নেপালে ভারতনীতির ব্যর্থতা

নেপালের টিকে থাকার লড়াই - মাইরিপাবলিকা

  • সাকিব ফারহান
  • ১২ জুন ২০২০, ২১:১৬

ভারত ও চীনের মাঝখানে ভূমি বেষ্টিত দেশ নেপাল।অথনৈতিক দিক দিয়ে নেপাল অনেকটা ভারতের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি নেপালি মুদ্রার পাশাপাশি ভারতীয় মুদ্রার দেশটি চালু রয়েছে। নেপালের ভেতরে ভারতীয় নাগরিকরা ব্যবসায় বানিজ্য করছে। সেই নেপালে ভারত বিরোধী প্রতিবাদ তীব্ররুপ নিয়েছে। শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয় শিল্পী সাহিত্যকদের বক্তব্যে এর প্রতিফলন ঘটেছে। ভারতীয় হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত নেপালী অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার বক্তব্য নিয়ে বির্তক দেখা দিয়েছে।

ভারত ও নেপালের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিরোধ নতুন রুপ নিয়েছে। চীনের তিব্বত অঞ্চল এবং ভারতের উত্তরাখন্ডের সীমানায় হিমালয় পার্বত্য এলাকায় অবস্থিত লিপুলেখ পাস। এর দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে থাকে নেপাল। কালাপানি নামে পরিচিত ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। হিমালয়ের ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় স¤প্রতি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৮১৬ সালের এক চুক্তির অধীনে লিপুলেখ পাসের অংশ বিশেষ দাবি করে থাকে নেপাল।

ওই রাস্তা নির্মাণ শুরুর পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় নেপাল। এরই জেরে গত ১১ মে কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর ভারতের সেনাপ্রধান এক ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে মন্তব্য করেন চীনের ইন্ধনেই রাস্তা নির্মাণ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে নেপাল। নেপালের পার্লামেন্ট এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। লিপুলেখ, লিমপিয়াধুরা, কালাপানি এই অঞ্চলকে নেপালের ভূখন্ড হিসাবে দেখিয়ে মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। নেপালের পার্লামেন্টে তা অনুমোদন করা হয়েছে। ভারতপন্থী হিসাবে পরিচিত নেপালি কংগ্রেসসহ সব রাজনৈতিক দল তাতে সমর্থন দিয়েছে।

হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার এক টুইটে নেপালের মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন পাওয়া যায়। - টুইটার
হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার এক টুইটে নেপালের মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন পাওয়া যায়। - টুইটার

 

নেপাল সরকারের নীতিতে দেশটির সাধারন মানুষের সমর্থন ও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ভারতের গনমাধ্যমের প্রচারণার বিরুদ্ধে নেপালের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। হিন্দি সিনেমার বিখ্যাত অভিনেত্রী মনীষা কৈরালার এক টুইটে নেপালের মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন পাওয়া যায়। তিনি তার টুইটে লিখেন ‘আমাদের ছোট দেশেরও আত্মমর্যাদা রয়েছে।’, ‘তিনটি দেশের একসঙ্গে বসে এই বিতর্ক মিটিয়ে নেওয়া উচিত।’ এখানে টুইটে মনীষা কৈরালা তিন দেশ বলতে ভারত নেপাল ও চীনকে বুঝিয়েছেন। আর এতে ভারতীয় গনমাধ্যমে মনীষার সমালোচনা করা হচ্ছে। তার ভারত ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করা হচ্ছে। নেপালে বিখ্যাত কৈরালা পরিবারের মেয়ে মনীষা কৈরালা। তাঁর দাদা ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর পরিবার থেকে আরও তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

সীমান্ত নিয়ে নেপালের কঠোর প্রতিক্রয়ার পেছনে চীনের ভূকা দেখছে ভারত। এমনকি ভারতের সেনাপ্রধান এমন ইঙ্গিত করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো নেপাল কেনো চীনমুখী হচ্ছে। ভারত নির্ভরতা থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

ভারতের মতো চীনও নেপালের নিকট প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু নেপাল-চীন সর্ম্পকে এক ধরনের দূরত্ব ছিলো। এর বড় কারণ নেপালের আভ্যন্তরিন রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ। বেশ কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা বদলে যাচ্ছে। ভারতের প্রভাব বলয় থেকে বেড়িয়ে নেপাল এক ধরনের ভারসাম্যপূর্ন অবস্থান গ্রহনের চেষ্টা করছে। গত বছরের শেষ দিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নেপাল সফর করেন।

এটি ছিলো ২২ বছর পর চীনের কোনো সরকার প্রধানের নেপাল সফর। স্বাভাবিকভাবে এই সফরটি ছিলো অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কাঠমান্ডুতে নেপালের নেতাদের সাথে নৈশভোজে বলেন আমরা নেপালকে ল্যান্ড লকড কান্ট্রি থেকে ল্যান্ড লিংক কান্ট্রিতে পরিণত করতে চাই।

শি জিনপিংয়ের সফরে যসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে দুদেশের মধ্যে সংযোগের দিকটি বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এরমধ্যে চীনের তিব্বত থেকে কাঠমান্ডু পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটারের রেলপথ নির্মান। যা হিমালয় পাহাড়ের ভেতর দিয়ে তৈরি করা হবে। এছাড়া কাঠমান্ডু থেকে চীন সীমান্ত পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগের জন্য একটি টানেল নির্মান করা হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্প দুটির সাম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের আওতায় এই রেল ও সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এই প্রকল্প হবে বেল্ট অ্যান্ড রোডের ব্যায়বহুল প্রকল্পগুলোর একটি।

চীনের প্রেসিডেন্টের সফরে নেপাল ও চীনের মধ্যে পানি সম্পদ, বিদ্যুত, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষন ও ট্রাডিশনাল মেডিসিন সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতার জন্য ২০টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট দেশটির প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। নেপালের নেতারা আশা করছেন চীনের সাথে সংযোগ স্থাপনের এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশটির অর্থনীতি বদলে যাবে। বিশেষ করে পন্য আমদানির জন্য ভারতের ওপর যে নির্ভরশীলতা তা আর থাকবে না। এর ফলে নেপালের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হবে।

বৃহৎ প্রতিবেশীর ওপর অবিশ্বাস আর হতাশার কারনে নেপাল চীনমুখী নীতি গ্রহণ করে। ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলেও, দুর্বল কোয়ালিশন সরকারের পররাষ্ট্রনীতিতে শক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে শুধু ভারত নয়, চীনের সাথে সর্ম্পক বাড়ানোর উদ্যেগ নিয়েছে দেশটি। ভারতের বিশ্লেষকরাও নেপালের পররাষ্ট্রনীতির এই পরিবর্তনকে দেখছেন ভারতের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে উত্তরের প্রতিবেশি চীনের দিকে ঝুকে পড়া হিসাবে।

নেপালের মতো ভারতের ঘনিষ্ট প্রতিবেশি ও ছোট দেশ কেন চীনের প্রভাব বলয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভারতে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে না-ওশোনিউজ ডটকম
নেপালের মতো ভারতের ঘনিষ্ট প্রতিবেশি ও ছোট দেশ কেন চীনের প্রভাব বলয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভারতে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে না-ওশোনিউজ ডটকম

 

নেপালের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য ভারত বিভিন্ন সময় দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। ভারতপন্থী মাধেসি জনগোষ্টীকে বিশেষ সাংবিধানিক সুবিধা দেয়ার জন্য নেপালের ওপর ২০১৬ সালে ভারত অঘোষিত অবরোধ আরোপ করে। সে সময় জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় নেপালের জনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সরকার মাধেসীদের কিছু দাবি দাওয়া মেনে নিতে বাধ্য হয়। নেপালের আভ্যন্তরিন রাজনীতি নিয়ে ভারতের এই চাপ প্রয়োগের নীতি দেশটির সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

এমনকি সে সময় সংবিধান পরিষদে ভারতপন্থী নেপালি কংগ্রেসের সদস্যরাও ভারতের সমালোচনা করেন। কাঠমান্ডুতে টানা ভারত বিরোধী বিক্ষোভ চলে। এ সময় নেপালের নেতারা চীনের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বটা আবারো নতুন করে উপলদ্ধি করে। বলা যায় ভারতপন্থী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে নেপালকে অনেক বেশি মাত্রায় চীনের দিকে ঠেলে দেয়া হয়। অবরোধ চলাকালেই নেপাল-তিব্বত সীমান্ত পথ মেরামত করে চীন থেকে জ্বালানী আমদানি শুরু করে নেপাল। ভারতের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে চীনের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যাপারে নেপালের ভেতর থেকে এক ধরনের জনমত তৈরি হয়।

এ সময় নেপালে ক্ষমতায় ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির কো চেয়ারম্যান খাগড়া প্রাসাদ ওলি। যিনি কেপি শর্মা ওলি নামে বেশি পরিচিত। তিনি মূলত চীনের সাথে সর্ম্পক জোরদার করার নীতি গ্রহন করেন। ভারতের অবরোধের মধ্যে তিনি চীন সফরে যান। এ সময় নেপালের সাথে চীনের ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চীন থেকে সীমিত আকারে জ্বালানী সরবারহ করা হয়। এতে তার জনিপ্রয়তাও বেড়ে যায়। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হন। দায়িত্ব গ্রহনের পর ফের চীন সফর করেন। মুলত কেপি শর্মা ওলির সরকার নেপালের পররাষ্ট্রনীতির বাক বদলের এই উদ্যেগ গ্রহন করেন । নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাতে সমর্থন দেয়।

ভারত- নেপাল সর্ম্পকে যে অবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে তাতে কাঠমান্ডু ও নয়াদিল্লির মধ্যে দিন দিন দূরত্ব বাড়ছে। বলা যায় দীর্ঘদিন থেকে ভারতের প্রভাব বলয়ে থাকা দেশটি সম্পূর্ণভাবে চীনের দিকে মুখ ঘুড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে দু দেশের অশ^স্তিকর সম্পর্ক এখন এক ধরনের অস্থিরতায় রুপ নিচ্ছে।

নেপালের সাথে চীনের অর্থনৈতিক সর্ম্পকের পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতা বাড়ছে। নেপালের সেনা প্রধান একাধিকবার চীন সফর করেছেন। চীনের সাথে করা চুক্তির আওতায় নেপাল চীনা বন্দর ব্যবহার করে পণ্য আনতে পারবে। ভুবেষ্টিত নেপালের কোনো বন্দর সুবিধা নেই। কলকাতা বন্দর ব্যবহার করে নেপাল সাধারণত পন্য আমদানি করে থাকে। যদিও ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে রাতারাতি চীন থেকে পন্য আমদানি শুরু হবে এমনটা কেউ মনে করছে না।

নেপালে চীনের বিনিয়োগ বাড়ছে । দেশটির বিদ্যুত , অবকাঠামো, শিল্প ও পর্যটন খাতে চীন বিনিয়োগ করছে। নেপালের শিল্প মন্ত্রণালয়ের হিসাবে জুলাইয়ে শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমালয়ান দেশটি যে বিদেশী বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তার অর্ধেকেরও বেশি পেয়েছে চীনের কাছ থেকে।

ভারতের একেবারে পূর্বসীমান্তের কাছে নেপালে চীনের প্রভাব যেভাবে বাড়ছে তাতে ভারত যে অশ্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চীন-নেপাল ট্রানজিট বা সড়ক ও রেল যোগাযোগ ভারতকে বেশি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এতে নেপালে ভারত যে বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে আসছে তা ধীরে ধীরে খর্ব হতে পারে। নেপালে ভারতীয় মুদ্রা এখনো চলছে। ভারতীয় নাগরিকরা অবাধে নেপালে বিনিয়োগ ও ব্যবসা করতে পারে।

নেপালের মতো ভারতের ঘনিষ্ট প্রতিবেশি ও ছোট দেশ কেন চীনের প্রভাব বলয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে ভারতে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে না। ভারতের উগ্রপন্থী গণমাধ্যমে নেপালের সার্বভৌম অবস্থানকে ছোটো করে দেখানোর প্রবণতা কাজ করছে। যা নেপালিদের আরো বেশি ভারতের ওপর বিক্ষুদ্ধ করে তুলছে।

নেপালের রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ ভারতের প্রভাব বলয় থেকে এখন যে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে এর পেছনে ভারতের ভুলনীতি দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশে ভারত কোনো একটি গোষ্ঠী বা দলের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে। শুধু নেপাল নয় মালদ্বীপ ও শ্রীলংকায় একই ঘটনা ঘটেছে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে এসব দেশের আভ্যন্তরিন বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে দিল্লি।

স্বাভাবিকভাবে এসব দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ভারতের নীতিতে হতাশ হয়ে পড়ে এবং এক পর্যায়ে তা বিক্ষোভে রুপ নেয়। প্রতিবেশি দেশগুলোতে হাতমুচড়িয়ে সুবিধা নেয়ার ভারতীয় এই কৌশল শেষ বিচারে টেকসই হচ্ছে না। নেপালের সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ তার প্রমান। নেপাল-চীন সম্পর্কে ভারতের বিশ্লেষকরা এরমধ্যে পাকিস্তান-চীন সম্পর্কের ছায়া দেখলেও বাস্তবতা হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সার্বভৌম অবস্থান নিয়ে টিকে থাকতে হলে নেপালের সামনে এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে