ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমির জেলেনস্কি তুরস্কের সঙ্গে তার দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের দশম বার্ষিকী উপলক্ষে ইস্তাম্বুল সফর করেছেন। ডোনবাসে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা যুদ্ধাবস্থায় রূপ নেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি তুরস্কের সহায়তা চেয়েছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুনরুদ্ধারের জন্য তুরস্কের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তুর্কি নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর জেলেনস্কি টুইট করেন, ‘আমরা মানবজীবন রক্ষা, অন্যান্য সহায়তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্কের সঙ্গে অভিন্ন মূল্যবোধ ভাগাভাগি করি।’
রাশিয়ায় তৈরি এস-ফোর হান্ড্রেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা এবং সিরিয়া সঙ্ঘাত নিয়ে তুরস্ক যখন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখনই ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য উদগ্রীব ইউক্রেন ন্যাটো সদস্য তুরস্কের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
এই সফর ছিল ছয় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় তুরস্ক সফর।
২০১৭ সালে দেশ দুটি একটি পাসপোর্টমুক্ত ট্রাভেল জোন তৈরি করে এবং তারা বর্তমানে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ করছে। দুই দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান বাণিজ্যের পরিমাণকে দ্বিগুণ করবেন তারা।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আজকের নয়। ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়ার পর প্রথমেই যেসব দেশ ইউক্রেনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তুরস্ক তাদের অন্যতম।
আঙ্কারাতে ইউক্রেনের স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। এর পাশাপাশি ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের কনস্যুলেট জেনারেল রয়েছে। অপরদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে তুরস্কের স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। একইসঙ্গে, ওদেসাতে কনস্যুলেট জেনারেল রয়েছে।
২০১৫ সালের শেষ দিকে এসে দুই দেশের সঙ্গেই রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জেরে ইউক্রেন এবং তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটে। ২০১৬ সালের ২০ আগস্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের পর এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং তা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তকরণকে সমর্থন করে না। তিনি আরও বলেন, তুরস্ক ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই মনে করে এবং ক্রিমিয়াকে নিজেদের বলে রাশিয়া যে দাবি করছে, তুরস্ক তাতে স্বীকৃতি দেবে না।
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে সাম্প্রতিক সংকটে কিয়েভের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রত্যক্ষ। সীমান্তে রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সহায়তায় কৃষ্ণসাগরে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। জাহাজগুলি কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ করছে তুরস্কের বসফরাস প্রণালী ব্যবহার করে।
মন্ট্রাক্স চুক্তি অনুযায়ী এ প্রণালী দিয়ে কোনো জাহাজ প্রবেশ করলে ১৫ দিন আগে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ ইস্যুতে তুরস্ককে কখন জানিয়েছে, সেটা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণা তাৎক্ষণিকভাবে এলেও তুরস্ক জানিয়েছে, তাদের বিষয়টি ১৫ দিন আগে জানানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর ঘোষণার পর মস্কো তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, কৃষ্ণসাগরে ক্রমবর্ধমান মার্কিন তৎপরতায় দেশটি উদ্বিগ্ন। বিষয়টি নিয়ে এরদোয়ানের সঙ্গে কথাও বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, সংবাদমাধ্যমে সেটা পরিষ্কার করা হয়নি। তবে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইস্যুতে তুরস্কের অবস্থান যে ইউক্রেনের পক্ষে, সেটা স্পষ্ট।
রাশিয়ার যে এস-ফোর হান্ড্রেড কেনার পর পশ্চিমাদের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা কিন্তু এখন তুরস্কের নিরাপত্তার জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাখা হয়েছে সীমান্তের বাইরে। তাছাড়া, এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুরস্কের এফ-থার্টি ফাইভ যুদ্ধবিমান পাওয়াটা অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার কারণে শুধু যে তাৎক্ষণিকভাবে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এমন নয়, এ প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি। ২০২৩ সালে আধুনিক তুরস্ক প্রতিষ্ঠার শতবর্ষকে সামনে রেখে নেওয়া বৃহৎ পরিকল্পনায় তুরস্ক এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এরদোয়ান এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে চাইছে না, চীন-রাশিয়া বলয় থেকে বেরিয়ে বিশ^ব্যাপী বন্ধুত্ব তৈরির কূটনীতিতেও ব্যস্ত। সৌদি আরব, মিসর কিংবা আরব আমিরাতের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক আচরণ তারই প্রমাণ বহন করে।
জানা প্রয়োজন, বহুধাবিভক্ত ভূরাজনীতির অনেক ক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের তীব্র মনোমালিন্য রয়েছে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের পর তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে এস-৪০০ মোতায়েন শুরু করে। সেখানে নৌবাহিনী গঠন করা হয়। তাদের হাতে দেওয়া হয় ‘কালিবর’ ক্রুস মিসাইলসহ সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ। এ ক্রুস মিসাইলগুলো দুই হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম।
মনে রাখা দরকার, ইস্তাম্বুল হলো ক্রিমিয়া থেকে মাত্র ৬০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
এ হিসাবটি ২০১৬ সালে এরদোয়ানের বক্তৃতায় উঠে এসেছিল। তিনি বলেছিলেন, কৃষ্ণসাগর এখন ‘রাশিয়ান হ্রদে’ পরিণত হয়েছে। তিনি সতর্ক করেছিলেন, ‘আমরা যদি পদক্ষেপ না নিই, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।’
রাশিয়া সেখানে নৌবহরের আকার বাড়ানোর কারণে এরদোয়ান এ অঞ্চলে ন্যাটোর উপস্থিতি আরও শক্তিশালী করার পক্ষে ছিলেন।
সাম্প্রতিককালে, তুরস্ক কৃষ্ণসাগরের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। সেখান থেকে বড় পরিসরে জ¦ালানি আহরণের দিকে হাঁটছে দেশটি।
২০২০ সালের অক্টোবরে নিজেদের উপকূলে ৪০৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস আবিষ্কারের ঘোষণা দেয় দেশটি। বলা হচ্ছে, এটি তুরস্কের ইতিহাসের বৃহত্তম আবিষ্কার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সফরের সময় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘শান্তি, প্রশান্তি এবং সহযোগিতার সাগর হিসেবে বইতে থাকুক কৃষ্ণসাগর, এটিই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
আঙ্কারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাফার হিসেবে বিবেচনা করে এবং ন্যাটো জোটের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতা পোক্ত করতে এ বিষয়কে কাজে লাগায়।
দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রকল্পে পরস্পরকে সহযোগিতা করছেন তারা।
গত বছর, ইউক্রেন তুরস্কের মিলজেম আদা-শ্রেণির চারটি করভেট এবং ছোট ছোট যুদ্ধজাহাজ কিনতে সম্মত হয়। যৌথভাবে তারা জাহাজও উৎপাদন করছে।
পশ্চিমা রাজধানীগুলির ক্রমবর্ধমান বৈরিতার মুখে আঙ্কারা ইউক্রেনকে উপগ্রহ এবং রাডার থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র- সব ক্ষেত্রেই সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে দেখায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তাদের সহযোগিতার উন্নত ক্ষেত্রগুলির অন্যতম হলো ইঞ্জিন উৎপাদন এবং নকশা। তুরস্ক ইউক্রেনীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে তাদের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং প্রধান সমর ট্যাঙ্কের জন্য ডিজেল ইঞ্জিন উন্নয়নের কাজ করছে।
ইউক্রেন তুরস্ক থেকে কমব্যাট ড্রোন কিনেছে। সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকদের মতে, এ কমব্যাট ড্রোন কেনার সঙ্গে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে উত্তেজনার সম্পর্ক রয়েছে।
তুরস্ক নিজেকে মানবহীন আকাশ যুদ্ধযান বা ইউসিএভি’র প্রকৃত রফতানিকারক হিসেবে প্রমাণিত করেছে। সিরিয়া, লিবিয়া এবং নাগরনো-কারাবাখের যুদ্ধে সাফল্য পাওয়ায় তাদের এ ক্ষেত্রটা মজবুত হয়েছে। তুরস্কের বেরাকতার টিবি-টু ড্রোন আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানকে শক্তির ভারসাম্য তৈরিতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে এবং সাফল্য পায়।
২০১৮ সালে ইউক্রেন ৬৯ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ হিসেবে তুরস্ক থেকে ছয়টি বেরাকতার টিবি-টু ড্রোন এবং ২০০টি হাই-প্রিসিশন ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করে।
ইউক্রেনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা নাগরনো-কারাবাখে ড্রোনটির ব্যবহার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা মনে করেন, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজারবাইজান যেমন আর্মেনিয়ার কাছ থেকে এ ড্রোনের মাধ্যমে হারানো অঞ্চল ফিরে পেয়েছে, তেমিনভাবে এ ড্রোনের সহায়তায় নিজেদের হারানো অঞ্চল রাশিয়ান বাহিনীর হাত থেকে পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিয়েভ।
এরদোয়ার সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আঙ্কারা-ভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক সেতা ফাউন্ডেশনের বিশ্লেষক বিলগেহান ওজতুর্ক বলেছেন, ‘আমরা জানি, তুর্কি ইউএভি মোকাবিলা করার যথেষ্ট সক্ষমতা রাশিয়ার নেই। রুশ মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামর্থ্যরে তো একটা সীমা আছে। তারা এ নতুন ইউএভিগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে সামনে এগোতে পারবে না।’
রুশ-মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সাত বছরের সঙ্ঘাতের পর কিয়েভের অনেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে তুরস্কের নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য উদগ্রীব। তারা দেখতে চান, কোনো এলাকা তারা এর মাধ্যমে ফিরে পান কিনা। অনেকে নিশ্চিত, তুর্কি ড্রোনের সহায়তায় তারা অধিকৃত অঞ্চল ফিরে পাবেন।
রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন সঙ্ঘাতকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে কিয়েভ অভিযোগ করেছে, রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার পরিধি বাড়িয়ে দিয়েছে এবং সীমান্তে রাশিয়া সৈন্য সমাবেশ ঘটাচ্ছে।
খবরে বলা হয়েছে, মার্চের শেষ নাগাদ সীমান্তে প্রায় ২০ হাজার সেনা জড়ো করেছে রাশিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে রাশিয়ার ট্রেন। বিশেষ করে ক্রিমিয়া, বোরোনোঝ ও রোস্তভ অঞ্চলে রুশ সেনাবাহিনীর তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
দেশটি সীমান্তে কৌশলগত ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। বোরোনোঝ অঞ্চলে এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়। ইস্কান্দার এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা দিয়ে শত্রুসেনাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি ভূমিতে অবস্থিত শত্রুবাহিনীর রাডার ব্যবস্থায় হামলা করা যায়।
এ পরিস্থিতিতে এরদোয়ান পূর্ব ইউক্রেনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বন্ধের আহ্বান জানালেও বলেছেন, তুরস্ক কিয়েভকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
বিলগেহান ওজতুর্ক বলেন, এরদোয়ান যে সমর্থনের কথা বলেছেন, তা হতে পারে- আজারবাইজান যুদ্ধে কাজ করেছেন এমন উপদেষ্টা এবং প্রযুক্তিবিদদের ইউক্রেনে পাঠানো হবে। ইউসিএভি’র বিস্তৃত ব্যবহার এবং অভিজ্ঞ লোকেদের সমন্বয় ঘটানো হবে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যদি ভারী লড়াই শুরু হয়ে যায়, সিরিয়ায় মস্কো যেমনটা করেছে, রাশিয়ার বিষয়ে আঙ্কারাকেও একই কায়দায় আলোচনার টেবিলে যাওয়ার সুযোগ এনে দেবে।
ওজতুর্ক বলেন, ‘তুরস্ক উত্তর সিরিয়ায় রাশিয়ার অব্যাহত চাপের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যেখানে সঙ্ঘাত বৃদ্ধিতে একচ্ছত্র ভূমিকা রাখছে রাশিয়া। সেই অসন্তুষ্টির প্রতিশোধ এখানে নিতে পারে তুরস্ক।’
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে তুর্কি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে, এতে রুশ সীমান্তে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে তুরস্কের সামরিক শক্তি পাঠানোর সুযোগও তৈরি হয়েছে।
নাগরনো-কারাবাখে জয় ছিনিয়ে আনা তুর্কি ড্রোন এবং সামরিক দক্ষতার সফল সংমিশ্রনের পুনর্চিত্রায়ন নিশ্চিতভাবে কিয়েভ এবং আঙ্কারার ঝুঁকিপ্রিয় নেতাদের জন্য লোভনীয় একটি বিষয়। তুরস্ক এখন হয়তো সেই পথেই হাঁটছে।