বিশ্বের সেরা ৬ বোমারু বিমান

টুপোলেভ টিইউ-১৬০ - সংগৃহীত

  • মেহেদী হাসান
  • ২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৫৫

বিশ্বে বর্তমানে যত যুদ্ধবিমান সার্ভিসে রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড়, ভারী আর দ্রুতগতির বোমারু বিমান রাশিয়ার টুপোলেভ টিইউ-১৬০। এটি ব্ল্যাক জ্যাক নামে পরিচিত। সুপারসনিক এ বোমারু বিমানের গতি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ। পারমাণবিক বোমা বহনকারী ১২টি মিসাইল বহন করতে পারে টিইউ-১৬০। রাশিয়ার শ্বেত রাজহংস নামে পরিচিত টিইউ-১৬০। সোভিয়েত আমলে নির্মিত এটিই রাশিয়ার সর্বশেষ ভারী কৌশলগত বোমারু বিমান।

টিইউ-১৬০ প্রথম আকাশে ওড়ে ১৯৮১ সালে। রাশিয়ান বিমান বাহিনীতে বর্তমানে ১৬টি টিইউ-১৬০ সক্রিয় থাকার তথ্য রয়েছে। একটি টিইউ-১৬০ বোমাসহ সর্বোচ্চ ২৭৫ টন ওজন বহন করতে পারে। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৮০ মাইল। বিমানটির নির্মাতা কাজান এয়ারক্রাফট প্রডাকশন অ্যাসোসিয়েশন। নকশাকারী টুপোলভ ডিজাইন ব্যুরো।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের পর রাশিয়া দীর্ঘসময়ের জন্য অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে পড়ে। এ-সময় সোভিয়েত আমলে নির্মিত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান অনেক সমরাস্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারার কারণে পরিত্যক্ত ও ধ্বংস হয়ে যায়। তবে ভøাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে রাশিয়া ক্রমে ঘুরে দাঁড়ায়।

ভøাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন, ১৯৯১ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া তাদের কৌশলগত সব বোমারু বিমান আবার আকাশে ওড়াবেন। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ২০০৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দুটি টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান উত্তর আটলান্টিক, যুক্তরাজ্য এবং ফিনল্যান্ডের কাছে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় অভিযান পরিচালনা করে। ২০১০ সালে দুটি টিইউ-১৬০ বোমারু বিমান টানা ২৩ ঘণ্টা আকাশে টহল দেওয়ার মাধ্যমে ১৮ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রমের রেকর্ড করে। রাশিয়ার পরিকল্পনা আরও ১৫টি টিইউ-১৬০ বিমান তৈরি করা।

টিইউ-২২। ৫০ বছর আগের সোভিয়েত আমলের একটি যুদ্ধবিমান নতুন করে হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে রাশিয়ার শত্রুদের জন্য। বিমানটির নাম টিইউ-২২এম। সম্প্রতি টিইউ-২২ থেকে পরীক্ষা চালানো হয়েছে হাইপারসনিক কিনজহাল মিসাইল।

ন্যাটো এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি পরিচিত ‘ব্যাক ফায়ার’ নামে। পারমাণবিক এবং প্রচলিত উভয় ধরনের বোমা বহন করতে পারে ব্যাক ফায়ার। টিইউ-২২ এম একটি সুপারসনিক বোমারু বিমান। স্লায়ু যুদ্ধের সময় এ বোমারু বিমান যুক্তরাষ্ট্রের নেভি তথা বিমানবাহী রণতরীর জন্য ছিল বড় ধরনের এক আতঙ্ক। আর বর্তমানে যে কারণে ব্যাক ফায়ার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তা হলো- এতে যুক্ত হয়েছে দীর্ঘ পাল্লার হাইপারসনিক মিসাইল। টিইউ-২২ এম নির্মাতা টুপোলেভ ডিজাইন ব্যুরো। এটি একটি দীর্ঘ পাল্লার স্ট্রাটেজিক এন্ড মেরিটাইম স্ট্রাইক বোমারু বিমান।

টিইউ-২২ প্রথম আকাশে ওড়ে ১৯৬৯ সালের ৩০ আগস্ট। মোট ৪৯৭টি ব্যাক ফায়ার নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে রাশিয়ান এয়ার ফোর্সের কাছে শতাধিক টিইউ-২২ রয়েছে। এটি ১০০২ পাউন্ড ওজনের বোমা বহন করতে পারে। সুপারসনিক এ বিমানটিরও গতি শব্দের চেয়ে দ্বিগুন।

টিইউ-৯৫। রাশিয়ার গৌরব আর সামরিক শক্তির প্রতীক টুপোলেভ-৯৫ বোমারু বিমান। প্রায় ৭০ বছর আগের এ বোমারু বিমানটিও রাশিয়ার শত্রুদের কাছে নতুন সতর্ক বার্তা নিয়ে এসেছে। কারণ বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা জার বম্বা রাশিয়া পরীক্ষা চালিয়েছে টুপোলেভ-৯৫ থেকে। টুপোলেভ টিইউ-৯৫ হলো বিশ্বের একমাত্র প্রোপেলার পাওয়ারড কৌশলগত বোমারু বিমান, যা এখনো চালু রয়েছে। এর প্রপেলার ব্লেডের ঘোরার গতি শব্দের গতির চেয়েও বেশি। ফলে বিশ্বে এটি সবচেয়ে বেশি শব্দ সৃষ্টিকারী বিমান। বিমনাটি চার ইঞ্জিন-বিশিষ্ট। সোভিয়েত ইউনিয়ন ৫০০ এর অধিক নির্মাণ করে টিই-৯৫ বোমারু বিমান। টিইউ-৯৫ একটি কৌশলগত পারমাণবিক বোমারু বিমান। ন্যাটো এর নাম দিয়েছ বিয়ার বা ভল্লুক। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র পারমাণবিক বোমা হামলার সক্ষমতা অর্জনের পরিকল্পনা থেকে সোভিয়ত ইউনিয়ন তৈরি করে এ বিমান। ১৯৫২ সালে প্রথম আকাশে ওড়ে এটি।

১৯৬১ সালের ৩০ অক্টোবর রাশিয়া পরীক্ষা চালায় হাইড্রোজেন বোমার। এর নাম জার বম্বা। বিশ্বে আজ পর্যন্ত এত শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়নি কেউ। বিশ্বের এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী এ জার বম্বা নিক্ষেপ করা হয় টুপোলেভ টিইউ-৯৫ বিমান থেকে। নোভায়া জেমলিয়ার আর্কটিক আইল্যান্ডে নিক্ষেপ করা হয় জার বম্বা। পুন জ্বালানি ছাড়া এ বিমান ৯ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। ২০১০ সালে দুটি টিইউ-৯৫ টানা ৪৩ ঘণ্টা আকাশে ওড়ার রেকর্ড স্থাপন করে। এ ধরনের বোমারু বিমানের ক্ষেত্রে এটা বিশ্ব রেকর্ড। প্রায় ৭০ বছর পরেও আজও বিশ্বের শীর্ষ বোমারু বিমানের তালিকায় এ বিমানের অবস্থান অনেকের কাছে বিস্ময়কর। বিমানটির ডিজাইনার আন্দ্রে নিকোলাভিচ টুপোলেভ।

জিয়ান এইচ-৬। বিশ্বের সেরা বোমারু বিমানের তালিকায় শীর্ষ ৫ এ রয়েছে চীনের জিয়ান এইচ-৬ বোমারু বিমান। এটি রাশিয়ার টুপোলেভ টিইউ-১৬ বিমানের চীনা ভার্সন। সোভিয়েত ইউনিয়ন এ বিমান উদ্ভাবন করলেও বর্তমানে রাশিয়ায় এ বিমান সার্ভিসে নেই। রাশিয়ার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে চীন নির্মাণ করে এ বিমান। ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চীনের কাছে মোট ২৩১টি জিয়ান এইচ-৬ বোমারু বিমান রয়েছে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫২ সালে নির্মাণ করে কৌশলগত ভারী বোমারু বিমান টিইউ-১৬। দেড় হাজারের ওপরে সোভিয়েত ইউনিয়ন এ বিমান নির্মাণ করে। রাশিয়ার কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে চীনের জিয়ান এয়ারক্রাফট করপোরেশন নির্মাণ করে এইচ-৬। ১৯৫৯ সালে চীন নির্মিত এইচ-৬ আকাশে ওড়ে।

পারমাণবিক বোমা, শক্তিশালী গাউডেড বোমা, এয়ার লঞ্চড ক্রুজ মিসাইল, এয়ার লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল, ল্যান্ড এটাক ক্রুজ মিসাইল, এন্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়তে সক্ষম জিয়ান এইচ-৬। মেরিটাইম পেট্রোল, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, সার্ভিল্যান্সসহ এক ডজনের ওপরে ভার্সন রয়ছে জিয়ান এইচ-৬ এর। এর ইঞ্জিন সংখ্যা দুটি।

বি-১ ল্যান্সার। রাজকীয় গঠনের বোমারু বিমান বি-১ ল্যান্সার। রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য যে কোনো পারমাণবিক যুদ্ধ মোকাবেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করে বি-১ ল্যান্সার। এটি একটি সুপারসনিক বোমারু বিমান। কোনো বিরতি ছাড়া পৃথবীর যে কোনো প্রান্তে হামলা পরিচালনা করে আবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে পারে এ বিমান। ২৪টি পরমানু বোমা বহন করতে পারে একটি বি-১ ল্যান্সার। বি-১ ল্যান্সার প্রথম আকাশে ওড়ে ১৯৭৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর। যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয় ১৯৮৬ সালের ১ অক্টোবর। বি-১ এর ইঞ্জিন সংখ্যা চারটি। মোট ১০৪টি বি-১ ল্যান্সার বিমান তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র।

উপসাগরীয় যুদ্ধ, কসভো যুদ্ধ, অপারেশন ডেজার্ট ফক্স, ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া প্রভৃতি অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছে এ বিমান। বি-১ ল্যান্সার নির্মাতা রকওয়েল ইন্টারন্যাশনাল। রকওয়েল বর্তমানে বোয়িং এর অংশ। বি-১ ল্যান্সারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৮৩০ মাইল। একটানা দীর্ঘ সময় আকাশে অবস্থান করতে পারা, ভারী বোমা নিয়ে দ্রুত গতিতে ওড়ার ক্ষমতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনেক বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী বি-১। ২০১২ সালে আফগানিস্তানে ৬ মাসের এক অভিযানে অংশ নেয় ৯টি বি-১ বোমারু বিমান। এসময় একটি বিমান সবসময়ের জন্য আকাশে ভাসিয়ে রাখা হয়।

বি-৫২ বোমারু বিমান। ১৯৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিমান একটানা উড়ে গোটা বিশ্ব পরিভ্রমন করে। এতে মোট সময় লাগে ৪৫ ঘণ্টা ১৯ মিনিট। মোট পথ অতিক্রম করে ২৪ হাজার ৩২৫ মাইল। যুক্তরাষ্ট্রের এ মিশনের উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াসহ গোটা পৃথিবীকে এ বার্তা দেয়া যে, পৃথিবীর যেকোনো স্থানে হাইড্রোজেন বোমা হামলার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। এ মিশনের নাম ‘অপারেশন পাওয়ার ফ্লাইট।’

যে বিমানের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র এ মিশন পরিচালনা করে তার নাম বি-৫২ বোমারু বিমান। রাশিয়ার সাথে স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে পারমাণবিক বোমা বহন করা এবং রাশিয়ার পারমাণবিক বোমা হামলা প্রতিরোধের জন্য যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করে বিস্ময়কর এ বিমান। বিমানটির নকশা তৈরি ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। এর ইঞ্জিন নির্মাতা রেইথিয়ন টেকনোলজিস। বি-৫২ আকাশের দানব হিসেবে পরিচিত। এর ইঞ্জিনের সংখ্যা আটটি। এটিই এখন বিশ্বে একমাত্র ৮ ইঞ্জিন বিশিষ্ট বোমারু বিমান যা সক্রিয় রয়েছে। বি-৫২ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ভারী বোমারু বিমান।

আজ থেকে ৬৭ বছর আগে ১৯৫২ সালের ১৫ এপ্রিল এ দৈত্য বিমান প্রথম আকাশে ওড়ে। ১৯৫৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী ব্যবহার করে আসছে এ বিমান। ১৯৫৬ সালের ২১ মে বি-৫২ বোমারু বিমান থেকে সর্বপ্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করা হয় মার্শাল আইল্যান্ডের একটি কোরাল প্রাচীরে যার নাম বিকিনি এটোল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষার উদ্যোগ নেয় এ বিমানের সাহয্যে।

রাশিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কোল্ড ওয়ার, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ইরাক যুদ্ধে মূল ভূমিকা পালন করে বি-৫২ বোমারু বিমান। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬১ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত পরিচালনা করে অপারেশন ক্রোম ডোম। সোভিয়েত ইউনিয়নের পারমাণবিক বোমা হামলা ঠেকাতে তখন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাটেজিক এয়ার কমান্ড দিনে রাতে ২৪ ঘণ্টা বি-৫২ বিমান আকাশে ভাসিয়ে রাখে পারমাণবিক বোমা সজ্জিত করে। এ অপারেশনে তখন এক ডজন বি-৫২ বিমান ব্যবহার করা হয়।

বোয়িং এখন পর্যন্ত ৭৪৪টি বি-৫২ বোমারু বিমান তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বর্তমানে ৭৬টি বি-৫২ বোমারু বিমান সক্রিয় রয়েছে। একটি বি-৫২ বিমান ৩২ হাজার কেজি ওজনের সমরাস্ত্র বহন করতে পারে এবং পুনজ্বালানি সংগ্রহ ছাড়া টানা ৮ হাজার ৮শ মাইল পর্যন্ত উড়তে পারে। সবচেয়ে কম বয়সী বি-৫২ বিমানের বয়স এখন ৫৭ বছর। আর যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনীর পরিকল্পনা ২০৫০ সাল পর্যন্ত এ বিমান ব্যবহার করা। অর্থাৎ টানা ১০০ বছর পর্যন্ত সার্ভিসে থেকে আকাশে উড়বে এ বিমান।

বি-২। সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নরথ্রপ গ্রুম্যানের এক আশ্চর্য উদ্ভাবন বি-২ স্পিরিট। এটি বিশ্বের প্রথম ও প্রকৃত স্টেলথ ফাইটার। বি-২ একটি ভারী বোমারু বিমান। বি-২ এর গঠনের সাথে প্রচলিত কোনো বিমানের মিল নেই। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এ বিমান টানা দুই দিনেরও বেশি আকাশে উড়তে পারে। ফলে পৃথবীর যে কোনো প্রান্তে উড়ে গিয়ে হামলা করে কোনো বিরতি ছাড়া আবার নিজ দেশে ফিরে আসতে পারে।

বি-২ বোমারু বিমানকে বলা হয় স্পিরিট অব আমেরিকা। বি-২ স্পিরিট বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এক যুদ্ধবিমান। ১৯৯৭ সালে একটি বিমানের দাম ১৭ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। সোভিয়েত ইউনিয়নের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পারমাণবিক বোমা হামলা পরিচালনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করে বি-২ স্পিরিট। প্রতিটি বিমান ১৬টি বি ৮৩ পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারে। বি-৮৩ পারমাণবিক বোমা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা। বি-২ বোমারু বিমান এখন পর্যন্ত টানা ৪৪ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট আকাশে ওড়ার রেকর্ড করেছে। তবে পুনঃজ্বালানি সংগ্রহের মাধ্যমে এর টানা উড্ডয়ন ক্ষমতা আরও অনেক বেশি। এ-বিমান প্রথম আকাশে ওড়ে ১৯৮৯ সালের ১৭ জুলাই। যুক্তরাষ্ট্র মোট ২১টি বি-২ স্পিরিট তৈরি করেছে। বর্তমানে ২০টি বি-২ বিমান সক্রিয় রয়েছে। বি-১, বি-২ এবং বি-৫২ যুক্তরাষ্ট্র কারও কাছে বিক্রি করে না।