তুরস্কের সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বড় ধরণের সামরিক সরঞ্জাম প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে তুরস্ক। এগুলোর একটা বড় অংশের কাজ ২০২৩ সালেই শেষ হবে। প্রজাতন্ত্রের ১০০তম বার্ষিকীতে এই সরঞ্জাম ও প্ল্যাটফর্মগুলো সশস্ত্র বাহিনীর বহরে যুক্ত করা হবে। পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গি বিমান থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ বিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, মনুষ্যবিহীন জঙ্গি বিমান, ড্রোন, ট্যাঙ্ক, বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন, উভচর যানবাহন - সবই রয়েছে এই দীর্ঘ তালিকায়। এগুলো বহরে যুক্ত হলে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বহু গুণে বেড়ে যাবে। আরেকটি বড় দিক হলো, এগুলো সবই নিজস্বভাবে তৈরি করছে তুরস্ক। ফলে, আগামীতে সারা বিশ্বে নিঃসন্দেহে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের একটা বড় বাজারও গড়ে উঠবে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
বিশ্বে কোন সাবমেরিন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আর শক্তিশালী তা নির্ভর করে শত্রুপক্ষকে ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতা এবং মিসাইল ছোড়ার ক্ষমতার ওপর। শত্রুপক্ষের সাবমেরিন সনাক্ত করার জন্য এতে থাকতে হবে ভাল সোনার পদ্ধতি। একই সাথে এতে থাকতে হবে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং অন্যান্য রণতরীর কাছে পুরোপুরি গোপনে পৌছানো এবং ফিরে আসার ক্ষমতা
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তারের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়াকে তুলনায় আনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু সমরাস্ত্র অঙ্গনে রাশিয়ার উদ্ভাবন ক্ষমতা বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের জন্য শুধূ উদ্বেগের কারন নয় বরং বড় ধরনের ভীতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে মিসাইল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের অবিশ্বাস্য উদ্ভাবন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্বের সমস্ত প্রতিরোধ আর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরুপে অকার্যকর করে দিয়েছে।
পাঁচ বছরে ছয়টি সাবমেরিন যুক্ত হতে যাচ্ছে তুরস্ক নৌবাহিনীতে। ২০২২ থেকে ২০২৭ সালে প্রতি বছর একটি করে এ নতুন সাবমেরিণ পাবে তুরস্কের নৌবাহিনী। আর এর প্রতিটি সাবমেরিন তুরস্কের নিজেদের তৈরি। অপর দিকে তুরস্কের তৈরি এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ জাহাজ বা বিমানবাহী রণতরী এ বছরের শেষ দিকে যুক্ত হতে যাচ্ছে তুরস্ক নৌবাহিনীতে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পর দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। তখন থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের নেতাদের সমালোচনা করছেন। দেশটির বিরুদ্ধে একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।