মোসাদের যত আলোচিত গুপ্তহত্যা


  • আহমাদ আব্দুল্লাহ
  • ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ০৮:৪৪

ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’। এই গোয়েন্দা সংস্থার ইতিহাস যেন ধারাবাহিক গুপ্তহত্যার ইতিহাস। হিব্রু শব্দ ‘মোসাদ’-এর অর্থ ‘সংস্থা’। এর পুরো নাম ‘দি ইনস্টিটিউট ফর ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস’। সংস্থাটি শুধু বিদেশের মাটিতে ইসরাইলের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মোসাদের কার্যক্রম রহস্যে ঘেরা। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মোসাদ পরিচালনা করেন এবং সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা সাধারণ মানুষ জানে না। সংস্থাটির সদস্যসংখ্যা এবং তাদের পরিচয়ও প্রকাশ করা হয় না। তবে মোসাদের পরিচালকের পরিচয় প্রকাশ করা হয়। ইসরাইলি গোয়েন্দা কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি বইয়ের লেখক রোনেন বার্গম্যান বলেন, ‘মোসাদ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চেয়ে গুপ্তহত্যার কাজই করে বেশি।

অতি দক্ষ গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে গড়া এই সংস্থার ক্ষীপ্রতা ও দুঃসাহিকতা শত্রু মিত্র উভয়ের কাছেই এক বিস্ময়। মোসাদের ভয়ঙ্কর কিছু অপারেশন কল্প কাহিনীকেও হার মানায়। ১৯৪৯ সালে মোসাদের জন্ম হলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত কেউই জানত না এই সংস্থার প্রধান কে বা কারা এটা পরিচালনা করে। ১৯৯৬ সালে ড্যানি ইয়াতম মোসাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সংস্থা এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানা যায়। অপহরণ ও গুপ্তহত্যায় মোসাদ বিশ্বে অদ্বিতীয়। ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেনগুরিয়ান এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা। মোসাদের বেশিরভাগ লোকই সাবেক সন্ত্রাসী সংগঠন হাগানাহ, ইরগুন ও স্টানগেগ-এর লোক।

মোসাদের সাথে ঐতিহাসিকভাবেই বেশ কিছু আরব গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে জর্ডান এবং মরক্কোর গোয়েন্দা সংস্থার সাথে তাদের কাজের অংশীদারিত্বও রয়েছে। বর্তমানে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ এবং মিশরের সাথেও মোসাদ তাদের সম্পর্ক জোরদার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যে মোসাদ যে কাজগুলো পরিচালনা করে তা নিয়ন্ত্রন করার জন্য জর্ডানের রাজধানী আম্মানে মোসাদ দীর্ঘদিন ধরে পৃথক একটি কার্যালয়ও পরিচালনা করছে।

১৯৯৭ সালে যখন হামাস নেতা খালিদ মিশালকে হত্যার প্রচেষ্টা চালিয়েছিলো। এরপর কিছু দিনের জন্য তৎকালীন জর্ডান বাদশাহ হোসেন মোসাদের আম্মান শাখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মোসাদের সাথে জর্ডানের গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগটুকুও বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। তবে বাদশাহ হোসেনের ইন্তেকালের কিছুদিন পর তা আবার চালু হয়।

মরক্কোর সাথে মোসাদের সম্পর্ক শুরু হয় ১৯৬০ সাল থেকে। সেই সর্ম্পকের জেরেই মরক্কো এরই মধ্যে ইসরাইল থেকে বিপুল পরিমান সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও পেয়েছে। মরক্কোর সাবেক বাদশাহ হাসান মরক্কোতে থাকা ইহুদীদেরকে ইসরাইলে অভিবাসন করারও সুযোগ দিয়েছিলেন। একই সংগে মরক্কোর রাজধানী রাবাতে মোসাদের কার্যালয় চালু করারও অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে রাবাতে ১৯৬৫ সালে আরব লীগের যে সম্মেলন হয়েছিল তার সম্মেলন কক্ষে এবং ব্যক্তিগত রুমগুলোতে মোসাদ আড়ি পাতার এবং গুপ্তচর নিয়োগ করারও সুযোগ পেয়েছিলো।

মোসাদ যে শুধু ফিলিস্তিনি নেতাকর্মীকেই হত্যা করে তা নয়। সংস্থার প্রয়োজনে তারা সিরিয়ান, লেবানিজ, ইরানী এমনকি ইউরোপীয় নাগরিককেও হত্যা করতে দ্বিধা করে না। ১৯৭০ সাল থেকেই মোসাদ এ জাতীয় গুপ্ত হত্যা চালু শুরু করেছে। আসুন আমরা জেনে নেই মোসাদের গুপ্ত হত্যার কিছু তথ্য।

১৯৭২ সালের ৮ জুন, ফিলিস্তিনের তৎকালীন সময়ের প্রধানতম লেখক এবং মুক্তিকামী আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ঘাসসান কানাফানিকে হত্যা করা হয়। তিনি থাকতেন লেবাননের রাজধানী বৈরুতে। মোসাদের আততায়ীরা আগে থেকেই তার গাড়িতে বোমা পেতে রেখেছিল। পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।

ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানেইজেশন বা পিএলও’র ফ্রান্স শাখা প্রধান মাহমুদ হামসারিকে প্যারিসে এক গাড়ি বোমা হামলায় হত্যা করা হয় ১৯৭২ সালের ৮ ডিসেম্বর মোসাদ হত্যা করে। ইসরাইলে মোসাদের জনপ্রিয়তা বাড়ে ১৯৭২ সালের অলিম্পিক হত্যাকাণ্ডে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘটনায়। মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরাইলি খেলোয়াড়দের ওপর গুলি চালানো ফিলিস্তিনিদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করে মোসাদ গোয়েন্দারা।

১৯৭৩ সালের ১০ এপ্রিল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিন লিবারেশন অরগানাইজেশনের তিন শীর্ষ নেতা কামাল আদওয়ান, কামাল নাসের এবং মুহাম্মাদ ইউসেফ আল নাজ্জারকে হত্যা করে ছদ্মবেশী মোসাদ গোয়েন্দারা। পরবর্তীকালের ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক নারীর সাজে ওই মিশনে অংশ নেন। একই বছরের ১০ জানুয়ারী মোসাদের এক গাড়ি বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের সাইপ্রাস শাখা প্রধান হোসেইন আল বাশির নিহত হন। সাইপ্রাসের নিকোশিয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।

১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে নরওয়েতে ফিলিস্তিনি নেতা আলী হাসান সালামেহ মনে করে একজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে মোসাদ। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে নরওয়ে সংস্থাটির ছয়জন গোয়েন্দাকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুজন নারী গোয়েন্দাও ছিল। শেষ পর্যন্ত মোসাদ সফলভাবেই বৈরুতেই ১৯৭৯ সালের ২২ জানুয়ারী আলী হাসান সালামেহকে হত্যা করতে পারে ।

ফিলিস্তিনি নেতা খলিল ইব্রাহিম আল-ওয়াজির ওরফে আবু জিহাদকে হত্যার কথাও স্বীকার করেছিল ইহুদিবাদী ইসরাইল। ১৯৮৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে তাকে হত্যা করা হয়। ইসরাইলের টিভি চ্যানেল 'থার্টিন' জানায়, ফিলিস্তিনের ফাতাহ আন্দোলনের উপ- প্রধান আবু জিহাদকে হত্যায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ও গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের তিন হাজার ব্যক্তি সম্পৃক্ত ছিল। তাকে হত্যায় তিন হাজার লোকের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়েছে পাঁচটি ফাইটিং বোট ও হেলিকপ্টার। আবু জিহাদ ছিলেন ফাতাহ আন্দোলনের প্রধান ইয়াসির আরাফাতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।

মোসাদের ধারাবাহিক গুপ্তহত্যা কার্যক্রম সংস্থাটিন অঘোষিত নীতিতে পরিনত হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৮ জুন মোসাদ প্যারিসে অবস্থানরত প্যালেস্টাইন লিবারেশান অর্গানাইজেশান বা পিএলও’র নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা আতেফ বাসিসুকে হত্যা করে। ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা এই সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড চালালেও বিশ্বজনমতের নিন্দার ভয়ে এর দায়দায়িত্ব স্বীকার করেনি। কিন্তু ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে ফ্রান্সের পুলিশ বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জানায় যে, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদই ফিলিস্তিতি কর্মকর্তা আতেফ বাসিসুকে হত্যা করে।

মোসাদের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি আসে ১৯৯৭ সালে। জর্ডানে হামাস নেতা খালেদ মিশালকে হত্যার চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুই মোসাদ গোয়েন্দা। তারা কানাডার পাসপোর্ট ব্যবহার করছিল। বিষয়টি সামাল দিতে বেশ কয়েকজন হামাস নেতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন ইসরাইল সরকার। পদত্যাগ করেন মোসাদের পরিচালক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোসাদ যেসব হত্যাকাণ্ড প্রচেষ্টা চালিয়েছিল তার বেশিরভাগই সফল হয়েছে।

তবে ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন সেনাপ্রধান ও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হওয়া পারভেজ মোশারফকে একবার হত্যা করার উদ্যেগ নিয়েছিল। যদিও সে উদ্যেগটি সেবার ব্যর্থ হয়। ১৯৯৫ সালের ২৬ অক্টোবর ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ফাতহি শাকিকীকে হত্যা করে মোসাদ। জানা যায়, শাকিাকী একটি গোপন সফরে লিবিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে মাল্টার একটি স্থানে হত্যা করা হয়।

ইজ আল দিন শেখ খলিল ছিলেন গাজায় জন্মনেয়া একজন স্বাধীনতাকামী নেতা। তিনি ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখার অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। ২০০৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিনে আল জাহরা এলাকায় অটোমোবাইল বুবি ট্র্যাপের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে কেউ এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। কিন্তু মামলার গতি প্রকৃতিতে মনে হয় এটা মোসাদেরই কাজ। তাছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের দিন কয়েক আগে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ শেখ খলিলকে হত্যার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করে।

মাহমুদ আল মাবোও ছিলেন ফিলিস্তিনের আল কাসিম ব্রিগেডের অন্যতম সহ প্রতিষ্ঠাতা। ২০১০ সালের ১৯ জানুয়ারী দুবাইয়ের একটি হোটেলে আততায়ীরা তাকে হত্যা করে। ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরেই মাহমুদকে হত্যা করতে চেয়েছিল। জানা যায়, ইসরাইলি সরকারের সরাসরি তত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। মোসাদের যে হত্যাকারীরা এ মিশনে অংশ নিয়েছিল, তাদের অনেকেই ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও অস্ট্রোলিয়া থেকেও জাল পাসপোর্ট বানিয়ে দুবাই গিয়েছিল বলে পরবর্তীতে তথ্য পাওয়া যায়।

২০১২ সালের ১১ জানুয়ারী ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মোস্তফা আহমাদি রোশান নিজের গাড়িতে বোমার বিষ্ফোরণে নিহত হন। তিনি ইরানের বহুল আলোচিত নাতাঞ্জ ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরন স্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। দুই বছর আগেও ঠিক একই দিনে অর্থাৎ ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারী ইরানে আরেকটি বোমা হামলায় হত্যা করা হয়েছিলো দেশটির পরমাণুবিজ্ঞনী মাসুদ আলী মোহাম্মাদী। তার গাড়ির কাছেই একটি মোটরসাইকেলে বাঁধা বোমা রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরিত হলে তিনি প্রাণ হারান। ইরান এ ঘটনার জন্য মোসাদকেই দায়ী করেছে।

বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ায় ফিলিস্তিন দুতাবাসে ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন’ এর নেতা ওমর নায়েফ জায়েদেকে আততায়ীরা হত্যা করে। তিনি ছিলেন ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগ্রামের একজন প্রভাবশালী নেতা।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের ছোট্ট শহর ফাক্সে নিজের বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ আল-জাওয়ারিকে। ফাক্সের সবাই তাকে চিনতেন এভিয়েশন এক্সপার্ট মুরাদ নামে; এমনকি তার স্ত্রীও জানতেন না যে তার নাম মুরাদ। হামাস তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে জানায়- জাওয়ারি ছিলেন হামাসের মিলিটারি উইং কাসসাম ব্রিগেডের ড্রোন প্রোগ্রামের প্রধান। তিনি হামাসের হয়ে আবাবিল-১ ড্রোন তৈরি করেছেন, যেটি ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে ইজরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে হামাস।

২০১৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালুমপুরের জনবহুল রাস্তায় ৩৫ বছরের ফিলিস্তিনি প্রকৌশলী ফাতিহ আল বাতসকে হত্যা করা হয়। ফাতিহ তার জন্মভুমি গাজাতেই ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করেছেন এবং একই বিষয়ের উপর পিএইচডি করার জন্য তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেছিলেন। তিনি পাওয়ার সিস্টেম এবং বিদ্যুতের অপচয় রোধ করার বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন আর্টিকেলও লিখেছেন যা প্রসিদ্ধ কিছু জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী আন্দোলন হামাস প্রকৌশলী ফাতিহকে নিজেদের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দাবী করে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য মোসাদকে দায়ী করেছিল।

মোসাদের হাতে সর্বশেষ আলোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটে গত ২৭ নভেম্বর। তেহরানের ৯০ মাইল দূরের গ্রাম আবসার্দে একটি গাড়িতে চড়ে যাচ্ছিলেন ইরানের ৫৯ বছর বয়সী বিজ্ঞানী মোহসিন ফখরিহজাদে। হঠাৎ তার গাড়ির পাশে এক পুরনো ট্রাকে কাঠের স্তুপের নিচে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়। তার গাড়ির গতি ধীর হতেই অটোমেটিক রিমোট কন্ট্রলোড মেশিনগান দিয়ে হত্যা করা হয় ফখরিহজাদেকে। ফখরিহজাদেহ ইরানের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। প্রায়ই তাকে দেখা যেত আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সাথে বৈঠকে। ফখরিহজাদেকে তুলনা করা হত রবার্ট ওপেনহাইমারের সাথে।

ইসরাইলের এ নোংরা যুদ্ধ শেষ হওয়ার নয়। কারণ ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটি যতটা প্রকাশ্য ও স্পষ্ট কৌশল নিয়ে কাজ করে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভরসা রাখে নোংরা কূটনীতি আর গুপ্তহত্যার মতো অবৈধ কার্যকলাপের ওপর। এর শেষ কবে হবে কেউ জানে না।