ইসরাইলের সাথে আট আরব দেশের লজ্জাহীন সম্পর্ক

ইসরাইলের পতাকা- সংগৃহীত

  • মেহেদী হাসান
  • ০১ মার্চ ২০২০, ১৩:৪২

আরব দেশগুলো ইসরাইলের সাথে সম্পর্কের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে না। ইসরাইলের সাথে প্রকাশ্য বা যে কোনো গোপন সম্পর্কের প্রসঙ্গ সামনে আসলে তারা চট করে তা অস্বীকার করে। কিন্তু বাস্তাবতা আশ্চর্যজনকভাবে ভিন্ন। তেল আবিবের সাথে তাদের আঁতাত বেশিদিন গোপন রাখা যায়নি। এ সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনার ব্যাপারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজে গুরুত্ব ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ইসরাইল আরব দেশগুলোর সাথে ব্যাপক পরিসরে গোপন সম্পর্ক রক্ষা করে চলে।
ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ড্যানি ইয়াটম সম্প্রতি মিডল ইস্ট আইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইরসাইল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অধিকাংশ বিষয় এখনো গোপন । তবে তাদের মধ্যে এখন খোলাখুলি সম্পর্ক স্থাপনের দিকে গড়াচ্ছে পরিস্থিতি।

আরবি ভাষায় ইসরাইলের সরকারি রেডিও ২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এক খবর প্রচার করে। এতে বলা হয় সৌদি রয়াল কোর্টের একজন আমির গোপনে ইসরাইল সফর করেছেন। এ সফরে ভবিষ্যত শান্তি বজায় রাখা নিয়ে ইসরাইলের উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে তাদের আলোচনা হয়। রহস্যময় এই সফরকারী কে তা পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি হলেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নিজে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলেল একজন সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে এ তথ্য প্রকাশ করেন।

তবে ইসরাইলের সাথে সৌদি আরবের সম্পর্ক এর চেয়ে আরো গভীরে। সৌদি আরব ২০১৮ সালে ইসরাইলের কাছ থেকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের গোয়েন্দা সামগ্রী ক্রয় করে। আল খালিজ অনলাইনে এ বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ গোয়েন্দা সামগ্রী ক্রয়ে মধ্যস্থতা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্রয়কৃত গোয়েন্দা সরঞ্জাম পরিচালনার বিষয়ে সৌদি একটি টিমকে ইসরাইল কর্তৃক প্রশিক্ষনের পাশপাশি কৌশলগত সামরিক বিনিময় এ ক্রয় চুক্তির অন্তর্ভুক্ত। এর আগে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে ইসরাইলের।

ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ড্যানি ইয়াটম জানিয়েছেন আইএসের উত্থানের পর সৌদিআরব শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতার কথা অনুভব করে। তারা ট্রাম্পের ওপর আস্থা হারায় এবং ইসরাইলের সাহায্যের শরনাপন্ন হয়। এ ঘটনা ইসরাইল কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি । অথচ সৌদি আরবের দাবি ছিল ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে দখলকৃত ভূমি থেকে ইসরাইলকে সরে যেতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের সাথে নিবিড় যোগযোগ রক্ষা করে চলে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইরান বিষয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা। একই সাথে আছে মিশরের ঘনিষ্ট যোগাযোগ।
২০১৮ সালের আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের এনএসও গ্রুপের সাথে চুক্তি করে ভিন্ন মতাবম্বীদের ওপর গোয়েন্দাগিরি চালানোর জন্য। স্পাইওয়ার ব্যবহার করে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ফোনকে নজরদারি ডিভাইসে পরিণত করে এ গোয়েন্দাগিরি করা হবে। একই হ্যাকিং প্রক্রিয়া পরবর্তীতে সৌদি আরব ব্যবহার করে জামাল খাসোজির ওপর নজরদারি ও হত্যার ক্ষেত্রে । এর ঠিক পরপরই ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যখন ওমান সফর করেন তখন ইসরাইলের সংস্কৃতি মন্ত্রী মিরি রাগেভ চার দিনের সফরে যান আবু ধাবিতে।

রাগেভ একজন কট্টর রক্ষনশীল এবং বর্ণবাদী নারী হিসেবে পরিচিত। এমনকি ইসরাইলের মধ্যেও উসকানিমূলক বর্ণবাদী বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আবু ধাবির সফরের দ্বিতীয় দিন তাকে নেয়া হয় শেখ জায়েদ গ্রান্ড মসজিদ দেখতে।
বিতর্কিত বিভিন্ন বক্তব্য, কর্মকান্ডের জন্য ইসরাইলে সমালোচিত এ মন্ত্রী। সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে দেখা গেছে তাকে ঘিরে সমর্থকরা গণহত্যায় উসকানিমূলক স্লোগান দিচ্ছে। এ মন্ত্রী অভিবাসীদের ক্যান্সার হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
রাগেভের আবুধাবি সফরের সময় প্রথমবারের মত সেখানে বাজানো হয় ইসরাইলের জাতীয় সঙ্গীত। একই মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল উতাইবা বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কের একটি সম্মেলনে। একই সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পরিচালক ইউসি কোহেন এবং সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদেল আল জুবায়ের।
দীর্ঘকাল ধরে ইসরাইলের ত্রাস ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট জামালা আবদেল নাসের। ইসরাইলের সাথে কোনো শান্তি নয়, ইসরাইল বিষয়ে কোনো আপোস নয়, ইসরাইলের সাথে কোনো সমঝোতা নয় এ নীতি ১৯৫০ থেকে ৬০ এর দশক পর্যন্ত মেনে চলেছেন মিশরের অবিসংবাদিত নেতা জামাল আবদেল নাসের।

কিন্তু নাসেরের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণ পাল্টে যেতে থাকে ইসরাইলের সাথে মিশরের সম্পর্ক। মিশর হলো প্রথম কোনো আরব দেশ যে স্বীকৃতি দেয় ইসরাইলকে। ১৯৭৯ সালে এক চুক্তির মাধ্যমে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়ার আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত ১৯৭৭ সালে ইসরাইল সফরে যান এবং ইসরাইলের সংসদে বক্তব্য রাখেন।
মিশর-ইসরাইলের সেই সম্পর্ক আজ আরো অনেক গভীর এবং বহুমাত্রিক। মিশরের সহায়তায় আজ ইসরাইল নিয়মিত বিমান হামলা চালাচ্ছে উত্তর সিনাইয়ে। ২০১৮ সালে ইসরাইল থেকে গ্যাস আমদানির জন্য ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে মিশর। ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির পর থেকে মিশরের শীর্ষ জেনারেলরা ঘণিষ্ঠভাবে কাজ করছে ইসরাইলের জেনারেলদের সাথে। মিশর ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে ঘণিষ্ঠভাবে।

জর্ডান-ইসরাইল সম্পর্ক সরাসরি। নিরাপত্তার জন্য জর্ডানকে দরকার ইসরাইলের। আর পানি এবং অর্থনীতির কারনে ইসরাইলকে দরকার জর্ডানের। একই রকম ঘনিষ্ট সর্ম্পক আছে ওমানের সাথে।
ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোশে ইয়ালুন ফাঁস করেছেন জর্ডান-মিশর- ইসরাইল এক গোপন আতাতের কথা। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, মিশরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল সিসি , জডানের বাদশা আব্দুল্লাহ দ্বিতীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এক গোপন বৈঠক করেন আকাবায়। যেখানে ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোশে ইয়ালুন অংশগ্রহণ করেন নেতানিয়াহুর সাথে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র ইমানুয়েল নাশন জর্ডানকে ইসরাইলের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ ছাড়া জর্ডানকে সব ধরনের সহযোগিতা ও সহায়তার জন্য ইসরাইল প্রস্তুত বলে জানান তিনি।
জর্ডানের সাথে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের যোগাযোগ মন্ত্রী আইউব কারা বলেন, অনেক আরব দেশের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক রয়েছে বিশেষ করে মিশর এবং জর্ডানের সাথে।
২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সফর করেন ওমান। বৈঠক করেন ওমানের সুলতান কাবুসের সাথে। তার আগের দিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন সফরে বৈঠক করেন মাহমুদ আব্বাসের সাথে।
১৯৯৪ সালের পর থেকে ওমান ইসরাইলের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে। এ ছাড়া আরবের অন্যান্য দেশের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সময় মধ্যস্ততরার ভূমিকা পালন করেছে ওমান। আরব ও উত্তর আফ্রিকার আরো দুটি দেশ মরোক্ক ও বাহরাইনের সাথেও ঘনিষ্ট যোগাযোগ রক্ষা করে ইসরাইল।
নেতানিয়াহু মরক্কোর সাথে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এ চুক্তি অনুসারে বিবদমান পশ্চিম সাহারায় মরক্কোর সার্বভৌমত্ব স্বীকৃতি দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা জন্য গোপন বৈঠক বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মরক্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রী নাসের বৌরিত মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।

ইন্টেলিজেন্স অনলাইন অনুযায়ী গত জানুয়ারি মাসের শেষে মরক্কোর আর্মি ইসরাইল থেকে তিনটি ড্রোন ক্রয়ের জন্য ৪৮ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে। ১৯৮৬ সালে মরক্কোর রাজা হাসান দ্বিতীয় মিশরের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রী শিমন পেরেজেকে আমন্ত্রন জানান মরক্কো সফরের। এর আগে মিশরের আনোয়ার সাদাত হলেন প্রথম আরব নেতা যে তার দেশে প্রথম বারের মত ইসরাইলের কোনো শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন। ১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুযায়ী মরক্কো ইসরাইলের সাথে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। এ জন্য মরক্কো লিয়াজো অফিসও চালু করে। এ লিয়াজো অফিস ২০০০ সাল পর্যন্ত চালু ছিল।  আরব দেশগুলোর মধ্যে ইসরাইলের প্রতি অন্যতম নতজানু একটি দেশ হলো বাহরাইন। বাহারাইনের সাথে ইসরালের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আর কোনো গোপন বিষয় নয় । আর এ ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক চলে আসছে কম পক্ষে ১৯৯০ সাল থেকে।
দুই দেশের গোপন অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক ক্রমে খোলামেলা রুপ নিচ্ছে। আর উভয় দেশের মধ্যে রয়েছে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্টবেশ কিছূ ক্ষেত্র আর অভিন্ন সমস্যা। অভিন্ন সমস্যার মধ্যে এক নম্বর হলো ইরান। উভয় দেশ ইরানকে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে। ২০১৯ সালের আগস্টে ইসরাইল কর্তৃক ইরাক, লেবানন এবং সিরিয়ায় সামরিক হামলার মধ্য দিয়ে ইসরাইল-বাহরাইন গভীর আতাত প্রকাশ্যে আসে এবং দুই দেশ আরো ঘণিষ্ঠ হয়। এমনকি তিনি ইসরাইলের আত্মরক্ষার নামে এ হামলার বৈধতা দিতে গিয়ে জাতিসংঘের ধারা ৫১ এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন।

ইসরাইলের সাথে সুদানের আগে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিলো না। ফিলিস্তিন ইস্যুতে সুদান বেশ সোচ্চার ছিলো। কিন্তু জেনারেল ওমর হাসান আল বশির সরকার পতনের পর পরিস্থিতি বদলে যাচ্ছে
ভয়েস ওভার-৫ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সুদানের অন্তর্বর্তী কাউন্সিল প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান গত ৩ ফ্রেবুয়ারি উগান্ডায় দুই ঘন্টা গোপন বৈঠক করেছেন। এ বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত নেতানিয়াহু । বৈঠকের সফলতা প্রকাশ করতে গিয়ে দ্রুত এক টুইট বার্তায় তিনি একে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উভয় দেশের সহযোগিতা বিষয়ে ঐতিহাসিক এক চুক্তি করেছেন নেতানিয়াহু এবং বুরহান। ইসরাইলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
সুদানের উচ্চ পদস্থ এক সামরিক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেন, এ বৈঠকে মধ্যস্থতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তা ছাড়া সৌদি আরব এবং মিশরও অবহিত ছিল এ বৈঠক বিষয়ে। অথচ এই সুদান এক সময় ছিল কট্টর ইসরাইল বিরোধী একটি দেশ।
উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, ওমানসহ অন্যান্য আরব দেশের সাথে নতুন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ইসরাইল। আর এ লক্ষ্যে তারা বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো ইসরাইল ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে অনাক্রমন চুক্তি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো ইসরাইল থেকে সৌদি আরব পর্যন্ত রেলনেটওয়ার্ক স্থাপন।

ইসরালের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে উপসগারীয় দেশগুলার অনাক্রমন চুক্তির উদ্যোগ গ্রহনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে গত বছর অক্টোবর মসে। অপর গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ইসরাইল থেকে সৌদি আরব পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের বিষয়ে প্রকাশ করা হয়েছে গত বছর। তবে সম্প্রতি এটি নতুন গতি পেয়েছে। রেললাইনটি ইসরাইল থেকে জর্ডান হয়ে সৌদি আরব প্রবেশ করার কথা রয়েছে। ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক টুইট বার্তায় ইসরাইল-আরব অনাক্রমন চুক্তি বিষয়ে বলেন, এ চুক্তি আরব দেশগুলোর সাথে ভবিষ্যৎ শান্তি চুক্তির পথ খুলে দেবে। সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির নতুন মোড়, আরব বসন্তের পর এ অঞ্চলে ইরানের আধিপত্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসরাইল ও আরবদেশগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বিষয় এক ও অভিন্ন স্বার্থ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে যা তাদের মধ্যে খোলাখুলি সম্পর্ক স্থাপনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।