ট্রিগার টানবে বুদ্ধিমান ড্রোন

এ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একজন মানুষের জীবন স্রেফ একটি যন্ত্রের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হবে - ইন্টারনেট

  • মুরশিদুল আলম চৌধুরী
  • ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৫৩

বিশ্ব এখন কৃত্রিম বুদ্ধির অস্ত্র তৈরি প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। আমরা এখন সম্ভবত এ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি রেখার বেশ কাছাকাছি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সংক্ষেপে এআই। বাংলায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বিডি ভিউজ ইনফোটেইনমেন্টে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাবরিনা কাজী। কী এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে সমর প্রযুক্তিকে বদলে দিচ্ছে আজ জানাবো সে সর্ম্পকে নানা তথ্য ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনুকরণ করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন হয়ে উঠেছে একটি একাডেমিক শিক্ষার ক্ষেত্র, যেখানে পড়ানো হয়, কীভাবে কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়, যা নিজের বুদ্ধিতে কাজ করবে।

মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে পারি আমরা। এজন্য কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয়, যাতে করে কম্পিউটার মানুষের মতো ভাবতে পারে। যেমন শিক্ষা গ্রহণ এবং সমস্যার সমাধান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মেশিনের মাধ্যমে দেখানো বুদ্ধি। ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ শব্দটি প্রয়োগ করা হয় তখন, যখন একটি মেশিন ‘জ্ঞানীয়’ ফাংশনগুলিকে কার্যকর করে, যা অন্যান্য মানুষের মনের সাথে মিল থাকে। বিজ্ঞানীরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর সংজ্ঞায় বলেন, এটি সিস্টেমের বাইরের তথ্য সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারার ক্ষমতা।

এ ক্ষমতাকে এমনভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যাতে যন্ত্র মানুষের বক্তব্যকে সফলভাবে বুঝতে পারে, উচ্চতর স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালাতে পারে, সামরিক সিমুলেশন এবং জটিল উপাত্ত ব্যাখ্যা করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ড্রোন বা এআই-চালিত ড্রোন নিয়ে এখন দুনিয়া জুড়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। যে ড্রোন নিজের বুদ্ধিতে চলবে। নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। ধরুন, ইয়েমেনের আকাশে উড়ছে বুদ্ধিমান ড্রোন, পেটে ক্ষেপণাস্ত্র। দেখে মনে হলো, এই তো হুতি বিদ্রোহীদের সমাবেশ। ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল ড্রোন। পরে দেখা গেল, বিদ্রোহী নয়, বিয়ের আসরে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। মারা গেল অনেক নিরীহ বেসামরিক লোক। দৃশ্যত, সেই দিকেই যাচ্ছে বিশ্ব। নিজস্ব বুদ্ধির ড্রোন তৈরি এখন সময়ের ব্যাপার!

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এক পাইলটের সঙ্গে একজন শীর্ষ গান পাইলটের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। এর আয়োজন করে মার্কিন প্রতিরক্ষাবাহিনীর গবেষণা সংস্থা ‘ডিফেন্স অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি’। এ লড়াইয়ে অপরাজিত থাকে এআই-চালিত পাইলট। এরপর এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে মার্কিন বিমানবাহিনী এআই ড্রোন তৈরির জন্য প্রতিরক্ষা শিল্পপ্রতিষ্ঠান বোয়িং, জেনারেল অ্যাটোমিকস ও ক্রাটোস-এর সঙ্গে চুক্তি করে।

২০২৩ সালের মধ্যে আকাশে উড়বে এসব ড্রোন। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্কাইবার্গ’। এসব ড্রোন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ড্রোনগুলি নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেবে, উড়াল দেবে, অবতরণ করবে এবং মিশন পরিচালনা করবে। মানুষের পরিচালনায় যে খরচে বিমান চলে, এ ড্রোন সে তুলনায় অনেক কম খরচে চলবে। এসব ড্রোনের দামও হবে মনুষ্য-পরিচালিত উড়োজাহাজের চেয়ে কম।

এআই ড্রোন যুদ্ধবিমান হিসেবে বিপজ্জনক মিশন চালাতে সক্ষম হবে। শত্রæ বিমানের প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক জ্যাম করতে পারবে, শত্রæদের লাইনে গিয়ে মিশন পরিচালনা করবে কিংবা ভারী অস্ত্র নিয়ে আকাশসীমায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করবে। এফ-২২ র‌্যাপ্টর কিংবা এফ-৩৫ জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটারের মতো সহজে বিমান থেকে বিমানে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনা করতে পারবে এসব ড্রোন। অন্যদের বিমান, ভূখন্ড, বাধা ও বিপজ্জনক আবহাওয়া এড়িয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলাচল করবে। শত্রুবাহিনীর ওপর গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধান করবে। উদ্ধারকাজও চালাবে।

এআই ড্রোন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। পেন্টাগনের জয়েন্ট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জ্যাক শ্যানাহানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, পাইলট ছাড়া যুদ্ধবিমান পরিচালনাই কি তাদের লক্ষ্য? তিনি এ ধরনের ড্রোন তৈরির আসল উদ্দেশ্য কিছুটা এড়িয়ে বলেছিলেন, এ ব্যাপারে তার জানা নেই, তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে অন্যভাবেও কাজে লাগানো যায়।

তখন তিনি বলেছিলেন, ‘হয়তো আমরা একটা ৬৫ ফুট লম্বা পাখাওয়ালা বিমানের কথা ভাবছি না, এটা হয়তো আকারে অনেক ছোট একটা স্বয়ংক্রিয় বিমান।’

তিনি বলেছিলেন, এক পাইলটের অধীনে হয়তো এরকম এক ঝাঁক ড্রোন মোতায়েন করা যেতে পারে। একটি যুদ্ধবিমানের পাইলটকে অনেকগুলো ড্রোনের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হবে এবং আকাশে এগুলো যুদ্ধবিমানের পাশে সহকারীর মতো কাজ করবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা চলছে। এসব প্রকল্প তারই অংশ।

যুদ্ধে ব্যবহারের জন্যই যুক্তরাষ্ট্র এআই ড্রোন তৈরির কাজ করছে বলে যে ধারণা করা হয়েছিল, সেটা অনেকের কাছেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শ্যানাহান বলেছিলেন, এর মানে এই নয় যে, প্রচলিত যুদ্ধবিমানগুলো রাতারাতি পাল্টে ফেলা হবে। তারা এমন একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চান যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমতা সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়াবে।

রকেট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কও এ বছরের শুরুতে এ বিষয়ে কিছু আভাস দিয়েছিলেন। তিনি এক সামরিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ফাইটার জেটের দিন শেষ হয়ে এসেছে। মাস্ক বলেছিলেন, যুদ্ধবিমান ‘এফ-৩৫’-এর প্রতিদ্ব›দ্বী হতে পারে একটি ড্রোন, যেটি দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে একজন মানুষ। তার মতে এরকম একটি ড্রোনের সঙ্গে এফ-৩৫ পেরে উঠবে না।

কত দ্রুত বদলে যাচ্ছে সময়! স্নায়ুযুদ্ধে বিশ্বের মোড়লরা পরমাণু মিসাইল মজুদ করার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠত। আর এখন, সামরিক বাহিনীগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র বানিয়ে কীভাবে পরস্পরকে টপকানো যায়, সে চিন্তায় মশগুল। কে কতটা এগিয়ে গেল, কেউ কিন্তু তা সহজে প্রকাশ করছে না।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অস্ত্র নিয়ে গবেষণায় আরব আমিরাতের একটি টেক ফার্মের সঙ্গে সম্প্রতি চুক্তি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক মজবুত করতে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এই চুক্তিকে। এ চুক্তির ফলে রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম এবং ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ নামে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দুটি কোম্পানি এখন থেকে নানা প্রযুক্তি উন্নয়নে আরব আমিরাতের গ্রুপ ফোর্টি টু কোম্পানিকে সহযোগিতা করবে।

গ্রুপ ফোর্টি টু’র সিইও পেঙ জিয়াও বলেন, রাফায়েল এবং আইএআইয়ের সঙ্গে দক্ষতা, সম্পদ ও নেতৃত্ব ভাগাভাগি করে কাজ করার জন্য আমাদের কোম্পানি অধিকার লাভ করেছে।

এদিকে, সামরিক বাহিনীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। এ লক্ষ্যে দেশটির বর্তমান সামরিক বাজেটে যোগ হবে অতিরিক্ত সাড়ে ১৬ বিলিয়ন পাউন্ড। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য দেশটির প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল সাড়ে ৪১ বিলিয়ন পাউন্ড।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, সারা বিশ্বে ব্রিটিশদের প্রভাব বৃদ্ধি, জনগণের সুরক্ষা এবং আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বাজেট বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বাজেট কর্তনের যুগ শেষ এবং এটি এখানেই সমাপ্ত।

মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যই শুধু নয়, রাশিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স ও তুরস্কও সামরিক বাহিনীতে এআই প্রযুক্তির ব্যয় বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে ব্যস্ত।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সই এখন ভবিষ্যৎ। এ পরিমÐলে যিনি শাসন করতে পারবেন, তিনিই পৃথিবীর শাসক।’

পৃথিবীর চোখ এখন এআইকে কেন্দ্র করে। কে কতটুকু এগোচ্ছে, কে কীভাবে এ মাধ্যমকে কাজে লাগাচ্ছে, তা দেখতে অপেক্ষা করছে মানুষ। কিছু বিষয় এর সঙ্গে বারবার শঙ্কাও জাগাচ্ছে। সুরক্ষাব্যবস্থা, সিস্টেমাটিক ভ্রান্তি এবং নৈতিকতা- এ তিনটি বিষয় বারবার ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে পৃথিবীকে।

অনেক বিশ্লেষক বলেছেন, এআই ড্রোন যখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে মারণাস্ত্র পরিচালনা করবে, বেশ সমস্যার কারণ হতে পারে এটি। ড্রোন মানেই মারণাস্ত্র, এর ওপর ওটা যদি নিজের বুদ্ধিতে চলে, এতে সমস্যা প্রকট হবে। একজন মানুষ ট্রিগার টানার সময় মানবিক বিবেচনা করে, এআই ড্রোন কি সেটা করবে? মার্কিন বিমানবাহিনীর মনুষ্যবিহীন বাহন এমকিউ-নাইন রিপার ব্যবহার করে ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যার পর এ প্রশ্নটি আরও জোরালোভাবে উঠছে। সারা বিশ্বে ওবামা প্রশাসন যে ৫৬৩টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে, তা-ও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বিশ্বকে।

সবাই দেখছে, প্রচলিত ড্রোনগুলো লক্ষ্য চিহ্নিত করার ব্যাপারে বারবার পদ্ধতিগত ভুলের শিকার হচ্ছে। এর ফলে মারা পড়ছে নিরীহ বেসামরিক লোকজন। লক্ষ্য যদি ভুল হয়ে যায়, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সামরিক ব্যবহারে তা পর্যালোচনা কিংবা সংশোধনের তেমন সুযোগ নেই। মানে, ভুল হোক কিংবা শুদ্ধ, যন্ত্র যেখানে চাচ্ছে সেখানে বোমা পড়বেই।

এ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মানুষের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। একজন মানুষের জীবন স্রেফ একটি যন্ত্রের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল হবে, এমন অবস্থান মানতে নারাজ নীতিবিদরা। এ প্রযুক্তিতে মানুষের সম্পৃক্ততার ওপর জোর দিয়েছেন অনেক প্রতিরক্ষাবিদ।

সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক খসড়া প্রতিবেদনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নৈতিক মূলনীতি সুপারিশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, এআই ড্রোনের ‘কিল চেইন প্রসেস’ জানতে ‘ব্ল্যাকবক্সে’ একজন মানুষ-অপারেটরের দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।

আশা ও শঙ্কার দোলাচলে যখন পৃথিবী, তখন চোখ বন্ধ করেই এআই প্রযুক্তির শাসক হওয়ার কাজে বেশ এগিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। তারা পাইলট চালিত বিমানের সঙ্গে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় ড্রোনের প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে। এই প্রকল্প সফল হলে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে দেশে দেশে পাইলট ছাড়াই যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করবে দেশটি।

প্রযুক্তি যত এগিয়েছে, ভালো ও মন্দের গতিও তত বেড়েছে। প্রত্যেকটা উদ্ভাবনের সঙ্গে এ দুটি শব্দের সহাবস্থান দিনদিন জোরালো হয়েছে। সামরিক বাহিনীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে রক্তের বন্যা আরও স্ফীত হবে, এটা কেউ চায় না। মানুষ চায়, এআই প্রযুক্তি মানুষে মানুষে ভালোবাসার প্রধান মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে