প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সবচেয়ে বিতর্কিত যে পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন, তা হলো আব্রাহাম চুক্তি। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইসরাইলের সাথে সর্ম্পকের ক্ষেত্রে এক ধরনের প্রতিযোগিতা ও অসুস্থ বলয় সৃষ্টি করেছিলেন। আরব দেশগুলোর এ ভূমিকাকে ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মানুষ পেছন থেকে ছুরিকাঘাতের মতো বিবেচনা করছে। এ ঘটনায় মর্মান্তিক যে সত্যটি শান্তিকামী মানুষের সামনে প্রমাণিত হয়েছে তা হলো, দখলদার জায়নবাদী ইসরাইল রাষ্ট্রের সাথে আরব আমিরাতের গোপন প্রণয়ের সম্পর্ক। সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে প্রমাণ হয়েছে যে, বহু বছর আগে থেকেই আমিরাতের শাসক মহলের সাথে ইসরাইলের গোপন দেওয়া নেওয়া চলে আসছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের ঔপনিবেসিক স্বার্থকে মধ্যপ্রাচ্যে যেভাবে আমিরাত বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তা এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। কাগজে-কলমে ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করলেও আমিরাত যেন এ সুযোগের জন্য অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করে আসছিল। ইসরাইলকে হাতের নাগালে পেয়েই পর্যটনখাতে বেশ কিছু যৌথ আয়োজন করে ফেলে দেশটি। এই পথ বেয়েই পরবর্তীতে ইসরাইলের সাথে অস্ত্র ও বাণিজ্য চুক্তিও সাক্ষর করে। ওয়াশিংটন নিজ এজেন্ডা বাস্তবায়নে আমিরাতের ওপর নিশ্চিন্ত ও আস্থাশীল। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরাইলের পর মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিনিদের দ্বিতীয় বন্ধুরাষ্ট্র হয়ে উঠবে আমিরাত।
ইসরাইল নয়, বরং আমিরাতই বিগত কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েকটি আরব ও অনারব রাষ্ট্রকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে মূল নিয়ামকের ভূমিকা পালন করেছে।
আমিরাতের চাপে পড়েই সুদান ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছে। আমিরাতের দূতিয়ালির কথা স্পষ্ট হয়ে যায় ট্রাম্প প্রশাসনের সাবেক এক কর্মকর্তার মন্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি ২০১৯ সালেই বলেছিলেন, যদি আমাদেরকে আফ্রিকার কোনো স্থানকে স্্েরাতের বিপরীতে নিয়ে যেতে হয় তাহলে একমাত্র ভরসা হলো আমিরাত।
আমিরাতের ওপর মার্কিনীদের এ ভরসা একদিনে তৈরি হয়নি। যুগের পর যুগ ইসরাইল ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে আমিরাত গোপন যে সম্পর্ক ও লেনদেন করেছে। আমিরাতের শাসকদের যে বৈষয়িক ভোগবিলাস, তাই মার্কিনীদেরকে আমিরাতের বিষয়ে ভরসা করতে অনুপ্রাণিত করেছে। আর আমিরাতও মিত্র রাষ্ট্র আমেরিকার সেই ভরসা পূরণ করার চেষ্টাই করেছে।
সৌদি আরবকে সাথে নিয়ে ২০১৮ সালে আমিরাত সুদানে একটি অশান্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে যার ফলে সেখানে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বাশীরকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু এতকিছুর পরও ওমর বাশীরকে তুরস্ক ও কাতারের বলয় থেকে বের করে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় আমিরাত নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে সুদানে একটি অস্থায়ী মিলিটারি কাউন্সিল গঠন করে দেয়। ২০১৯ সালের ২০ আগষ্ট থেকে এই কাউন্সিলই এক ধরনের কালেক্টিভ প্রেসিডেন্সির মধ্য দিয়ে সুদান শাসন করছে।
সুদানের অস্থায়ী এ সামরিক কাউন্সিল দেশটিতে গনতন্ত্রকামী প্রতিটি প্রচেষ্টাকে বর্বরভাবে দমন করেছে। সুদানের মানুষ বিগত দুই বছর যাবৎ বেসামরিক নেতৃত্বকে আবারও দেশটির শাসন প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে চাইলেও এ কাউন্সিল জনগনের সেই দাবিতে মোটেও কর্ণপাত করছে না। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য কাউন্সিল তিন বছরের জন্য ক্ষমতার অংশীদারিত্ব চুক্তির আওতায় নতুন একটি শাসন পদ্ধতির সূত্রপাত করেছে। তিন বছর দেশটি পরিচালনা করবে, সোভারেইন কাউন্সিল। এ কাউন্সিলের সিংহভাগ সদস্যই সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্মকর্তা। তারাই এখন সুদানের নিয়ন্ত্রনে। এ কাউন্সিলের হর্তাকর্তাদের অধিকাংশকেই একপেশেভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আবুধাবী।
আমিরাত যখন সুদানকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চাপ দিয়েছে তখন সোভারেইন কাউন্সিলে থাকা গুটিকয়েক বেসামরিক সদস্য অবশ্য তার বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু অস্থায়ী সামরিক কাউন্সিল কার্যত এ সোভারেইন কাউন্সিলের ওপর চাপ দেয়। আর প্রশাসক কাউন্সিলও দেশটির অর্থনীতিকে বাঁচাবার স্বার্থে আমিরাতের সেই ফাঁদে পা দিয়ে ইসরাইলকে স্বীকৃতিও দিয়ে দেয়। ওমর আল বাশীরের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সুদানকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদের মদদ দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র এবার সুযোগ পেয়ে আমিরাতকে সে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। সুদানের শাসকেরা তাই আর আপত্তি করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বের হওয়া এবং ওয়াশিংটনের আর্থিক প্রণোদনার লোভ সুদানের নীতি নির্ধারকদেরকে দুবর্ল করে দেয়। পাশাপাশি ১৯৯৮ সালে সুদানে অবস্থানরত মার্কিন দূতাবাসে আল কায়েদা হামলা চালিয়ে যে কয়েকজন মার্কিন নাগরিককে হত্যা করেছিল, সেই ভিকটিম পরিবারগুলোকেও ক্ষতিপূরণ দিতেও সুদান রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হলেও তা দেয়ার মতো সামর্থ্য সুদানের ছিল না। আর এ সুযোগটিই নিয়ে নেয় আমিরাত। তারা সুদানকে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আমিরাত জানায়, সৌদি আরবের মাধ্যমে এ অর্থ সুদানকে দেবে। তবে শর্ত হলো, সুদানকে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিতে হবে। পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে সুদান তার মুসলিম জাতিস্বত্তার বিপরীতে গিয়ে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে মরক্কোও সুদানের পথ অনুসরণ করে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়। যদিও এক্ষেত্রে আমিরাত কোনো ধরনের চাপ দেয়ার বা ভূমিকা পালন করার কথা অস্বীকার করেছে। আরব আমিরাত বরাবরই মুসলিম ব্রাদারহুড বিরোধী মানসিকতা লালন করে এবং উত্তর আফ্রিকায় ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো যেন আর রাজনীতিতে আর ফ্যাক্টর না হতে পারে সেজন্যই আমিরাত আফ্রিকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে।
পরবর্তীতে মরক্কোও সুদানের পথ অনুসরণ করে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়। যদিও এক্ষেত্রে আমিরাত কোনো ধরনের চাপ দেয়ার বা ভূমিকা পালন করার তথ্যকে অস্বীকার করেছে। আরব আমিরাত বরাবরই মুসলিম ব্রাদারহুড বিরোধী মানসিকতা লালন করে এবং উত্তর আফ্রিকায় ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো যেন আর রাজনীতিতে আর ফ্যাক্টর না হতে পারে সেজন্যই আমিরাত আফ্রিকায় নিজের আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করছে। লিবিয়া ইস্যুতে মরক্কো প্রথম দিকে বেশ চুপচাপই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তারা লিবিয়ায় জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করার পর আমিরাত ও মরক্কোর মধ্যকার উত্তেজনা আরো বেড়ে যায়। কেননা, তুরস্ক ও কাতার লিবিয়ায় এই সরকারকে সমর্থন করছিল। অন্যদিকে, সৌদি আরব ও আমিরাত লিবিয়ার সেনাবাহিনীর ফিল্ড মার্শাল খলিফা হাফতারকে দায়িত্বে বসাতে চেয়েছিল।
আমিরাত যেভাবে খলিফা হাফতারকে দিয়ে ঐকমত্যের সরকারকে উচ্ছেদ করতে চেয়েছিল, মরক্কো তার বিরুদ্ধেও শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করে। এরকমই এক টালমাটাল পরিস্থিতিতে আরব আমিরাত মরক্কোর প্রতিবেশি দেশ মৌরতানিয়ায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বিনিয়োগ চুক্তি করে। মৌরতানিয়া এমনিতে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ। মৌরতানিয়ায় আমিরাতের বিশাল এ বিনিয়োগের ঘোষণা মরক্কোর প্রশাসন শঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারন আমিরাতের বিনিয়োগের ওপর ভর করে যদি মৌরতানিয়ার নোয়াধিবোও বন্দর উন্নত হয়ে যায় তাহলে মরক্কোর দাখলা বন্দর এবং তানজিয়ারের মেড প্রকল্প ভীষণভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে।
এরমধ্যে মরক্কো অভিযোগ করে যে, পশ্চিমা সাহারার নিয়ন্ত্রন নিয়ে সাহরাভি আর মরক্কোদের মধ্যে যে বিবাদ চলছে আমিরাত তাতে পলিসারিওদেরকে সহায়তা করছে। অথচ এ পরিস্থিতির মধ্যেই প্রায় ১৮০ ডিগ্রী বিপরীত দিকে টার্ন নিয়ে গত অক্টোবরে প্রথম আরব রাষ্ট্র হিসেবে আরব আমিরাত পশ্চিম সাহারায় একটি কনসুলেট চালু করে। রাবাত প্রশাসন আমিরাতের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় কেননা তাদের মধ্যে ক্ষীণ আশা জন্মেছিল যে আমিরাতের অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলো পশ্চিম সাহারায় মরক্কোর নিয়ন্ত্রনকে স্বীকৃতি দেবে। এর মাসখানেক পর, পলিসারিও ফ্রন্ট সাহরাভি লিবারেশন গ্রুপের সাথে মরক্কোর ২৯ বছর ধরে চলমান যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার ঘোষণা দেয়।
এরপর ডিসেম্বরের শুরুতেই হুট করে যখন মরক্কো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণা দেয়, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও খুশি হয়ে পশ্চিম সাহারা অঞ্চলে মরক্কোর নিয়ন্ত্রনকে মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয়। মরক্কোর প্রতি আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কয়েকমাসের মধ্যেই যেন আমুল বদলে যায়।
ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার মরক্কো প্রশাসনের ঘোষণাকেও আমিরাত স্বাগত জানায়। মরক্কোর জন্য পশ্চিম সাহারায় নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। কেননা, প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে সামরিক সক্ষমতার দিক দিয়ে মরক্কো আলজেরিয়াকে ভয় পায়। তাই আলজেরিয়ানরা পলিসারিও ফ্রন্টকে আড়ালে থেকে সহায়তা করে পশ্চিম সাহারায় নতুন করে কোনো সংকট তৈরি করে কিনা মরক্কো তা নিয়ে বরাবরই আশংকায় থাকে। আর নিজেদের দীর্ঘদিনের সেই অপূর্ণ খায়েশকে পূরণ করার জন্যই তারা এবার ইসরাইল ইস্যুতে ডিগবাজি দ্বিধা করেনি মরোক্ক।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্রীড়নক রাষ্ট্র হিসেবে আমিরাত ক্রমশই তার নানা রূপ দৃশ্যমান করছে। ইয়েমেনেও তারা সাউর্থান ট্রানজিশাল কাউন্সিলকে সমর্থন দিচ্ছে এবং ইয়েমেনের আল ইসলাহ পার্টির নেতাকর্মীদেরকেও প্রকাশ্যে ও গোপনে হত্যা করছে। দীর্ঘদিন থেকেই আল ইসলাহকে ব্রাদারহুডের চেতনা ধারণ করার দায়ে আমিরাত অভিযুক্ত করে আসছে।
ফিলিস্তিন ইস্যুতেও তারা আবুধাবীর মূল নীতি নির্ধারক মুহাম্মাদ বিন জায়েদের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত ফিলিস্তিন প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা মুহাম্মাদ দাহলানকে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে, দাহলানকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মানুষ বিশ্বাস করে না। তাছাড়া তুরস্কেও দাহলানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি রয়েছে।
২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যে ক্যু ঘটানো হয়েছিল তার সাথে দাহলানের সম্পৃক্ততার স্পষ্ট প্রমাণ তুরস্কের প্রশাসনের হাতে রয়েছে। ধারণা করা হয়, ২০১২ সালে মিশরের প্রথম গনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসীকে হটানোর জন্য তৎকালীন মিশরীয় সেনাপ্রধান ও বর্তমান শাসক আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিকেও দাহলান উসকানি দিয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই দাহলানের সাথে আমিরাত প্রশাসনের ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। কারণ বিশ্বের যেখানে যে ব্যক্তি ব্রাদারহুডের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, তাকেই যেন আমিরাত প্রশাসন আপন করে নেয়।
আমিরাত নিকট ভবিষ্যতে ইসরাইলের হাইফা বন্দরের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে চাইছে। তারা হেজাজ রেলওয়ে প্রকল্পকেও পুনরায় চালু করার স্বপ্ন দেখছে। আর তেমনটা হলে মধ্যপ্রাচ্যে মিশরসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশের ক্ষমতা খর্ব হবে। যদিও সৌদি আরবের সমর্থন ছাড়া আমিরাতের এসকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সৌদি আরব এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে সমর্থন দেয়নি। তবে তাদের সাথে ইসরাইলের প্রশাসনের নানা কর্মকর্তার গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিদায়ের পর সাময়িকভাবে একটু ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করলেও আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্যর নানা ইস্যুতে ইসরাইলের দেখানো পথেই আমিরাত হাটবে বলে বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন।