হতাশার বাজেট

-

  • ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৫

হতাশার বাজেট
সৈয়দ সামসুজ্জামান নীপু
অনেক দিনের রীতি ভেঙেই গত ২৯ জুন ২০১১-১২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে পাস করা হলো। সাধারণত বাজেট পাস করা হয় অর্থবছরের শেষ দিন ৩০ জুন। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম করা হলো। কারণ বেশ তড়িঘড়ি করেই সংবিধান সংশোধনী বিল ৩০ জুন সংসদে অনুমোদন করার দিন নির্ধারণ করা হয় বলে এ কাজটি করা হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের সদস্যদের অনুপস্থিতির মধ্যেই দুই লাখ ৩২ হাজার ৪৬৪ কোটি আট লাখ ৬৯ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিলটি কণ্ঠভোটে অনুমোদনের মাধ্যমে সংসদে চলতি অর্থবছরে বাজেটটি পাস করা হয়। এর আগের দিন ২৮ জুন পাস করা হয় অর্থবিল-২০১১।
এবারের বাজেটে মোট আকার এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতিই রয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৫ ভাগ।
বাজেটে পাসের পর ব্যবসায়ী মহল থেকে বাজেটকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, তৈরী পোশাক খাতের বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ নেতৃবৃন্দও বাজেটে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তবে সাধারণ সৎ মানুষ তারা কিন্তু বাজেটকে তেমন একটা অভিনন্দন জানাতে পারেননি। অভিনন্দন জানাতে কিছুটা দ্বিধায়ও ছিলেন অর্থনীতিবিদেরাও। কারণ তাদের শঙ্কাÑ সরকার আবারো শেয়ারবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলো। এতে সৎ করদাতারা কর দিতে অনুৎসাহিত হবে। কারণ সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কর দিতে হয় আর কালো টাকাওয়ালারা এখন ১০ ভাগ কর দিয়ে তাদের অসৎ অর্থ সাদা করার সুযোগটি পাবেন। সরকারের এ পদক্ষেপে অসৎ ব্যক্তিরা আরো বেশি করে কালো বা অপ্রদর্শিত অর্থোপার্জনের দিকে ঝুঁকে পড়বেন। কারণ তাদের ধারণা সরকার এর পরও তাদের এ ধরনের সুযোগ দেবে। শুধু তা-ই নয়, কালো টাকা প্রবেশের কারণে শেয়ারবাজার আবারো অতিমূল্যায়িত হবে, নামবে ধস আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ ঘাটতি পরিমাণ ধরা হয়েছে। কিন্তু অর্থবিলের মাধ্যমে শুল্ক কমানোয় ঘাটতির পরিমাণটি আরো বেড়ে যেতে পারে। কারণ বিদেশী সাহায্য প্রাপ্তি হিসাব যেভাবে বাজেটে ধরা হয়েছে সে অনুুযায়ী সাহায্য না-ও পাওয়া যেতে পারে। আর এতে ব্যাংকিং খাতের ওপর সরকারের নির্ভরতা আরো বেড়ে যেতে পারে। যার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে অর্থনীতির মূল শক্তি হিসেবে বিবেচিত বেসরকারি খাতের ঋণপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া। ইতোমধ্যে সরকারের ব্যাংকঋণ বেড়ে গেছে। আর সবচেয়ে ভয়াবহ সংবাদ হচ্ছে সরকার এবার তার ব্যয়নির্বাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও আরো অধিক হারে ঋণ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়েই সরকারকে অর্থ ধার দিয়ে থাকে। এর বিপরীতে কোনো উৎপাদনশীলতা থাকে না। এ কারণেই বাজারে টাকাপ্রবাহ বেড়ে যাচ্ছে, বাড়বে মূল্যস্ফীতিও। ইতোমধ্যে কয়েক মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বিপজ্জনক মাত্রা বলে বিবেচিত ‘ডাবল ডিজিট’ ঘর অতিক্রম করে বসে আছে।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
২৮ জুন জাতীয় সংসদে অর্থবিল-২০১১ উত্থাপনের পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ওপর আলোচনা শুরু করেন। আলোচনায় তিনি নিয়ে আসেন, রফতানি আয়ের ওপর কর ও বাণিজ্যিক ভবনের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব। তার পর অনেকটা অবাক করে দিয়েই তিনি বলেন, এবারের বাজেটে বন্ডে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আমি অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করব এ সুযোগটি যেন শেয়ারবাজারেও দেয়া হয় অর্থাৎ অপ্রদর্শিত আয়ধারীরা ১০ শতাংশ কর দিয়ে তাদের আয় বৈধ করতে পারবেন। অন্য দিকে প্রদর্শিত আয়ধারী বা সৎ লোকেরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে তারা ১০ শতাংশ কর রেয়াত পাবেন। কারণ আমরা জেনেছি দেশে অনেক অপ্রদর্শিত আয় রয়েছে। এ অর্থ বিনিয়োগের ধারায় নিয়ে আসার প্রয়োজন রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে অনেকে সে দিন বেশ খানিকটা অবাকই হয়েছিলেন। কারণ এর আগে আর কোনো প্রধানমন্ত্রী সংসদে সরাসরি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার অনুরোধ করেননি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব বিনা দ্বিধায় মেনে নিয়ে চলতি বাজেটে শেয়ারবাজারে কালো টাকা কর দিয়ে বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলেন।
অর্থনীতিবিদেরা যা বললেন
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা মো: আজিজুল ইসলাম বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ অনৈতিক। আমি একে সমর্থন করি না। আমি যখন উপদেষ্টা ছিলাম তখন এটিকে অনুমোদন দেইনি। তবে তখন যেটি দিয়েছিলাম সেটি হলো, অপ্রদর্শিত আয় যা সঠিক সময়ে প্রদর্শন করা হয়নি, তা উল্লিখিত বছরের আয়কর প্রদান এবং অতিরিক্ত ৭ শতাংশ পেনাল্টি দিয়ে বৈধ করার সুযোগ। কিন্তু এখন যেটা করা হলো, তাতে প্রকৃত করদাতারা অনুৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, এ সুযোগ দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে কতটা বিনিয়োগের আসবে সেটিও একটা প্রশ্নের বিষয়। তা ছাড়া এ ধরনের সুযোগের ফলে কালো টাকার মালিকেরা আবারো সুযোগ প্রত্যাশায় আয় বাড়াতে থাকবে।
শেয়ার ব্যবসায়ীদের মতামত
ডিএসই নেতৃবৃন্দ বলেছেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগসহ ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নানা ছাড় দেশের শিল্পোন্নয়নে গতি বৃদ্ধি করবে। একই সাথে রফতানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি সাধিত হবে এবং ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নও সহজতর হবে। বাজেটে বন্ডের পাশাপাশি শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, এতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে বাজার যাতে আবার অতিমূল্যায়িত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ায় কোনো কাজ হয়নি
এ দিকে গত ২০০৯-১০ অর্থবছরে অপ্রদর্শিত অর্থ চারটি নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগের সুযোগ দিয়ে সরকার প্রত্যাশিত কর পায়নি। ওই অর্থবছরে এক হাজার ৯২৩ জন কর দিয়ে এক হাজার ২১২ কোটি টাকা সাদা করেছেন। সরকার কর পেয়েছে মাত্র ১২১ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।
বাজেটে যত পরিবর্তন
বাজেট পাস করার সময় বেশ ক’টি খাতে শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে। একটি খাতে বাজেট উত্থাপনের সময় শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়া হলেও বাজেট পাসের সময় আগের শুল্কই বহাল রাখা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ব্যবহার্য ফ্ল্যাটের উৎসে আয়কর হ্রাস, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বৃদ্ধি, তামাক রফতানির ওপর শুল্কহার বৃদ্ধি, পোলট্রি খাতে কর অবকাশ সুবিধা বাড়ানো প্রভৃতি। এর পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডারের সরঞ্জামাদি মূল্য কমিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
কমানো হয়েছে রফতানি আয়ের ওপর কর
বাজেটে সব রফতানিকারদের রফতানি মূল্যের ওপর উৎসে আয়কর সংগ্রহের হার শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ বা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশের পরিবর্তে এক দশমিক ৫০ নির্ধারণ করা হয়। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে তৈরী পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে। বাজেট পাস হওয়ার দুই দিন আগে শেষের দু’টি সংগঠন তো হুমকিই দিয়েই বসে প্রস্তাবিত শুল্কহার পরিবর্তন না করা হলে তারা মিল কারখানা বন্ধ করে দেবেন। এদের দাবির প্রতি সাড়া দিয়েই অর্থমন্ত্রী রফতানি মূল্যের ওপর উৎসে কর হ্রাস করেন। এখন থেকে তৈরী পোশাক খাত বাদে সব রফতানিকারকের তাদের রফতানি মূল্যের ওপর শতকরা শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ (৭০ পয়সা) কর দেবেন। অন্য দিকে তৈরী পোশাক রফতানিকারকেরা দেবেন শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ (৬০ পয়সা)।
কমলো বাণিজ্যিক ফ্ল্যাটের করও
বাজেটে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের ভিত্তিতে ফ্ল্যাট বা বিডিং বা স্পেস রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের ওপর বর্ধিত হারে উৎসে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীদের দাবি মুখে ও প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে বাজেট পাসের সময় তা কমিয়ে দেয়া হয়। ফলে ঢাকার গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল ও দিলকুশা বাণিজ্যিক ভবনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটার উৎসে আয়কর ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে আট হাজার টাকা করা হয়েছে। একইভাবে ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, উত্তরা, বসুন্ধরা, ডিওএইচএস, মহাখালী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, কাওরানবাজার এবং চট্টগ্রামের খুলশি, আগ্রাবাদ, নাসিরাবাদ ও পাঁচলাইশে প্রতি বর্গমিটারে উৎসে কর ১৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ছয় হাজার এবং অন্যান্য এলাকার ক্ষেত্রে এই কর পাঁচ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে দুই হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে আবাসিক ভবনের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গমিটারে উৎসে কর বাজেটে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
কর খাতে আরো কিছু পরিবর্তন
অর্থবিল পাসের সময় অর্থ বলেছেন, নিম্নমানের সিগারেটসেবীদের বিভিন্নভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তাই সিগারেটের ওপর আয়কর ৪২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিগারেট কোম্পানির ক্ষেত্রে তা হবে ৩৫ শতাংশ। এতে তামাক সেবন কমানোর লক্ষ্যের দিকে আমরা অগ্রসর হবো। তামাক রফতানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক অব্যাহত রাখা হয়েছে।
ফার্নিচার, মোটরসাইকেল, জাহাজভাঙা শিল্পের ওপর পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পিকআপের বহুমাত্রিক ব্যবহারে শুল্কহার কমানো হয়েছে। পিকআপের ক্যাপাসিটির ওপর নির্ভর করে এক হাজার সিসির ওপর সম্পূরক শুল্ক ছিল না। সেটি প্রস্তাবিত বাজেটে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে তা প্রত্যাহার করে শূন্য করা হয়েছে। একইভাবে সিলিন্ডার ক্যাপাসিটি অনুয়ায়ী পাঁচটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক হার কমানো হয়েছে।
সঞ্চয়পত্রে সুদহার বৃদ্ধি
বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদহারও বাড়ানো হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেছেন, সঞ্চয়পত্র নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। একটি সামাজিক ভ্যালু প্রিমিয়াম দিচ্ছি। পরিবারিক সঞ্চয়পত্র তুলনামূলক বেশি হবে। বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা থাকায় যে বৈষম্য ছিল তা কমবে। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কিছু বাড়ানো হয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ক্রেতা মাসিক ৯২০ টাকা পেতেন। এখন পাবেন মাসে প্রতি লাখে ৯৬০ টাকা। পেনশনার তিন মাসে প্রতি লাখে পাবেন দুই হাজার ৮১৫ টাকা। ওয়েজ আর্নার্স মেয়াদান্তে পাবেন ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ৪৭ হজার ২৫০ টাকা পাওয়া যেত, এখন পাওয়া যাবে ৫৫ হাজার। তিন বছরের মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র তিন মাসে পাওয়া যেত দুই হাজার ২৫০ টাকা। এখন পাওয়া যাবে দুই হাজার ৫৭৫ টাকা। পোস্টালে মেয়াদান্তে পাওয়া যেত ২৭ হাজার টাকা। এখন পাওয়া যাবে ৩০ হাজার ৭৮০ টাকা।
তবে সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হবে। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাড়ানো হলেও এর মধ্যে কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। কারণ সব সঞ্চয় স্কিমের ওপর উৎসে কর ধার্য করা হয়েছে। আগে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও পেনশনারস সঞ্চয়পত্রের ওপর কোনো উৎসে কর ছিল। ফলে সুদের হার বাড়ানো সত্ত্বেও এ ক্ষেত্রে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীরা খুব বেশি একটা লাভবান হবেন না।