চীন দাবি করছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জিপিএস সিগনালকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। যাতে চীন তাদের প্রয়োজনে মিসাইল ছোড়ার সময় কোনো সুবিধা না পায় এবং লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত মিসাইলগুলো যেন যেতে না পারে। এরপর থেকে চীন ১৯৯৬ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে বেইডোও আবিস্কারের জন্য কাজ শুরু করে
ড্রোন শিল্পে নতুন সরবরাহকারী দেশ হিসেবে চীনের আবির্ভাব ঘটেছে। ২০১১ সালের পর থেকে চীন সংযুক্ত আরব আমীরাত ও পাকিস্তানসহ বেশ কিছু দেশের সাথে ইউএভি ড্রোন বিক্রি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। এরপর থেকে ইউএভি রফতানি মার্কেটে চীনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয় ফ্র্যাংকলিন রুজভেল্টের আমলে। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাট দলীয়। তৎকালীন রিপাবলিকান নেতারা বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে ছিলেন। সে আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই রুজভেল্ট যুদ্ধে অংশ নেন। যদিও ১৯৪১ সালে জাপান পার্ল হার্বারে হামলা চালানোর কারনে রুজভেল্টের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়
তুরস্কভিত্তিক স্ট্র্যাটেজিক এফেয়ার্স বিশেষজ্ঞ ইফতিখার গিলানি মনে করেন, জনমত বা জনগণের চাওয়ার ওপর ভিত্তি করে কোনো দেশই তার বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন করে না। বরং নীতিনির্ধারকরা সবসময় তার দেশের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বৈদেশিক কৌশল নির্ধারণ করেন
একটু পেছনে ফিরে তাকালেই আমরা দেখবো, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো তার দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি চিরাচরিত মার্কিন কায়দায় পাকিস্তানকে তুলাধুনা করেন। তার মুখেও সেই একই গৎ পাকিস্তান তালিবান নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প যখন এ অভিযোগ করছেন তখনও পাকিস্তান কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে