সমুদ্রসীমা বিরোধে ভেঙে যাচ্ছে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক!


  • মেহেদী হাসান
  • ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৫৭

ভারতের সমুদ্রসীমায় অনুমতি ছাড়া অপারেশন পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী। এ অপারেশন নিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ভারত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সাম্প্রতিক উষ্ণ সম্পর্ক শুধু শীতল নয় বরং বিরোধে গড়াতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র অতীতেও ভারতের জলসীমায় অপারেশন পরিচালনা করেছে। কিন্তু, ভারত কোনো প্রতিবাদ করেনি। ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। এবার শুধু আনুষ্ঠানিক বিবৃতি নয়, স্পষ্টভাবে দাবি করেছে, তারা ওই অঞ্চলে ভারতের ‘অতিরিক্ত সমুদ্রসীমা দাবি’কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ওই অঞ্চলে মুক্ত এবং স্বাধীন নৌচলাচলে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত।

ভারতের গণমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এ বিবৃতিকে উচ্চপর্যায়ের অস্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়ে এবার চীনের মতো ভারতের সাথেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে চীনবিরোধী চার দেশীয় কোয়াড গঠনের উদ্যোগসহ এ অঞ্চল ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের অন্যান্য পরিকল্পনাও ভেস্তে যেতে পারে।

ভারতের লাক্ষা দ্বীপ এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র অপারেশন পরিচালনা করেছে। ভারত তাকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অপর দিকে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে এটি আইনের পরিপন্থী নয় বরং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তারা অপারেশন পরিচালনা করেছে। এ থেকে লাক্ষা দ্বীপ এলাকায় সমুদ্র সীমা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে।

গত ১৯ মার্চ ভারত সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন ভারতকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র নীতির প্রধান স্তম্ভ হিসেবে অভিহিত করেছন। সেখানে এত দ্রুত সামরিক বিরোধে অনেক বিশ্লেষক বিস্মিত হয়েছেন। অনেকের মতে বঙ্গোপসাগর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যত পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এ ঘটনার মাধ্যমে।

৭ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তাদের রণতরী ইউএসএস জন পল জোনস ভারতের লাক্ষা দ্বীপের পশ্চিমে ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন পরিচালনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এ রণতরী যে এলাকায় অপারেশন পরিচালনা করেছে সেটি ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন। আর যুক্তরাষ্ট্র সেখানে অপারেশন চালানোর আগে ভারতের অনুমতি নেয়নি। ভারতের দাবি এ অপারেশন আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।

সপ্তম নৌবহরের ৭ এপ্রিল বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে লাক্ষা দ্বীপের ১৩০ নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে ইউএসএস জন পল নৌচলাচল অধিকার এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। আর এক্ষেত্রে তারা ভারতের পূর্বানুমতি নেয়নি। আর এ অনুমতি না নেওয়াটা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন অথবা মহাদেশীয় শেলফে সামরিক মহড়া বা সমরাসজ্জার জন্য পূর্বানুমতির যে দাবি ভারত করেছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত নৌ চলাচলের অধিকার, স্বাধীনতা এবং সমুদ্রের আইনগত ব্যবহার সমন্বত করেছে। আর এর মাধ্যমে ভারতের অতিরিক্ত সমুদ্র সীমা দাবিকেও চ্যালেঞ্জ জাননো হয়েছে।

সপ্তম নৌবহরের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে উচ্চারণ করা হয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি। এতে বলা হয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে প্রতিদিন অপারেশন পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র নেভি। সব অপারেশনই আন্তর্জাতিক আইন সামনে রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর যেখানেই আন্তর্জাতিক আইনে অনুমতি আছে সেখানেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান উড়বে, রণতরী চলবে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বল হয়েছে, আমরা নিয়মিতভাবে ফ্রিডম অব অপারেশন পরিচালনা করছি। এটি আমরা অতীতে করেছি এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। ফ্রিডম অব অপারেশন একটি দেশের বিষয় নয়। এ নিয়ে তাদের রাজনৈতিক বক্তব্য দেয়ারও কিছু নেই।’

সপ্তম নৌবহরের বিবৃতি বিষয়ে ভারতের নৌপ্রধান এডমিরাল অরুন প্রকাশ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এখানে ঝামেলা রয়েছে। ১৯৯৫ সালে ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন অনুমোদন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সেটা এখনো করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের ভারতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মহড়া পরিচালনা ভারতের অভ্যন্তরীন আইন ভঙ্গের খারাপ নজির। আর এটা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন আপনারা? যুক্তরাষ্ট্র নেভি দয়া করে আইএফএফ সুইচ অন করুন। আইএফএফ মানে আইডেন্টিফিকেশন, ফ্রেন্ড অর ফো।

যুক্তরষ্ট্রের এ ধরনের অপারেশনের পেছনের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভারতীয় নৌপ্রধান। দক্ষিন চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্র যখন ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন পরিচালনা করে তখন তারা চীনের প্রতি বার্তা দিতে চায় যে, দক্ষিন চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ ঘিরে যে সমুদ্র সীমা দাবি করে তা বাড়াবাড়ি। কিন্তু সপ্তম নৌবহর তাদের মহড়ার মাধ্যমে ভারতের কাছে কী বার্তা দিদে চাচ্ছে?

ভারতের অবস্থান হলো অনুমতি ছাড়া সে তাদের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে কাউকে সামরিক মহড়া পরিচালনা করতে দেবে না। ভারতের পরররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে কূটনৈতিক চ্যানেলে।

নয়া দিল্লি বলেছে এ অভিযান পরিচালনা বিষয়ে আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা যথাযথ কূটনৈতিক চ্যানেলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ইউএসএস পল জোনস এর পারস্য উপাসাগর থেকে মালাক্কা প্রনালী পর্যন্ত যাতায়াত নিয়মিত পর্যবেক্ষন করা হয়েছে।
ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান হলো জাতিসংঘের এ আইন অন্য দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোন এবং কন্টিনেন্টাল শেল্ফে উপকূলীয় দেশের অনুমতি ছাড়া সামরিক মহড়া, সমরসজ্জার অনুমতি দেয় না।’

ভারতীয় আইন দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস, কন্টিনেন্টাল শেলফ, এক্সক্লুসিভ ইকনোমিক জোন এন্ড আদার মেরিটাইম জোনস এক্ট ১৯৭৬ এ বলা হয়েছে- সাবমেরিন এবং বিভিন্ন আন্ডার ওয়াটার ভিহিক্যালসহ যুদ্ধ জাহাজ ছাড়া সব ধরনের বিদেশী জাহাজ ভারতের জলসীমা দিয়ে নির্দোষ চলাচল করতে পারবে। আর এ চলাচল ততক্ষন পর্যন্ত নির্দোষ যতক্ষন না শান্তির প্রতি হুমকি, ভাল উদ্দেশ্য অথবা ভারতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে গন্য হয়। ভারতীয় এ আইনে বলা হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়ে সাবমেরিন, আন্ডার ওয়াটার ভিহিক্যালসহ অন্যান্য রণতরী ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করতে পারবে।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি জাতিসংঘ সমুদ্র আইন অনুযায়ী কোনো দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনেও সামরিক মহড়া ও রণতরী চলাচল করা যায়। কারন আইনের ৫৮ ধারায় সমুদ্রের অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনগত ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া এর পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র আইনের ৮৭ ধারাও উদাহরণ হিসেবে সামনে আনে যেখানে বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে মহড়ার সুযোগ রয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, লাক্ষা দ্বীপের কাছে যুক্তরাষ্ট্র নেভির ফ্রিডম অব অপারেশন নজিরবিহীন কোনো ঘটনা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ ফ্রিডম অব নেভিগেশনের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ১ মাস আগে । তাতে ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে ২১টি দেশের তালিকায় ভারতেরও নাম রয়েছে যাদের জলসীমায় যুক্তরাষ্ট্র ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন পরিচালনা করেছে। ২১টি দেশের মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বপ, সৌদি আরব প্রভৃতি। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিবেদনে ভারতের পানি সীমায় ২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালেও ফ্রিডম অব নেভিগেশন অপারেশন পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে এ অপারেশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়াটা একটা সমস্যা হিসেবে সামনে এসেছে।

কারণ ভারত-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সম্পর্ক সম্প্রতি একটি নতুন মাত্রায় গড়াচ্ছিল। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়ছে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র, জাপান আর অস্ট্রেলিয়া মিলে এ অঞ্চলে গঠিত হতে যাচ্ছে চীন বিরোধী চার দেশীয় জোট। সরাসরি বাইডেনের নেতৃত্বে সম্প্রতি কোয়াদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলনে চার দেশের নেতৃবৃন্দ মুক্ত এবং স্বাধীন ইন্দা-প্যাসেফিক প্রতিষ্ঠায় অভিন্ন দর্শনের প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ৫ ও ৭ এপ্রিল ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স মিলে পূর্ব ভারত মহাসাগরে পরিচালনা করেছে চীন বিরোধী গুরুত্বপূর্ণ নৌমহড়া।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়ড অস্টিন সম্প্রতি দিল্লি সফর করে গেছেন। সফরের সময় উভয় দেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বন্ধন আরো শক্তিশালী করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। উভয় দেশের মধ্যে সামরিক সম্পৃক্ততা, লজিস্টিক এবং পারষ্পরিক গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে চীনের উত্থান মোকাবেলায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

লয়ড অস্টিন এ সময় বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। আর এ প্রেক্ষিতে ভারত ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে দৃষ্টিভঙ্গি তাতে ভারত হলো কেন্দ্রীয় স্তম্ভ।

গত নভেম্বরে প্রথম বারের মত কোয়াদ দেশগুলো মালাবার বহুপাক্ষিক ওয়ারগেম মহড়া পরিচালনা করেছে।

দিন দিন বিশ্বরাজনীতির কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হ”েচ্ছ ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চল। ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলের ভবিষ্যত হটস্পট হয়ে ওঠার সাথে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত উষ্ণ সম্পর্কের ব্যরোমিটার ক্রমে উপরে উঠছিল। কিন্তু এ অবস্থায় ভারতের জলসমীয় অনুমতি ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অপারেশন পরিচালনা এবং বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কড়া বিবৃতি নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ১৯৫৩ সালে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ফ্লিটের অংশ। এর অধীনে রয়েছে ৬০ থেকে ৭০টি রণতরী, ৩০০ যুদ্ধ বিমান এবং নেভি, মেরিন কপর্স ও কোস্ট গার্ড মিলিয়ে ৪০ হাজার সেনা। সপ্তম নৌবহর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ফরওয়ার্ড ডিপ্লয়েড বহর। কোরিয়া যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং উপসাগরীয় যুদ্ধে অংশ নেয় যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সমর্থনে বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে সপ্তম নৌবহরের টাস্কফোর্স ফোর্স ৭৪। এ টাস্কফোর্সে অন্যান্য রণরতীর সাথে ছিল পরমানু শক্তিচালিত বিমানবাহী রনতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ, পরমানু শক্তিচালিত এটাক সাবমেরিন ইউ্এসএস গুমার্ড। এসময় ভারতের সমর্থনে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্যাসিফিক ফ্লিটের ১০ম অপারেটিভ ব্যাটল গ্রুপ বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ফিরিয়ে নেয় তাদের টাস্ক ফোর্স ৭৪।