করা হয় যাদের, তাদের মধ্যে নেপাল অন্যতম। বিজেপির শীর্ষ নেতা ও ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও নেপাল মা কালির বন্ধনে আবদ্ধ। তবে বাস্তবতা হচ্ছে নেপালও ভারতের সঙ্গে বড় ধরনের বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে।
এ আইন পাসের সময় নেপালের ভারতপন্থী দলগুলোও সর্বাত্মক সমর্থন দিয়েছে। কারণ, তারা বুঝতে পারছে, নেপালে যেভাবে ভারতবিরোধী মনোভাব চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তাতে ভিন্নপথ ধরার সুযোগ তাদের নেই।

চীন-ভারত সংঘাতের মধ্যে নেপালের সংসদে মানচিত্র আইন পাসের পর অনেকের নজর কেড়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক জোরালো করার বিষয়টি। চীন সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় রফতানি সুযোগ দিয়েছে। এ নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চলছে।

পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বিনিয়োগ ও অনুদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা নতুন নয় চীনের। লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে উত্তাপ ছড়ানোর পরে ফের নতুন উদ্যমে সে কাজে নেমেছে বেইজিং। বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে তারা। তাতে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া অতিরিক্ত ৫১৬১টি পণ্যে শুল্ক না-নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি হওয়া পণ্যের ৯৭ শতাংশকেই শুল্কমুক্তির সুবিধা দিল বেইজিং। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে নতুন সিদ্ধান্তটি কার্যকর হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ একমাত্র প্রতিবেশী দেশ, নানা টানাপড়েন সত্ত্বেও যাদের সঙ্গে ভারতের একটা পরীক্ষিত সুসম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ থেকে উত্তরে নেপাল-ভুটান, কারও সঙ্গেই আর আগের উষ্ণ সম্পর্ক নেই ভারতের।

ভারতের কূটনীতিকরা বলছেন, এই পরিস্থিতির পিছনে চীনের হাত স্পষ্ট। প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে একঘরে করে ফেলার কৌশল বাস্তবািয়ত করছে বেইজিং। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ তাদের টার্গেট। এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন। ঢাকার প্রধান শেয়ার বাজারটিও তাদের নিয়ন্ত্রণে।

তবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বিরোধী মনোভাবের জন্য চীনকেই বেশি দায়ী করছেন ভারতের অনেক বিশ্লেষক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক কাকলি সেনগুপ্ত বলেন, যদি নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশের ঘটনাটা দেখি, সেখানেও চীনের প্রভাব কাজ করে থাকতে পারে।

ভারতের বিশ্লেষকরা চীনের উচ্চাকাংখা এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট হওয়ার কথা বললেও নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্কের অবনতির জন্য ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকেও দোষ দিচ্ছেন।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ পার্থসারথি ঘোষ বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে বিদেশ নীতি নিয়ে তার মধ্যে খুব একটা বক্তব্য বা দূরদৃষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ২০১৪ সালের আগে বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন, কিন্তু সে সবই ছিল তার সংগঠনের প্রচারের জন্য, হিন্দুত্ববাদের প্রচারের জন্য।

ভারতের বিরোধী রাজনীতিকরাও মোদি সরকারের বিদেশনীতির কড়া সমালোচনা করছেন। জবাবে বিজেপি বলছে, অনেক প্রতিবেশীর সঙ্গেই তাদের সম্পর্ক ভালো। যেমন বাংলাদেশ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ভারতের সাথে সর্ম্পকের ক্ষেত্রে নেপাল ও বাংলাদেশের অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। নেপাল এক সময় বাংলাদেশের মংলা বন্দর ব্যবহার করে পন্য আমদানি করতে চেয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা বহুদুর এগিয়েছে। বাংলাদেশের কাকরভিটা সীমান্ত দিয়ে নেপাল সীমান্তে পন্য নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায় ২০ কিলোমিটারের মতো ভারতীয় এলাকা পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু ভারত কখনই নেপালের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্যপথ চালু হোক চায়নি। বরং নানা ভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। স্বাভাবিকভাবে নেপালকে ভারত নির্ভরতা কাটানোর জন্য চীনমুখী হতে হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল সহ পৃথিবীর নানা দেশে গেছেন - আলোচনা হয়েছে, চুক্তি হয়েছে। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চীন সফর করেছেন পাঁচবার এবং ২০১৪ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর চীনা নেতার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে তার বৈঠক হয়েছে অন্তত ১৮বার। তবে ভারতের ভেতরে উগ্র জাতীয়বাদী মনোভাব উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে নিকটতম প্রতিবেশিদের কাছে দিল্লি সম্পর্কে একটা নেতিবাচক বার্তা যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমন কল্যান লাহিড়ী বলেন, যেসব আইন নানা সময়ে ভারতে পাশ করা হচ্ছে, সেগুলো প্রতিবেশীরা ভালভাবে নিচ্ছে না। আজকে বিশ্বায়নের যুগে উগ্র জাতীয়তাবাদ কিন্তু কখনই কাম্য নয়। আর ভারতের কাছে প্রতিবেশীরা এটা আশাও করে না।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, ভারতের সাধারণ মানুষ আর রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে চলতে শুরু করেছেন সেটাই অভিশাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের জন্য। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রনীতির আরেকটি সমস্যা হচ্ছে পিপলস টু পিপলস রিলেশন বা রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের সর্ম্পকের চেয়ে দক্ষিন এশিয়ায় বিশেষ গোষ্টী বা দলের সাথে ভারত বিশেষ সর্ম্পক বজায় রাখে। যা এসব দেশের বিপুল মানুষকে বিক্ষুদ্ধ করে তোলে।

ভারত সব সময় নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের আভ্যন্তরিন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা কিংবা অমীমাংসিত না করে অনুগত বিশেষ শ্রেণি তৈরি করা যায় সেদিকে সব সময় ভারতের নজর থাকে। কিন্তু চীন সব রাজনৈতিক দলের সাথে সমান সর্ম্পক বজায় রাখে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সর্ম্পক হয় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে। ফলে চীনের ঋণ নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও কোনো রাজনৈতিক দল আপত্তি উত্থাপন করতে পারে না। বরং আভ্যন্তরিন রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ও সংকীর্ন অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কৌশল থেকে বেড়িয়ে আসার দিশা হিসাবে গ্রহণ করে।

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক হ্যাপিমন জ্যাকব আলজাজিরাকে বলেছেন যে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে গত কয়েক বছরে ভারতের প্রতিবেশী নীতি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিজেপির শীর্ষ নেতা অমিত শাহ বাংলাদেশি অভিবাসীদের উইপোকা বলায় ক্ষুব্ধ ঢাকা। তিনি বলেন, দিল্লি খুব কঠিন সময় পার করছে। একদিনে এ অঞ্চলের বৃহৎ শক্তি চীন ভারতের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে যেসব ক্ষুদ্র প্রতিবেশী ভারতের প্রতি ঐতিহ্যগতভাবেই বন্ধু ছিল তারাও এখন বাকা চোখে দেখছে দিল্লিকে। এটা ভারতের একটা বড় ধরনের নীতি বিপযর্য়। কিন্তু প্রশ্ন হলো ভারত কী এই বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নেবে?

প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে