চীন-ভারত আলোচনার পেছনে কে

মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে এমন এক বিচারক্ষমতা, যা বাস্তব; মোটেই কাগজ-কলমের নয় - ইন্টারনেট

  • হুমায়ুন সাদেক চৌধুরী
  • ১৬ জুলাই ২০২০, ১৯:১৩

চীন ও ভারত - এ দু' পরমাণু শক্তিধর দেশের দেশের মধ্যে চাপা উত্তেজনার আগুন যখন ধিকি ধিকি জ্বলছে, সেই জ্বলন্ত আগুনের ভেতর থেকেই প্রায়-অচিন্ত্যনীয়ভাবে উত্থিত হলেন শান্তির এক দেবদূত। কঠিন নার্ভ আর তীক্ষণ বুদ্ধি দিয়েই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন তিনি। তার নাম অজিত দোভাল; ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তিনি। লাদাখ সীমান্তে চীনা সৈন্যদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর চীন-ভারত উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, যে-কোনো মুহূর্তে ''যুদ্ধ লেগে যায় যায়'' অবস্থা, সে-রকম একটা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীকে সম্ভাব্য যুদ্ধের দরজা থেকে ফিরিয়ে আনলেন তিনি।

চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আলোচনাকালে তাকে কেমন টান টান করে বাঁধা কূটনৈতিক রশির ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে, সে কেবল তিনিই জানেন। অথচ অজিত দোভাল আলোচনার দায়িত্ব নেয়ার আগে কেমন-একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাবই না ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে! ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যস্ত ছিল সম্ভাব্য যে-কোনো সংঘাত মোকাবিলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখায় আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছিল সম্ভাব্য যুদ্ধে বৃহৎ শক্তিগুলোর সমর্থন আদায়ের কাজে।

এরপর কূটনীতির রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব অজিত দোভালের। যদিও আইনের চোখে এ কাজ তার নয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। তবুও কঠিনতম দায়িত্বটি চাপলো তার কাঁধেই। তিনি এলেন, কথা বললেন, জয় করলেন। অবশেষে ৬ জুলাই চীন-ভারত উত্তেজনা প্রশমন চুক্তি ঘোষিত হলো। এ বিস্ময়কর সাফল্যে দোভালকে সহর্ষ অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবচাইতে কাছের ও বিশ্বস্ত তিন মন্ত্রী – প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

দোভালের দূতিয়ালিতে চীন ও ভারত তাদের মতপার্থক্যকে বিরোধে রূপ না-দেয়ার ব্যাপারে একমত হয়। সম্মত হয় উত্তেজনা যেন আর বাড়তে না-পারে সেজন্য নিজ-নিজ বাহিনীকে আরো পিছিয়ে নিতে এবং সহিংস সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রোধে একটি বাফার জোন প্রতিষ্ঠায়।

সমঝোতার কথাটি যত সহজে বলা হচ্ছে, কাজটি কিন্তু অত সহজে সম্পন্ন হয়নি। মাত্র ক'দিন আগেই তো দু' দেশ একে অপরের ব্যাপারে দাবি ও পাল্টা দাবি তুলেছে। খুব ঠান্ডা মাথায় এসব মোকাবিলা করে এগোতে হয়েছে দোভাল ও তার টিমকে। এমনকি চুক্তি হওয়ার ক'দিন দিন আগেও মোদীর একটি আক্রমণামক বক্তব্য পুরো প্রক্রিয়াটিকে পন্ড করে দিতে বসেছিল। মোদী বলেছিলেন, চীন হচ্ছে একটি ''সম্প্রসারণবাদী'' দেশ, যে দেশ বিশ্বশান্তির জন্য একটি হুমকি।

অজিত দোভাল চীনা কর্মকর্তাদের বোঝাতে সক্ষম হন যে, এটা কেবলই ভারতীয় জনতার উদ্দেশে রাখা একটা বক্তব্য, চীন যেন একে সিরিয়াসলি বা গুরুত্বের সাথে না-দেখে। চীন বিষয়টি বুঝেছে এবং ভারতের সাথে উত্তেজনা প্রশমন চুক্তি করেছে। প্রশ্ন হলো, এই বিশাল কূটনৈতিক সাফল্যের নায়ক কে এই অজিত দোভাল?

তার বর্তমান পরিচয়, তিনি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। কিন্তু তার আগে? তার আগে তিনি ছিলেন একজন স্পাই বা গুপ্তচর। এই শ্রেণিটি বরাবরই থাকে অপরিচয়ের অন্ধকারে। সেই অন্ধকার ভেদ করে দোভাল বেরিয়ে এসেছেন আলোয় এবং মোদি সরকারের একজন কী প্লেয়ার বা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পর্যবেক্ষকরা বলেন, দোভাল থাকেন খুব লো প্রোফাইলে, কিন্তু নয়া দিল্লির সব মহলের সাথে তার গভীর যোগাযোগ রয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।

ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের একজন পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে অজিত দোভাল ছয় বছর পাকিস্তানে কাটান। নামে দূতাবাস কর্মকর্তা হলেও আসলে ওই দেশে ভারতের হয়ে গোয়েন্দাগিরিই করতেন তিনি। ব্রিটেনে ইন্ডিয়ান হাই কমিশনেও মিনিস্টার হিসেবে কাজ করেন তিনি।

২০০৪ সালে ভারতের তৎকালীন কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকার গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক নিযুক্ত করে অজিত দোভালকে। এ পদে বসেই দেশীয় রাজনৈতিক ঝড়ঝাপটা মোকাবিলায় সক্ষমতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হন তিনি। এ প্রসঙ্গে নয়া দিল্লির একজন বিখ্যাত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক বলেন, নানারকম জটিল দায়িত্ব পালনের বিপুল অভিজ্ঞতা দোভালকে একটি বিশিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে এমন এক বিচারক্ষমতা, যা বাস্তব; মোটেই কাগজ-কলমের নয়।

এ প্রসঙ্গে চীনের সাথে সম্পাদিত সর্বশেষ লাদাখ চুক্তির কথাই বলা যায়। চুক্তিটি যে শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদির অনুমোদন পেয়েছে তা-ই নয়, এ চুক্তি করার আগে চীনের সাথে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রীর তিন ঘনিষ্ঠ লেফটেন্যান্ট - রাজনাথ, জয়শঙ্কর ও অমিত শাহের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও পেয়েছেন দোভাল।

একথা সবাই জানে যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির সাথে দোভাল প্রায়ই অভিন্ন মত পোষণ করেন। তার একটা বড় সুবিধা হলো মোদির সাথে তার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক। জীবনের বেশিরভাগ সময় কাজ করেছেন তৃণমূল পর্যায়ে; সাধারণ মানুষের সঙ্গে।

পুলিশে চাকরির ছয় বছরের মাথায় 'পুলিশ পদক' পান দোভাল। সাধারণত ১৭ বছর চাকরির আগে কাউকে এ পদক দেয়া হয় না। পর্যবেক্ষকরা বলেন, দোভালের একটা বড় গুণ হচ্ছে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বা সঙ্কট মোকাবিলা। পুলিশি দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি শিখেছেন, প্রতিপক্ষকে আলোচনায় ব্যস্ত রেখে কীভাবে জয়ী হতে হয়।

১৯৮৬ সালে মিজোরামের বিদ্রোহী মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে মূলধারার রাজনীতিতে ফিরিয়ে এনে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন অজিত দোভাল। তিনি ১৯৮৮ সালে পাঞ্জাবের শিখ বিদ্রোহীদের এবং ১৯৯০ সালের গোড়ার দিকে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সাথেও আলোচনায় বসেন।

২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের 'বিশেষ মর্যাদা' বিলোপের এক ঐতিহাসিক ও বিতর্কিত পদক্ষেপ নেয় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। একে কেন্দ্র করে ওই রাজ্যে বিক্ষোভ ধূমায়িত হয়ে উঠতে থাকে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। ওই রাজ্যে কয়েক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা দিয়ে এ সময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা করেন দোভাল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন নয়া দিল্লিতে, তখন সেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলছিল। এ সময় যাদের তৎপরতায় দাঙ্গার আগুন নিভে যায়, দোভাল তাদেরই একজন।

দিল্লির পর্যবেক্ষকরা দোভালকে দেখেন বহুমুখী শক্তির অধিকারী একজন মানুষ হিসেবে, যিনি সহজেই আমলাতান্ত্রিক জটাজাল কেটে ফেলতে এবং আনুষ্ঠানিক প্রটোকলের বেড়াজাল ছিন্ন করতে পারেন, যা একজন মন্ত্রীকে অবশ্যই মেনে চলতে হয়। তার কার্যালয় অবস্থিত সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ঠিক পেছনেই। এ কারণেই তাকে হয়তো বা বলা হয়, মোদির কান।

এর মানে অবশ্য এই নয় যে, এর ফলে মোদির বিশ্বস্ত মন্ত্রীত্রয়ীর ক্ষমতা ও ভূমিকা কিছুমাত্র কমে গেল। এ ত্রয়ীর অন্যতম হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথংগে, যিনি দলের পুরনো লোক। ২০১৩ সালে বিজেপি-র সভাপতি থাকাকালে পরের বছরের নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনিই নরেন্দ্র মোদীকে বাছাই করেন। ভারতের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর পরেই তার স্থান, যদিও সবাই জানে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেই তিনি সবচাইতে বেশি পছন্দ করেন। কারণ, সেই গুজরাট থেকেই অমিত শাহ আছেন মোদীর সঙ্গে।

ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাট হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের রয়েছে চার দশকের অভিজ্ঞতা। এর মাঝে তিনি সাড়ে চার বছর রাষ্ট্রদূত ছিলেন চীনে, একই দায়িত্ব পালন করেছেন যুক্তরাজ্যেও। আর ২০১৯ সালের মে মাস থেকে পালন করছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। এ অবস্থায় তাই কেউ-কেউ প্রশ্ন তুলেছেন,এমন একজন অভিজ্ঞ পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকতে চীনের সাথে উত্তেজনা প্রশমন চুক্তিতে অজিত দোভালকে কেন সই করতে হলো?

এ প্রশ্নের জবাবে দু'টি সম্ভাব্য কারণ দেখান দিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর আংশিক একটি কারণ হতে পারে মোদী সরকারের একটি অভ্যাস। এ সরকার সবসময় একজন মন্ত্রীর বিকল্প তৈরি করে রাখে। আবার অংশত দ্বিতীয় কারণটি হতে পারে এই যে, গত দুই দশক ধরে উভয় দেশ ''বিশেষ প্রতিনিধির'' মাধ্যমে আলোচনা চালিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও তা-ই করা হলো। এবারের সংলাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন ''বিশেষ প্রতিনিধি'' অজিত দোহাল আর চীনের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ঈ।

দিল্লির ক্ষমতাবলয়ের ভেতরের লোকজন জানান, ১৫ জুন চীনা বাহিনীর হাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ১৭ জুন টেলিফোনে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং। জয়শঙ্কর অত্যন্ত কড়া ভাষায় এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানান। এ ঘটনা থেকে চীন হয়তো ভেবে থাকতে পারে যে, জয়শঙ্কর খুব কঠিন মানুষ, তার সঙ্গে যে-কোনো আলোচনাই ভেঙে যেতে পারে।

ভারতের আইন অনুসারে কোনো মন্ত্রী কোনো চুক্তিতে সই করলে পার্লামেন্ট ওই মন্ত্রীকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে। পক্ষান্তরে প্রধানমন্ত্রীর নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি কোনো চুক্তিতে সই করলে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীকেই সে-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হয়।

তাকে বলা হয়, মোদির কান
তাকে বলা হয়, মোদির কান

 

মনে করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির পক্ষে এ বিষয়ক প্রশ্নের জবাব দেয়া বাস্তবিকই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে চুক্তির কপি দেখার সুযোগ পেয়েছেন এমন বিশ্লেষকরা এমনই মনে করছেন। তাদের অনেকে এমন কথাও বলছেন যে, শান্তির বিনিময়ে ভারত তার এমন অনেক এলাকা চীনকে ছেড়ে দিয়ে এসেছে, যেগুলো দীর্ঘ দিন যাবত চীন দখল করে রেখেছে। মোদী সরকার অবশ্য এ অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করেছে।

এদিকে উত্তেজনা প্রশমন চুক্তি করলেও চীন তার চড়া সুর একটুও নরম করেনি। তাদের ৬ জুলাইর বিবৃতিতেই সেটা স্পষ্ট। তারা সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও প্রাণহানির ঘটনার জন্য সরাসরি ভারতকেই দায়ী করেছে। বলেছে, সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি চীন তার আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব সুরক্ষায়ও কৃতসংকল্প। এমন অবস্থায় ভারত কী করতে পারে? একজন প্রখ্যাত ভারতীয় নিরাপত্তা-বিশ্লেষক এশিয়া টাইমসকে বলেন, যখন রাজনৈতিক হিসাবনিকাশ মিলিটারি ফ্যাক্টরকে ছাড়িয়ে যায় এবং একটি জাতিকে কেবল ফাঁকা বুলি শুনে-শুনেই জীবন কাটিয়ে দিতে হয়, তখন তাদের পরিণাম হয় ''নো ওয়ার, নো পীস'' অর্থাৎ তারা না যুদ্ধে জয়ী হয়, না শান্তি অর্জন করতে পারে। তিনি আরো বলেন, চীন বহু দিন ধরে ভারতকে একটু-একটু করে নানাভাবে সেদিকেই ঠেলে দিচ্ছে।

প্রশ্ন উঠছে, দু'দেশের মধ্যেকার উত্তেজনা যদি আবার তুঙ্গে ওঠে, তখনও কি নতুন শান্তি প্রক্রিয়ার হাল ধরার জন্য অজিত দোভালকেই বেছে নেয়া হবে? তিনিই হবেন শান্তির দিশারী, নতুন ত্রাণকর্তা? আগামীদিনই এর জবাব দেবে।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে