সাইফুল আজমের গল্প, বাংলাদেশি লড়াকু বৈমানিক

সাইফুল আজমের অতীত বর্ণাঢ্য, সাগরের মতো বিশাল - ইন্টারনেট

  • শাহ মুহাম্মদ মোশাহিদ
  • ১৮ জুন ২০২০, ১৭:৩৯

১৪ জুন, রোববার। ঢাকায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭৯ বছর। এই বৃদ্ধ জন্মেছিলেন ১৯৪১ সালে, পাবনা জেলায়।

তাঁর নাম সাইফুল আজম। তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। জানানো হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক এমপি সাইফুল আজমের মৃত্যু হয়েছে। এবং এই মৃত্যুতে কারা কারা শোক প্রকাশ করেছেন তাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম কেবল এতটুকু তথ্য দিয়েই দায় সেরেছে। তবে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম খবরের শিরোনামে ওই বৃদ্ধর নামের আগে ‘লিভিং ইগলস’ লিখে দিয়েছে। সংবাদের শরীরে এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া খেতাব এটি। আকাশপথে সাহসের সঙ্গে যারা লড়াই করেছেন, এমন ২২ জনকে এই খেতাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বৈমানিক সাইফুল আজমও।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খেতাব পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এই খেতাব যখন পেয়েছেন তিনি নিশ্চয়ই বড় মাপের কেউ। সংবাদ স্ক্রল করে নিচের দিকে গেলে পাওয়া যায় তিনি ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের প্রশিক্ষক। বিদেশে তাঁর রয়েছে বিপুল সুনাম।
কেন এতো সুনাম?

কারণ, তিনি চার চারটি দেশের বিমানবাহিনীর হয়ে কাজ করেছেন। আর আকাশ লড়াইয়ে দেখিয়েছেন সাহসিকতা।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এতটুকু তথ্য দিয়েই পরিবেশনা শেষ করেছে। আরো দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্যমে এসেছে তাঁর কিছু সহসিকতার তথ্য। সাইফুল আজম নামের এই বৈমানিক ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে জর্ডানের হয়ে তিন তিনটি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন। এখন পর্যন্ত কোনো পাইলট একা ইসরাইলের এতো বিমান ধ্বংস করতে পারেনি। এই যুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তান বাহিনীতে কর্মরত। সেখান থেকে ডেপুটেশনে তাকে পাঠানো হয় জর্ডান বাহিনীতে। জর্ডান বাহিনীতে এই সাফল্যের পর ইরাক থেকে তাকে চেয়ে পাঠানো হয়। জর্ডান সাইফুল আজমকে ইরাকে পাঠায়। এবং সেখানেও বীরত্ব দেখান।

সাইফুল আজমের বীরত্ব এখানেই শেষ নয়। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে ভারতের যুদ্ধবিমানও ধ্বংস করেন তিনি।

ব্যস, এতটুকুই। এইটুকু পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হয়েছে দুঃসাহসিক এই বৈমানিককে। কিন্তু তার দুঃসাহস যে কতোটা ছিলো, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি তিনি বেঁচে থাকতেও, এমনকি মৃত্যুর পরও। তবে মৃত্যুর পর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত কিছু খবর তার ব্যাপারে কৌতুহলী করে তুলেছে অনেককে।

যখন এই বীরের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে ফিলিস্তিনের মাটিতে, তখন বাংলাদেশে তার প্রতিবেশীদের অনেকেই অবাক হয়েছেন। জানার চেষ্টা করেছেন, তার অতীত।

সাইফুল আজমের অতীত বর্ণাঢ্য, সাগরের মতো বিশাল। আরব-ইসরাইল ছয়দিনের যুদ্ধে মাত্র দুটি আকাশলড়াইয়ে চারটি ইসরায়েলি বিমান ধ্বংস করা সহজ কাজ নয়। এই কঠিন কাজটা তিনি করেছিলেন ফিলিস্তিনীদের জন্য। মুসলমানদের পবিত্র ভূমি আল আকসার জন্য। তাই এই যোদ্ধার মৃত্যুতে ফিলিস্তিনীদের শোক।

ফিলিস্তিনের ইতিহাসবিদ ওসামা আল-আশকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আল-আকসা মসজিদকে রক্ষায় আমাদের এই লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ভাইয়েরা সঙ্গে ছিলো।’

আল-আকসা রক্ষায় এক লড়াকু বৈমানিক- ইন্টারনেট
আল-আকসা রক্ষায় এক লড়াকু বৈমানিক- ইন্টারনেট

 

ফিলিস্তিনের অধ্যাপক নাজি শৌকরি টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘সাইফুল আজম ফিলিস্তিনকে ভালোবাসতেন এবং জেরুজালেমের স্বার্থে লড়াই করেছিলেন।’ শৌকরি সাইফুলকে সালাম জানিয়ে আল্লাহর কাছে তার জন্য অনুগ্রহ চেয়েছেন।

ফিলিস্তিনের আরো অনেকেই তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তার অনন্য বীরত্বের কথা তুলে ধরেছেন।
তাহলে কি এই বীর কেবল ফিলিস্তিনীদের জন্য!

তিনি বাংলাদেশের জন্য কী করেছেন?
যখন পাকিস্তান বাহিনীতে ছিলেন, এই সাইফুল আজম লড়েছেন দেশের জন্য। যখন মধ্যপ্রাচ্যে ছিলেন, লড়েছেন দায়িত্ব আর বিশ্বাসের জন্য। আর একাত্তরের অস্থির সময়ে ছিলেন বাংলাদেশের জন্য।

এবার চলুন ঘুরে আসা যাক তাঁর লড়াকু জীবন থেকে-
তখন ১৯৬৭ সাল। তৃতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ছয় দিনের এই যুদ্ধে চার আরব রাষ্ট্র মিশর, জর্ডান, সিরিয়া ও ইরাকের ওপর তুমুল বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে মিশরের প্রায় গোটা বিমান বাহিনীর সরঞ্জাম উড়ে যায় ধূলোর মতো। সিরিয় বিমান বাহিনীর তিন ভাগের দুই ভাগ শক্তি ধ্বংস হয়। আরব দেশগুলোকে ঘিরে ধরে বিপদ। এর মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা ও সিনাইয়ের দখল নিয়ে নেয় ইসরাইল। পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেমে কোনো প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি তাদের। ইসরাইল দখল নেয় সিরিয়ার গোলান মালভ’মির। শক্তি ও সামর্থ ছিলো আরবদের বেশি। তবে কৌশলে এগিয়ে ছিলো ছিলো ইসরাইল।

ঠিক এই পরিস্থিতিতে একজন বীরের উদয় হয় আরবদের তাঁবুতে। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ের বাঁক বদলে দেওয়া সেই বীর সাইফুল আজম। যিনি পূর্ব পাকিস্তান থেকে ডেপুটেশনে গিয়েছিলেন জর্ডানে। সেই দিনের পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশ।

দিনটি ছিলো জুনের পাঁচ তারিখ। সাইফুল আজম তৈরি হয়ে যান বিমান নিয়ে। শুন্যে তাকে লড়তে হবে ইসরাইলের বিমানের সঙ্গে। এই লড়াইকে ডাকা হয় ‘এয়ারস্পেস ডগ ফাইট’।

বেলা ১২টা বেজে ৪৮ মিনিট। খবর এলো মিশর বিমান বাহিনীর সব সরঞ্জাম গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল। এখন জর্ডানের মাফরাক ঘাঁটির দিকে আসছে চারটি বিধ্বংসী বিমান। এর বিপরীতে মাফরাক ঘাঁটি থেকে উড়লো জর্ডানের দুর্বল চারটি ‘হকার হান্টার’। এর একটির পাইলট সাইফুল আজম।

পাল্টা প্রতিরোধ গড়লেন তিনি। ঈগলের মতো পাখা মেলে দিলেন দখলদারদের গতির সামনে। ‘হকার হান্টার’-এ বসেই সাইফুল আজম নিশানা তাক করলেন। ঘায়েল হলো দুই ইসরাইলি সেনা। একইসাথে মাটিতে ফেলে দিলেন ইসরাইলি এক ‘সুপার মিস্টেরে’ বিমান। আরো একটি আঘাত হানলেন তিনি। প্রায় অকেজো হয়ে এলো ইসরাইলের আরো এক জঙ্গি বিমান। ধোঁয়ার কুন্ডলি পাকিয়ে সেই বিমান পালিয়ে গেলো নিজেদের সীমানায়।

১৯৬৭ সালে ইরাকে সাইফুল আজম ইসরাইলি বিমানকে আক্রমণ করছেন। পেইন্ট করেছেন রেহান সিরাজ - মিলিটারিহিস্ট্রিনাও ডটকম
১৯৬৭ সালে ইরাকে সাইফুল আজম ইসরাইলি বিমানকে আক্রমণ করছেন। পেইন্ট করেছেন রেহান সিরাজ - মিলিটারিহিস্ট্রিনাও ডটকম

 

সাইফুলের এই দুঃসাহসিকতায় মুগ্ধ হন জর্ডানের বাদশাহ হুসেইন। বৈমানিকদের অনুপ্রেরণা দিতে তাঁবুতে এসে হাজির হন তিনি। সেই সন্ধ্যায় সাইফুল আজমকে নিজের গাড়িতে তুলে নেন সুলতান। বাদশাহর সঙ্গে তিনি দেখতে যান আহত দুই সহযোদ্ধাকে।

এই কৃতিত্বের জন্য জর্ডান তাকে ‘হুসাম-ই-ইস্কিলাল’ সম্মাননা দেয়।
ওই ঘটনার দুইদিন পর ইরাকের বিমান বাহিনী জর্ডানের কাছে সাইফুল আজমকে চেয়ে পাঠায়। খবর আসে ইরাক বিমান বাহিনীর ওপর হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। অধিনায়কের ভ’মিকায় থেকে এই হামলা রুখে দিতে হবে আজমকে।

জুন মাসের সাত তারিখ। ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষার দায়িত্ব তাঁর ওপর। সঙ্গে আছেন আরেক পাইলট ইহসান শার্দুম। উড়ে আসে ইসরাইলের চারটি ‘ভেটোর বোম্বার’ ও দুটি ‘মিরেথ থ্রিসি’। এগুলোর বিপরীতে ইরাকও গড়ে তুলে শক্ত প্রতিরোধ। একটি ইসরাইলি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানের ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। সেইসঙ্গে মাটিতে পড়ে যায় দুটি ইরাকি বিমান।

ফুঁসে উঠেন সাইফুল আজম। তিনি নিশানা ঠিক করেন ‘মিরেজ থ্রিসি’ এবং এর পইলট গিডিওন দ্রোর দিকে। পাল্টা আঘাত হানেন তিনি। ক্যাপ্টেন দ্রোর তখন বিমান থেকে প্যারাস্যুট নিয়ে বের হন। পরে তাকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক করা হয়।

সাইফুল আজম আরো একটি ইসরাইলি ‘ভেটোর বোম্বার’ ধ্বংস করেন। সেটার ক্যাপ্টেন গোলান বিমান থেকে বের হয়ে এসে ধরা দেন।

একজন সাইফুল আজম ব্যর্থ করে দেন ইসরাইলি বাহিনীকে। দুইজন যুদ্ধবন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলের কাছে আটক জর্ডান ও ইরাকের হাজারের বেশি সেনাকে মুক্ত করা হয়। ইরাক তাকে দেয় ‘নাত আল-সুজাহ’ সম্মাননা।

আজমের এই বীরত্ব কেবল মধ্যপ্রাচ্যেই ছিলো না। বরং পাকিস্তানের জন্যও বড় বীরত্ব দেখিয়েছিলেন এর দুই বছর আগে। তখন ১৯৬৫ সাল। পাক-ভারত যুদ্ধ চলছে। ‘এফ-৮৬ স্যাবরজেট’ জঙ্গি বিমান নিয়ে তিনি একটি সফল গ্রাউন্ড অ্যাটাক করেন। ফিরে আসার সময় ভারতের হামলার শিকার হয় তার বৈমানিক দল। পাল্টা হামলা করেন সাইফুল। তার নিশানায় একটি ভারতীয় ‘ফোল্যান্ড নেট’ জঙ্গি বিমান আক্রান্ত হয়। যুদ্ধবন্দী হিসেবে আটক করা হয় ফ্লাইট অফিসার মায়াদেবকে।

তখনকার জন্য আকাশপথে সরাসরি লড়াইয়ে এই ঘটনা ছিলো বিরল। এই কৃতিত্বের জন্য পাকবাহিনী তাকে সর্চোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-জুরাত’ দেন।

পাক-ভারত যুদ্ধে বীরত্বের কারণেই তাকে পাঠানো হয় জর্ডানে। তাঁর সঙ্গে গিয়েছিলেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর আরো কয়েকজন পাইলট।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফিরে ১৯৬৯ সালে ‘শেনিয়াং এফ-৬’ জঙ্গি বিমানের ফ্লাইট কমান্ডার হন আজম। পরে পাক বিমান বাহিনীর ‘ফাইটার লিডারস স্কুল’-এর ফ্লাইট কমান্ডারের দায়িত্ব নেন তিনি।

শেষ জীবনে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
শেষ জীবনে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে

 

এর পর তার সামনে এসে দাঁড়ায় আরেক বাস্তবতা, ১৯৭১ সাল। আগেই বলা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরের প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি। আর বিমান ছিনতাইয়ের গোপন পরিকল্পনাটিও তার সঙ্গে আলাপ করেছিলেন মতিউর। এছাড়া করাচি থেকে একটি জেটবিমান ছিনতাই করার পরিকল্পনা ছিলো আজমের। সে অনুযায়ী মার্চের ৬ তারিখে স্ত্রী ও সন্তানকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন তিনি।

‘টি-৩৩’ জঙ্গি বিমান নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহীদ হন মতিউর। এর পর পাক গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহ যায় সাইফুল আজমের দিকে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে টানা ২১ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগেই তার ওপর উড্ডয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার সঙ্গে আরো খারাপ কিছুও হতে পারতো। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য যে বৈমানিক এতোকিছু করেছেন, তাকে হত্যা করতে চায়নি দেশটির সামরিক বাহিনী। কথিত আছে, তাঁকে হত্যা না করার জন্য জর্ডানের বাদশাহর অনুরোধ ছিলো। সে যাই হোক বেশ কিছুদিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হয় আজমকে।

১৯৭২ সালে তিনি ফিরে আসেন বাংলাদেশে। ১৯৭৭ সালে উইং কমান্ডার হন। পরে বিমান বাহিনীর ঢাকা ঘাঁটির অধিনায়ক হন। ডিরেক্টর অব ফ্লাইট সেফটি ও ডিরেক্টর অব অপারেশনস এর দায়িত্বও পালন করে। ১৯৭৯ সালে অবসর নেন সাইফুল আজম।

পরে সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির চেয়ারম্যান, ফিল্ম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের এমডির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯১ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। তার রাজনৈতিক দল বিএনপি। শেষ জীবনে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘নাতাশা ট্রেডিং এজেন্সির’ এমডির দায়িত্ব পালন করেন।

এবং ১৪ জুন এই আকাশযুদ্ধের কিংবদন্তীর মৃত্যু হয় ‘সাধারণ এক বৃদ্ধ’ হিসেবে।

প্রতিবেদনটির ভিডিও দেখুন

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে