ইসলামী বিপ্লবের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের অন্যায় নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়েই ইরান টিকে আছে। তবে অনেকে বলে থাকেন সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশের চরম বৈরিতা ও পাশ্চাত্যের নিষেধাজ্ঞা না থাকলে ইরান একটি বিশ্বশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতো
উপসাগরীয় এলাকার সবগুলো দেশই এখন পর্যন্ত শাসিত হয় কর্তৃত্ববাদী রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এসব দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের নেই পছন্দমতো সরকার বেছে নেয়ার বা পরিবর্তনের স্বাধীনতা। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী তাদের শাসন টিকিয়ে রাখতে তথা জনগণের মুখ বন্ধ রাখতে তেল বিক্রির টাকায় তাদের জন্য করেছে বিলাসব্যসনের ব্যবস্থা। ওসব দেশের মানুষ এ বিলাসী জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কারের নামে যদি এসব ভোগবিলাস কাটছাঁট করা হয়, তাতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে। রাজতন্ত্র এ ঝুঁকি কেন নিতে চাইবে?
এশিয়ার দেশগুলোতে তেলের প্রধান ক্রেতা হলেও এসব দেশ একই সমস্যায় পড়েছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় জ্বালানি তেল আমদানিকারক দেশ। কিন্তু তেলের ঐতিহাসিক দরপতনের পরও দেশটি এ থেকে কোনো সুবিধা নিতে পারছে না। কারন তাদেরও তেল মজুদের অবকাঠামো নেই। লকডাউনের কারনে ভারতেও তেলের চাহিদা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। ফলে আগের তেলই রয়ে গেছে অবিক্রিত। লকডাউন ঘোষণার সময় থেকেই দেশটির তেল মজুদ ক্ষমতা ৯৫ ভাগ পূর্ণ ছিল
সাইবেরিয়া পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া সম্প্রতি ইয়াকুতিয়া থেকে চীনে গ্যাস রফতানি করেছে। দু'দেশ সম্প্রতি রাশিয়ার ইরকুতসে অবস্থিত ইয়ামাল এলএনজি প্ল্যান্ট থেকে মঙ্গোলিয়া হয়ে চীনে গ্যাস রফতানির বিষয়েও আলোচনা করেছে। চীনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে মনে করা হচ্ছে, চীনে জ্বালানি রফতানির জন্য নতুন আরো রুট খুলবে রাশিয়া।