তুরস্ক বনাম গ্রিস : কে এগিয়ে সমর শক্তিতে

তুরস্কের সাথে গ্রিসের বিবাদ পুরনো - এমআর অনলাইন

  • মেহেদী হাসান
  • ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৫:০৮

ভূমধ্য সাগরের সমুদ্রসীমা আর কিছু দ্বীপ নিয়ে তুরস্ক-গ্রিস যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গ্রিস ৪শ বছরের অধিক উসমানীয় সা¤্রাজ্যের অধীন ছিল। তুরস্ক-গ্রীস অতীত যুদ্ধের রেকর্ড সবসময় ছিলো তুরস্কের পক্ষে। এখনো তুরস্ক গ্রিসের তুলনায় সামরিক শক্তির দিক দিয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। কিন্তু তুরস্ক-গ্রিস বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে গ্রিসের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এছাড়া গ্রিস-তুরস্ক যুদ্ধ শুরু হলে গ্রিসের পক্ষ নিয়ে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ফ্রান্স। গ্রিসের পক্ষে মাঠে নেমেছে ফ্রান্স।

২০২০ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার অনুযায়ী বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মধ্যে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে তুরস্কের অবস্থান ১১ তম। অপর দিকে গ্রিসের অবস্থান ৩৩ তম। ২০১৯ সালে তুরস্কের সামরিক বাজেট ২০ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার। গ্রিসের সামরিক বাজেট ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।

তুরস্কের অনেক আধুনিক সমরাস্ত্র নিজেদের তৈরি। অপরদিকে কিছু ক্ষুদ্রাস্ত্র ছাড়া গ্রিসের প্রায় সব সমরাস্ত্রই আমদানি করা হয়। মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্কসহ কয়েকটি সমরাস্ত্র তারা অন্য দেশের সাথে যৌথভাবে তৈরি করছে। তুরস্কের তুলনায় গ্রিসের সমরাস্ত্র শিল্প উল্লেখ করার মত নয়। অভ্যন্তরীণ সমরাস্ত্র শিল্পের ওপর নির্ভরতা আর রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে সামরিক ক্ষেত্রে তুরস্ক হাটছে তার নিজস্ব পথে।

তুরস্কের মোট সৈন্য সংখ্যা ৭ লাখ ৩৫ হাজার। সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ৩ লাখ ৫৫ হাজার। রিজার্ভ সৈন্য ৩ লাখ ৮০ হাজার। গ্রিসের মোট সৈন্য সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার। সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ২ লাখ। রিজার্ভ সৈন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার। সৈন্য সংখ্যার দিক দিয়ে ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের পর তুরস্ক দ্বিতীয় বৃহৎ সমরশক্তির দেশ।

তুরস্কের কাছে ৯০টি বি-৬১ পারমানবিক বোমা মজুদ রয়েছে। ন্যাটোর ৫টি দেশ রয়েছে যাদের নিজস্ব উৎপাদিত পারমানবিক বোমা নেই কিন্তু অন্যদের বোমা মজুদ রয়েছে। তুরস্ক এ ধরনের একটি দেশ। ন্যাটোর নিউক্লিয়ার শেয়ারিং পলিসি অনুযায়ী তুরস্কে এ বোমা মজুদ রয়েছে । এসব পারমানবিক বোমা যুক্তরাষ্ট্রের। তুরস্কে মজুদ থাকা ৯০টি পারমানবিক বোমার মধ্যে ৪০টি বোমা তুরস্ক সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। যে কোনো দেশের সাথে পারমানবিক যুদ্ধ শুরু হলে তুরস্ক এসব বোমা ব্যবহার করতে পারবে। এসব পারমানবিক বোমা ব্যবহারের প্রশিক্ষনও রয়েছে তুরস্কের। পারমানবিক বোমা মজুদ রয়েছে এ ধরনের অপর চারটি ন্যাটো সদস্য দেশ হলো জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডস। গ্রিসের কাছে কোনো পারমানবিক বোমা নেই।

তুরস্কের কাছে রয়েছে রাশিয়ার তৈরি এস -৪০০ মিসাইল সিস্টেম। এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা এবং মোস্ট এডান্সড হিসেবে বিবেচিত। এস-৪০০ ছাড়া তুরস্কের কাছে তাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত কয়েক ধরনের স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার মিসাইল রয়েছে। গ্রিসের কাছে এ ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম নেই। গ্রিসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প পাল্লার এমআইএম ২৩ -হক এবং রাশিয়ার মাঝারি পাল্লার টোর এম-১ মিসাইল সিস্টেম রয়েছে।

তুরস্ক ও গ্রিসের বিমান বাহিনীর মধ্যে রয়েছে শক্তির বিরাট ব্যবধান। তুরস্ক বিমান বাহিনীর মোট বিমান সংখ্যা ১ হাজার ৫৫টি। গ্রিসের বিমান বাহিনীতে মোট বিমানের সংখ্যা ৫৬৬টি। ফ্রান্সের কাছ থেকে গ্রিস রাফালে যুদ্ধ বিমান কিনছে বলে কোনো কোনো গনমাধ্যমে খবর এসেছে।

তুরস্কের যুদ্ধবিমান ২০৬টি অপরদিকে গ্রিসের যুদ্ধ বিমান ১৮৭টি। তুরস্কের সামরিক পরিবহন বিমান রয়েছে ৮০টি। গ্রিসের সামরিক পরিবহন বিমান ১৫টি। তুরস্কের প্রশিক্ষন বিমান ২৭৬টি। গ্রিসের প্রশিক্ষন বিমান ১৪৩টি। তুরস্কের স্পেশাল মিশন বিমান ১৮টি। গ্রিসের স্পেশাল মিশন বিমান ৮টি।

তুরস্কের হেলিকপ্টার ৪৯৭টি। গ্রিসের হেলিকপ্টার ২৩১টি। তুরস্কের এটাক হেলিকপ্টার রয়েছে ১০০টি। গ্রিসের এটাক হেলিকপ্টার ২৯টি। তুরস্কের কাছে ২৩৮টি এফ-১৬ সুপারসনিক জঙ্গি বিমান রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৪৮টি এফ-৪ ফ্যানটম বোমারু বিমান রয়েছে। সুপারসনিক এ বিমানের ইঞ্জিন সংখ্যা ২টি। গ্রিসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫৪টি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান রয়েছে। এ ছাড়া ফ্রান্সের মিরেজ ২০০০ রয়েছে ৪২টি।

বিশ্বের শীর্ষ ১০টি এটাক হেলিকপ্টারের একটির অধিকারী তুরস্ক। এর নাম টি-১২৯। এর নির্মাতা তার্কিস এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি টিএআই । তার্কিস টি-১২৯ এটাক হেলিকপ্টার ইতালীর এ-১২৯ এটাক হেলিকপ্টারের উন্নত ভার্সন। ইতালীর লিওনার্দোর হেলিকপ্টার নির্মাতা আগোস্টা ওয়েস্ট ল্যান্ডের সহায়তায় তুরস্কের টিএআই নির্মান করছে এ হেলিকপ্টার।

এটি এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু গ্রাউন্ড শক্তিশালী মিসাইল বহন করতে পারে। তুরস্কের কাছে বর্তমানে ৫০টির অধিক টি-১২৯ হেলিকপ্টার রয়েছে।
তুরস্কের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪টি কোবরা ও সপার কোবরা এটাক হেলিকপ্টার রয়েছে। এ ছাড়া চিনুক পরিবহন হেলিকপ্টার রয়েছে ১১টি। গ্রিসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এপাচি হেলিকপ্টার রয়েছে ২৯টি। এ ছাড়া চিনুক হেলিকপ্টার রয়েছে ২৫টি।

তুরস্কের কাছে নিজস্ব তৈরি নয় ধরনের সামরিক ড্রোন বিমান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বায়রাকটার টিবি-২, আনকা, আকিঞ্চি । ড্রোন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গ্রিসের নাম তেমন শোনা যায়নি। সিরিয়া য় ইদলিব যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী আলোচিত তুরস্কের ড্রোন প্রযুক্তি। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে তুরস্কের ড্রোন বিমানের চাহিদা।

স্থল বাহিনীর শক্তিতেও তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে রয়েছে বিরাট ব্যবধান। তুরস্কের ট্যাঙ্ক রয়েছে ২ হাজার ৬২২টি। গ্রিসের ট্যাঙ্ক ১ হাজার ৩৫৫টি। তুরস্কের আরমারড ভিহিক্যাল ৮ হাজার ৭৭৭টি। গ্রিসের আরমারড ভেহিক্যাল ৩ হাজার ৬৯১টি। তুরস্কের সেলফ প্রপেলড আর্টিলারি ১ হাজার ২৭৮টি। গ্রিসের এ সংখ্যা ৫৪৭টি। তুরস্কের টাউড আর্টিলারি ১ হাজার ২৬০টি অপরদিকে গ্রিসের টাউড আর্টিলারি ৪৬৩টি। এছাড়া তুরস্কের রকেট প্রজেক্টর রয়েছে ৪৩৮টি, গ্রিসের রকেট প্রজেক্টর আছে ১৫২টি। এবার আমরা দেখে আসি নৌবাহিনী সর্ম্পকে কিছু তথ্য

বিশ্বের সেরা ১০টি নৌ বাহিনীর একটি বিবেচনা করা হয় তুরস্ক নেভিকে। শক্তিশালী নিজস্ব রণতরী তৈরি, প্রযু্িক্তগত উন্নতি এবং স্বনির্ভরতার কারনে তুরস্ক নৌবাহিনী দ্রæত বিশ্বমানের নৌ শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। তুরস্ক নৌ বাহিনীতে শীঘ্রই যুক্ত হতে যাচ্ছে নিজস্ব তৈরি শক্তিশালী সাবমেরিন এবং বিমানবাহী রণতরী। তুরস্কের মোট রণতরী ১৪৯টি। গ্রিসের রণতরী সংখ্যা ১১৬টি। তুরস্কের ফ্রিগেটস ১৬টি। গ্রিসের ফ্রিগেটস ১৩টি। তুরস্কের করভেটস ১০টি। গ্রিসের কোনো করভেটস নেই। তুরস্কের সাবমেরিন ১২টি। গ্রিসের ১১টি। তুরস্কের টহল জাহাজ ৩৫টি। মেরিন ওয়ারফেয়ার ১১টি। গ্রিসের টহল জাহাজ ৩৫টি এবং মেরিন ওয়ারফেয়ার ৪টি। এছাড়া আগামী বছরে তুরস্ক নেভিতে যুক্ত হবে নিজেদের তৈরি ৬টি এটাক সাবমেরিন।
সম্প্রতি তুরস্ক সফল পরীক্ষা চালিয়েছে শক্তিশালী এন্টি- শিপ মিসাইল। এর নাম আতমাকা। এটি তুরস্কের প্রথম নিজস্ব উদ্ভাবিত এন্টি-শিপ মিসাইল। আতমাকা মিসাইল ২০০ এর আওতা কমপক্ষে ২০০ কিলোমিটার। এটি একটি সারফেস টু সারফেস মিসাইল। আধুনিক এ গাইডেড মিসাইল যে কোনো আবহাওয়ায় ব্যবহারযোগ্য। এতে রয়েছে প্রতিপক্ষের বাধা ভেদ করার সিস্টেম। এমনকি নিক্ষেপ করার পর এর লক্ষ্য পরিবর্তন এবং বাতিল করা যায়। প্রতিপক্ষের ইলেকট্রনিক জ্যামিং সিস্টেমও এর হামলা প্রতিহত করতে পারে না।

এন্টি-শিপ মিসাইলের আগে বহুমুখি আরেকটি মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক। এর নাম সানগার। ভুমি, আকাশ এবং নৌযান থেকে নিক্ষেপযোগ্য এ মিসাইল। এটিও তুরস্কের নিজস্ব উদ্ভাবিত মিসাইল। বেশ কয়েকবার সফল পরীক্ষার পর তুর্কি আর্মিতে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এটি। প্রেসিডের্নিস ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রধান ইসমাইল দামির ১ জুলাই এ তথ্য জানান। সানগার সেলপ প্রপেল্ড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন বিমান এবং হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে সক্ষম।

তুরস্ক ২০১৯ সালে সফল পরীক্ষা চালিয়েছ স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার এয়ার-টু এয়ার মিসাইল। তুরস্ক আর্মিতে সম্প্রতি যোগ হয়েছে নিজস্ব তৈরি স্বল্প উচ্চতার হিসার-এ নামক মিসাইল, মেরিটাইম মিসাইল আতমাকা, টি১২৯ হেলিকপ্টারের নতুন ভার্সন এবং আকিনচি নামক সশস্ত্র ড্রো বিমান ।

তুরস্কের কাছে থাকা রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেমের কারনে গ্রিসের আকাশ প্রতিরোধ ব্যবস্থা মূলত অকার্যকর। গ্রিসের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প পাল্লার এমআইএম ২৩ -হক নিচ দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান টার্গেট করতে পারে। অপর দিকে রাশিয়ার মাঝারি পাল্লার টোর এম -১ মিসাইল সিস্টেম কিছুটা শক্তিশালী। এটি বিমান, হেলিকপ্টার, ক্রুজ মিসাইল এবং স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল হুমকি প্রতিরোধ করতে পারে।

তুরস্ক বর্তমানে বিশ্বে অন্যতম একটি সমরাস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ । তুরস্ক আর্মির নিজস্ব প্রয়োজন পুরন ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সমরাস্ত্র রপ্তানি করে তুরস্ক। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে তুরস্কে রয়েছে অনেকগুলো বিশ্বমানের সমরাস্ত্র তৈরি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালে তুরস্ক ২ দশমিক ৭ মার্কিন ইউএস ডলার মূল্যের সমরাস্ত্র রপ্তানি করে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাহিদা রয়েছে তুরস্কের তৈরি আরমারড ভেহিক্যাল এবং মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক। বেসরকারি এফএনএসএস, অটোকারম বিএমসি এবং নুরুল মাকিনা তৈরি করে এ সমরাস্ত্র।

তুরস্ক বর্তমানে আরমারড এমফিবিয়াস রিগসম এন্টি ট্যাঙ্ক ভিহিক্যাল, মিডিয়াম এবং মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক তৈরি করছে। তুরস্কের কাছে এক ডজনের বেশি নিজদের তৈরি আরমারড ভেহিক্যাল রয়েছে ।

তুরস্কের সরকারি সমরাস্ত্র তৈরি প্রতিষ্ঠানের নাম প্রেসিডেন্সি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, আসেলসান, রকেটসান, তার্কিশ এরো স্পেস ইন্ডাস্ট্রি। অপর দিকে গ্রিসের বিমান নৌ এবং স্থল বাহিনীর প্রায় সমস্ত সমরাস্ত্র আমদানী করা। এমনকি তাদের বিভিন্ন বাহিনীর আরমারড ও ইউটিলিটি ভিহিক্যাল পর্যন্ত আমদানিকৃত। মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য এবং ন্যাটো সদস্য দেশেও চাহিদা রয়েছে তুরস্কের বিভিন্ন অস্ত্রের। কাজাখস্তান, সৌদি আরব, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আজরাবাইজানসহ কয়েকটি দেশের সাথে তুরস্কের যৌথ অস্ত্র উৎপাদন ব্যবস্থা রয়েছে।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে