চাবাহার বন্দর নির্মাণে সমস্যা দেখা দেয় গত বছর। পরমাণু ইস্যুতে ইরানের অশোধিত তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে বহু দেশ ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়। ভারতও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মান্য করে। কেউ কেউ বলে, বরং একটু বেশিই মান্য করে
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন ইরানকে ঘিরে চীনের যে বিনিয়োগ পরিকল্পনা তাতে এশিয়ায় ভূকৌশলগত সর্ম্পকের চিত্র বদলে যাচ্ছে। যাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে যাচ্ছে ভারত। কারন চীনের আগ্রাসী বিনিয়োগ ও কূটনীতি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ভারতকে কোনঠাসা করে ফেলছে। ভারতের বিশ্লেষকরা মনে করেন পাকিস্তান , শ্রীলংকা ও মিয়ানমারে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মানের মাধ্যমে ভারতকে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে চীন
আফ্রিকা মহাদেশের প্রতি তিনটি দেশের একটিতে রয়েছে তেল ও গ্যাসের ভান্ডার। রয়েছে হীরা, সোনা, নিকেল, প্ল্যাটিনাম, ক্রোমিয়াম, ইউরেনিয়াম, কোল্টন প্রভৃতি মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদের খনি। আফ্রিকায় আবিষ্কৃত নতুন নতুন সম্পদ ও এর মজুদ দৃষ্টি কেড়েছে বিশ্বের। কারণ, বিশ্বে এসব সম্পদের পরিমাণ খুবই অল্প। এর ফল হয়েছে এই যে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্রিয় দেশগুলো এখন আফ্রিকা মহাদেশে তাদের প্রভাব বাড়াতে তৎপর হয়ে উঠেছে। এ তৎপরতা আফ্রিকা মহাদেশকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে নতুন এক বাস্তবতার সামনে
চীন -মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরে প্রবেশের সুযোগ পাবে চীন। এর ফলে পারস্য উপসাগর থেকে তেল গ্যাস আমদানির রুট হিসাবে ব্যবহৃত হবে। তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা চীনের দক্ষিনাঞ্চল বিশ্ববাজারের সাথে যুক্ত হতে পারবে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা উপেক্ষা করে চীনা কৌশলগত পরিকল্পনার একটি বড় লক্ষ্য বাস্তবায়িত হচ্ছে।