যেমন ছিলেন ম্যারাডোনা

ছবিটি এঁকেছেন ফ্যাব্রিজিও বিরিম্বেলি - ফুটবল প্যারাডাইজ ডটকম

  • আহমেদ বায়েজীদ
  • ০৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৪০

ডিয়াগো ম্যারাডোনা। কিংবদন্তী বললেও যাকে কম বলা হবে। শুধু প্রতিপক্ষই নয়, পুরোফুটবল বিশ্বকেই যিনি নাচিয়েছেন দু’পায়ের ছন্দে। ৬০ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন এই ফুটবল জাদুকর। বিস্ময়কর প্রতিভা, দুনিয়া কাপানো সাফল্য যেমন ছিলো, সেই সাথে তাকে নিয়ে ছিলো নানা বিতর্ক। মাঠে কিংবা মাঠের বাইরে- সবখানেই তিনি ছিলেন আলোচনায়।

নাম: ডিয়াগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা

জন্ম: ৩০ অক্টোবর, ১৯৬০

জন্মস্থান : লানুস, আর্জেন্টিনা

উচ্চতা : ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি

পজিশন : অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার

পেশাদার ফুটবলে অভিষেক : ২০ অক্টোবর, ১৯৭৬

আন্তর্জাতিক অভিষেক :১৯৭৭ সালে হাঙ্গেরীর বিপক্ষে

আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান : ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল

ক্লাব পরিসংখ্যান : ৪৯১ ম্যাচে ২৫৯ গোল

অজর্ন: ফিফা যুব চ্যাম্পিয়নশীপ ১৯৭৯, ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৮৬ ও আর্তেমিও ফ্রাঞ্চি ট্রফি ১৯৯৩ জয়। এছাড়া ক্লাব পর্যায়ে নাপোলির হয়ে ৫টি, বার্সেলোনার হয়ে ৩টি ও বোকা জুনিয়র্সের হয়ে একটি শিরোপা জয়।

ব্যক্তিগত অর্জনের তালিকায় আছে বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল, পেলের সাথে যৌথভাবে শতাব্দীর সেরা ফুটবলারসহ অনেক পুরস্কার।

মৃত্যু: ২৫ নভেম্বর, ২০২০

গত চার দশকে বিশ্বব্যাপী ফুটবল উন্মাদনার কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিলেন ডিয়াগো ম্যারাডোনা। এমনকি অবসরের পরও তাকে নিয়ে আলোচনায় কমতি ছিল না। মাঠে যখন বল নিয়ে দৌড়াতেন, মনে হতো আঠা দিয়ে পায়ের সাথে লাগিয়ে রাখা হয়েছে বল। আর দর্শকরাও তখন নিষ্পলক চেয়ে থাকতো ছোট গড়নের ওই মানুষটির দিকে। ড্রিবলিং, পাসিং, প্লেসিং কিংবা প্রতিপক্ষকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া- যারা দেখেছে শুধু তারাই বলতে পারবে ম্যারাডোনা কেন সেরা ছিলেন। এতটা দর্শক উন্মাদনা আর কোন ক্রীড়াবিদকে নিয়ে দেখা যায়নি বিশ্বইতিহাসে।

আর্জেন্টিনার বুয়েনেস আইরেস প্রদেশের লানুস শহরের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম ম্যারাডোনার। চার কন্যা সন্তানের পর মায়ের কোল জুড়ে আসেন তিনি। জন্ম লানুসে হলেও ম্যারাডোনা বেড়ে উঠেছেন ভিয়া ফিয়োরিতো নামের আরেকটি ছোট শহরে। মাত্র ৮ বছর বয়সের সময় বাড়ির কাছের এক ক্লাবের মাঠে খেলতে গিয়ে একটি প্রতিভা অনুসন্ধানী দলের নজরে আসেন ম্যারাডোনা। জায়গা হয় রাজধানী শহর বুয়েনেস আইরেসের ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়রস-এ। সেসময়ই মূলত আর্জেন্টিনার মূলধারার ফুটবল অঙ্গনের নজর পড়ে তার ওপর।

১৯৭৬ সালে ১৬তম জন্মদিনের ১০ দিন আগে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক তার। সেই সাথে আর্জেন্টিনার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন সেদিন। প্রথম ম্যাচেই তার একটি স্কিল দেখে দর্শকরা বুঝে নেয়ে- এই ছেলেটা ফুটবল মাঠে রাজত্ব করতেই এসেছে। এরপর থেকে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ফুটবলে শুরু হয় ম্যারাডোনার রাজত্ব।
১৯৭৮ সালে বিশ^কাপের স্বাগতিক ছিলো আর্জেন্টিনা। ঘরোয়া ফুটবলে এতটাই দাপট দেখিয়েছেন যে, দেশজুড়ে দাবি উঠলো ম্যারাডোনাকে বিশ্বকাপের দলে নেয়ার। কোচ লুইস মেনোত্তির যুক্তি ছিলো,১৭ বছরের একটি কিশোরকে বিশ্বকাপে নামানো হলে হলে তার ক্যারিয়ারটাই শেষ হয়ে যেতে পারে। কোচের সেই জেদটাই হয়তো শেষ পর্যন্ত আশীর্বাদ হয়েছিল তার ক্যারিয়ারের জন্য।
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে পরিণত হয়ে খেলতে নামেন আকাশী-সাদা জার্সি গায়ে। তার আগেই অবশ্য ওই সময়ের রেকর্ড ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ইউরো ট্রান্সফার ফিতে তাকে দলে ভেড়ায় স্পেনের এফসি বার্সেলোনা। স্পেনে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। দুই মৌসুম পর ম্যারাডোনা যোগ দেন ইতালির নেপলস শহরের ক্লাব নাপোলিতে।

ম্যারাডোনা যাওয়ার পরই ক্লাবটি যেন গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৮৪ সালের ৫ জুলাই ম্যারাডোনাকে বরণ করতে উপস্থিত ছিলেন ৭৫ হাজার সমর্থক। সে সময় ইতালিতে সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চল ও দারিদ্রপীড়িত দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে ছিলো প্রচÐ বিভেদ। দারিদ্রতার মাঝে শৈশব কাটানো ম্যারাডোনাও হয়তো অনুন্নত নেপলস শহরে খুঁজে পান নিজের ঠিকানা। শুধু ফুটবল নয়, পুরো শহরটিকেই আপন করে নিয়েছিলেন তিনি।

ম্যারাডোনার খেলা পুরো সময়টাতেই ইতালির ফুটবলে প্রচন্ড দাপট ছিলো নাপোলির। মধ্যম সাড়ির একটি ক্লাব ম্যারাডোনার ছোঁয়ায় হয়ে ওঠে বিশ্বসেরা। পরবর্তীতে নাপোলি তাদের টিম থেকে ম্যারাডোনার সম্মানে ১০ নম্বর জার্সিটিকে চিরদিনের জন্য অবসরে পাঠিয়েছে। এখনো নেপলসের রাস্তায় ম্যারাডোনর ম্যুরাল দেখা যায় এখানে সেখানে। এরই মধ্যেই অবশ্য আর্জেন্টিনার হয়েও কাজের কাজটি করে ফেলেছিলেন ফুটবল জাদুকর।

১৯৮৬ সালে বলতে গেলে একাই আর্জেন্টিনাকে ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিত সে আসরের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে পরাস্ত করে ম্যারাডোনার দল। তবে আসরের সবচেয়ে আলোচিত ছিলো কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি। ফকল্যান্ড যুদ্ধের ঘা তখনো শুকায়নি আর্জেন্টাইনদের মন থেকে। ম্যাচের আগের দিন সতীর্থদের ডেকে ম্যারাডোনা বললেন, আমাদের অর্থ নেই। অস্ত্র শস্ত্র নেই। আছে দারিদ্রতা, আর ফুটবল। এটাই আমাদের প্রতিশোধ নেয়ার হাতিয়ার হতে পারে।

সতীর্থদের বললেন বটে; কিন্তু মাঠে ১ লাখ ১৫ হাজার দর্শকের সামনে যা করার করলেন একাই। সেই ম্যাচে ম্যারাডোনার করা দুটি গোল ফুটবল ইতিহাসে দুই রকমভাবে বিখ্যাত হয়ে আছে। ম্যাচের ৫১ মিনিটে যে গোলটি করেন, সেটি আসলে হাত দিয়ে বল পাঠিয়েছিলেন জালে। চারজনকে কাটিয়ে নিজেই বল নিয়ে ঢোকেন ইংল্যান্ডের সীমানায়। সামনে ডিফেন্ডারদের দেয়াল দেখে ডান প্রান্তে এক সতীর্থকে পাস দেন। ইংল্যান্ডের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করতে গেলে শূণ্যে উঠে যায় বল। হেড করার ভঙ্গিমায় লাফিয়ে উঠে হাত দিয়ে বলটি ঠেলে দেন ইংল্যান্ডের জালে।

সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে দ্রুত ব্যাপারটি ঘটে যায়। তাই কাছে থাকা ইংলিশ গোলরক্ষক ছাড়া কেউ বুঝতেই পারেনি বিষয়টি। রেফারি গোলের বাশি বাজান। পরবর্তীতে ম্যাচের ভিডিও দেখে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ম্যারাডোনা বলেন, সেটি ছিলো ঈশ্বরের হাত। তবে সেই গোলের মাত্র ৪ মিনিট পর দেখান তার সেরা জাদুটি। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে দৌড়ে যাওয়ার পথে ৫ ফুটবলার এবং শেষশেষ গোলরক্ষককেও কাটিয়ে বলটি ঠেলে দেন জালে। প্রথম গোলটি নিয়ে যত কথাই হোক, দ্বিতীয় গোলটি শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে স্বীকৃতি পায় ফুটবল দুনিয়ায়। সেবার ম্যারাডোনার হাতেই ওঠে বিশ্বকাপ।

চার বছর ইতিহাসের পূনরাবৃত্তি প্রায় করেই ফেলেছিলেন; কিন্তু ৯০ এর ফাইনালে জার্মানি ম্যারাডোনাকে খেলতে না দেয়ার পণ করেই মাঠে নেমেছিল। ফাউলের পর ফাউল করে রীতিমতো ছিনিয়ে নিয়েছে কাপটা। সেবার ম্যারাডোনার কান্না ঢেউ তুলেছিল সারা বিশে^র ভক্তদের হৃদয়ে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপটা এসেছিলে ম্যারাডোনার বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের জন্য কালিমা হয়েই। সেবার গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিলো তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। ডোপ টেস্টে পজেটিভ প্রমাণিত হওয়ার পর আর ফেরা হয়নি ফুটবলে। আর্জেন্টিনাও সেবার বিদায় নেয় দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে।

নাপোলিতে থাকার সময়ই কোকেনে আসক্ত হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞাও পেয়েছিলেন একবার। তার জের ধরেই নাপোলি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন স্পেনের সেভিয়াতে। বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে পজেটিভ হওয়ার পর ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার জার্সিতে ফেরার; কিন্তু এর বদলে আরো উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আজেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের হয়ে খেললেও ছিলেন আসলে নিজের ছায়া হয়ে। আগের ম্যারাডোনাকে আর ফিরে পাওয়া যায়নি মাদকের ছোবলের কারণে। শেষ পর্যন্ত বিদায়ই বলে দেন ফুটবল ক্যারিয়ারকে।

ফুটবল ছাড়ার পর কোচিংয়ে যুক্ত হন ম্যারাডোনা। ২০০৮ সালে কোচ হন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের। ২০১০ বিশ্বকাপে খাদের কিনারে চলে গিয়েও শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় তার শিষ্যরা। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নেয় লিওনেল মেসির দল। খেলোয়াড় হিসেবে যতটা সফল ছিলেন, কোচিংয়ে এসে অবশ্য সেই সাফল্যের ছাপটা ফেলতে পারেননি। খামখেয়ালি স্বভাব, জেদ, উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনও তার গতিপথকে অনেক সময়ই ব্যহত করেছে। সেটি যেমন খেলোয়াড়ি জীবনে, তেমনি খেলার পড়েও। আইনি ঝামেলাও পোহাতে হয়েছে অনেকবার। এর বাইরেও ম্যারোডোনর অন্য পরিচয় আছে। তিনি ছিলেন মুক্তিকামী নিপীড়িত মানুষের বন্ধু। সত্য উচ্চারনে ছিলেন সাহসী। বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের জন্য তার অবস্থান ছিলো খুবই স্পষ্ট।

অনেক বিষয়ের মতো রাজনীতি নিয়েও প্রচন্ড সচেতন ছিলেন ম্যারাডোনা। ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের প্রতি তার ছিলো ভালোবাসা। নিজেকে মনে করতেন ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতার একজন। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে জড়িয়ে ধরে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, হৃদয় থেকে আমি একজন ফিলিস্তিনি।

রাশিয়ার মস্কোয় ওই বৈঠকে ম্যারাডোনা মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট আব্বাসের একটি দেশ রয়েছে, সেই দেশটিরও আছে অধিকার। এই মানুষটি ফিলিস্তিনে শান্তি চায়।

ম্যারাডোনা আশা করতেন ফিলিস্তিন একদিন বিশ্বে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বৈঠকের পর নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে মাহমুদ আব্বাসকে আলিঙ্গনের ছবিও শেয়ার করেন ম্যারাডোনা। ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবরে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক রামজি বারুদ বলেন, ম্যারাডোনাকে শুধু ভালোই বাসা যায়। তার সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু বলা যায় না।

সব সময়ই মুক্তিকামী জনতার পক্ষে ছিলেন এই ফুটবলার। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতির সমালোচক ম্যারাডোনার সমর্থন ছিলো লাতিন আমেরিকার বামপন্থী আন্দোলনের প্রতি। কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো ছিলেন তার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ভেনেজুয়েলার সাবেক নেতা হুগো শ্যাভেজের সাথেও মতাদর্শিক সম্পর্ক ছিলো তার।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকান্ডের সমালোচক ছিলেন ম্যারাডোনা। এজন্য ২০১৭ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়নি ট্রাম্প প্রশাসন। ভিসা আবেদনের সাক্ষাৎকারে ম্যারাডোনার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে তোমার কী ধারণা?’

জবাবে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ট্রাম্পকে তিনি একজন ‘চিরোলিটা’ অর্থাৎ পুতুল মনে করেন। এর আগে রাশিয়ান টিভি চ্যানেল আরটির এক অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ট্রাম্প তার কাছে এক কৌতুকের মতো। যখনই তিনি টেলিভিশনে ট্রাম্পকে দেখেন, চ্যানেল বদল করে ফেলেন।

ভক্তরা বলেন ম্যারাডোনার ছিলো সব ক্ষেত্রে স্টাইল। তার ঔদ্ধত্যই ছিলো তার সৌন্দর্য। বল নিয়ে দৌড়ানোর মাঝেও যেটি চোখে পড়তো; কিংবা কোচ হিসেবে ডাক আউটে দাড়ালেও। মাঠের বাইরে রাজনীতি নিয়েও সাহসী কথা বলতে তিনি ছিলেন অনন্য। সব কিছুইর সমাপ্তি রেখা টেনে দিল মৃত্যু।

বিডিভিউজ-এ প্রকাশিত লেখার স্বত্ব সংরক্ষিত। তবে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে সূত্র উল্লেখ করে ব্যবহার করা যাবে



আরো