তিউনিসিয়া ও মিশরে ক্ষমতাসীনদের পতনের পরপরই সেখানে জন্ম হয়েছে তিনটি অক্ষের। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছে সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমীরাত। এ অক্ষটি পুরোপুরি বিপ্লববিরোধী বা প্রতিবিপ্লবী। দ্বিতীয় অক্ষটি ইসলামী-সংস্কারপন্থী। এদের সমর্থন বিপ্লবের প্রতি এবং ইসলামী ব্রাদারহুড ও সমমনা সংগঠনগুলোর প্রতি। এ অক্ষের নেতৃত্বে আছে তুরস্ক ও কাতার। তৃতীয় অক্ষটি প্রতিরোধপন্থী। আমেরিকা ও ইসরাইলকে প্রতিরোধ করাই এদের ধ্যানজ্ঞান। এ অক্ষে আছে ইরান, সিরিয়া ও হেজবুল্লাহ
দুনিয়ার অধিকাংশ দেশ এখন স্বেচ্ছা অবরুদ্ধ। চোখে না দেখা এক ভাইরাস কাপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। পরস্পরের বিশ্বাস ও আস্থায় চিড় ধরেছে। প্রত্যেক দেশ নিজেই নিজ দেশের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে। এক দশকের বেশি সময় ধরে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভাইরাস এতোটাই দুনিয়াকে বদলে দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেই সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ইরান ও তুরস্কের মতো প্রভাবশালী দেশ রাশিয়ার মিত্র হওয়ার কারনে মধ্যপ্রাচ্যে দেশটি অপ্রতিদ্বন্দ্বি শক্তি হিসাবে আর্বিভুত হয়েছে। ফলে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নীতিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। যা আগামি দিনে আরো দৃশ্যমান হয়ে উঠতে পারে। পুতিনের সৌদি আরব ও আরব আমিরাত সফরের মধ্যদিয়ে এ অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আসলে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব এ অঞ্চলে এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি করছে।