পৃথিবীর রাজধানী নিউ ইয়র্ক

নিউইয়র্ক শহর - সংগৃহীত

  • শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
  • ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৫৪

পৃথিবী ব্যাপী হইচই যে শহরকে নিয়ে, সেটা নিউইয়র্ক। একে বলা হয় পৃথিবীর রাজধানী। বিশাল এই শহর কখনো ঘুমায় না। এর আরেক নাম নির্ঘুম শহর। আধুনিক সভ্যতার হইচই আর রঙের আলোয় নিউইয়র্ক থাকে উচ্ছ্বল। এই উচ্ছ্বলতা একদিনে আসেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই শহরটিকে গতি দিয়েছে সভ্য পৃথিবী। নিউইউয়র্ক একটা সময় ছিলো সাদামাটা কয়েকটা দ্বীপ। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরকে সামনে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলো। এখানেই হাডসন এবং ইস্ট নদীর মোহনা। মোহনায় জেগে উঠা দ্বীপে বসতি ছিলো লেনাপি উপজাতির। ভ’মির মালিক ছিলো ওরাই। সাগর আর নদীকে কেন্দ্র করে ছিলো ওদের জীবন। কিন্তু বাইরের পৃথিবী এই ভ’মিপুত্রদের থাকতে দেয়নি। লেনাপিদের উচ্ছেদ করা হয়। এদের কেউ কেউ অন্য উপজাতির কাছে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। লেনাপিরা নিউইয়র্ক ছেড়ে চলে গেলেও তাদের কিছু চিহ্ন রয়ে গেছে। কিছু এলাকার নামও রয়ে গেছে লেনাপিদের ভাষায়।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটন দ্বীপে প্রথম লেনাপিদের বসতি আবিষ্কার করেন ইতালীয় অভিযাত্রী জোভান্নি দা ভেরাৎসানো। তখন ১৫২৪ সাল। তিনি সেখানে পাঁচ হাজার আমেরিকান লেনাপির বসতির কথা জানান। তখনকার ফ্রান্সের রাজা তার এই অভিযানে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। আবিষ্কারের পর তিনি ওই অঞ্চলের নাম দেন ‘নুভেল অঁগুলেম’। ‘নুভেল’ অর্থ নতুন। আর ‘অঁগুলেম’ হলো ফ্রান্সের একটি শহরের নাম।

১৬১৪ সালে ওলন্দাজরা ম্যানহাটন দ্বীপের দক্ষিণে একটি পশম ব্যবসার কেন্দ্র বানায়। তখন থেকেই দ্বীপটিতে ইউরোপীয়দের বসতি শুরু হয়। ওলন্দাজরা এই দ্বীপের নাম দেয় ‘নতুন আমস্টারডাম’। ১৬২৬ সালে লেনাপিদের কাছ থেকে দ্বীপটিকে কিনে নেন ওলন্দাজ নেতা পিটার মেনুইট। কিংবদন্তী রয়েছে দ্বীপের বিনিময়ে লেনাপিদেরকে দেওয়া হয়েছিলো মাত্র ২৪ মার্কিন ডলার।
১৬৬৪ সালে ওলন্দাজদের কেনা দ্বীপটি যায় বৃটিশদের দখলে। ইঙ্গ-ওলন্দাজ যুদ্ধের শেষে রান দ্বীপের কর্তৃত্ব পাওয়ার শর্তে ওলন্দাজরা নতুন আমস্টারডাম তুলে দেন বৃটিশদের হাতে। তখন থেকেই এর নাম হয় ‘নিউইয়র্ক’। ইংল্যান্ডের ইয়র্ক-এর নামে এই নাম।
বাইরের শক্তির চাপে স্থানীয় লেনাপিদের অবস্থা করুণ হতে থাকে। ১৭০০ সাল নাগাদ তাদের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় দুইশ’তে। অন্যদিকে জৌলুস বাড়তে থাকে দ্বীপের। বৃটিশরা ওই অঞ্চলটিকে বন্দরনগরী হিসেবে গড়ে তুলেন। ১৭৫৪ সালে বৃটেনের রাজা ২য় জর্জ ওখানে ‘কিংস কলেজ’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন। পরে ওটাই পরিণত হয় কলাম্বিয়া বিশ^বিদ্যালয়ে।

মার্কিন বিপ্লবী যুদ্ধের সময় এই শহরে বেশ কিছু ছোটখাটো যুদ্ধও হয়। যেগুলোকে একত্রে বলা হয় নিউ ইয়র্ক ক্যাম্পেইন। মহাদেশীয় কংগ্রেস এই নিউ ইয়র্ক সিটিতেই একসাথে মিলিত হয়েছিল এবং ১৭৮৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেছিল। প্রথম রাষ্ট্রপতি জর্জ ওয়াশিংটনের অভিষেক হয় এই শহরের ওয়াল স্ট্রিটের ফেডারেল হলে। ১৭৯০ সাল পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক সিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ছিল। পরে রাজধানী সরে গেলেও, নিউইয়র্কের জৌলুশ একটুও কমেনি। বিশে^র রাজনীতির বড় আসর বসে ওখানে। এই শহরেই জাতিসংঘের সদর দপ্তর।

নিউইয়র্ক কেবল শহর নয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যও। এই অঙ্গরাজ্যের প্রাণ ম্যানহাটন দ্বীপ। নিউ ইয়র্কে কয়েকটি আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকা রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় কাউন্টি। নিউ ইয়র্ক ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্য শহরগুলো একটি নির্দিষ্ট কাউন্টিতে সীমাবন্ধ। কিন্তু নিউ ইয়র্ক শহরের ভেতরেই আছে পাঁচটি কাউন্টি। এদের একটি ম্যানহাটন। অন্য চারটি ব্রুকলিন, দ্য ব্রুঙ্কস, কুইনস এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ড। এইসব এলাকার প্রতিটির আলাদা জীবনধারা আছে। এদের মধ্যে একমাত্র ব্রুঙ্কস যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূমির সঙ্গে যুক্ত। বাকি চারটিই দ্বীপ।

শহরটি মূলত ম্যানহাটনকে ঘিরেই বেড়ে উঠেছে। ১৮৯৮ সালে আশপাশের কয়েকটি সম্প্রদায় নিউইয়র্কে যোগ দেওয়ায় মোট পাঁচটি কাউন্টি হয়েছে। মূল নিউ ইয়র্ক শহরের আয়তন ৭৮৪ বর্গকিলোমিটার। মূল শহরে লোকের সংখ্যা ৮৬ লাখ। এদেরকে ডাকা হয় ‘নিউ ইয়র্কার’। এই নিউ ইয়র্কারদের ৩৬ শতাংশ লোকের জন্মই আমেরিকায় নয়। বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে ওখানে বসতি গড়েছেন এরা। বলা হয়ে থাকে নিউ ইয়র্কে তেল আবিবের চেয়েও বেশি ইহুদী, ডাবলিনের চেয়েও বেশি আইরিশ, নাপোলির চেয়েও বেশি ইতালীয়। আর সান হুয়ানের চেয়েও বেশি পুয়ের্তোরিকান আছে। আর এই শহরে ভাষা আছে ৮০০টিরও বেশি।

বৈচিত্র্যে ভরপুর এই শহরের সবকিছু আলাদা। শহরটিকে বলা যায় সারা বিশে^র সংস্কৃতির একটি জাদুঘর। এই শহরের বড় আকর্ষণ স্ট্যাচু অব লিবার্টি। যা আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতীক। ১৮৮৬ সালে এই স্ট্যাচু অব লিবার্টি আমেরিকাকে উপহার দেয় ফ্রান্স। পরে এটিকে স্থাপন করা হয় হাডসন নদীর মুখে লিবার্টি আইল্যান্ডে।
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মূর্তি। মাটি থেকে চূড়ার মশাল পর্যন্ত এর উচ্চতা ১৫২ ফুট। আর ওজন ৪ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড। এর ভেতরের কাঠামোর নকশা করেছিলেন ফেড্রিক বারথোল্ডি এবং গুস্তাব আইফেল। বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারের নকশাও করেছিলেন তিনি। স্ট্যাচু অব লিবার্টির ডিজাইন করেন ফ্রেঞ্চ ভাস্কর আগাস্টাস বার্থোলডি। মূর্তিটি বানাতে ফ্রান্সের খরচ হয় আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। আর এটিকে বসাতে গিয়ে আমেরিকা খরচ করে ২ লাখ ৭৫ হাজার ডলার।

স্ট্যাচু অব লিবার্টিকে চোখ মেলে দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে ম্যানহাটনের দক্ষিণে ব্যাটারি পার্কে। কাছ থেকে দেখতে চাইলে নৌকা ভাড়া করে চলে যেতে হবে লিবার্টি দ্বীপে। ওখানে মূর্তিটির ভীতের চারপাশে হাঁটতে পারবেন। পাদদেশে ঢুকতেও পারবেন। আগাম রিজার্ভেশন থাকলে সরাসরি চূড়ায়ও উঠতে পারবেন।
নিউইয়র্কে স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখা শেষ হলে আপনি যেতে পারেন এলিস দ্বীপে। ওখানে আছে ইমিগ্রেশন জাদুঘর। ঐতিহাসিক ইমিগ্র্যাশন স্টেশনে এই জাদুঘর ভবন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে হাজার হাজার অভিবাসীকে এই স্টেশনেই যাচাই-বাছাই করা হয়েছিলো। নিউইয়র্কে আসা অভিবাসীদের রেকর্ড দেখতে জাদুঘরের ডাটাবেসে অনুসন্ধানও করতে পারেন।
লিবার্টি দ্বীপ এবং এলিস দ্বীপ ঘুরতে সচরাচর চার ঘণ্টা সময় নিতে পারে। এর পর যেতে পারেন সেন্ট্রাল পার্কে। আধা মাইল প্রশস্ত আর আড়াই মাইল লম্বা এই পার্কটি নিউইয়র্কের ফুসফুস। সেন্ট্রাল পার্ক নিউইয়র্ককে যেমন সাজিয়েছে, তেমনি শহরটিকে রেখেছে বাসযোগ্য। ওখানে গেলে আপনি পাবেন হাঁটার অবারিত সুযোগ। চাইলে প্যাডেল বোটে করে ভাসতেও পারেন।

বিনোদনের জন্য আপনাকে যেতে হবে রকফেলার সেন্টারে। ম্যানহাটনের মাঝামাঝি এই বিশাল বিনোদন বিপনীর আয়োজন। ৭০ তলা এই ভবনে আছে কয়েকটি মিডিয়া হাউজ। আছে আকাশচুম্বী একটি আর্ট ডেকো। ভবনটির সামনে অ্যাটলাসের একটি মূর্তি আছে। পর্যটকরা ওটাকে ঘিরে ছবি তুলেন।
রকফেলার সেন্টারের ছায়ার নিচেই আছে আরেক বিনোদন ভবন। নাম রেডিও সিটি মিউজিক হল। ১৯৩০ এর দশকে ভবনটি বানানো হয়। তখন বিশে^র বৃহত্তম ইনডোর থিয়েটার ছিলো এটি। এখন ভেন্যুটি গ্র্যামি পুরস্কার এবং টনি পুরস্কারসহ ডাকসাইটে আয়োজন করে। নিউ ইয়র্কের অতীত এবং বর্তমানের মেলবন্ধন মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে। এটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৮৭০ সালে। পৃথিবীর যত রকম শিল্পমাধ্যম আছে এবং যত রকম কৃষ্টি আছে, সেসবের প্রতিটি থেকেই কিছু না কিছু সংগ্রহ রাখা আছে এই জাদুঘরে। সংগ্রহ এতো ব্যাপক যে এর ৩০০ গ্যালারি এবং ৩২ একরের মেঝেতে একসঙ্গে শুধু পাঁচ ভাগের এক ভাগ সামগ্রী প্রদর্শন করা যায়। এখানে আছে দুই মিলিয়ন শিল্পকর্ম। এসবের অনেকগুলো পাঁচ হাজার বছরের পুরনো।

নিউ ইয়র্কের বর্তমান সংস্কৃতি দেখতে হলে যেতে হবে ‘ব্রডওয়ে অ্যান্ড দি থিয়েটার ডিস্ট্রিক্ট’-এ। ওখানে হয় পৃথিবীখ্যাত থিয়েটার শো। সর্বাধুনিক এবং দীর্ঘদিনের বিখ্যাত ক্লাসিক শো’র জমজমাট আসর বসে ওই এলাকায়। পেশাদার নাটক, সঙ্গীত এবং নাচের জন্য ম্যানহাটনের ব্রডওয়ের বিকল্প নেই। মার্কিন অনেক বিখ্যাত অভিনয়শিল্পী এইসব ভেন্যু থেকেই উঠে এসেছেন।

নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক ভবন এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। ৩১১ মিটার উঁচু ১০২তলা ভবনটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার গড়ার আগে বিশে^র বৃহত্তম উঁচু ভবন ছিলো। এর চূড়ায় দাঁড়িয়ে পৃথিবী দেখার জন্য আছে দু’টো অবসারভেটর এলাকা। ঝকঝকে দিনে যদি ওখান থেকে তাকান, গোটা পৃথিবী দেখা না গেলেও পাশের অঙ্গরাজ্য নিউ জার্সি, পেনসালভেনিয়া, কানেকটিকাট এবং ম্যাসাচুসেটসের ৪০ মাইল এলাকা দেখা যাবে। ওখান থেকে দেখতে পাবেন বিধ্বস্ত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার।
নাইন ইলাভেনের সেই হৃদয়বিদারক দিনটির স্মৃতি নিয়ে আছে ওই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ভগ্নাংশ। ২০১১ সালের আত্মঘাতী হামলায় ধ্বংশ হয় এটি। প্রাণ হারান প্রায় তিন হাজার লোক। তাদের স্মরণে ওই এলাকাটা এখন ‘মেমোরিয়াল মিউজিয়াম’। গাছ এবং ঘাস দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পুল। আছে কৃত্রিম জলপ্রপাত।
নিউ ইয়র্ক সিটির আরেক আকর্ষণ ‘হাইলাইন’। ওটা আগে ছিলো রেললাইন। এখন পরিত্যক্ত। শহরের সড়কগুলোর ওপরে পরিত্যক্ত এই সড়ক এখন পরিণত হয়েছে হাঁটার পথে। দুইদিকে আছে গাছ। এর পর কাচের রেলিং। বসন্তে ওগুলোতে ফুল আসে। উঁচু এই পথ ধরে হাঁটলে নিউ ইয়র্ককে মনে হয় স্বার্গের মতো।
নিউইয়র্কে আসল ‘স্বর্গ’ নেমে আসে সন্ধ্যায়। সন্ধ্যার নিউইয়র্ক রোমাঞ্চকর, উত্তেজনায় ভরপুর। অনেকে জড়ো হন টাইম স্কোয়ারে। এই টাইম স্কোয়ারে বছরের প্রথম দিন উদযাপন হয়। যখন রাত বাড়ে, লোকে থইথই করে স্কোয়ার, তখন হয় ‘বল ড্রপ’। শুধু বছরের প্রথম দিন নয়, টাইম স্কোয়ার সবসময় ব্যস্ত। নিউইয়র্ক টাইমস টাওয়ারের নামে এর নাম রাখা হয়েছিলো ১৯০৪ সালে।

যারা নিউ ইয়র্ক যাননি, ওই শহরের ব্যাপারে তেমন কিছু জানেনও না। তাদের কাছেও পরিচিত একটি ছবি। ছবিটি ঝুলন্ত সেতুর। নিউ উয়র্কের এই সেতুর নাম ‘ব্রোকলিন ব্রিজ’। সারা পৃথিবী থেকে কবি, গীতিকার এবং চিত্রকরদের চুম্বকের মতো টেনে নিয়ে যায় এই সেতু। ইস্ট নদীর ওপর এই সেতুটি ম্যানহাটন ও ব্রুকলিনকে যুক্ত করেছে। ১৮৬৯ সালে এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়, শেষ করতে সময় নেয় ১৪ বছর। সেতুটি ১.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই সেতু দিয়ে কেবল যানবাহন নয়, মানুষও হেঁটে যেতে পারে। একইসঙ্গে আছে সাইক্লিংয়ের লেনও।
নিউ ইয়র্কের সুন্দর যেমন প্রকৃতিতে, তেমনি কৃত্রিমতায়ও। চোখধাঁধানো সুন্দরের দেখা মেলে বিপণীবিতানগুলোতে। এমন একটি বিতান এলাকা ‘ফিফথ অ্যাভিনিউ’। ওখানে সারি সারি জাদুঘরও আছে। পথে-গলিতে জাদুঘর পাওয়া যায় বলে শহরটিকে জাদুঘরের শহরও বলা হয়। ওখানকার আরেক বিখ্যাত জাদুঘর হেনরি ক্লে ফ্রিকের জাদুঘর। তিনি নিজস্ব শিল্প প্রদর্শনের জন্য এই ভবনটি তৈরি করেছিলেন। এই জাদুঘরের কামরাগুলো একটি মনোরম বাগান ঘিরে। বাগানে আছে গ্রীষ্মকালীন গাছ। মাঝে পুকুর।
মার্কিন সিনেমা ও টেলিভিশন শো’গুলো যে পাঠাগারটিকে পরিচিত করেছে, সেটি হলো ‘নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি’। পাঠাগার এলাকায় পড়ার জন্য যেমন লোকের সমাগম হয়, তারচেয়েও বেশি সমাগম দেখার জন্য। গোটা নিউইয়র্কের অবস্থাও এই লাইব্রেরির মতো। জানার উপাদান যেমন আছে, তেমন আছে দেখার উপাদান।