সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মেরুকরণে আমিরাত ইসরাইলের দিকে ঝুঁকেছে আর কাতার ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে তুরস্কের। ইরানের সাথেও সুসর্ম্পক বজায় রেখে চলছে। ইসরাইল অবশ্য আমিরাতকে অস্ত্র দেবে কিনা সেটি জটিল প্রশ্ন, কারণ আরব রাষ্ট্রগুলো শক্তিশালী হোক সেটি তেল আবিব কখনো চায় না
সমর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই সময়ে যুদ্ধের ময়দানে আজারবাইজানের এমন সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে তিনটি ফ্যাক্টর : প্রযুক্তি, কৌশল ও তুরস্ক। একজন রিসার্চ অ্যানালিস্ট একেবারে খোলাখুলিই বলেন, আজারবাইজানের প্রতি তুরস্কের সমর্থনই আগের সংঘাতের সাথে এবারের যুদ্ধের গুণগত পার্থক্য গড়ে দিয়েছে
নয়াদিল্লি পুরনো মিগগুলোকে হটিয়ে সে জায়গায় নতুন নতুন বিমান সংযুক্ত করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে রাফালেই ছিল তাদের প্রথম পছন্দ। কেননা, রাফালে বিমানগুলো আকাশপথে আধিপত্য বজায় রাখতে পারে। তাছাড়া এই বিমানগুলো আভ্যন্তরিন ব্যবস্থাপনা, বিমান নিয়ন্ত্রণ, ভূমি থেকে সমর্থন, শত্রু এলাকার ভেতরে ঢুকে হামলা, শত্রুর ভাসমান জাহাজে হামলা এবং পারমাণবিক প্রতিরোধ মিশনও পরিচালনা করতে সক্ষম
আজারবাইজান যখন উৎসবে মাতোয়ারা, আর্মেনিয়া তখন বিক্ষোভে উত্তাল। পরাজয় স্বীকার করে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানের বিবৃতির পরই দেশটির রাজধানী ইয়েরেভ্যানের রাজপথে নেমে আসতে থাকে ক্ষুব্ধ জনতা। তারা একটি সরকারি ভবনের সামনে সমবেত হয়, ঢিল ছুঁড়ে ভবনের জানালা ভেঙে ফেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে
আর্মেনিয়াকে নিয়ে নতুন করে বিশ্বজুড়ে আরেক বিতর্ক শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার সেনারা এবারের যুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ গুচ্ছ অস্ত্রভান্ডারের প্রয়োগ করেছে অথবা সরবরাহ করেছে। মূলত আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ২৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বারদা শহরে হামলার সময় আর্মেনিয়া এ নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি