ড্রোন আর মিসাইল দিয়েই আর্মেনিয়াকে কাঁপিয়ে দিলো আজারবাইজান

আর্মেনিয়ার সেনাদের অবস্থানে আজারবাইজানের ড্রোন হামলা - রেডিও ফ্রি ইউরোপ রেডিও লাইব্রেরি

  • আহমাদ আব্দুল্লাহ
  • ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৩:৪৯

আজারবাইজানের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করার উদ্দেশ্যে আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী যখন তড়িঘড়ি করে মস্কো সফরে গেলেন, ঠিক সে মুহুর্তে আজারি সেনারা তাদের প্রতিপক্ষের সীমানার প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ভেতরে চলে গিয়েছিল। আজারি সেনারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কেও নিজেদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছিল।

এ রোডটি আর্মেনিয়াকে নাগারনো কারাবাখের সাথে যুক্ত করে। আর এ নাগারনো-কারাবাখ নিয়েই গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলে আসছে।

এ ঘটনার ৫ দিন পর ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল ঠিকই, তবে বাস্তবে কতটা যুদ্ধ বিরতি হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। কারণ নাগারনো কারাবাখের প্রকৃত পরিস্থিতি নিয়ে এখন বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়ে গেছে। আজারি সেনারা এখন নাগারনো কারাবাখের ৩০ কিলোমিটারের কাছে পৌঁছে গেছে মর্মেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এ নিয়ে যুদ্ধবিরতি হলো তিনবার। কিন্তু এবারও যুদ্ধবিরতি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পারই আবার ঘটনাস্থল থেকে গোলা বারুদ নিক্ষেপের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। আজারি সেনাদের দ্রুতবেগে অগ্রসর হওয়ার কারণেই আর্মেনিয়া মোটামুটি নিরুপায় হয়েই যুদ্ধবিরতি করতে এবার তৎপর হয়েছিল। এ মুহুর্তে আজারবাইজানের হাতে আর্মেনিয়ার তুলনায় অনেক বেশি অত্যাধুনিক ও মানসম্পন্ন অস্ত্র রয়েছে। আজারিদের হাতে যেমন ইসরাইল থেকে নিয়ে আসা বিমান রয়েছে, তেমনি রয়েছে বহুল আলোচিত তুর্কী ড্রোন। আর এসবের ওপর ভর করেই আজারি সেনারা আর্মেনিয়ার ট্যাংক, বিমান এবং অস্ত্র কাঠামোতে বিপুল পরিমান ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম হয়েছে। বিগত ১৫ দিনে আজারবাইজানের অর্জন তুলনামূলক বেশি। এরই মধ্যে তারা আর্মেনিয়ার হাত থেকে নাগারনো কারাবাখের পেছনের অংশটি নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান রয়াল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের গবেষণা কর্মকর্তা জ্যাক ওয়ালটিং বলেন, আর্মেনিয়ারা মোটামুটি ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থায় চলে গেছে। কারণ যেখানে আজারবাইজান যুদ্ধে সর্বাধুনিক সব অস্ত্র ব্যবহার করছে সেখানে আর্মেনিয়া এখনো ৭০ বা ৮০’র দশকে তৈরি হওয়া অস্ত্র দিয়েই আজারিদেরকে কাবু করার ব্যর্থ প্রয়াস চালাচ্ছে।

নাগারনো কারাবাখের পার্বত্য অঞ্চলটি ভৌগলিকভাবে আজারবাইজানের ভেতর পড়লেও এখানে নৃতাত্তিক গোষ্ঠী হিসেবে আর্মেনিয়ানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ১৯৯৪ সালে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের পর থেকে এ অঞ্চলটি শাসন করছেন আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রিত একটি পুতুল প্রশাসন। ৯৪ সালের সে যুদ্ধের ফলশ্রæতিতেই আর্মেনিয়ান সরকার আজারবাইজানের অভ্যন্তরের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা দখল করে নেয়। নাগারনো কারাবাখের দক্ষিণ সীমান্তে আছে ইরান ও আর্মেনিয়া। আজারবাইজান বিগত এক মাসের যুদ্ধে এ অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছে। আর এক্ষেত্রে তাদের সফলতার মূলে আছে বিমান বাহিনীর পারদর্শিতা।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের বৈদেশিক নীতিমালা বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমেত হাজিয়েভ বলেন, বরাবরই আর্মেনিয়ার সবচেয়ে বড়ো কৌশল হলো অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা। এবারও তারা তা দিয়েই বিশ্বজুড়ে এ যুদ্ধ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তবে যুদ্ধের ময়দানে তাদের অবস্থা ভালো নয়। কেননা আর্মেনিয়ার অস্ত্র ও সামরিক চিন্তাভাবনা অনেকটাই সেকেলে। তাদের সমরনীতি আর রণকৌশল আমাদেরকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। অন্যদিকে, আমাদের আজারি সেনারা এ যুদ্ধের শুরু থেকেই ভ্রাম্যমান সেনা, ড্রোন প্রযুক্তি এবং অন্যন্য সর্বাধুনিক কৌশল ব্যবহার করছে।

যদিও এ যুদ্ধে কোনো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক না থাকায় এবং ক্রমাগতভাবে যুদ্ধের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি তথ্য প্রচার হওয়ায় যুদ্ধের প্রকৃত চিত্রটি বোঝা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে বাকু এ পর্যন্ত উদ্ধার করা গ্রাম ও শহরের যেসব ভিডিও চিত্র প্রকাশ করেছে এবং সামরিক বিশ্লেষকরা এ পর্যন্ত যা পর্যালোচনা করেছেন তা পর্যালোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে, আজারবাইজান এরই মধ্যে আর্মেনিয়ার হাত থেকে প্রায় ১৫শ কিলোমিটার এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। বিষয়টি সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হওয়া গেছে কারণ গত মঙ্গলবার ইয়েরেভান দাবি করেছে যে, আজারি সেনারা তাদের সীমান্তের একেবারে নিকটে এসে গোলা নিক্ষেপ শুরু করেছে। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র আরর্টসান হোভহানিসয়ান বলেছেন, “এটা ঠিক যে, আমাদের প্রতিপক্ষ কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ ভালো করেছে। তারা আর্মেনিয়ার দক্ষিন সীমান্ত দিয়ে অনেকটা পথ এগিয়েও এসেছে। তবে পরিস্থিতিকে এখুনি উদ্বেগজনক বলে দেয়া যাবে না।”

আজারবাইজান গত এক দশকে তেল ও গ্যাস বিক্রি করে বিপুল পরিমান অর্থ আয় করেছে। এর মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলারই তারা ব্যায় করেছে সামরিক খাতে। অন্যদিকে আর্মেনিয়া এ সময়ে সামরিক খাতে মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর যখন দু দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় তখনকার হিসেব অনুযায়ী আজারবাইজানের বিমানের সংখ্যা আর্মেনিয়ার প্রায় দ্বিগুন আর আর্টিলার লাঞ্চার ও ড্রোনের দিক থেকেও আজারবাইজান অনেক এগিয়ে।

আর্মেনিয়া এ যুদ্ধে মূলত প্রাক্তন সেভিয়েত আমলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েছে। এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি পুরনো হওয়ায় তা রাডার সনাক্ত করতে পারে না। অন্যদিকে, আজারবাইজান বিগত এক দশকে ইসরাইল, রাশিয়া, তুরস্ক- সবার থেকেই অস্ত্র কিনে একটি সমৃদ্ধ অবস্থানে চলে গেছে। আর্মেনিয়ার হাতে এখন পর্যন্ত যে মানের ট্যাংক ও আর্টিলারি সেনা দেখা গেছে তা দিয়ে আজারিদের আধুনিক অস্ত্র মোকাবেলা করা সত্যিই কঠিন। যদিও আর্মেনিয়া অস্বীকার করে কিন্তু আজারবাইজান এ পর্যন্ত বেশ কিছু প্রমাণাদি উপস্থাপন করেছে যাতে দেখা যায় ইসরাইলের তৈরি হারুপ সুইসাইড ড্রোন দিয়ে আজারবাইজান সেনারা আর্মেনিয়ার এস- থ্রি হান্ড্রেড এয়ার মিসাইল ব্যারিয়ার সিস্টেমকে পর্যুদস্ত করে ফেলেছে। এর পাশাপাশি আজারবাইজান বাহিনী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মেয়ে জামাই সেলকুক বেরাকতারের মালিকানাধীন সমরাস্ত্র নির্মান প্রতিষ্ঠান বেকার ড্রোন এবং টি-ফিফটি টু বোমারু বিমানও ব্যবহার করেছে। এগুলো ব্যবহার করায় আজারিরা সফলতার সাথে বিপুল সংখ্যক আর্মেনিয়ার ট্যাংক ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু আধুনিক অস্ত্রই আজারবাইজানের একমাত্র শক্তির উৎস নয়। যেভাবে তারা এগুলোকে ব্যবহার করছে তাতে মনে হয় তারা তুরস্ক থেকে নিয়মিতভাবেই প্রশিক্ষন ও সহযোগিতা পাচ্ছে। তুরস্কের সরাসরি সহযোগিতা ছাড়া আজারিরা কখনোই হুট করে এসব আধুনিক সমরাস্ত্র ব্যবহার করতে পারতো না।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিষয়ক থিংক ট্যাংত এডামের পরিচালক কান কাসাপোগলু বলেন, আজারি সেনারা এ পর্যন্ত যে সমরনীতি প্রদর্শন করেছে তার সাথে সিরিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা তুর্কী সেনাদের রণ কৌশলের অনেক মিল রয়েছে। এতে বোঝা যায়, তুরস্ক আজারিদের শুধু অস্ত্র দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, বরং কীভাবে অভিযান চালালে সফলতা পাওয়া যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষন ও ধারনাও দিয়েছে। হিকমেত হাজিয়েভ অবশ্য সামরিক প্রশিক্ষন দেয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেছেন, তুরস্ক অনেক বছর থেকেই আজারি সেনাদের প্রশিক্ষন দিচ্ছে। কিন্তু তুরস্ক নাগারনো কারাবাখ যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে কিছুই করেনি।

সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইতোমধ্যে আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রনে থাকা বড়ো একটি এলাকা আজারিরা কব্জায় নিয়ে নিলেও সামনের দিনগুলো তাদের জন্য এত সহজ হবে না। কারণ আজারি সেনারা এখন ক্রমাগত উত্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আর সেদিকেই আছে উঁচু পার্বত্য অঞ্চল, লাচিন পাস। তাছাড়া সেখাণে ঘন বনাঞ্চলও রয়েছে। এগুলো পার হয়ে আজারি সেনাদেরকে সম্মুখে এগুতে হলে তাদেরকে আরো বেশি অর্থ ও সম্পদ বিনিয়োগ করতে হবে। অনেক বেশি ঝুঁকিও নিদে হবে। সামনে ক্রমশ শীত বাড়তে থাকায় বর্তমানের গতিতে যুদ্ধ চালানো আর সম্ভবও হবে না। আর্মেনিয়ারা এ পর্যন্ত যে এলাকাগুলোকে সহজে ছেড়ে দিয়েছে সেগুলোকে তারা বাফার জোন মনে করে বলেই ততটা গুরুত্ব দেয়নি। আর্মেনিয়া মূলত শক্তি প্রয়োগ করে লাচিন পাসটিকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চাইবে। সব শক্তি তারা এ এলাকার জন্যই জমিয়ে রেখেছে বলেও অনেকেই আশংকা করছেন।

এদিকে আজারবাইজানের সেনারা গত সোমবার আর্মেনিয়ার একটি সামরিক কনভয়কে ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করেছেন। মূলত আজারি সেনারা আকাশ ও স্থল- উভয়পথেই আর্মেনিয়ার ওপর আক্রমন চালাচ্ছে। সামরিক কনভয় ধ্বংস করার এ ভিডিও আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ে টুইটার একাউন্ট থেকে প্রচার করা হয়। আজারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় গত সোমবার আরো জানায় আর্মেনিয়ার সেনারা আঘদাম গ্রাম এবং আঘজাবেদি অঞ্চলে বোমা নিক্ষেপ শুরু করেছে। অথচ এদিন বিকেলে আরেক তথ্যে তারা জানায় যে, তারা আর্মেনিয়ার হাত থেকে আরো ৮টি গ্রামও মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে আর্মেনিয়াকে নিয়ে নতুন করে বিশ্বজুড়ে আরেক বিতর্ক শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার সেনারা এবারের যুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ গুচ্ছ অস্ত্রভান্ডারের প্রয়োগ করেছে অথবা সরবরাহ করেছে। মূলত আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ২৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বারদা শহরে হামলার সময় আর্মেনিয়া এ নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসেবে এ প্রাণঘাতী হামলায় কমপক্ষে ২১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো ৭০ জন।

আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সাংবাদিকরা গুচ্ছ বোমা ও গুচ্ছ অস্ত্রের যেসব ছবি পাঠিয়েছে তা পর্যালোচনা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। তাদের মতে আর্মেনিয়ানরা নিষিদ্ধ স্মার্চ ক্লাস্টার বোমা এবং স্মার্চ প্যারাসুট হাই ফ্রাগমেন্টেশন রকেট ব্যবহার করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর হিসেবে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে স্মার্চ মাল্টি ব্যারেল রকেট লাঞ্চার থাকলেও নাগারনো কারাবাখ কর্তৃপক্ষের কাছে এ জাতীয় অস্ত্র নেই। তাই স্মার্চ রকেট লাঞ্চারের ব্যবহার হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে আর্মেনিয়ার প্রশাসনই নাগারনো কারাবাখে এ নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলো সরবরাহ করেছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ কর্মরত ক্রাইসিস এবং কনফ্লিক্ট বিষয়ক গবেষক বেলকিস উইলি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চুক্তি করে এ জাতীয় অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ এগুলো প্রচন্ড ক্ষতিকারক ও ধ্বংসাত্মক। এতে বেসামরিক মানুষের জীবনও বিপন্ন হয়। সেখানে আর্মেনিয়া গোপনে এ অস্ত্রগুলো ব্যবহার ও সরবরাহ করে আন্তর্জাতিক আইনকে লংঘন করেছে। যেভাবে তারা কাজটি করেছে তাতে সকল দেশেরই এক হয়ে সম্মিলিতভাবে আর্মেনিয়া প্রশাসনের নিন্দা জানানো উচিত। ভবিষ্যতে আর যেন এ জাতীয় কোনো নিষিদ্ধ বোমা বা অস্ত্র যেন নাগারনো কারাবাখে ব্যবহার করা না হয় তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে