হেরে যাচ্ছেন ম্যাখোঁ, জিতছেন এরদোয়ান

তুরস্কের প্রভাব বলয়কে ভাঙার প্রয়াসে এখন দেশটির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা চায় জোটটির প্রভাবশালী সদস্য ফ্রান্স - দ্যা গ্লোবাল পোস্ট

  • মুরশিদুল আলম চৌধুরী
  • ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:৫৯

দমে যাওয়ার পাত্র নন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। দেশটির বিরুদ্ধে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর বিভিন্ন পদক্ষেপ বারবার হোঁচট খাচ্ছে। হেরে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু এর শেষ পরিনতি কী? কেমন হবে ইউরোপের সাথে তুরস্কের সর্ম্পক আজ জানাবো সেই বিশ্লেষন।

তুরস্কের সামরিক পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রতি কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের সাফল্য পায় আজারবাইজান। বহু বছর পর নিজ দেশের ভ‚খÐ কারাবাখ পুনরুদ্ধারে সফল হয় আজেরি বাহিনী। কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার পক্ষ নিয়েছিল ফ্রান্স। তবে শেষ পর্যন্ত আজেরি ফৌজের জয় স্বভাবতই প্যারিসের জন্য সুখকর ছিল না। লিবিয়াতেও বিদ্রোহী গোষ্ঠী হাফতার বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে আসছে ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেখানেও তুরস্কের সমর্থন নিয়ে অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় ঐকমত্যের সরকার।

ফ্রান্সে মহানবী (সা)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের ঘটনায় তুরস্ক ও ফ্রান্সের মধ্যে উত্তেজনা সবার জানা। ম্যাখোঁ মহানবী (সা)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলে এর তীব্র সমালোচনা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এরদোয়ান বলেন, ইসলামের প্রতি এমন মানসিকতার জন্য ম্যাখোঁর মানসিক চিকিৎসা করা দরকার। এখানেও নৈতিক জয় হয়েছে এরদোয়ানের।

সাম্প্রতিককালে উগ্র ডানপন্থী খ্রিস্টানদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন ম্যাখোঁ। ২০২২ সালের নির্বাচনে জয়লাভ আর করোনায় ভেঙে পড়া ফরাসি অর্থনীতি থেকে জনগণের মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে ম্যাখোঁ বর্ণবাদ ও ইসলামভীতির বিষবাষ্প ছড়াচ্ছেন। ম্যাখোঁর বেপরোয়া এ যাত্রার শুরু হয়েছিল গত গ্রীষ্মে, যখন লিবিয়ায় আঙ্কারার প্রভাবের কারণে ফরাসিদের পররাষ্ট্রনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছিল। আহত পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতিতে রং লাগাতে আকস্মিকভাবে সেপ্টেম্বরে ভূমধ্যসাগরে নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে প্রায় যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়েছিল ফরাসিরা। ওই যুদ্ধ থেকে ম্যাখোঁর লক্ষ্য ছিল দুটি। গ্রিসের কাছে রাফায়েল যুদ্ধবিমান বিক্রি এবং নিজেকে ইউরোপের পরবর্তী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জার্মানির সীমিত ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টা, আঙ্কারার অনড় অবস্থান এবং ট্রাম্পের নীরব অবস্থান ফরাসিদের যুদ্ধচেষ্টা থামিয়ে দিয়েছিল। সেখানে এগোতে পারেননি ম্যাখোঁ।

বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এরদোয়ান। লিবিয়া ও ভ‚মধ্যসাগরের ঘটনার মতোই নাগোরনো কারাবাখের ঘটনার সাফল্যের ফসল উঠেছে পুতিন ও এরদোয়ানের ঘরে। গতিশীল হয়েছে মস্কো-আঙ্কারা সম্পর্ক। মস্কো-আঙ্কারার এ সম্পর্ক যদি সিরিয়ার ইদলিব ও লিবিয়ায় একযোগে কাজ করতে সক্ষম হয়, তাহলে জো বাইডেন প্রশাসন ও ওয়াশিংটনের ক্ষমতাবৃত্তের জন্য আগামী দিনে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে ইচ্ছানুযায়ী ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ থাকবে না। সঙ্গত কারণেই প্রভাব বাড়বে এরদোয়ানের। ফ্রান্স ও তুরস্কের বর্তমান সর্ম্পকের রুপ জানতে আমাদের ফিরতে হবে পেছনে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মোটা দাগে মধ্যপ্রাচ্য এবং লাতিন আমেরিকা মার্কিনদের, দক্ষিণ এশিয়া ব্রিটিশদের এবং আফ্রিকা ফরাসিদের নিয়ন্ত্রাধীন অঞ্চল বলে অলিখিত সমঝোতা ছিল। উপনিবেশবাদের প্রভাবে উল্লেখিত এসব অঞ্চলের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও জীবনবোধে এই পশ্চিমা দেশগুলোর বিপুল প্রভাব দৃশ্যমান। তবে নতুন শতাব্দীতে মার্কিনদের তথাকথিত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এই প্রবাদে যোজন-বিয়োজন ঘটেছে।

ইউরোপ এবং মার্কিনদের পাশাপাশি রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের উত্থান অলিখিত এ সমঝোতায় ভাঙন ধরিয়েছে। আর এটা গুরুতর আকার নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা মহাদেশে। সমাজের উঁচু মহলের পুঁজিপতিদের দৈনন্দিন জীবনে ফরাসি প্রভাব থাকলেও বাণিজ্যে চীন ও ভারতের পাশাপাশি তুরস্কও শক্তিশালী জায়গা করে নিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশে।

আফ্রিকায় চীনের প্রভাব এখনও বড় বড় দালানের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাণিজ্যিক কক্ষে আবদ্ধ, কিন্তু তুরস্ক তার টিভি সিরিয়াল এবং সামাজিক কার্যক্রম নিয়ে জনমনে তুমুল আবেদন সৃষ্টি করেছে, যা ফরাসিদের দীর্ঘদিনের নিগূঢ় বর্মে ফাটল ধরিয়েছে। লিবিয়া, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও সোমালিয়ায় তুরস্কের প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক ও সামজিক প্রভাব উল্লেখ করার মতো।

তুরস্কের প্রভাব বলয়কে ভাঙার প্রয়াসে এখন দেশটির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা চায় জোটটির প্রভাবশালী সদস্য ফ্রান্স। গত অক্টোবরেই আঙ্কারার ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল প্যারিস। তবে সে দফায় নিজ প্রস্তাবের পক্ষে ইউরোপীয় দেশগুলোর পর্যাপ্ত সমর্থন পায়নি ফ্রান্স। ফলে এবার ইইউ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের বিরুদ্ধে কিছু অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা আরোপে মরিয়া প্যারিস। ফ্রান্স মরিয়া চেষ্টা চালালেও দেশটির পক্ষে একা ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সম্ভব নয়। এজন্য গ্রিস ও সাইপ্রাসের বাইরে অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সমর্থনও নিশ্চিত করতে হবে।

গত অক্টোবরে তুরস্ককে ভূমধ্যসাগরে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ করার আহŸান জানান ইইউ নেতারা। অন্যথা আঙ্কারাকে এর ফল ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। প্যারিস বলছে, ইইউ নেতাদের ওই হুঁশিয়ারি কানে নেয়নি এরদোয়ান প্রশাসন। ফলে এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। সম্প্রতি এরদোয়ানের তার্কিশ সাইপ্রিয়ট সফর নিয়ে ক্ষুব্ধ ইউরোপীয় নেতারা। ওই সফরে সাইপ্রাসে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের তাগিদ দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ভূমধ্যসাগরে জ্বালানি উত্তোলনের দিকটি এখানে বড় ফ্যাক্টর

গত শতাব্দীতে মধ্যপ্রাচ্য যেভাবে পৃথিবীর জ্বালানির অন্যতম উৎস ছিল, ঠিক একইভাবে ভবিষ্যতে ভূমধ্যসাগর এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগর ইউরোপের জ্বালানির অন্যতম উৎস হতে পারে বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ব্যারেল তেল এবং প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস মজুত থাকার কথা বলছে। যদি ইউরোপ এই তেল-গ্যাস নিজেরদের দখলে নিতে পারে, তাহলে রাশিয়ার ওপর তাদের জ্বালানি-নির্ভরতা কমবে। একই সঙ্গে ইউরোপ রাশিয়ার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থাকবে। তেল-গ্যাসের দখলদারিত্ব নিয়ে ইউরোপের এ পরিকল্পনা ঠিকঠাকভাবেই চলছিল।

তবে বাগড়া বাধে, যখন তুরস্ক আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুযায়ী পূর্ব ভূমধ্যসাগরে নিজেদের জন্য এবং তুর্কি সাইপ্রাসের জন্যও ২০০ মাইল স্বতন্ত্র অর্থনৈতিক এলাকা দাবি করে। তুরস্ক এবং ইউরোপের মধ্যকার এ উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায় যখন তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে ফ্রান্সের টোটাল এবং ইতালির এনা কোম্পানির তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজকে বের করে দেয়।

এদিকে, এরদোয়ায়ানকে কোণঠাসা করার চেষ্টায় নেমে পড়েছে গ্রিস, গ্রিক সাইপ্রিয়ট প্রশাসন, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের আঞ্চলিক জোট। জোটটি নতুন করে উস্কানিমূলক কর্মসূচি নিয়ে পূর্ব-ভ‚মধ্যসাগরে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তুরস্কের বিপক্ষে শত্রুতাবশত গড়ে ওঠা জোটটি এ অঞ্চলে যৌথ সামরিক অনুশীলন করতে যাচ্ছে। আগস্ট থেকেই তুরস্ককে উত্তেজিত করার চেষ্টায় সেখানে ধারাবাহিকভাবে সামরিক অনুশীলন করে আসছে তারা। এবারের যৌথ অনুশীলন হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী, মিশরের সমুদ্রতীরে। পাঁচ দেশের নৌ ও বিমানবাহিনী এ অনুশীলনে অংশ নেবে।

তুরস্ক একদিকে সম্মুখ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও অন্যদিকে বলেছে, সৌহার্দ্য, আলোচনা ও ভালো প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধানকে সমর্থন করেন তারা। বিশ্বের কাছে সৌহার্দ্যরে বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছে দেশটি।

এরদোয়ান সম্প্রতি সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, ‘তুর্কিরা নিজেদেরকে ইউরোপের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মনে করে। তুরস্কের ভবিষ্যত, তুরস্কের ভাগ্য ইউরোপের সঙ্গে একই সুতায় বাঁধা।’ তিনি ন্যাটোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এই সামরিক জোটে তার দেশের অবদানের কথাও তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেন। শুধু কিছু বক্তব্য দিয়েই শেষ করেননি এরদোয়ান। তিনি তার বার্তা আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরার জন্য তার প্রধান উপদেষ্টা ইব্রাহিম কালিনকে ইইউর হেড কোয়ার্টারে পাঠান। কালিন সেখানে ইইউর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে তুরস্কের আগ্রহের কথাগুলো তুলে ধরেন।

তুরস্ককে ঘিরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এখন ঘটনার ঘনঘটা। খবরে বলা হয়েছে, লিবিয়াগামী তুরস্কের একটি জাহাজে তল্লাশি চালিয়েছে জার্মানি। তাদের সন্দেহ, জাহাজে অস্ত্র রয়েছে। এ ঘটনায় জার্মানির কড়া সমালোচনা করেছে তুরস্ক। এ নিয়ে শুরু হয়েছে ক‚টনৈতিক টানাপড়েন। এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন তুর্কি প্রসিকিউটররা। তুরস্ক বলেছে, তুর্কি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আন্তর্জাতিক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে চালানো হয়েছে এ তল্লাশি।

জাহাজটি ছিল পণ্যবাহী। সেই জাহাজে অস্ত্র আছে কিনা তা জার্মানি দেখতে গেল কেন? কারণ, জাতিসংঘ লিবিয়ায় অস্ত্র পাঠানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অস্ত্র যাতে না পাঠানো হয়, সে জন্য চালু আছে ইইউর ইরিনি মিশন। জার্মানির দাবি, তাই তারা জাহাজে অস্ত্রের খোঁজ করেছে।

তুরস্কের পররষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘জার্মানি যা করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। এভাবে তল্লাশি চালানোর কোনো অধিকার তাদের নেই। জোর করে তারা এ তল্লাশি চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।’ আঙ্কারায় জার্মানি, ইইউ ও ইটালির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এই ‘বেআইনি কাজের’ নিন্দা করেছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তুরস্কের জাহাজের নাম হলো রোসালিন এ। জার্মান হেলিকপ্টার থেকে জাহাজে তল্লাশির বার্তা পাঠানো হয়। জাহাজ থেকে কোনো জবাব আসেনি। তারপর হেলিকপ্টার থেকে নেমে তল্লাশি চালানো হয়। তবে রোমের ইরিনি মিশন কমান্ড থেকে এই তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়। তুরস্ক অবশ্য বার্তা পাঠায়, তারা তল্লাশির অনুমতি দিচ্ছে না। তখন তল্লাশি থামিয়ে দেওয়া হয়। যেটুকু তল্লাশি অভিযান চলেছে, তাতে কোনো অস্ত্রের সন্ধান মেলেনি। তল্লাশিতে জাহাজের নাবিকরাও সহযোগিতা করেছেন বলে খবরে বলা হয়।

ফ্রান্সের পক্ষ থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিশদ নিষেধাজ্ঞার কোনো রূপরেখা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে কিছু সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে আঙ্কারার অনুসন্ধান কার্যক্রম সীমিত করার লক্ষ্যে ইইউ কোনো ব্যবস্থা নিলে তুরস্কের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাস্তবিক অর্থে, ইইউর অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা তুরস্কের বিরুদ্ধে কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা এখই বলা কঠিন।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে