ন্যাটোর সাম্প্রতিক সম্মেলনে যে কৌশলপত্র গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে প্রাথমিক প্রতিপক্ষ হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই রাশিয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইউক্রেন কেন্দ্রিক চলমান সঙ্ঘাতের ঘিরে এটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু কৌশলপত্রের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে চীনকে নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে বেইজিংকে ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। মূলত চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা চলছে, সেখানে একক শক্তিতে টিকতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্র এখন ন্যাটোকে চীনের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে চাচ্ছে। কিন্তু যে সব যুক্তিতে চীনকে ন্যাটোর প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, সেগুলো সঠিক নয়। চীনের বিরুদ্ধে পশ্চিমা শিল্পকে ধ্বংসের অভিযোগ তোলা হয়েছে, যেটা অবাস্তব। মূলত পশ্চিমারাই বিশ্বে মুক্তবাজার অর্থনীতি নিয়ে এসেছে এবং চীন সেখানে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেছে। বৈধ নিয়মে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে যুক্তরাষ্ট্র এখন চীনকে তাদের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া যখন ইউক্রেন অভিযান শুরু করে, তখন জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েছিল প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকির সরকার। বহু ইউক্রেনিয় নাগরিক তখন জন্মভূমিকে রক্ষার জন্য সোচ্চার হয়েছিল। এখন যুদ্ধের চার মাস পরেও রাশিয়ার অগ্রগতি থামানো যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা বাড়তে শুরু করেছে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যারা বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে খুবই সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ফ্রন্টলাইনে সেনাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই। অনেকে চাঁদা তুলে ফ্রন্টলাইনের স্বজনদের জন্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কিনে পাঠিয়েছেন। এদিকে, সেনা পরিবারের সদস্যদেরকে অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার বাধ্য করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
রাশিয়ার সমরাস্ত্র শিল্পে ১৩শ’র বেশি কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্টানে এখন ২০ লাখেরও বেশি লোক নিয়মিত কাজ করছে। প্রতিরক্ষা কোম্পানীর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হলো রোসটেক। ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই এই কোম্পানীটি প্রতিষ্ঠা করেন।
রাশিয়া তার নতুন হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রদর্শনী করার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্বের মানুষ সিরিয়ার মাটিতে রাশিয়ান অস্ত্রের শক্তি দেখেছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী মূলত প্রতিরক্ষামূলক। বিদেশী আগ্রাসন মোকাবেলা করে বড় ধরণের কোনো যুদ্ধে না জড়ানো দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য।