ইরানের অত্যাধুনিক ড্রোনও মার্কিন অবরোধের আওতায়


  • আহমাদ আব্দুল্লাহ
  • ০৭ আগস্ট ২০২১, ১৪:৩৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ইরানের সম্প্রতি আবিষ্কৃত নতুন ধরনের আগ্রাসী ড্রোন এবং গাইডেড মিসাইলের বিরুদ্ধে নতুন করে একগুচ্ছ অবরোধ আরোপ করার পরিকল্পনা করছে। যদিও ইরানের সাথে পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে একটি আলাপ-আলোচনা চলমান রয়েছে, তারপরও মার্কিন প্রশাসন এ ধরনের আক্রমণাত্মক সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। মূলত মধ্যপ্রাচ্যে স্থাপিত মার্কিন সেনাঘাঁটি এবং অন্যান্য মিত্র দেশের জন্য ইরানের এই নতুন ড্রোনটি হুমকি হয়ে উঠতে পারে- এ আশঙ্কায় এই অবরোধ আসতে যাচ্ছে। ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই খবরটি প্রকাশ করেছে।

মার্কিন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, নতুন এই অবরোধটি আরোপ করার মাধ্যমে ইরানের ক্রয়-সংক্রান্ত নেটওয়ার্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হবে। পাশাপাশি, যে পার্টস দিয়ে ড্রোন এবং গাইডেড মিসাইলগুলো নির্মিত হয়, সেগুলোর আমদানি বন্ধ করার জন্যও প্রয়াস চালানো হয়। তেহরান যাতে কোনোভাবেই এ ড্রোনগুলো নির্মাণ করতে না পারে, অবরোধের মাধ্যমে তা-ই নিশ্চিত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, যদি ইরান ২০১৫ সালে প্রণীত পারমাণবিক চুক্তিকে পুরোপুরি মানতে সম্মত হয়, তাহলে যেসব অবরোধ তুলে নেওয়া হবে, ড্রোনবিরোধী অবরোধ তার থেকে ভিন্ন হবে।
অর্থাৎ ইরান থেকে বিদ্যমান অন্যান্য অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও এ অবরোধটি তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর আগে জুলাই মাসের শুরুতে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালে আরেকটি খবর প্রকাশিত হয়, যা থেকে জানা যায় যে, যদি ইরান পারমাণবিক প্রকল্প সংক্রান্ত আলোচনা থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে বাইডেন প্রশাসন চীনে ইরানের তেল রফতানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। ইরানের তেল রফতানিতে ষষ্ঠবারের মতো নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় গত জুন মাসের ২০ তারিখে। নতুন করে আবারও কোনো অবরোধ বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কিনা, তা পারমাণবিক প্রকল্প সংক্রান্ত সংলাপের ভবিষ্যতের ওপর নির্ভর করছে।

পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মীরা ইরানের ক্রমবর্ধমান ড্রোন সক্ষমতা নিয়ে আতঙ্কে পড়ে গিয়েছেন, কেননা তাদের ধারণা এই ড্রোন ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে অন্যরকম প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দেবে এবং গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। এমনিতেও ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধি এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রোগ্রাম পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে ইরানের মিসাইল প্রকল্পগুলোর ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েক দফায় অবরোধ আরোপ করেছে। তবে, এবার ইরানের অস্ত্রগুলো নির্মাণে প্রয়োজনীয় কাঁচামালের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তারা দাবি করছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং মিত্রদেশগুলোর স্থাপনার ওপর ইরানের গাইডেড মিসাইল ও ড্রোনের আক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ে অনেকটাই বেড়েছে। এ বিষয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল বেশ কয়েকবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে, কিন্তু তার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

মূলত বাইডেন প্রশাসন একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো ইরানের তেল স্থাপনাগুলোর ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা। পাশাপাশি, তেহরানকে আগের তুলনায় কিছুটা হলেও নরম করা, যাতে দেশটি ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি সংক্রান্ত সমঝোতার বিষয়ে সম্মত হয়। কিন্তু ইরান সরকার বিষয়গুলোকে এভাবে দেখছে না। তারা তখনই পারমাণবিক প্রকল্পের ব্যাপারে পুরোপুরি নমনীয় হবে যদি ইরান বিদ্যমান সকল অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞাকে প্রত্যাহার করে নেয়। একইসাথে, ইরানের মিসাইল প্রকল্পগুলোকেও যেন চলমান রাখতে দেওয়া হয়। সেই সাথে, ইরানের ইসলামিক রিভোলিউশনারি গার্ড এবং আল কুদস ফোর্সকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যে তকমা দেওয়া হয়েছে, তা যেন তুলে নেওয়া হয়।

বাইডেন প্রশাসন ইরানের এ প্রস্তাবে পুরোপুরি একমত নয়। তাদের মতে, ইরান যেসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বলছে, তার অনেকগুলোই সরাসরি পারমাণবিক প্রকল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক নয়। বিশেষ করে, আঞ্চলিক বিভিন্ন ইস্যুতে ইরান যেভাবে সম্পৃক্ত হচ্ছে তা নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে।

আর ব্যালিস্টিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি শুধুমাত্র ইরানের ক্ষেত্রেই নেতিবাচক নয়। বরং যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো দেশের ক্ষেত্রেই নতুন করে ব্যালিস্টিক প্রকল্প পরিচালনার বিরোধী। মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলছেন, ড্রোন এবং গাইডেড মিসাইলের বিষয়ে তারা যে অবরোধ আরোপ করছেন, তা কোনোভাবেই পারমাণবিক সংলাপের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।

মার্কিন প্রশাসনের এবারের অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের বেশ কিছু প্রাথমিক নিদর্শন এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এরইমধ্যে ইয়েমেনে ইরানের মদদপুষ্ট হুথি কর্মকর্তা এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেছে। হুথি সেনারা ইরানের আবিষ্কৃত ড্রোন এবং মিসাইল ব্যবহার করছে বলে মার্কিনিদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য ট্রেজারি বিভাগের মুখপাত্রকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ইরানের এই অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের সক্ষমতা প্রথমবারের মতো সামনে আসে ২০১৯ সালে। সে বছরই ড্রোন হামলার কারণে সৌদি আরবের পরিশোধিত তেলের উৎপাদন অর্ধেক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব এ হামলার জন্য বরাবরই ইরানকে দায়ী করে আসছে।

এই ঘটনার কয়েক মাস পর ওয়াশিংটন ইরানের ইস্ফাহান শহরের কাছে একটি ড্রোন ফ্যাক্টরিতে হামলার পরিকল্পনা করে। সে সময়ে ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানির নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে বেশ টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে, ইরানের দীর্ঘ সময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব দাবি করছে, বিগত কয়েকমাসে শতাধিকবার ব্যালিস্টিক মিসাইলের আক্রমণের শিকার হয়। একইসঙ্গে, ইয়েমেনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর তরফ থেকেও সৌদি আরব বিমান আক্রমণ, ছোট ড্রোন এবং ক্রুজ মিসাইলের আক্রমণের শিকার হয়। গত মে মাসে ইসরাইলের আগ্রাসী আক্রমণের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস যখন প্রতিরোধ আন্দোলন পরিচালনা করে, তখনও ইরানের ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নানামুখী অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞার পরও ইরান এরইমধ্যে মনুষ্যবিহীন আকাশযান নির্মাণের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণভাবে একটি নির্মাণ কাঠামো গঠন করে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এ বছরের শুরুতে একটি প্রতিবেদনে ইরানের এ সক্ষমতার বিষয়ে চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করে। তবে, নানামুখী নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালকে ছিন্ন করেই ইরান নিজেদের প্রয়োজনীয় ড্রোন নির্মাণের জন্য সাবসিস্টেম, অন্যান্য কম্পোনেন্টস, ইঞ্জিন, মাইক্রো ইলেক্ট্রনিকসগুলো অন্যান্য চ্যানেলগুলো দিয়ে নিয়মিতভাবেই আমদানি করে এসেছে। মার্কিন প্রশাসন এবার এই চ্যানেলগুলোকেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে। পোল্যান্ডের লজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রবার্ট জুলডা মনে করেন, মার্কিনিদের এ সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ইরানের প্রতিরক্ষাখাতের সরবরাহ চেইনকে যথেষ্ট দুর্বল করে দেবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ হিসেবে সরাসরি সংঘাত এড়িয়ে বরং ইয়েমেন, সিরিয়া এবং ইরাকে ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করতে চাইছে। তবে মার্কিন প্রশাসনে থাকা ইরানবিরোধী কর্মকর্তারা বাইডেন প্রশাসনের এই ‘ধীরে চলো’ নীতিতে সন্তুষ্ট নয়। তারা চাইছে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইরানের যে কথিত অস্ত্র কাঠামো রয়েছে তার মূলোৎপাটন করতে। পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইসরাইলি কর্মকর্তারা দাবি করছেন, ইরানের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত হিজবুল্লাহও এখন গাইডেড মিসাইল এবং ড্রোন নির্মাণ শুরু করছে আর এক্ষেত্রেও তারা সহযোগিতা পাচ্ছে ইরান থেকে।

সামরিকখাতে ইরানের উন্নতি পশ্চিমা মহলের জন্য অনেক বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে গেছে। কেননা, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক স্থানেই তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনা রয়েছে। আর ইরান ছাড়া এ অঞ্চলের কোনো দেশই পশ্চিমা নীতির বা পশ্চিমা স্থাপনাকে আক্রমণ করার কথা ভাবতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের রাজতান্ত্রিক শাসকেরা যেখানে পশ্চিমাদের তোষণ করে হলেও ক্ষমতায় থাকতে ব্যস্ত, সেখানে ইরান নিজেরা যেমন মার্কিনিদেরকে হুমকি দিচ্ছে, সেইসাথে বিভিন্ন দেশে থাকা ইরানের প্রক্সি সংগঠন ও সংস্থাগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশগুলোকে সবসময়ই এক ধরনের চাপের মুখে রেখে দিয়েছে। ইরানের অস্ত্রগুলোর দাম কম, ঝুঁকি কম কিন্তু এগুলোর প্রভাব ও ক্ষতি করার সক্ষমতা অনেক বেশি।

তাছাড়া ইরানের সমর্থনে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক জায়গায় অস্ত্রের মজুদ ও নির্মাণ কাঠামো তৈরি হওয়ায় পশ্চিমারাই উল্টো আশঙ্কায় থাকে যে, কখন ইরানের নির্দেশনায় তাদের সরবরাহের পাইপলাইনে হামলা হয়ে যায়। ইরান দাবি করছে, তাদের হাতে এখন এমন ড্রোন আছে, যা ৪ হাজার ৪০০ মাইল পথও অতিক্রম করতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো সামরিক স্থাপনা ও মিত্রদেশগুলোর ঘাঁটি যে স্থায়ী বিপদের আশঙ্কায় পড়ে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামরিক সেনা মোতায়েনেরও কিছুটা প্রয়োজন আছে। তাই যদিও প্রেসিডেন্ট বাইডেন চলতি বছরের মধ্যেই ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাইডেন কিছু সেনা ইরাকে শেষ পর্যন্ত রেখে দেবেন, যাতে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায় এবং ইরাকের পাশাপাশি ইরানের তেল স্থাপনাগুলোর ওপরও এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়।

প্রাক্তন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত পিটার ফোর্ড মনে করেন, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিনিরা যে কৌশল নিয়েছেন, ইরাকেও তারই পুনরাবৃত্তি করবেন। অর্থাৎ অনেক বেশি পরিমাণে সেনা মোতায়েন না রাখলেও কিছু সংখ্যক সেনা ময়দানে থেকে যাবে, যারা প্রক্সি ফোর্সের ভূমিকা পালন করবে। তাহলে এ প্রক্সি সেনারা ইরাকের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে পারবে। পাশাপাশি, ইরাকের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলার সম্ভাবনাও এতে কমে আসবে। সেই সাথে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাতে হামলার একটি প্রচ্ছন্ন হুমকিও এই সেনা উপস্থিতির মধ্য দিয়ে থেকে যাবে।

ইরানকে যদি এভাবে চাপে না রাখা যায়, তাহলে তারা কোনোভাবেই পারমাণবিক সংলাপে নরম হবে না। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রাস ফ্রিম্যান মনে করেন, ইরাকে সেনা মোতায়েন না রেখেও যুক্তরাষ্ট্র তার উদ্দেশ্য হাসিল করতে পারবে। প্রশাসনের ভেতর এরকম নানামুখী মতামত থাকলেও ইরানের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেন, তা বোঝার জন্য আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।