মোদির ঘুম কেড়েছে খালিস্তান

- সংগৃহীত

  • ফারজানা তানিয়া
  • ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৪১

কানাডায় খালিস্তান মুভমেন্টের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার সঙ্গে সে-দেশের সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলার পর ভারতে শিখদের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে আলাদা রাষ্ট্রের দাবিটি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।

গত জুনে খালিস্তান মুভমেন্টের নেতা হরদীপকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারত জড়িত ছিল বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার এই অভিযোগের পর ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কার থেকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত- বেশ কিছু পদক্ষেপ এসেছে।

শিখ ধর্ম বিশে^র অন্যতম প্রধান ধর্মগুলোর একটি। বর্তমান ভারত ও পাকিস্তানের ভূখণ্ডের মধ্যে ভাগ হয়ে থাকা পাঞ্জাবে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ষোড়শ শতকে। ১৯৪৭ সালের দেশ-বিভাগের সময় পাঞ্জাবকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছিল। বলা হয়, ধর্মের ভিত্তিতে এই বিভাজন হলেও শিখদের অদূরদর্শিতার কারণে তারা আলাদা রাষ্ট্র করতে পারেননি।

বিশ^জুড়ে এখন প্রায় আড়াই কোটি শিখ ধর্মাবলম্বী আছেন এবং ধর্ম বিশ^াসের দিক থেকে এটি বিশে^র পঞ্চম বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়। এদের বড় অংশই বাস করেন ভারতে। দেশটির মোট জনসংখ্যার আড়াই শতাংশ এখন শিখ। আবার শিখদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ অভিবাসীও হয়েছেন। ভারতের বাইরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিখ বাস করেন কানাডায়, যার সংখ্যা প্রায় আট লাখ। এটি কানাডার মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই শতাংশ। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন আরও প্রায় পাঁচ লাখ। এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন প্রায় দুই লাখ শিখ ধর্মাবলম্বী।

একটি ধর্মাবলম্বীদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবি মানে এই মুভমেন্টের সঙ্গে ধর্মের সম্পর্ক রয়েছে। ভারতে হিন্দুদের সঙ্গে শিখদের সম্পর্কের ইতিহাস বৈরী। ১৯৭৩ সালে পাঞ্জাবের শিখরা পাঞ্জাব ও শিখদের জন্য বিশেষ মর্যাদা চেয়েছিলেন; হিন্দু আধিপত্য তারা মানতে পারছিলেন না। অভিযোগ রয়েছে, ইন্দিরা গান্ধীর সরকার যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া সে-সময় প্রায় ৪০ হাজার শিখকে গ্রেফতার করেছিল।

১৯৮৩ সালে পাঞ্জাবের শিখদের একাংশ হিন্দুদের থেকে আলাদা থাকতে স্বায়ত্তশাসন চান; অন্য অংশ খালিস্তান নামে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চালাতে থাকেন। ওই বছর কয়েকজন খালিস্তানপন্থি একটি বাস থামিয়ে ছয়জন হিন্দু যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করলে শিখ-হিন্দু উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছায়। সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করে কার্যত শিখদের বিরুদ্ধে নির্মমতা শুরু হয়।

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন চালানোর নির্দেশ দেন। সেনারা ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে সেখানে অভিযান চালায় এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া খালিস্তানপন্থীদের উচ্ছেদ করে। এর জের ধরে অনেক রক্তপাত ও হত্যাকাণ্ড হয়। বড় ধরনের ক্ষতি হয় স্বর্ণমন্দিরের।

ওই অভিযানের কয়েকমাস পর নিজের দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন ইন্দিরা। এই ঘটনার জের ধরে ভয়াবহ দাঙ্গা হয় ভারতে। এতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হন, যার বেশিরভাগই শিখ। অভিযোগ রয়েছে, ওই-সময় প্রায় প্রায় ১৭ হাজার শিখকে জীবন্তু পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে অথবা হত্যা করা হয়েছে। গণহারে শিখদের সম্পদ পোড়ানো হয়েছে। প্রায় ৫০ হাজার শিখ সে-সময় বাস্তুহারা হয়েছিলেন।

খালিস্তানিদের বর্তমান আন্দোলন ওই ঘটনার সূত্র ধরেই চলছে। বর্তমান সময়ে সরকারের দমন-পীড়নের কারণে ভারতে এই আন্দোলনের সুযোগ কিছুটা সীমিত হলেও সেখানে যে এই আন্দোলন শক্ত ভিত নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, তা বোঝার জন্য একটি ঘটনাই যথেষ্ট।

খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংয়ের কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ-বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাজার হাজার শিখ তলোয়ার, বন্দুক ও লাঠি উঁচিয়ে পাঞ্জাবের অমৃতসরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে থানায় ঢুকে পড়েন। তাদের তলোয়ারের আঘাতে আহত হন অনেক পুলিশ। খালিস্তানিদের কাছে পুলিশের এই অসহায়ত্ব ভারতে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

ভারতের মাটিতে এই আন্দোলন নিষিদ্ধ হওয়ায় সেখানে প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশের সুযোগ সীমিত। তবে বিদেশে অভিবাসী শিখদের একটি বড় অংশ আলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি তীব্র হয়েছে।

তারা ভারত সরকারের দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে এই বছরের শুরুর দিকে লন্ডন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো-তে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করেছেন। এ-সময় তাদের প্রধান স্লোগান ছিল- ‘কিল ইন্ডিয়া’।

সম্প্রতি হরদীপের হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে আল্টিমেটাম দিয়েছে খালিস্তানপন্থী শিখদের রাজনৈতিক দল ‘শিখস ফর জাস্টিস’। যদি এই সময়সীমার মধ্যে হরদীপের হত্যাকারীরা বিচারের আওতায় না আসে, সেক্ষেত্রে কানাডার ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে দলটি। গত সোমবার টরন্টোতে বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেছেন এবং নরেন্দ্র মোদির ছবি-সম্বলিত কার্ডবোর্ডে জুতা দিয়ে আঘাত করেছেন। এরইমধ্যে কানাডায় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির অভিভাবক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।

খালিস্তান ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডার সম্পর্ক মসৃণভাবে চলছিল না। কিছুদিন ধরে তা টের পাওয়া যাচ্ছিল। বিশেষ করে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়নি। কেবল দশ মিনিটের আলোচনা করেন জাস্টিন ট্রুডো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও কড়া বাক্যবিনিময় হয়েছে। এরপর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা স্থগিত করে দেয় কানাডা। তারপর আসে কূটনীতিক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এখন কানাডা, দেশটির অন্য পশ্চিমা মিত্র এবং খালিস্তান আন্দোলনের উদ্বেগ একসূত্রে মিলেছে। কানাডার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে খালিস্তান আন্দোলনের প্রতি বৈশি^ক বৈধতা জোরালো হয়েছে। কানাডার বেশ কিছু শিখ সংগঠন ট্রুডোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ওয়ার্ল্ড শিখ অর্গানাইজেশন মন্তব্য করেছে, হরদিপ হত্যা নিয়ে ট্রুডোর ধারণার সঙ্গে তারা একমত পোষণ করেন।

ট্রুডোর অভিযোগের পর বিশে^র বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকজন খালিস্তানি নেতার মৃত্যুকে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। এর মধ্যে তিনটি ঘটনা ঘটেছে চলতি বছরের মে-জুন মাসে মাত্র ৪৫ দিনের ব্যবধানে। আর, এই সময়টাতেই ভারত-বিরোধী তৎপরতা জোরদার করেছিলেন খালিস্তানপন্থীরা।

৬ মে পাকিস্তানে খালিস্তান কমান্ডো ফোর্সের নেতা পরমজিত সিং, ১৪ জুন ব্রিটেনে খালিস্তান লিবারেশন ফোর্সের প্রধান অবতার সিং এবং ১৮ জুন কানাডার সারে-তে হরদীপকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ট্রুডোর বক্তব্যের পর হরদীপ ছাড়াও অন্য ঘটনাগুলোর সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দাদের জড়িত থাকার অভিযোগ এখন আরও জোরালো হয়েছে।

এই মৃত্যুগুলোর পর বিভিন্ন খালিস্তানপন্থী শিখ সংগঠন প্রকাশ্যে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ তুলেছিল, এর পেছনে ভারত বা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হাত রয়েছে। কানাডার তরফে ভারতীয় কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনায় সেই অভিযোগগুলো বৈশি^কভাবে ভিত্তি পেয়েছে।

সাংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রুডো যে ভারতীয় কূটনীতিক বহিষ্কার করেছেন, তা তার একার সিদ্ধান্ত নয়, বাইডেন এবং অন্য পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কারণ, সার্বভৌমত্ব-বিরোধী এই গোয়েন্দা তৎপরতাকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দিতে চান না পশ্চিমারা। তাদের তৎপরতায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

সঙ্গত কারণে, খালিস্তান ইস্যুতে দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশেও বেকায়দায় পড়েছে ভারত। তারা খালিস্তানিদের সমর্থন না দিতে বিভিন্ন সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছিল। কিন্তু এই চাপ তেমন আমলে নিচ্ছিল না দেশগুলো। ভারত সরকার এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বিষয়ও টেনে বলেছিল, খালিস্তানি মোকাবিলায় দেশগুলোর ব্যর্থতা ভালো সম্পর্ক গড়ার পথে অন্তরায়। কিন্তু, কিছুতেই কাজ হয়নি।

উল্টো তারা এই ইস্যুতে কানাডাকে সহায়তা দিয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস বলেছে, হত্যাকাণ্ডের পর মার্কিন গোয়েন্দারাই কানাডাকে জানিয়েছিল, এই হত্যকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত। এই তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাডা।

যুক্তরাষ্ট্র তাদের কর্মকাণ্ড এতেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এই ইস্যুতে একাধিকবার বক্তব্য রেখেছেন। হত্যাকাণ্ড তদন্তে কানাডাকে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, ‘হরদীপ হত্যা নিয়ে কানাডা যে অভিযোগ তুলেছে, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিদেশের মাটিতে ওই দেশের নাগরিক হত্যা মারাত্মক একটি ইস্যু। এ-নিয়ে কানাডায় যে তদন্ত চলছে, তাতে ভারতের অংশ নেওয়া জরুরি। আমরা জবাবদিহিতা দেখতে চাই।’ ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টসহ বিশ^নেতারা।

কানাডায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, কানাডা হরদীপ হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে ‘ফাইভ আইস’ থেকে। এই গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের সদস্য হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নিউজিল্যান্ড। খবরে বলা হয়, মোদির কাছে ঘটনাটি সরাসরি তুলেছিল ‘ফাইভ আইস’ নেটওয়ার্কের কয়েকজন সদস্য।

ভারতের অভিযোগ, মানবাধিকার রক্ষার নামে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা এই খালিস্তানিদের কার্যত আশ্রয় দিয়েছে। তারা বিদেশের মাটিতে বসে ভারতের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। তার মানে, পশ্চিম সব বড় শক্তিই এই ইস্যুতে ভারতের বিপক্ষে এবং খালিস্তানিদের পক্ষে।

হিন্দুদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতার জের ধরে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় খালিস্তানপন্থীদের হাতে হিন্দুদের মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এই ঘটনার তদন্ত করবে। কিন্তু, অস্ট্রেলীয় শিখদের স্বাধীন রাষ্ট্রের পক্ষে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে তারা কোনো বাধা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এখনও শিখদের বড় অংশ হিন্দুদের মেনে নিতে পারেননি। সেই মানসিকতার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে। কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিক সঞ্জয় কুমার ভার্মা এবং অপূর্ব শ্রীবাস্তবকে হত্যার হুমকি দিয়ে তারা বিদেশি দূতাবাসে পোস্টার লাগিয়েছেন। গুজরাটে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। খালিস্তান মুভমেন্টের নেতা গুরপাতওয়ান্ত সিং পান্নুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

সম্প্রতি পান্নুন এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘ভারতীয় হিন্দুরা কানাডা ছাড়ো। তোমরা ভারতে চলে যাও। তোমরা শুধু ভারতকে সমর্থন করছ এমনটাই নয়, তোমরা খালিস্তানপন্থীদের বাক স্বাধীনতাতেও আঘাত করছ। এমনকি হরদীপের খুন উদযাপনের মাধ্যমে তোমরা উৎসব করেছ।’

হিন্দু-বিরোধী মনোভাব, স্বাধীনতা আন্দোলন, বিদেশে ভারতবিরোধী তৎপরতা এবং আন্দোলনে পশ্চিমা দেশগুলোর বৈধতা- সবমিলিয়ে খালিস্তান মুভমেন্ট নিয়ে দেশে-বিদেশে বেকায়দায় ভারত। এর ওপর যোগ হয়েছে এই ইস্যুতে কানাডার সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক এবং ভারতীয় গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ে পশ্চিমাদের সম্মিলিত উদ্বেগ। এটি কতদূর গড়াবে এবং ভারত কীভাবে এই জটিল অবস্থা সামাল দেবে, তার সুস্পষ্ট উত্তর এখনও কারও জানা নেই।