করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষই কাঁপছে। ভয়ঙ্কর এই ভাইরাস প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে অসংখ্য মানুষের জীবন। অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। এমন ঘোর দুর্দিনকেও বিভিন্ন দেশের স্বৈরশাসকরা দেখছেন ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার মোক্ষম সুযোগ হিসেবে। করোনার ছোবল থেকে মানুষের জীবন রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে দেশে দেশে স্বৈরশাসকরা ভিন্নমত দমন ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছেন।
পাল্টে গেছে দাবার চাল। এখন খাঁচায় বন্দি হয়ে আছে মানুষ। আর অবাধ বিচরণ করছে বন্যরা। নতুন করে জাগছে প্রকৃতি। পৃথিবী এমন একটা অবস্থায় দাঁড়াবে, ঠিক কিছুদিন আগেও কি ভাবা যেতো? না!
আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। ব্যাপক অর্থে এমনটা বলা হলেও প্রাণঘাতি ভাইরাসের আক্রমণের বইরে রয়ে গেছে এখনো অনেক দেশ। আর এসব দেশের অধিকাংশ গরিব অথবা যুদ্ধবিধ্বস্ত। নয়তো বিশ্ব থেকে একরকম বিচ্ছিন্ন। প্রশ্ন হচ্ছে আসলে এসব দেশের প্রকৃত অবস্থা কী? নাকি তথ্য লুকাচ্ছে। বিচ্ছিন্ন দেশের উদাহরণ হিসেবে টেনে আনা যায় উত্তর কোরিয়ার নাম। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যাদের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। এমন আরো একটি দেশ মিয়ানমার।
বিশ্ব প্রস্তুত হচ্ছিলো ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধের জন্য। অস্থির হয়ে উঠেছিলো রাজনীতি। মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো কয়েকটি বিশ্বশক্তি। চারদিকে যখন রণহুঙ্কার, ঠিক তখনি গর্জন করে মানুষের ওপর হামলে পড়লো প্রকৃতি। চীন দেশ থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো করোনা ভাইরাস।