ডুবছে কলম্বাসের জাহাজ, ভাঙছে ক্লাইভের দুর্গ

স্যান স্যালভাদর উপদ্বীপে ১৯৪২ সালে কলম্বাস - কিউ জেড ডটকম

  • শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
  • ১১ জুলাই ২০২০, ২২:১৯

বর্ণবাদবিরোধী ঝড় উঠেছে আমেরিকায়। সেই ঝড়ের তীব্র বাতাস লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে বিশ্বকে। আঘাত হেনেছে ইউরোপের ঔপনিবেশবাদের গোড়ায়। ঝড়ো বাতাস, উত্তাল ঢেউ এখন তছনছ করছে তথাকথিত সব সভ্যতা। হিসাব চাইছে অতীত অন্যায়ের।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জেগে উঠা এই ঝড় এবার পরোয়া করছে না আমেরিকার আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাসকেও। বিক্ষোভকারীরা ভেঙে দিয়েছে তার মূর্তিও। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের ছোট ছোট শহরে, অলিতে-গলিতে চলছে কলম্বাসের মূর্তি ভাঙার হিড়িক।

আমেরিকায় পা রাখা প্রথম ইউরোপিয় এই নাবিকের স্মরণে প্রতি বছর অক্টোবরের ১২ তারিখ দেশটিতে পালন করা হয় কলম্বাস দিবস। তবে এই দিনটি আদিবাসিরা পালন করেন ‘আদিবাসি গণদিবস’ হিসেবে। কলম্বাসকে নিয়ে আদিবাসিদের এই ক্ষোভ এতোদিন নিজেদের মধ্যে ফুঁসতে থাকলেও এবার জ্বলে উঠেছে তুমুল শক্তিতে। আমেরিকার বসন্তের বাতাস এই আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে বঞ্চিতদের ঘরে ঘরে। গোটা আমেরিকাজুড়ে এখন কলম্বাসের মূর্তি ভাঙার হিড়িক।

বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ দাবি করছেন আদিবাসিদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েই তারা কলম্বাসকে উপড়ে ফেলছেন। এই ইতালিয় নাবিকের অভিযানের কারণেই আমেরিকান আদিবাসিদের ওপর নেমে এসেছিলো নির্যাতন।

তরুণ বয়সে কলম্বাস জাহাজ ভাসিয়েছিলেন ইতালির বন্দরশহর জেনোয়া থেকে। ১৪৮৩ সালে তিনি পর্তুগালের রাজা দ্বিতীয় জনের কাছে ইন্ডিয়াযাত্রার একটি পরিকল্পনা জমা দেন। এতে রাজা রাজি না হওয়ায় একই পরিকল্পনা তিনি স্পেনের রাজা ও রানির কাছে উপস্থাপনক করেন। স্পেনের দরবার তার এই পলিকল্পনার অনুমোদন করেন এবং তাকে ইন্ডিজ দ্বীপের ভাইসরয় নিয়োগ দেন। ১৪৯১ সালে তিনি আটলান্টিক অভিযানে যান। তার সঙ্গে ছিলো পুরনো এক মানচিত্র। এই মানচিত্র ধরেই জাহাজ ভাসিয়েছেন কলম্বাস। শেষে এসে নামেন নতুন এক ভ’খন্ডে। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন এই ভ’খন্ডই ভারত। কিন্তু ওই ভ’মি ছিলো আজকের আমেরিকা। সেখানে তখন ছিলো আদিম কিছু লোকের বসতি। কলম্বাসরা প্রথমে এদের নাম দেন ‘ইন্ডিয়ান’। পরে গায়ের রঙ দেখে নাম পাল্টিয়ে রাখেন ‘রেড ইন্ডিয়ান’। আরো পরে নতুন আবিষ্কৃত এই ভ’মিকে মহাদেশ হিসেবে চিহ্নিত করেন আরেক ইতালিয় নাবিক আমেরিগো ভেসপুচি। তার নামেই মহাদেশের নাম রাখা হয় ‘আমেরিকা’।

ধীরে ধীরে আমেরিকায় বাড়তে থাকে ইউরোপিয়দের দাপট। ইউরোপ থেকে জাহাজে করে সেনা নিয়ে যাওয়া হতে থাকে সেখানে। সেনারা উৎখাত করতে থাকে আদিবাসীদের। ইউরোপীয় সাধারণদেরকেও আমেরিকায় এনে বসতি গড়ে দেওয়া হতে থাকে। বসতি নিরাপদ এবং একচেটিয়া করতে নেমে আসে আদিবাসিদের ওপর নির্যাতন। স্রেফ জায়গা খালি করার জন্য নির্দয়ভাবে খুন করা হতো। তুচ্ছ অজুহাতে কিম্বা বিনা অজুহাতে মেরে ফেলা হতো মাটির সন্তানদের। এসবের মধ্যেই একান্ত বশ্যতা শিকার করে টিকে ছিলো কিছু লোক। এরাই আজকের আদিবাসি।

ওই সময় আদিবাসিদের ওপর সাদারা এতোটাই নির্যাতন করেছিলো যে, সাদাদের ফুট-ফরমাশ খাটার মতো লোকের অভাব দেখা দিয়েছিলো। তাই এরা আফ্রিকা থেকে জাহাজভর্তি করে কালো লোকদের আনতে থাকলো আমেরিকায়। আফ্রিকার সেই কালোরাই এখনকার ‘কালো আমেরিকান’দের শুরু। এরা ছিলো দাস। আর দাসের জীবনের কোনো মূল্য কখনো ছিলো না।

কলম্বাসের সেই আমেরিকার দিন কাটতে থাকে এভাবেই। সময় গড়িয়ে যায়। সেইসঙ্গে পাল্টায় কিছু নিয়ম-কানুন। পৃথিবীতে লাগে তথাকথিত সভ্যতার রঙ। এই রঙের জোরে বিলুপ্ত হয় দাসপ্রথা। কিন্তু কাগজে-কলমে প্রথা না থাকলেও সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতা এখনো টিকে আছে অনেকের। আর এর প্রতিবাদেই ফুঁসে উঠেছে পৃথিবী। যাকে বলা হচ্ছে ‘আমেরিকার বসন্ত’।

বসন্তবাতাসে কেঁপে উঠছে অমীমাংসিত অনেক বিষয়। দাবি তোলা হচ্ছে ন্যায় প্রতিষ্ঠার। বিক্ষোব্ধরা কলম্বাসকে একজন ‘লুটেরা’ হিসেবেই দেখছেন। আর এ কারণেই জর্জ ফ্লয়েডের এলাকা মিনেসোটায় সেইন্টপল থেকে কলম্বাসের মূর্তি উপড়ে ফেলেন তারা। ১৯৩১ সালে নগর কর্তৃপক্ষকে এই মূর্তিটি দিয়েছিলো ইতালিয় আমেরিকানরা।

প্রতিবাদেই ফুঁসে উঠেছে পৃথিবী
প্রতিবাদেই ফুঁসে উঠেছে পৃথিবী

 

ভার্জিনিয়ায় কলম্বাসের আরেকটি মূর্তি ভাঙা হয়। সেটাকে মার্কিন পতাকায় মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে লেকে ফেলে দেয় বিক্ষোব্ধরা। ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের ফ্লোরিডায় কলম্বাসের আরো একটি মূর্তির মাথা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

মূর্তি ভাঙার হিড়িক এখন শুরু হয়েছে ইউরোপেও। বাতাসের প্রথম ধাক্কায় কুপোকাত হয়েছে ইংরেজ দাস ব্যবসায়ী অ্যাডওয়ার্ড কলস্টনের মূর্তি। তিনি রয়েল আফ্রিকান কোম্পানিতে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কালো আফ্রিকানকে আমেরিকায় দাস হিসেবে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। কলস্টনের মূর্তিটি ভাঙার পর এর ঘাড়ের ওপর এক বিক্ষোভকারীকে হাঁটু চেপে থাকতেও দেখা গেছে। পরে মূর্তিটি টেনে-হিঁচড়ে হারবার নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনার পর যুক্তরাজ্যের প্রতিটি রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ভাঙা হয় আরো দাসব্যবসায়ীর মূর্তি। লন্ডনে এই আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শহরের মেয়র সাদিক খান। দাসব্যবসায়ীদের নামে রাখা কয়েকটি সড়কের নাম পরিবর্তন করার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

বর্ণবাদের অভিযোগ থেকে রক্ষা পাননি বৃটেনের সাবেক রানি ভিক্টোরিয়াও। লিডস শহরের হাইড পার্কে তার একটি মূর্তিতে বিক্ষোভকারীরা লিখে দিয়েছে ‘খুনি’, ‘দাস মালিক’। গ্রাফিতি এঁকে লেখা হয়েছে ‘উপনিবেশ স্থাপনকারী’ এবং ‘বর্ণবাদী’। রানি ভিক্টোরিয়ার সময়ই সারা দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় উপনিবেশিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিলো বৃটেন।

পলাশীর যুদ্ধের পর মীর জাফরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন রবার্ট ক্লাইভ। ছবি : পিন্টারেস্ট
পলাশীর যুদ্ধের পর মীর জাফরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন রবার্ট ক্লাইভ। ছবি : পিন্টারেস্ট

 

ভিক্টোরিয়ার মূর্তিতে গ্রাফিতির পর নড়েচড়ে বসেছে বৃটিশ সরকার। হামলার শঙ্কায় দাস ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা আরো লোকের মূর্তি সরাতে ব্যস্ত হয়ে যায় সরকার। এর মধ্যে লন্ডনের পারলামেন্ট স্কোয়ার থেকে নস্টোন চার্চিলের মূর্তি সরানো হয়েছে। পল কুইয়ে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বার্ডেন পাওয়েলের মূর্তি। আর কিছু মূর্তিকে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

‘মূর্তি’ অস্বস্তিতে আছে প্রকৃতিবিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের শহর শ্রæসবেরি। এই শহরে ডারউইনের মূর্তির মতো গুরুত্ব দিয়েই রাখা আছে আরো একজনের মূর্তি। ব্রোঞ্জের তৈরি ওই মূর্তিটি ভারতীয় উপমহাদেশে ঘৃণিত ব্যক্তি সেই রবার্ট ক্লাইভের। পলাশীর যুদ্ধে যার চতুরতার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন নবাব সিরাজ উদ্দৌলা। সেইসঙ্গে উপমহাদেশে নেমে এসেছিলো প্রায় দুইশো বছরের গোলামি। নেমে এসেছিলো ঔপনিবেশিক শোষণ। নির্যাতন। আর এসবের পেছনে ছিলেন সেই কুখ্যাত ক্লাইভ। কিন্তু তাকেই বৃটিশ সা¤্রাজ্যবাদীরা দিয়েছে বীরের সম্মান। ১৭৫৭ সালে উপমহাদেশে কোম্পানির শাসন শুরুর পরের বছর তাকে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সীর প্রথম গভর্নর বানানো হয়। ১৭৬০ সালে বহু সম্পদ লুট করে ৩৪ বছর বয়সে ক্লাইভ ফিরে যান ইংল্যান্ডে। সেখানে একজন ধনকুবের হিসেবেই তাকে চিনতে থাকে লোকেরা। পরে টাকার জোড়ে তিনি এমপি নির্বাচন করেন। এবং নির্বাচনে জয় পান। রবার্ট ক্লাইভ ওই শ্রুসবেরির মেয়রও নির্বাচিত হন। দুই বছর পর তাকে ‘ব্যারন ক্লাইভ অব পলাশী’ উপাধি দেওয়া হয়। তবে সেইসময়ও তার বিরুদ্ধে অপশাসন, দুর্নীতি ও লুন্ঠনের অভিযোগ উঠেছিলো। ইংল্যান্ডে সমালোচনাও হয়েছিলো খুব।

১৭৭৪ সালের ২২শে নভেম্বর ৪৯ বছর বয়সে ক্লাইভকে নিজের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। তবে তার পরিবার এই ধারণাকে উড়িয়ে দেয়।

শ্রুসবেরি শহরে গড়ে উঠে তার মূর্তি। লন্ডনে ফরেন অফিসের সামনে বসানো হয় আরো একটি। ১৯০৭ সালে ভারত থেকে ফিরে লর্ড কার্জন হোয়াইট হলে মূর্তি স্থাপনের সুপারিশ করেছিলেন। পরে লর্ড মিন্টো এর বিরোধীতা করেছিলেন। তিনি ভারতের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে এই কাজটিকে উস্কানি হিসেবেই দেখেছিলেন। কিন্তু এসব আপত্তি সত্তে¡ও ১৯১২ সালে ক্লাইভের মূর্তি উন্মোচন করা হয় হোয়াইটহলে।

সচেতন বৃটিশরা এতো বছর এই মূর্তিগুলো নিয়ে ছিলেন অস্বস্তিতে। এখন সময় এসেছে তাদের। এরা ক্লাইভের সবগুলো মূর্তি সরানোর দাবি জানাচ্ছেন। শ্রæসবেরি শহরের মূর্তিটি সরিয়ে নিতে পিটিশন দাখিল করেছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে চেঞ্জ-ডট-অর্গ -এ কয়েকটি আবেদনপত্র খোলা হয়েছে। এগুলোতে ক্লাইভকে বর্ণবাদী, লুটেরা এবং দুর্বৃত্ত হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাকে বীরের সম্মান দেখানোর কোনো কারণ নেই বলেই দাবি করছেন বিক্ষোব্ধরা।
‘বর্ণবাদী ক্লাইভের মূর্তি সরিয়ে ফেলো’ দাবি জানিয়ে একটি আবেদন করেন ডেভিড প্যাট্রন নামের একজন। তিনি বলছেন, শহর চত্বরের কেন্দ্রে স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ক্লাইভের মূর্তি, কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশে দু’শো বছর ধরে অপশাসনের কেন্দ্রে ছিলো এই লোক। তার যার কারণে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি স্ট্যালিন বা চেঙ্গিস খানের মূর্তি মেনে নিতে না পারি, তাহলে ক্লাইভের মূর্তি মেনে নিচ্ছি কোন যুক্তিতে?’

জনতার এইসব আবেদন পৌঁছেছে শহর কাউন্সিলের কাছে। কাউন্সিলের নেতা পিটার নাটিং বিবিসিকে বলেন, ‘একটি আবেদনে হাজারখানেক সই থাকলে সেটা আমলে নেওয়া হয়। এর যৌক্তিকতা দেখা হয়। পরে ঠিক করা হয় কী করা হবে।’

ক্লাইভের মূর্তি সরানোর আবেদন নিয়ে কাউন্সিলে বিতর্ক হবে বলেও জানান পিটার। বিতর্কে ঔপনিবেশিক এই লজ্জা সরিয়ে নেওয়ার পক্ষই জয়ী হবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।

মূলত বর্ণবাদবিরোধী এই আন্দোলন গোটা পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলেছে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে। বঞ্চিতদের চোখের সামনে তুলে এনেছে নৃশংস অতীত। সেই অতীত নিয়ে অন্যান্য অনেক দেশের মতো খোলাখুলি অবস্থান নিয়েছেন বেলজিয়ামের বিক্ষোব্ধরাও। অ্যান্টওয়ার্প শহরে রাজা দ্বিতীয় লিওপন্ডের একটি মূর্তিতে আগুন ধরিয়ে দেয়েছেন তারা। গেন্ট এবং অসটেন্ড শহরে তার দু’টি মূর্তিতে লেপে দেওয়া হয়েছে লাল রঙ।

রাজা লিওপন্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৮৬৫ সালে তিনি মধ্য আফ্রিকার বিশাল এলাকা দখল করে ঔপনিবেশিক শাসন শুরু করেছিলেন। আর স্থানীয়দের ওপর তার শাসন ছিলো গা শিউরে ওঠার মতো নৃশংস।

বেলজিয়ামে রাজা লিওপল্ডের মূর্তি রয়েছে ১৩টি। এছাড়া তার নামে রয়েছে কিছু সড়ক, স্থাপনা এবং পার্ক। বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে জেগে উঠা মানুষের আক্রোশ এখন এসবের ওপর। এর মধ্যে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দাবির মুখে লিওপন্ডের একটি আবক্ষ মূর্তি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে গোটা দেশকে অত্যাচারী শাসক লিওপন্ডমুক্ত করা খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে