তেলের দাম ধরে রাখতে একদিকে সৌদি আরব উৎপাদন কমিয়ে এনেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের খরচ জোগাতে তেলের প্রবাহ ধরে রাখার চেষ্টা করছে রাশিয়া। মাঝখান দিয়ে বাজার জয় করে নিচ্ছে তৃতীয় আরেকটি দেশ- সংযুক্ত আরব আমিরাত। জ্বালানি নীতি ঠিক করতে জুনে বৈঠকে বসেছিল সৌদি নেতৃত্বাধীন ওপেক আর রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ওপেক-প্লাস...
উপসাগরীয় অঞ্চলের দুই প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে মৈত্রীর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দেশ দুটি পরস্পরের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশ দুটিকে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হিসেবেও অভিহিত করেন অনেক পশ্চিমা বিশ্লেষক। দুটি দেশই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ও তাদের সমরাস্ত্রের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা...
গত এক দশক ধরে অনেক বিশ্লেষক বলে আসছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাক্স-পেটরা গুটিয়ে সরে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এই যুক্তির পক্ষে প্রমাণ দেওয়া হচ্ছে, ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে সেনাবাহিনী সরিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন। এছাড়া, মার্কিন বাজারে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানির চাহিদাও আগের মতো নেই। কিন্তু এই বিশ্লেষণে সবকিছুকে যেন খুব বেশি সাদামাটাভাবে দেখা হচ্ছে...
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে এসেছে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন। এই পরিবর্তনে একইসাথে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোর পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক বিষয় প্রতিফলিত হচ্ছে। গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বিপ্লবী চেতনা ও পশ্চিমাবিরোধী সেন্টিমেন্ট লালনকারী ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় করে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনছে...
বর্তমান বিশ্বে দুটি সামরিক সংঘাত অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী থেকে সবার নজর ও মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। না হলে এসব ঘটনা নিয়েই বেশি আলোচনা ও বিতর্ক হতো। এক যুগ পরে সিরিয়ার আরব লীগে ফিরে আসা ও দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে আরব নেতাদের উষ্ণভাবে গ্রহণ করা বর্তমান সময়ের ভূরাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ও সুদানের গৃহযুদ্ধ এ বিষয়টিকে আড়ালে ঠেলে দিয়েছে...