গত কয়েকদিনের ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর পড়লে আপনার মনে হবে চীনে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, এতোবড় একটি ঘটনা পশ্চিমা দুনিয়ার কোনো বড় গণমাধ্যমও কিন্তু জানতে পারেনি। এই অসাধ্য সাধন করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। চীনে সত্যিই কী সেনা অভ্যুত্থান সম্ভব? ভারতীয় মূলধারার গণমাধ্যমই বা এ অকল্পনীয় মিথ্যাচার করল কিভাবে? ইলিয়াস হোসেনের প্রতিবেদনে থাকছে বিস্তারিত।
ইউক্রেন নয় বিশ্বে পরবর্তী হিরোশিমা হতে পারে চীনের কোন শহর। ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর আগে এ আশঙ্কা করেছেন যুদ্ধ বিষয়ক খ্যাতিমান বৃটিশ সাংবাদিক জন পিলজার। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে চীনের সাথে যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছে এবং এ যুদ্ধ পারমানবিক হামলায় রুপ নিতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্বে পারমানবিক যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা চলছে জোরে শোরে। অনেকে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পারমানবিক হামলা চালাতে পারে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ রুপ নিতে পারে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে। তবে ইউক্রেনের আগেই তাইওয়ান ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘটে যেতে পারে বড় কোন অঘটন। চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক সংঘাতের নানা দিক নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন।
দ্রুত কালো মেঘ জমছে এশিয়ার আকাশে। তাইওয়ান ঘিরে বিপজ্জনক অবস্থার মুখোমুখি চীন। ইউক্রেনের মত যুক্তরাষ্ট্র একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলছে তাইওয়ানে। রাশিয়ার মত তাইওয়ান অভিযানে চীনকে পুরো মাত্রায় উসকানি দিয়ে চলছে বাইডেন প্রশাসন। পেলোসির তাইপে সফর ঘিরে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্কের যে অবণতি ঘটবে তা বাইডেন প্রশাসনের অজানা নয়। কিন্তু তারপরও কেন ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ওয়াশিংটন এ ধরনের বেপরোয়া পদক্ষেপ নিল তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষন। তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভুমিকার নানা দিক বিশ্লেষন করেছেন মেহেদী হাসান।
চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা যত বাড়ছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দিকে মনোযোগও তত বাড়ছে। উদীয়মান বাজার, বিস্তীর্ণ ও বৈচিত্রপূর্ণ এই অঞ্চলটি ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠছে। এশিয়া- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে উন্নয়নে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আইপিইএফ ধারণা তুলে ধরেছে। মূলত আসিয়ানের সাথে সহযোগিতার জন্য চীন যে আরসিইপি'র ভিত্তিতে কাজ করছে, তার মোকাবেলার জন্যেই যুক্তরাষ্ট্র আইপিইএফ নিয়ে এসেছে। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখানে খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না, কারণ তাদের প্রস্তাাবে বাণিজ্য বাধা দূর করার ব্যাপারে কোন প্রতিশ্রুতি নেই। অন্যেরা বলছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকলেও এই অঞ্চলে বেশ কিছু ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ রয়েছে তাদের। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের প্রথম দিকে পশ্চিমা দেশগুলো একজোট হয়ে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। কিন্তু এখন ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা দেয়া ও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার প্রশ্নে বিভক্ত হয়ে পড়েছে পশ্চিমারা। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো চাচ্ছে, রাশিয়াকে তাদের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। এ জন্য যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলেও তারা মেনে নিতে প্রস্তুত। কিন্তু ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানিসহ ইউরোপের অন্য অনেকগুলো দেশ মনে করছে, ছাড় দিয়ে হলেও ইউক্রেনের উচিত, রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসা। এবং একটা সমঝোতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধের ইতি টানা উচিত। এদিকে, জরিপে দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেয়ে যুদ্ধের দিকে বেশি মনোযোগ দেয়ায় পশ্চিমা নেতাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে জনগণ। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।