ইমরানের নির্বাচন : সিদ্ধান্ত দেবে আদালত

- সংগৃহীত

  • অনলাইন ডেস্ক
  • ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৩০

পাকিস্তানের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কিছু করার থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। ইমরান খান ও তার দলকে বাদ দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কাকার। এরপর তার এই মন্তব্য এলো।

আগামী বছর জানুয়ারির শেষদিকে সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ-অবস্থায় লন্ডন সফরের সময় বিবিসি-র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে কাকার বলেন, ইমরান খানের ভাগ্য এখনও নির্ধারিত হয়নি। তার জন্য বিচারিক প্রতিকারের ব্যবস্থা আছে। যদি বিচার বিভাগের সব অপশন ব্যবহার করা হয়, তখন নির্বাচনে তার নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনটা হলে সেই অবস্থা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরীফ এবং তার উত্তরসুরী শেহবাজ শরীফ সম্পর্কে অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে নিষিদ্ধ হন, তা কোনো নির্বাহী সিদ্ধান্তে হবে না। তা হবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কাকার বলেন, বিচার বিভাগের সিদ্ধান্তকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রত্যাখ্যান করতে পারবে না। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, লন্ডন থেকে দেশে ফিরলে নওয়াজ শরীফকে কি গ্রেপ্তার করা হবে? জবাবে কাকার বলেন, তিনি আগেভাগে জামিন নিয়েছেন নাকি কোনো আইনি প্রতিকার পাবেন- আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তা ঠিক করবে।

পাকিস্তানের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী বলেন, নওয়াজ শরীফকে গ্রেপ্তার করা হলে তার বিপরীতে আন্দোলন হওয়ার কোনো আভাস তিনি দেখেন না। তার পরিবর্তে পিএমএল-এন নেতৃত্ব নির্বাচনে অংশগ্রহণকেই বড় করে দেখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে পিটিআই-কে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি দাঙ্গা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় মানুষকে উস্কানি দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত হন, তাহলে এমন আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেশে আইন আছে।

তবে কাকার নিশ্চয়তা দেন, পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে যারা সহিংসতায় জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইন অনুযায়ী। ২৫ কোটি মানুষের দেশে এমন মানুষের সংখ্যা হতে পারে ১৫০০ থেকে ২০০০।

এ-সময় তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমপক্ষে ৯০ হাজার মানুষকে হারিয়েছে পাকিস্তান। সন্ত্রাস মোকাবিলায় চমৎকার কাজ করছে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী।