চীন-ভারত সামরিক শক্তির তুমুল লড়াই

সীমান্তে দুই দেশের সেনাবিরোধ - বিবিসি

  • মেহেদী হাসান
  • ০৫ জুন ২০২০, ১০:৪৬

চীন ও ভারত এশিয়ার দুই শক্তিশালী দেশ। অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রে দুদেশ প্রভাবশালী। সামরিক দিক দিয়ে দুদেশের মধ্যে আছে প্রতিযোগিতা। এর আগে চীন ও ভারত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ১৯৬২ সালের এই যুদ্ধে ভারত পরাজিত হয়। কিন্তু দুদেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা আছে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার ৭০ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয় ২০১৯ সালে। এ উপলক্ষে জৌলসপূর্ণ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় । এতে চীনা পিপলস আর্মির ৭ শতাধিক আধুনিক সমরাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে আনা হয় ডিএফ-৪১। ডিএফ-৪১ হলো পরমানু বোমা বহনকারী চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক মিসাইল। যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে আঘাত পরিচালনা করতে সক্ষম ভয়ানক এ মিসাইল।
চীনের ডিএফ-২১ মিসাইলের গতি শব্দের চেয়ে ১০ গুন। এটি একটি এন্টি শিপ ব্যালেস্টিক মিসাইল এবং এটি ক্যারিয়ার কিলার নামে পরিচিত। এর পাল্লা ১ হাজার ২৫০ মাইল। যুক্তরাষ্ট্রের পুরো একটি বিমানবাহী রণতরী একটি মিসাইল আক্রমন করে ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত হয়েছে এ মিসাইল। এ ছাড়া চীনের তৈরি ডিএফ-১৭ মিসাইল বহন করতে পারে হাইপারসনিক গ্লাইড ভিহিক্যাল।

চীনের কাছে রয়েছে ডিএন -৩ নামে এন্টি স্যাটেলাইট মিসাইল। ভুমি থেকে কয়েকশ মাইল উপরে অবস্থানরত বিভিন্ন ধরনের পর্যবেক্ষনকারী উপগ্রহ ধ্বংস করতে সক্ষম এ মিসাইল। চীনের তৈরি আরো বিভিন্ন মাত্রার অনেক ধরনের মিসাইল রয়েছে যা নিজস্ব উদ্ভাবিত।

বর্তমানে রাশিয়া ছাড়া একমাত্র চীনের কাছে রয়েছে হাইপারসনিক মিসাইল। তবে এর গতি বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

চীনের এই মিসাইল ব্যবস্থা নিয়ে বিশ্বের এক নম্বর সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। কিন্তু চীনের প্রবল প্রতিদ্ব›দ্বী ভারত কিভাবে মোকাবিলা করতে চায় এই সমরাস্ত্র। তা একটি বড় প্রশ্ন। আসুন আমরা দেখে নেই ভারতের কাছে কী ধরনের মিসাইল রয়েছে।

ভারতের কাছে থাকা সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল হলো ব্রাহমস মিসাইল। রাশিয়া এবং ভারত যৌথভাবে তৈরি করে এ মিসাইল। এ মিসাইলকে ভারতের প্রতিরক্ষার মেরুদন্ড বলা হয়। ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রও গণ্য করা হয় এ মিসাইলকে। যে কোনো প্লাটফর্ম থেকে নিক্ষেপযোগ্য এ মিসাইল ৩ টন ওজনের বোমা বহন করতে পারে।

ভারতের বিভিন্ন রণতরীতে মোতায়েন রয়েছে এ মিসাইল। এ ছাড়া এসইউ-৩০ বিমান থেকে নিক্ষেপ করা যায় এ মিসাইল। এর গতি শব্দের চেয়ে আড়াই থেকে তিনগুন বেশি। এ হিসেবে এটি একটি সুপারসনিক মিসাইল। ভারতীয় আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্স ব্যবহার করে এ মিসাইল।

ভারতের নিজস্ব তৈরি আরেকটি শক্তিশালী মিসাইল হলো নাগ মিসাইল ক্যারিয়ার সিস্টেম। এটি একটি এন্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল। একটি মিসাইল ক্যারিয়ার ৮টি নাগ মিসাইল বহন করতে পারে। ৩ মাইল দূরের ট্যাঙ্কে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করতে পারে এ মিসাইল।

ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত শক্তিশালী আরো কিছ’ মিসাইলের মধ্যে রয়েছে পৃত্থী এবং অগ্নি সিরিজ মিসাইল। অগ্নি এবং পৃদ্ধী দুটিই ব্যালিস্টক মিসাইল। আন্তমহাদেশীয় অগ্নি-৬ এর সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা ৮ থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার করার চেষ্টা করছে ভারত। এ বছর এ মিসাইল পরীক্ষার কথা রয়েছে। এটি সাবমেরিন এবং ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য।
ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত শক্তিশালী রকেট লাঞ্চার সিস্টেম হলো পিনাকা রকেট । একটি রকেট সিস্টেম ১২টি রকেট বহন করতে পারে এবং এর লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ কিলোমিটার। ৪৪ সেকেন্টে ১২টি রকেট নিক্ষেপ করতে পারে এবং ৪ মিনিটের মধ্যে পুনরায় রকেট লোড করা যায় এ রকেট লাঞ্চার সিস্টেমে।

যে কোনো দেশের সামরিক শক্তিতে বিমান বাহিনীর গুরুত্ব এখন সবচেয়ে বেশি। আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার ওপর সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। এবার আমরা জেনে নেবো। চীন ও ভারতের বিমানবাহিনীর তুলনামুলক চিত্র।

চীনের তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমানের নাম চেংদু জে-২০। এটি একটি স্টেলথ ফাইটার। পঞ্চম প্রজন্মের এ স্টেলথ ফাইটারের মাধ্যমে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ যারা এ ধরনের শক্তিশালী বিমান তৈরি করতে সক্ষম। চীনের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের আরেকটি যুদ্ধ বিমান হলো জে-৩১ । এটিও একটি স্টেলথ ফাইটার। যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ বিমানের সমকক্ষ বিবেচনা করা হয় একে। এতে রয়েছে এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল আক্রমন পরিচালনার ক্ষমতা।
চীনের তৈরি অনেক কম শক্তিশালী বিমান জে-৭ যুদ্ধ বিমান হলো রাশিয়ার মিগ-২১ এর সমান। একে মিগ-২১ এর কপিও বলা হয়। এ ছাড়া চীনের তৈরি জে-১১ যুদ্ধ বিমান রাশিয়ার শক্তিশালী এসইউ-২৭ যুদ্ধ বিমানের সমান ক্ষমতাসম্পন্ন। জে-১১ এর গতি শব্দের চেয়ে ২ দশমিক ৫ গুন বেশি। এর রয়েছে এয়ার টু এয়ার ১০টি মিসাইল বহন ক্ষমতা। অপর দিকে চীনের জে-১৫ যুদ্ধ বিমানকে বিবেচনা করা হয় রাশিয়ার এসইউ-৩৩ যুদ্ধ বিমানের সমকক্ষ। জে-১৫ একটি যুদ্ধ বিমান ১২টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল বহন করতে পারে।

চীনের শক্তিশালী ড্রোন বিমানের নাম উইং লং। আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করে এ বিমান। এ ছাড়া বিশ্বে ড্রোন প্রযুক্তির বাজারে রয়েছে চীনা ড্রোনের একচ্ছত্র আধিপত্য। চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমারু বিমানের নাম এইচ-৬কে বম্বার। চীন বিশ্বে চতুর্থ দেশ যারা এ ধরনের কৌশলগত শক্তিশালী বোমারু বিমান তৈরিকে সক্ষম। চীনের কাছে তাদের তৈরি এসব শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান ছাড়াও রাশিয়ার এসইউ-২৭ যুদ্ধ বিমান রয়েছে ৭৫টি। এসএইউ-৩০ বহুমুখী যুদ্ধ বিমান রয়েছে ৭৩টি। এছাড়া রয়েছে শক্তিশালী এসইউ-৩৫ যুদ্ধ বিমান।

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান হলো এসইউ-৩০ এমকে। রাশিয়ার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ভারতের হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড তৈরি করছে এ বিমান। ভারতের বিমান বাহিনীতে বর্তমানে ২৭২টি বেশি এসইউ-৩০ বিমান রয়েছে। তিন শতাধিক এ বিমান ভারতের বিমান বাহিনীতে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে ভারত হবে এ বিমানের সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী দেশ। এটি চতুর্থ প্রজন্মের বিমান।

এ ছাড়া নেপুচন, ফ্যালকন নামে শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান রয়েছে ভারতে। ফ্যালকন বিমানে রয়েছে শক্তিশালী এয়ারবর্ণ আর্লি ওয়ার্নিং এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম। অনেক দূরের বিমান, জাহাজ এবং সমরযান সনাক্ত করতে পারে এ বিমান। ভারতের কাছে থাকা অন্যতম শক্তিশালী য্দ্ধু বিমান এটি। এ ধরনের তিনটি রাডার সিস্টেমের বিমান রয়েছে ভারতের। এ রাডার সিস্টেম ইসরাইলের তৈরি।

ভারতের কাছে থাকা অন্যান্য শক্তিশালী যুদ্ধ বিমান হলো ফ্রান্সের তৈরি রাফালে, মিরেজ, রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯, মিগ ২১ বৃটেন ও ফ্রান্সের তৈরি জাগুয়ার, ভারতের তৈরি তেজাস। গোয়েন্দা, পর্যবেক্ষন কাজের জন্য ভারতের কাছে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের তৈরি বিমান। এছাড়া ভারতের কাছে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি শক্তিশালী এপাচি হেলিকপ্টার।

এশিয়ায় সাগরে মার্কিন আধিপত্য প্রতিহত করার চেষ্টা করছে চীন এবং ইতোমধ্যে রণতরীর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ নেভির অধিকারী চীন। অপরদিকে ভারত মহাসাগরের বিশাল পানি সীমা নিয়ন্ত্রন করে ভারত। ভারতের নৌবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করা হয়। আসুন আমরা এবার দেখে নেই ভারত ও চীনের নৌশক্তির কিছু দিক

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন সম্পূর্ণরুপে নিজের তৈরি প্রথম বিমানবাহি রণতরী নৌবাহিনীতে যুক্ত করে। এর নাম শানডং। চীনের তৈরি এ বিমানবাহী রনতরী সর্বমোট ৪৪ টি যুদ্ধ বিমান বহন করতে পারে। এটি ১ হাজার ৩৩ ফিট লম্বা এবং ২৪৬ ফট চওড়া। চীন তৃতীয় বিমানবাহিী রণতরী নির্মান শুরু করেছে আর চতুর্থ আরেকটি নির্মানেরও পরিকল্পনা করেছে। চারটি বিমানবাহী রণতরীরর মাধ্যমে এ ক্ষেত্রে চীনের অবস্থান হবে যুক্তরাষ্ট্রের পর। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমানে ১০টি বিমানবাহি রণতরী সার্ভিস অবস্থায় রয়েছে।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ব্যাপক ক্ষমতাসম্পন্ন টাইপ ০৫৫ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার যোগ হয় চীনা নৌবাহিনীতে। চীনের তৈরি নতুন এ যুদ্ধ জাহাজ এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বড় রণতরী। এর নাম ন্যানচ্যাং। শক্তির দিক দিয়ে ০৫৫ টাইপের যুদ্ধ জাহাজের অবস্থান মার্কিন জুমওয়াল্ট ক্লাস রনতরীর পরেই।

চীনের কাছে রয়েছে তিনটি শক্তিশালী টাইপ-০৭১ এমফিভিয়াস এসল্ট শিপ। আরো তিনটি এ ধরনের রণতরী যোগ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে চীনা নৌ বাহিনীতে। ৭০০ ফিট দৈর্ঘ্যরে এ ধরনের একটি রণতরী এক ব্যাটালিয়ন মেরিন, ৮০০ সৈন্য এবং আটটি সাজোয়া যান বহন করতে পারে। তা ছাড়া এক সাথে সৈন্য বহনকারী দুটি হেলিকপ্টার ওঠা নামা করতে পারে এ রণতরীতে।

চীনা নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে কৌশলগত শক্তিশালী দুটি সাবমেরিন। পরমানু শক্তিচালিত এ সাবমেরিন যুক্ত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে গত এপ্রিলে। এতে রয়েছে টরপেডো সিস্টেম। চীনের কাছে রয়েছে কয়েক ধরনের পরমানু শক্তিচালিত সাবমেরিন। এর কয়েকটিতে রয়েছে ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়ার ক্ষমতা।

বিশ্বে প্রথমবারের মত রোবট যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে চীন। মানুষবিহীন খুবই শক্তিশালী এ যুদ্ধজাহাজের রয়েছে বহুমুখী ক্ষমতা। এন্টি-সাবমেরিন, এন্টি-শিপ, সারফেস কমব্যাট এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত এ রোবট যুদ্ধ জাহাজ। রাডার এবং আধুনিক বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সজ্জিত এ রোবটিক যুদ্ধ জাহাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরলি বার্ক ক্লাস এজিস ডেস্ট্রয়ার বা চীনের টাইপ ০৫২ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারের সমান ক্ষমতাসম্পন্ন। এর সোনার সিস্টেম পানির নিচে চার মাইল পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে পারে। আর ৫শ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এ ড্রান যুদ্ধজাহাজে একটি ক্ষুদ্র কামান, স্বল্প পাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, দুটি ছোট সারফেস টু এয়ার মিসাইল ও এন্টি শিপ মিসাইল লঞ্চার এবং দুটি এন্টি সাবমেরিন টরপেডো লাঞ্চার রয়েছে।

চীনের এই নৌসক্ষমতার বিপরীতে ভারত নৌশক্তি শক্তিশালী করার দিকে নজর দিয়েছে। যদিও নৌশক্তিতে ভারত ক্রমেই চীনের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। আসুন জেনে নেই ভারতের নৌশক্তির অবস্থান

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী রণতরী হলো বিক্রমাদিত্য নামক বিমানবাহী রণতরী এবং কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ার। বিক্রামদিত্য ভারতের একমাত্র বিমানবাহী রণতরী। এটি রাশিয়ার কাছ থেকে ক্রয় করেছে ভারত। এতে ৬টি হেলিকপ্টারসহ ২৪টি মিগ-২৯ বিমান অবস্থান করতে পারে।

কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ার হলো ভারতের নিজস্ব তৈরি প্রথম আধুনিক শক্তিশালী যুদ্ধ জাহাজ। ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুতভাবে আঘাত করতে পারে এ রণতরির মিসাইল। কলকাতা ক্লাস ডেস্ট্রয়ারের সংখ্যা তিনটি।
ভারতের নিজেদের তৈরি আরেকটি ডেস্ট্রয়ার হলো দিল্লী ক্লাস। দিল্লী ক্লাস ডেস্ট্রায়ারের সংখ্যাও তিনটি। এ ছাড়া ভারতের কাছে রাশিয়ার তৈরি রাজপুত ক্লাস ডেস্ট্রয়ার রয়েছে ৪টি।

ভারতের কাছে যেসব ফ্রিগেট রয়েছে তার সাতটি তাদের নিজেদের তৈরি। বাকীগুলো রাশিয়ার। এ ছাড়া ভারতের সকল করভেটস নিজেদের তৈরি।

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী সাবমেরিন হলো চরখা। রাশিয়ার তৈরি এ সাবমেরিন ভারতের পরমানু শক্তিচালিত সাবমেরিন। এতে রয়েছে পরমানু বোমা নিক্ষেপের ক্ষমতা। ৮০ জন নৌসেনা ধারণকারী এ সাবমেরিন যতদিন ইচ্ছা ততদিন পানির নিচে অবস্থান করতে পারে।

পরমানু শক্তিচালিত ভারতের নিজস্ব তৈরি সাবমেরিন হলো আরিহান্ট ক্লাস সাবমেরিন। এ ধরনের দুটি সাবমেরিন সক্রিয় রয়েছে। ভারতের অন্যান্য প্রচলিত সাবমেরিন ভারত-রাশিয়া, ভারত আমেরিকা ও ভারত জার্মান যৌথ উদ্যোগে তৈরী।

ভারত ও চীন উভয় দেশের কাছে রয়েছে পারমানবিক অস্ত্র। ভারতের কাছে ১৩০টির মত পারমানবিক বোমা মজুদ রয়েছে। এ বোমা নিক্ষেপের জন্য বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ছাড়াও বিমান এবং সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপের ব্যবস্থা রয়েছে। অপরদিকে ফেডারেশন অব আমেরিকান সাইন্টিস্ট ২০১৫ সালের তথ্য অনুসারে চীনের কাছে ২৬০ টি পরমানু বোমা রয়েছে। তবে অনেকের মতে এ সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশি। চীন ১৯৬৪ সালে পারমানবিক বোমা এবং ১৯৬৭ সালে হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালায়।

প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে