বদলে যাচ্ছে সাংবাদিকতার চিরচেনা জগত


  • আনিসুর রহমান এরশাদ
  • ২১ মার্চ ২০২১, ০৯:১৪

প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে সাংবাদিকতার চিরচেনা জগতকে। মাল্টিপ্লাটফর্মের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হচ্ছে সংবাদমাধ্যমকে। কনটেন্ট পৌঁছাতে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তৈরি হয়েছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বহু সংবাদ সংস্থার জন্য সংবাদ তৈরি করছে। মুদ্রিত সংবাদপত্র মারা গেছে কিংবা মারা যাচ্ছে। অনেক সংবাদপত্রই গবেষকের বিশ্লেষণের পরিবর্তে সফ্টওয়্যার দিয়ে বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করছে। এমন অবস্থায় ব্যয় কমাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের কারণে অনেক সাংবাদিকের চাকরিই বিপদের মুখে পড়ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাংবাদিকতা শিল্পকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। রোবট সাংবাদিকতার এমনভাবে উত্থান ঘটতে যাচ্ছে, এরা শুধু সংবাদ লিখবেই না উন্নততর বিশ্লেষণ যুক্ত করে মানসম্মত স্মার্ট কনটেন্ট তৈরি করবে। সফ্টওয়্যারই সাংবাদিকতা ও মিডিয়া খাতে ক্রমবর্ধমান ভূমিকা পালন করবে। ইতোমধ্যেই সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোম্পানির ত্রৈমাসিক আয়ের প্রতিবেদন সম্পর্কিত তথ্য বিশ্লেষণ করে নিবন্ধ তৈরি করতে অটোমেটেড ইনসাইটস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেছে ।

বুদ্ধিমান কম্পিউটার বা এ আই যে শুধু প্রচুর ডেটা বিশ্লেষণ করতে পারে, তা নয়। এটি অনেক মানুষের ভিড় থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং তার সত্যতাও যাচাই করতে পরে। মিডিয়া আউটলেট ইতিমধ্যেই এআইয়ের মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেক বা সত্যতা যাচাই করছে রয়টার্স। সামাজিক মাধ্যমে ব্রেকিং নিউজ ট্র্যাক করতে এবং টুইটের সত্যতা যাচাই করতে তারা নিউজ ট্রেসার ব্যবহার করছে।

প্রশ্ন হলো একজন সাংবাদিকের জায়গা কি একটি কম্পিউটার দখল করতে পারে? এটি সাংবাদিকতা পেশার ক্ষেত্রে একইসাথে একটি বড় উদ্বেগ আবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসাবে দেখা দিয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত কম্পিউটার ও রোবটগুলি খুব শীঘ্রই মানুষের জায়গা দখল করবে না। তবে মিডিয়াতে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনেক কাজকেই সহজ করবে সফ্টওয়্যার। এদের সহায়তায় অল্প মানুষও বেশি কর্মীর কাজ করে ফেলবে। আরও ভালো কাজ করতে রোবট সহায়তা করবে।

স্মার্টফোন ব্যবহার করে সাংবাদিকতার ধারণাটি মিডিয়া ইন্ড্রাস্টিতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও স্মার্টফোন ব্যবহার করে একজন গণমাধ্যমকর্মী কিভাবে দ্রুত সংবাদ প্রচারে এগিয়ে থাকতে পারেন সে বিষয়ে রীতিমতো পাঠদান হচ্ছে। একজন সাংবাদিকের স্মার্টফোন ব্যবহার করেই ফটোগ্রাফি, ছবি এডিটিং, ভিডিও জার্নালিজম, রেডিও সাংবাদিকতা, সংবাদ সম্পাদনা, তথ্যচিত্র তৈরি, ইনফোগ্রাফিস তৈরি, নিউজ লেখা, ই- মেইল করা, মানুষের ইন্টারভিউ নিয়ে কর্মস্থলে সংবাদ প্রতিবেদন-সাক্ষাৎকার পাঠানো, যার যার প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সার্ভারে আপলোড করা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট-নিউজ শেয়ার করার সাংবাদিকতাই মোবাইল জার্নালিজম।

সাংবাদিকতাকে আমূল বদলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আছে। রোবট সাংবাদিকতা বিষয়টা সামনের দিনে জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠবে। মাইক্রোসফট তাদের এমএসএন ওয়েবসাইটের সংবাদ বাছাইয়ের জন্য সাংবাদিকের বদলে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে। এমএসএন সাইটের খবর, ছবি ও শিরোনাম সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে চাকরি হারায়েছেন। রোবট কিভাবে আগামি দিনে সাংবাদিকতা বদলে দেবে আসুন জেনে নেই সে সর্ম্পকে কিছু তথ্য।

প্রযুক্তিগতভাবে সামনের ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে জাপানের কর্মক্ষেত্রে ৪৯ শতাংশ কাজ করে দেবে রোবট। সাধারণ সাংবাদিক আর রোবট সাংবাদিকের কাজে তুলনা করে দেখা গেছে, রোবট সাংবাদিক জিয়াও ন্যানজিয়াও ন্যান অনেক বেশি বেশি তথ্য মনে রাখতে পারে। কপিও দ্রুত লিখতে পারে। তবে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নিতে শেখেনি। প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে নিজে প্রশ্ন তৈরি করতে পারে না। নিউজ অ্যাঙ্গেল, অর্থাৎ কোনটা খবর সেটাও ধরতে পারে না। তবে রোবটও এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি ফুটবল ম্যাচে গ্যালারি ভরা দর্শকের আবেগ নিয়ে প্রাণবন্ত রিপোর্ট করতে সক্ষম।

স্বতস্ফূর্ত ও স্বপ্রণোদিত হয়ে গণমানুষের খবর ও তথ্য সংগ্রহ, পরিবেশন, বিশ্লেষণ এবং প্রচারে অংশগ্রহণের ফলে বাড়ছে সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা। যেকেউ আধুনিক প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর-তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, পরিবেশন, বিশ্লেষণ এবং প্রচারে অংশগ্রহণ করেন। মালিক পক্ষের স্বার্থ, বহুজাতিক কোস্পানিসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানে প্রভাবমুক্ত হওয়ায় এবং এজেন্ডা সেটিং এর ভূমিকা নেই।

তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বৈশ্বিক তথ্যগ্রামে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গণমাধ্যম। ঢুকে পড়েছি নাগরিক সাংবাদিকতার যুগে। কোনো এক নাগরিক সাংবাদিকের মুঠোফোনে তোলা ভিডিও চিত্র নিয়ে হৈচৈ পড়ে যাচ্ছে পৃথিবী জুড়ে। ফেসবুকের একটি স্টাটাস হয়ে উঠছে সংবাদপত্রের লিডস্টোরী। স্মার্টফোন ইউজাররাই হয়ে উঠছেন নতুন যুগের সাংবাদিক। কনটেন্ট নির্মাতা।

মোবাইলের মাধ্যমে যখন তখন রিয়েল টাইমে লাইভ স্ট্রিমিং করা সহজ। বিশ্বজুড়ে কনভারজেন্স জার্নালিজমের কথা হচ্ছে। সাংবাদিকতার এই নতুন ধারনার হাওয়া এসে লেগেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও। আমরা এমন অনেক ঘটনা দেখেছি, যেখানে সাধারন জনগণ ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেছেন, আর তার পরপরই সেটি হয়ে উঠেছে টক অব দ্যা টাউন ! স্মার্টফোন ভিত্তিক কনভারজেন্স টেকনোলজির ফলে এখন উন্নত, অনুন্নত সব দেশেই কনভারজেন্স জার্নালিজম দেখা যাচ্ছে।

বার্তা সংস্থা এসোসিয়েট প্রেসের ওয়ার্ডস্মিথ সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলেজভিত্তিক খেলাধুলার প্রতিবেদনগুলো নিজেই তৈরি করে। বিশেষ অ্যালগরিদম বা কম্পিউটারের ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন তৈরি করে ওয়ার্ডস্মিথ সফটওয়্যার। করপোরেট আয়ের রিপোর্ট নিয়ে প্রতিবেদন রচনায় এর সক্ষমতা একজন মানুষের তুলনায় ১০ গুণ বেশি। নিয়মিত সরকারি ঘোষণা, সব পরিসংখ্যান, প্রেস বিজ্ঞপ্তি-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবটের হাতে চলে যাবে।

সফটওয়্যার প্রতিবেদককে বরং বিভিন্ন জটিল হিসাব, পরিসংখ্যান ইত্যাদি ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে। তবে সাংবাদিকদের জন্য এআই রোবট নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে, যখন এআই প্রযুক্তিটি আরো উন্নত হয়ে নাক গলাতে শুরু করবে সম্পাদকীয়, তুলনামূলক বিশ্লেষণ ও মানুষের আগ্রহমূলক সংবাদগুলোতে। চায়নাতে রোবট প্রতিবেদকরা প্রবন্ধও লিখছে।

লেখার ক্ষমতাসম্পন্ন সফটওয়্যারটির নাম কুইল। এটি সংখ্যাভিত্তিক তথ্য-উপাত্তকে লিখিত প্রতিবেদনে রূপ দিতে পারে। বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর মতো একাধিক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে কুইল প্রযুক্তি কাজে লাগিয়েছে। সফটওয়্যার যদি ভালো বাক্য লিখতে পারে, মানুষের পরিশ্রম অনেকটাই কমে যায়। তাই সাংবাদিকতা ও প্রতিবেদন লেখার ক্ষেত্রে দক্ষ মানবকর্মীর বিকল্প হিসেবে সফটওয়্যারের ব্যবহার অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।

কয়েকটি বড় বার্তাকক্ষ এবং সংবাদ সংস্থা কিছু দিনের জন্য খেলাধুলা, আবহাওয়া, শেয়ারবাজারের গতিবিধি এবং করপোরেট পারফরম্যান্সের মতো খবরাখবর তৈরির ভার কম্পিউটারের হাতে ছেড়ে দিয়েছিল। যথার্থতা ও ব্যাপকতার বিচারে মেশিন, কিছু সাংবাদিকের চেয়ে ভালো কাজ করেছে। অনেক সাংবাদিক যেসব ক্ষেত্রে প্রায়ই একটি মাত্র উৎসের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরি করেন, সেখানে সফটওয়্যার বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য খুঁজে এনে, সেই তথ্যের ধরন ও প্রবণতা বুঝে, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ব্যবহার করে সেই প্রবণতাকে প্রাসঙ্গিকতার সঙ্গে মিলিয়ে- বিশ্লেষণ, উপাধি ও রূপকসহ আধুনিক বাক্য গঠন করতে পারে।

ডেটা থেকে স্টোরি তৈরি মূলত খেলাধুলা এবং আর্থিক খাতের রিপোর্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটা সাংবাদিকদের রুটিন বা গৎবাঁধা কাজ থেকে মুক্ত রাখে, দক্ষতা বাড়ায় এবং খরচ কমায়। ওয়াশিংটন পোস্ট খেলাধুলা এবং নির্বাচনী রিপোর্টিং-এর জন্য নিজেদের তৈরি প্রযুক্তি হেলিওগ্রাফ ব্যবহার করছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস পাঠকের মতামত মডারেশনের জন্য জিগ্সের তৈরি পারসপেকটিভ এপিআই টুল ব্যবহার করে। সাংবাদিকদের জন্য রয়টার্স কানেক্ট নামের প্ল্যাটফরমটি রয়টার্সের সকল কনটেন্ট, আর্কাইভ, এমনকি তাদের বিশ্বজোড়া পার্টনারদের পাঠানো কনটেন্টও রিয়েল টাইমে প্রদর্শন করে। এছাড়া হালনাগাদ এবং ঐতিহাসিক ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রভাবিত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং দর্শকদের যুক্ত করতে পারে নিউজ হুইপ। এপি সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড পর্যবেক্ষণ এবং এনগেজমেন্ট বাড়াতে নিউজহুইপ ব্যবহার করে থাকে। কিভাবে সফটওয়্যার সাংবাদিকতায় ব্যবহার হচ্ছে সে জেনে নেই আরো কিছু তথ্য

দর্শকদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে কোয়ার্টজ বট স্টুডিওর চ্যাটবট অ্যাপ্লিকেশনটি কাজ করে। এটি তার ব্যবহারকারীদেরকে ঘটনা, ব্যক্তি, বা স্থান সম্পর্কে প্রশ্ন পাঠানোর সুযোগ দেয় এবং সেটি প্রাসঙ্গিক কনটেন্টসহ জবাবও পাঠায় প্রশ্নকর্তাকে। গার্ডিয়ান-এর মতো অনেকেই ফেসবুক মেসেঞ্জারের জন্য বট ব্যবহার করে। বিবিসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের গণভোট কভারের জন্য বট ব্যবহার করেছিল।

স্বয়ংক্রিয় তথ্য যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সফটওয়্যার ব্যবহার হচ্ছে। আর্জেন্টিনার তথ্য যাচাই প্রতিষ্ঠান চেকেডো এজন্য ব্যবহার করে চেকেবোট। ফুল ফ্যাক্ট ইউকে এবং তার পার্টনাররা একটি স্বয়ংক্রিয় ফ্যাক্ট-চেক ইঞ্জিন তৈরি করছে, যা এরই মধ্যে যাচাই হয়ে যাওয়া দাবি চিহ্নিত করবে এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও সুবিন্যস্ত ডেটা ব্যবহার করে যেসব দাবি এখনো যাচাই হয়নি সেগুলো শনাক্ত ও যাচাই করবে।

তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে কোনো পরিবর্তন, প্যাটার্ন বা অস্বাভাবিকতা অনুসন্ধান করে সফটওয়্যার। রয়টার্সের লিংকস ইনসাইট বড় আকারের ডেটাসেটে গিয়ে সেখান থেকে ফলাফল এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা সরবরাহ করে সাংবাদিকদের।

সাংবাদিকতায় ইমেজ রিকগনিশনযে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। যে প্রযুক্তি ছবি থেকে বস্তু, এলাকা, মানুষের মুখ, এমনকি অনুভূতিকেও শনাক্ত করতে পারে। নিউ ইয়র্ক টাইমস ছবি থেকে কংগ্রেস সদস্যদের শনাক্ত করতে আমাজন-এর রিকগনিশন এপি আই ব্যবহার করে। যে-কোনো ব্যবহারকারী বিনামূল্যে গুগল এর ভিশন এপিআই ইমেজ রিকগনিশন প্রযুক্তি পরীক্ষা করতে পারেন।

স্বয়ংক্রিয়ভাবে খবর থেকে স্ক্রিপ্ট এবং ফুটেজ থেকে ছোট ছোট টুকরো কেটে ধারা বর্ণনাসহ ভিডিওর রাফ-কাট তৈরি করা যায়। এই কাজে ইউএসএ টুডে, ব্লুমবার্গ এবং এনবিসি ব্যবহার করে উইববিটজ নামের একটি সফটওয়্যার। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও স্বয়ংক্রিয় ভিডিও সম্পাদনা টুল তৈরি করছেন।

দর্শকদের প্রতিক্রিয়া ধারণ করা যাবে মাইক্রোফোন ও ক্যামেরার মাধ্যমেই। প্রতিক্রিয়া জানতে পারলে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ-সিদ্ধান্ত-পরিকল্পনা নেয়া যেতে পারে। আইবিএম এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট ওয়াটসন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে মুখের অঙ্গভঙ্গি থেকেই মৌলিক মানবিক অনুভূতিগুলি সনাক্ত করতে পারে। কম্পিউটার দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও ব্যাপকভাবে বিশ্লেষণ করতে এবং রিপোর্ট করতে পারবে। এভাবেই বদলে যাচ্ছে আগামি দিনে সাংবাদিকতা। কমতে যাচ্ছে মানুষ নামের সাংবাদিকের সংখ্যা।