চীন-পাকিস্তানকে একসঙ্গে মোকাবিলার প্রস্তুতি ভারতের


  • মেহেদী হাসান
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:০৬

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন এবং পাকিস্তান ঘিরে সমর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। উভয় দেশকে মোকাবিলায় ভারতীয় আর্মির দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে গ্রহণ করা হয়েছে ক্রাশ প্রোগ্রাম। ভারত মনে করে, ভবিষ্যতে চীনের সাথে বড় আকারের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে পাকিস্তান। আর সে ক্ষেত্রে চীন এবং পাকিস্তানকে একসাথে মোকাবিলা করতে হতে পারে ভারতকে। সে কারণে হিমালয় অঞ্চল থেকে শুরু করে উপকূলীয় এলাকার বাইরে সমুদ্র যুদ্ধের জন্য পুনর্গঠন করা হচ্ছে ভারতীয় আর্মি।

চীন এবং ভারত উভয়ে লাইন অব কন্ট্রোল বা যার যার নিয়ন্ত্রণ রেখার অভ্যন্তরে সড়ক, ব্রিজসহ অবকাঠামোর উন্নতি করছে অনেক বছর ধরে। এর ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে উভয় দেশ দ্রুত এসব এলাকায় সৈন্য, অস্ত্র এবং সরঞ্জাম পৌঁছাতে পারবে। তবে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে চীন। লাইন অব কন্ট্রোলের পাশে সড়ক এবং অবকাঠামো নির্মাণ নিয়ে উভয় দেশ দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন অভিযোগ করে আসছে। সীমান্ত বরাবর চীন নির্মাণ করেছে দ্রুত গতির রেল লাইন। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সৈন্য, অস্ত্র এবং লজিস্টিক সাপোর্ট পৌঁছানোর ক্ষেত্রে দ্রুত গতির রেল লাইন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। চীন ভারতীয় লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে সড়ক অবকাঠামোও উন্নত করেছে। শুধু তাই নয় বরফ শীতল এ অঞ্চলে চীন তাদের সৈন্যদের বসবাসের জন্য গরম আবাসনের আয়োজন করেছে।

অপরদিকে ভারত পর্বতসঙ্কুল এ অঞ্চলে সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে বেশ অসুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। বরফ আচ্ছাদিত এলাকায় তাদের রয়েছে পানির সঙ্কট। সেখানে পানি পৌঁছানো হয় ট্রাকের মাধ্যমে। দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পানির সঙ্কট ভারতীয় আর্মির জন্য একটি দুর্বল দিক।

সংকীর্ণ এলাকায় ফ্লাইট পরিচালনার সমস্যার কারণে হেলিকপ্টার তার সামর্থের তুলনায় খুব সামান্য পরিমাণই পণ্য বহন করতে হয়। ফলে খাদ্য পৌঁছানোর জন্যও বারবার যাতায়াত করতে হয় হেলিকপ্টারকে এবং এতে খরচ অনেক বেড়ে যায়। ফলে বড় বাহিনী এসব এলাকায় মোতায়েন রাখা সম্ভব নয়।

এজন্য ভারতীয় আর্মি কাছাকাছি এলাকায় মিলিটারি সাপ্লাইয়ের মজুদ গড়ে তুলছে। ৫০ হাজার অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করছে। এর মধ্যে রয়েছে বিশেষায়িত বাহিনী, উচু এলাকায় যান্ত্রিক বাহিনী, ভারী অস্ত্র সজ্জিত এবং মোবাইল ইউনিট। লাদাখের পূর্বে ফরওয়ার্ড এলাকায় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ডেসপাং সমতলে এ মজুদ গড়ে তুলছে ভারত। লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলের ডান দিকে সিয়াচেন হিমবাহ এবং আকসাই চীনের মাঝখানে অবস্থিত এসব সমতল এলাকা। চীন এবং ভারতের মধ্যে সম্ভাব্য যে কোনো সংঘাতের ক্ষেত্রে এই সমতল অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে হিমালয় অঞ্চলে যুদ্ধের ক্ষেত্রে ভারতীয় আর্মির কিছু সুবিধাজনক দিক উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো পবর্ত শঙ্কুল আর শূণ্য ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রায় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতের। এমনকি পৃথবীর সবচেয়ে উচুতম যুদ্ধক্ষেত্র লাদাখের উত্তরে সিয়াচেন হিমবাহ এলাকায়ও যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে ভারতীয় আর্মির। ফলে এরকম চরম প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধের সময়কার সমস্যা সম্পর্কে অবহিত তারা।

আলজাজিরার প্রতিবেদনটি লিখেছেন এলেক্স গ্যাটোপোলাস। তার মতে চীন ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের যুদ্ধ শুরু হলে তা কেবল শীতল কারাকোরাম এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না। এ যুদ্ধ ভারত মহাসাগরের উঞ্চ জলরাশিতেও ছড়িয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে যুদ্ধে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে ভারতকে বাড়াতে হবে নৌ শক্তি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতীয় আর্মি পুনর্গঠনের মাঝখানে রয়েছে। এর লক্ষ্য উপকূলীয় এলাকার বাইরে যুদ্ধ প্রস্তুতি। সেজন্য তাদের লক্ষ্য তিনটি এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার গ্রুপের অধিকার হওয়া যা ১৫০টি যুদ্ধ বিমান বহন করতে পারবে।

এটি শুনতে বেশ ভাল মনে হলেও খুব সহসা ভারত এর অধিকারী হতে পারছে না। কারণ ভারতের নৌ বাহিনীতে প্রতিরক্ষা বাজেট থেকে বরাদ্দের হার ক্রমে কমছে। ২০১২ সালে প্রতিরক্ষা বাজেট থেকে নৌ বাহিনীর জন্য বরাদ্দ ছিল ১৮ ভাগ। ২০২০ সালে তা কমে দাড়িয়েছে ১৩ ভাগে।

ভারতের কাছে বর্তমানে একটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। এটি সাবেক সোভিয়েত আমলে নির্মিত আইএনএস বিক্রমাদিত্য। আরেকটি বিমানবাহী রণতরী ২০২২ সালে ভারতীয় নৌ বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

দুটি বিমানবাহী রণতরীর ক্ষেত্রেই ব্যয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তৃতীয় আরেকটি বিমানবাহী রণতরীর বিষয়টি ধারণার পর্যায়ে রয়েছে। তবে দেশে এবং দেশের বাইরে বিতর্ক বাড়ছে বিমান বাহী রণতরী বিষয়ে। কারণ বিমানবাহী রণতরীকে এখন ব্যয়বহুল শ্বেতহস্তি মনে করা হয়। ভবিষ্যত যুদ্ধে বিমানবাহী রণতরীর ভূমিকা কমে আসবে। বিমানবাহী রণতরী অপারেশনে যে খরচ সে তুলনায় এর উপযোগীতা অনেক কম। এর বিপরীতে ঝটিকা গতি, নেটওয়ার্ক সমৃদ্ধ ছোট নৌ বহর, উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন আর হাইপারসনিক মিসাইল অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।

অপরদিকে ইতোমধ্যে ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে বিচরণরত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী লক্ষ্য করে চীন নির্মাণ করেছে শক্তিশালী ডিএফ-১৭ ও ডিএফ- ২১ এন্টি শিপ ব্যালেস্টিক মিসালি। একটি মিসাইল আক্রমন চালিয়ে একটি বিমানবাহী রণতরী ধ্বংস করা এর লক্ষ্য। চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ধ্বংসে ডিএফ মিসাইলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চীনা মিসাইলের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীকে কাগুজে বাঘ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

চীনা ডিএফ মিসাইলের ক্ষমতা এবং এর মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীতে উপযুক্ত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে কি না তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিতর্ক আর আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য যুদ্ধে যে কোনো দেশের বিমানবাহী রণতরী ধ্বংস ভয়াবহ বিপর্যয়ের শামিল হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং তা প্রতিপক্ষের ওপর বড় ধরনের মনস্তাত্তিক প্রভাব ফেলবে।

ভারতীয় নৌ বাহিনীর এ চিত্রের বিপরীতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশাল জাহাজ নির্মাণ শিল্প কর্মসূচি শেষ করেছে চীন। আর চীনা নেভি সব ক্ষেত্রে পেছনে ফেলেছে ভারতকে। সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার, করভেটস প্রতি ক্ষেত্রে চীনা এসব সমরযান ভারতের তুলনায় অনেক শক্তিশালী, উন্নত, দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং আধুনিক আর ধ্বংসাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত।

চীন ইতোমধ্যে নিজস্ব নির্মিত দুটি বিমানবাহী রণতীর মালিক। ভবিষ্যতে যে কোনো যুদ্ধে চীনা নেভি ভারী অস্ত্রে সজ্জিত, উন্নত নেটওয়ার্ক আর সমন্বিত আক্রমন পরিচালনার জন্য ছোট, দ্রুত গতির, রণতরীর বহর গড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে প্রশ্ন করা হয়েছে, ভারত মহাসাগর কি ভারতের?

এখনো পর্যন্ত চীনের বাণিজ্য সমুদ্র রুটনির্ভর। আর দক্ষিন চীন সাগরে চীনের প্রায় সমস্ত পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে আনাগোনা করতে হয় আন্দামান সাগর এবং সরু মালাক্কা প্রনালীর মধ্য দিয়ে। আন্দামান দ্বীপ ভারতের। তাই আন্দামান সাগর এবং সরু মালাক্কা প্রনালীর প্রবেশ মুখে রয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রণ। চীনের সাথে সম্ভাব্য যে কোনো যুদ্ধে ভারত আন্দামান সাগর এবং মালাক্কা প্রনালীল প্রবেশ মুখের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীনা বানিজ্য রুট বন্ধ করে দিতে পারে। আর সেটা চীনের জন্য ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনবে। চীন তার এ সম্ভাব্য বিপদের বিষয়ে বেশ ভালভাবে অবহিত। আর সে কারণে চীন আন্দামান সাগর ও মালাক্কা প্রনালী কেন্দ্রিক সমুদ্র বানিজ্য নির্ভরতা কমাতে এক বিশাল প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর নাম বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। চীনা বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের প্রধান অংশীদার পাকিস্তান। অপর দিকে চায়না পাকিস্তান ইকনোমিক করিডোর প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এ প্রকল্পের অধীনে চীন উত্তরে গিলগিট বাল্টিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে দক্ষিনের গোয়াদর বন্দর পর্যন্ত বিশাল সড়ক এবং রেল অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এ হাইওয়ে পাকিস্তানকে যুক্ত করেছে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় পর্যন্ত। অপর দিকে পাকিস্তানের ওপর দিয়ে রেল এবং সড়ক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে গোয়াদর বন্দর হয়ে চীন সরাসরি পৌঁছে যাবে আরব সাগরে। আর পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে এ স্থল যোগাযোই হলো আন্দামান এবং মালাক্কা প্রনালীর চীনা বিকল্প বানিজ্য রুট।

অপর দিকে চীন ভারত মহাসাগরে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং পাকিস্তানে ব্যাপক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। তবে চীন সম্প্রতি মালদ্বীপের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে সেখানে ভারতপন্থী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায়। তবে মিয়ানমারে রয়েছে চীনের লিসেনিং পোস্ট, বন্দর সুবিধাসহ বিশাল অবকাঠামো। এক কথায় ভারতের সাথে ভবিষ্যত যুদ্ধে মিয়ানমার হয়ে উঠতে পারে চীনের শক্তিশালী একটি ঘাটি।

চীনের আধিপত্য এবং ভবিষ্যতে চীন পাকিস্তাকে এক সাথে মোকাবেলার বিষয়ে ভারত সমর প্রস্তুতির পাশপাশি গ্রহণ করেছে কূটননৈতিক পদক্ষেপ। ভারতের মোকাবেলায় চীন যেমন পাকিস্তানকে সাথে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তেমনি ভারত তাদের মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানকে পাশে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ কারণে এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে জাপানের উদ্যোগে গঠিত চার দেশীয় জোট কুয়াদ আবার নতুন গতি লাভ করেছে। চার দেশীয় এ জোটের সদস্য দেশ হলো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান আর অস্ট্রেলিয়া। এ চারটি দেশই চীনের উত্থানে উদ্বিগ্ন। বাইডেন প্রশাসনও এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চল নিয়ে আগের সরকারের নীতি বহাল রাখার পক্ষে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী এন্টনি ব্লিনকেন জয়শঙ্করের সাথে তার প্রথম আলাপেই এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

গত নভেম্বরে চারদেশীয় জোট কুয়াদ ব্যাপকভিত্তিক নৌ মহড়া পরিচালনা করেছে পূর্ব ভারত মহাসাগরে। এর মাধ্যমে সে চীনকে বার্তা দিয়েছে ভবিষ্যতে যে কোনো সংঘাতে তার পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রসহ এসব দেশ।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতের নিজস্ব স্যাটেলাইটসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সামরিক স্যাটেলাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবে ভারত। তা ছাড়া ভারতীয় আর্মির দুর্বলতা কাটাতে দুই দেশ এক পথে হাটবে অনেক দূর পর্যন্ত।

অপর দিকে পাকিস্তান শুধু সামরিকভাবেই চীনের সাথে বর্তমানে জড়িত নয় বরং অর্থনৈতিকভাবেও গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে জেএফ-১৭ থান্ডার নামক যুদ্ধ বিমান যার ১১১টি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে রয়েছে। পাকিস্তান এখন এ বিমান রপ্তানির বিবেচনা করছে। পাকিস্তান চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করছে সশস্ত্র ড্রোন বিমান উইং লং। পাকিস্তানের ৪৮টি উইং লং ড্রোন বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে।

ইসরাইলের সাথে ভারতের গোয়েন্দা সহযোগিতার বিপরীতে পাকিস্তান চীনের সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করেছে। দুই দেশের যৌথ মহড়া এখন নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় আর্মি পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতের বড় আকারের যুদ্ধে চীন এবং পাকিস্তানকে এক সাথে মোকাবেলার ক্ষেত্রে ভারত তার দুর্বলতা শেষ পর্যন্ত অনুধাবন করেছে এবং সে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্রাশ প্রোগ্রাম হতে নিয়েছে। এ ক্রাশ প্রোগ্রামের লক্ষ্য শক্তিশালী সমরাস্ত্র সংগ্রহ করা।