তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কি উষ্ণ হবে?


  • মুরশিদুল আলম চৌধুরী
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:৩৯

তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। ধারণা করা হয়েছিল, বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এ সম্পর্কের সুন্দর একটি অবয়ব তৈরি হবে। না, তা হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন যে ভাষায় কথা বলছিল তুরস্ক নিয়ে, বাইডেনের ভাষাও প্রায় একই।

সম্পর্কের অবনতিটা বেশি ঘটেছে এস-ফোর হান্ড্রেড মিসাইল সিস্টেম নিয়ে। বাইডেন প্রশাসনের তরফে তুরস্ককে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাশিয়া থেকে এস-ফোর হান্ড্রেড কেনার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-থার্টি ফাইভ জঙ্গিবিমান কেনার ওপর যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, সে সিদ্ধান্তেই অটল থাকবে বাইডেন প্রশাসন। তুরস্ক মার্কিন জঙ্গিবিমান কেনার প্রয়াসে লবিস্টও নিয়োগ করেছে। ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে ‘একপক্ষীয়’ ও ‘বেআইনি’ অভিহিত করেছে আঙ্কারা। এরপর অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চান বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যে বেশ সরব হয়ে ওঠেন এরদোয়ান। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন মদতপুষ্ট পিকেকে গোষ্ঠির হাতে ১৩ তুর্কি নাগরিক নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে এরদোয়ান বলেন, ‘আপনি যদি আমাদের বৈশি^ক জোট ও ন্যাটোতে আমাদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে চান, আপনাকে সন্ত্রাসীদের পাশে থাকা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’

যেটা হওয়া প্রয়োজন ছিল, হচ্ছে ঠিক তার উল্টোটাই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন আমলে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের শুরুটা ভালো হয়নি। এখন, দুই দেশেরই উচিত হবে যোগাযোগের পথ খোলা রাখা। দুই দেশের ভবিষ্যতের জন্যই সম্পর্ক উষ্ণ রাখা জরুরি।

নতুন প্রশাসনের বয়স বেশি হয়নি, এরইমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে পাঁচদিনের বিচারকাজে ব্যস্ত সময় কাটাতে হয়েছে মার্কিন কংগ্রেসকে। ট্রাম্পকে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রথম সপ্তাহটা নিয়মিত কাজে হাতই দিতে পারেনি সিনেট এবং হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস।

ট্রাম্পের অভিসংশন প্রসঙ্গ আপাতত সমাপ্ত; এখন নতুন প্রেসিডেন্ট অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্য বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ দেবেন। বলতে গেলে, তার আসল কাজ শুরু হবে এখনই।

শপথ নেওয়ার প্রথম ২৫ দিনে তুরস্কের বিষয়ে সাতটি বিবৃতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। সব বিবৃতির শুরুতে যে কথাটি লেখা ছিল, তা হলো: ‘তুরস্ক আমাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র’। এরপর এসেছে মানবাধিকার, এস-ফোর হান্ড্রেড, ১৫ জুলাইর অভ্যুত্থান চেষ্টা এবং ওয়াইপিজি-পিকেকে’র প্রতি অব্যাহত সমর্থন, ইত্যাদি প্রসঙ্গ।

বিশেষত, স্টেট ও ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্ররা তুরস্ক-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে বেশ সক্রিয়।

মার্কিন নির্বাচনের সময় আলোচনা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন নাকি বাইডেনের বিজয়ী হওয়া ভালো হবে। সেই সময়ের বিশ্লেষণের প্রতিফলন এখন দেখা যাচ্ছে না। ট্রাম্প প্রশাসন এবং বাইডেন প্রশাসন তুরস্ক নিয়ে একই সুরে কথা বলছে। বলছে, তুরস্ককে অবশ্যই এস-ফোর হান্ড্রেড ছাড়তে হবে, ওয়াইপিজি-পিকেকে’র প্রতি মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকবে, ১৫ জুলাইর অভ্যুত্থান নিন্দনীয়। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, আইন- এসব বিষয়েও তাদের সুর একই। তারা সমস্বরে এটাও বলছে যে, ‘তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো মিত্র’। তুরস্ক নিয়ে দুই আমলের কথায় এখন পর্যন্ত তেমন হেরফের নেই।

সন্দেহ নেই, সামনে তুরস্কের আইন ও মানবাধিকার নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে আরও অনেক পদক্ষেপ দেখা যাবে। কিন্তু, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন। প্রথম কূটনৈতিক আলাপটি তুরস্কের জন্য কাক্সিক্ষত অগ্রগতি ছিল।

তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে সামনে রেখে আমরা যদি মার্কিন কংগ্রেসের দিকে তাকাই, তাহলে আশাবাদী হওয়া কঠিন। ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়া চলার সময়ই তুরস্কের বিরুদ্ধে ৫৪ সিনেটরের ড্রাফট করা কর্কশ ভাষার একটি চিঠি এসেছে।

১২ ফেব্রুয়ারি, ‘টার্কি-ইউএস ইন্টারপার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ’-এর চেয়ারম্যান মেহদি ইকার তুরস্কের মানবাধিকার, এফইটিও সদস্য ইনেস কান্তারের বিষয়, আজারবাইজানকে তুরস্কের সমর্থন- এ ইস্যুগুলোতে সিনেটের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে একে পার্টি, সিএইচপি, এমএইচপি এবং আইপি’র পার্লামেন্ট সদস্যরা এক যৌথ বিবৃতি দেন। লিখিত বিবৃতিটি গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটা করেই বসে থাকলে হবে না। এখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসার পদক্ষেপ নেওয়া অনেক বেশি জরুরি।

এরই মধ্যে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে স্বাক্ষরের জন্য তুরস্কের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় চিঠি উন্মুক্ত করা হয়েছে। কেবল এক সপ্তাহের মধ্যে তুরস্কের বিরুদ্ধে দুটি চিঠি তৈরি হলো মার্কিন পার্লামেন্টে। তুরস্কের বিরুদ্ধে আইন ও মানবাধিকার-বিষয়ক এ জাতীয় বিবৃতি ক্যাপিটল থেকে আগেও এসেছে। কিন্তু এত দ্রুততার সঙ্গে নয়। মনে হচ্ছে, মার্কিন কংগ্রেসের চোখে তুরস্কের পরিস্থিতি দিনদিন খারাপ হচ্ছে।

তুরস্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত অধিকাংশ ইস্যুতে কোনো ব্যক্তি একমত বা দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন, কিন্তু যখন চিঠিগুলোতে বিপুল সংখ্যক স্বাক্ষরকারীর অংশগ্রহণ থাকে, তখন সেটা শক্তিশালী তথ্য-প্রমাণে পরিণত হয়। তাছাড়া, এখানে বাইডেন একাই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এ পদক্ষেপের শক্তি অন্যরকম।

এখানে তুরস্ক-বিরোধী লবিগুলোও মরিয়া হয়ে আন্তর্জাতিক জনমত তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু এর বিপরীতে তুরস্কের লবি তেমন জোরালো নয়। ফলে, কংগ্রেসে তুরস্কের বিরুদ্ধে গল্পগুলো একতরফাভাবে বর্ণিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে তুর্কি অভিবাসীরা যদি সংঘবদ্ধ হয়ে দেশের পক্ষে কাজ করেন, তাহলে তুরস্কের অবস্থান নিয়ে কংগ্রেসকে আস্থায় আনা সহজ হবে। খণ্ডিতভাবে চেষ্টা করা হলে তুরস্কের পক্ষে কংগ্রেসের সমর্থন সহজে মিলবে না।

এরপর, তুরস্কের উচিত, যথাসম্ভব দ্রুত বিচার বিভাগীয় সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া। আইনি ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হলে তা তুরস্কের জনগণের জন্য মঙ্গল হবে, একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশে^ তুরস্কের ইমেজ বাড়বে। কংগ্রেসে তার্কিশ ককাসের ৮৬ সদস্য রয়েছেন। জানা গেছে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ তুরস্কের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে অসন্তুষ্ট।

হ্যাঁ, দুই দেশেই সমস্যা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর দিয়ে বড় ধরনের ঝড় গেছে। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো: ‘সার্বভৌমত্ব নিঃশর্তভাবে জনগণের অন্তর্গত’- এ নীতিটি অবিসংবাদিতভাবে সেখানে বাস্তবায়িত হয়েছে।

তুরস্ক নিয়ে ইতিবাচক সমালোচনার জায়গা থাকতে হবে, রয়েছেও। কিন্তু, তুরস্কের শত্রুদের হাতকে শক্তিশালী করতে দেওয়া উচিত হবে না। সবসময় সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে। দৃশ্যত, তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক যখন দ্রুত নিচের দিকে নামছে, তখন উচিত হবে মার্কিন কংগ্রেস এবং তার্কিশ গ্রান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মধ্যে সুসম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। সঙ্গে দুই দেশের প্রশাসনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নিজের ইমেজ বাড়ানোর স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করা।

এ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটা পথও বাতলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মাঝারি আকারের শক্তি তুরস্ক। ‘রিজিলিয়ান্ট মিডল পাওয়ার গ্রান্ড স্ট্র্যাটেজি’ নিতে হবে দেশটিকে, যাতে সামনের বছরগুলোতে জাতীয় স্বার্থগুলো যথাযথভাবে কাজ করে।

বাস্তবিক প্রেক্ষিত থেকে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ যদি দেশটির ‘হার্ড পাওয়ার’ সক্ষমতাগুলোতে বিনিয়োগ করা অব্যাহত রাখে, একই সঙ্গে বৈশি^ক রাজনীতিতে উদারপন্থি ‘কান্তিয়ান’ মূলনীতি মজবুত করতে কাজ করে, তাহলে হালের সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার সক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে বিশে^র ভূ-রাজনৈতিক মেরুকরণে তুরস্কের সামর্থ্য আরও শক্তিশালী হবে।

এ কৌশল বাস্তবায়নে বাইডেন প্রশাসন তুরস্ককে সহায়তা করবে বলে মনে হচ্ছে। প্রথমত, জো বাইডেন একেবারেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো নন। মনে হচ্ছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট উদার আন্তর্জাতিকতাবাদ এবং নিয়মতান্ত্রিক বৈশি^ক শৃঙ্খলায় বিশ^াসী।

দৃশ্যত, এখন বাইডেনের অভিধানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ‘উদারতা’। বিশ^ব্যাপী উদার গণতান্ত্রিক সহনশীলতা যদি পরিপালিত হয়, এটি বৈশি^ক রাজনীতিতে আরও স্থিতিশীলতা আনতে পারে; কট্টরপন্থী কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপকে দুর্বল করতে সহায়তা করতে পারে।

মনে হচ্ছে, বাইডেন এবং তার দল আপাতত বিশ^কে বিভক্ত করে প্রভাব বলয় তৈরির ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করবেন। বিশেষ করে মার্কিন ক্যাপিটলে জঘন্য হামলার পর নিজের ঘরে উদার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবেন। সফট পাওয়ারের মাধ্যমে মলিন মর্যাদাই শুধু পুনরুদ্ধার করবেন না, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ‘কান্তিয়ান’ মূলনীতির প্রয়োগ ঘটিয়ে অনেক মাঝারি শক্তিকে এতে উৎসাহিত করবেন।

নিয়মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ এবং মানবাধিকারের অভিন্ন মূল্যবোধে বিশ^াসীদের নিয়ে ‘মার্কিন সমাজ’ পুনর্গঠন করে একই ধরনের মূল্যবোধ লালনকারীদের উৎসাহিত করবেন তিনি।

ইউরোপ এবং এশিয়ার উদার গণতান্ত্রিক মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটিয়ে উদারপন্থী আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজে বাইডেন হাত দেবেন। তুরস্ক যদি সে পথে চলে, বাইডেন দেশটিকে সম্পদ হিসেবে দেখবেন। সেই পথে হাঁটতে গেলে তুরস্ককে চীন কিংবা রাশিয়া-বিরোধী জোটে যেতে হবে, তেমনটা নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহ্যগত জোটে অনেক মাঝারি শক্তি রয়েছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী পাওয়ার ব্লকের যে কোনো একটিতে ঝুঁকে পড়ে না। ইউরোপ এবং এশিয়াজুড়ে এ জোটগুলির বিদেশনীতি উদারপন্থায় চলছে। তারা মনে করেন, উদার মূল্যবোধ এবং অনুশীলনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যদি পুনর্গঠন হয়, এটাই ভালো।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, তুরস্ককে এখন মাঝারি শক্তির পোশাক পরে উদারপন্থা নিয়ে এগোতে হবে। চীন কিংবা রাশিয়ার বলয়ে নিজেকে সোপর্দ না করে উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তুরস্ককে তুলে ধরতে হবে। শাসনব্যবস্থা ও মানবাধিকার ইস্যুগুলোর সংস্কারে হাত দিতে হবে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ পথে এগোলে তুরস্কের আগামী দিনের বৃহত্তর উদ্দেশ্য সাধন করা সহজ হবে। এবং, সম্ভবত রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তা-ই করবেন।

সম্প্রতি তুর্কি কর্মকর্তাদের মন্তব্যে সেই আভাসই পাওয়া গেছে। এরদোয়ানও বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চান জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের যতটা না মতানৈক্য রয়েছে, তার চেয়ে বেশি রয়েছে অভিন্ন স্বার্থ। তিনি বলেন, ‘উইন-উইন ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চাই। অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে তুরস্ক এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শক্ত ও সমন্বিত কৌশলগত মিত্রতা রয়েছে। মতানৈক্যের পরও দুই দেশ একসঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করেছে।’