বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশ শাসনে তেমন ক্যারিশমা দেখাতে পারছেন না। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তার এখন দরকার উগ্র জাতীয়তাবাদ উস্কে দেওয়া। এজন্য মোদি তার দেশের সামর্থ্যরে বাইরে গিয়ে যুদ্ধ-উন্মাদনার জন্য দেশকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছেন
উপসাগরীয় এলাকার সবগুলো দেশই এখন পর্যন্ত শাসিত হয় কর্তৃত্ববাদী রাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। এসব দেশে গণতন্ত্র নেই, জনগণের নেই পছন্দমতো সরকার বেছে নেয়ার বা পরিবর্তনের স্বাধীনতা। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী তাদের শাসন টিকিয়ে রাখতে তথা জনগণের মুখ বন্ধ রাখতে তেল বিক্রির টাকায় তাদের জন্য করেছে বিলাসব্যসনের ব্যবস্থা। ওসব দেশের মানুষ এ বিলাসী জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কারের নামে যদি এসব ভোগবিলাস কাটছাঁট করা হয়, তাতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হতে পারে। রাজতন্ত্র এ ঝুঁকি কেন নিতে চাইবে?
চলছে ভারতের অর্থনীতিতে। অনেক খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ বর্তমান মন্দা পরিস্থিতিকে ভয়াবহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমএফসহ বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ ভারতের অর্থনীতির মন্দায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানিয়েছেন। অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ মন্দা থেকে সহজে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না।