রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও রাশিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে, সেখানে গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। এই গনভোটের পর এসব এলাকা আনুষ্টানিকভাবে রাশিয়ার অংশে পরিনত হবে। একই সাথে প্রেসিডেন্ট পুতিন মাতৃভূমি রক্ষায় আংশিক সেনা সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশের মাধ্যমে দেশটির রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য ৩ লাখ রুশ নাগরিক ইউক্রেনে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নেবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর এটা হবে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আকারের সৈন্য সমাবেশ। কেন রাশিয়া এমন প্রস্তুতি নিচ্ছে আর এর পরিনতি বা কী হতে পারে তা নিয়ে থাকছে মুনতাসীর মুনীরের প্রতিবেদন।
সম্প্রতি শেষ হয়ে গেলো বহুল আলোচিত সামরিক মহড়া ভস্তক টুয়েন্টি টুয়েন্টি টু। রাশিয়ার আয়োজনে এই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল ভারত ও চীন। যা নানা মহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক জেলায় গত ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা মহড়ায় ভারতের গুর্খা রেজিমেন্ট নিয়ে অংশ নিয়েছে। ভারত এমন এক সময়ে অংশ নিলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের রয়েছে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক । এছাড়া ভারত কোয়াড জোটেরও গুরুত্বপূর্ন সদস্য। শুধু ভস্তকেই নয়, ভারত কোয়াড জোটের অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্র অর্থাৎ জাপান, অস্ট্রোলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে মালাবারেও একটি নৌমহড়া করেছে। আমেরিকার সাথে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে পাশ কাটিয়ে কেন ভারত রাশিয়ার এই মহড়ায় অংশ নিলো, তারই বিশ্লেষণ থাকছে আজকের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেন নয় বিশ্বে পরবর্তী হিরোশিমা হতে পারে চীনের কোন শহর। ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর আগে এ আশঙ্কা করেছেন যুদ্ধ বিষয়ক খ্যাতিমান বৃটিশ সাংবাদিক জন পিলজার। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে চীনের সাথে যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছে এবং এ যুদ্ধ পারমানবিক হামলায় রুপ নিতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্বে পারমানবিক যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা চলছে জোরে শোরে। অনেকে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পারমানবিক হামলা চালাতে পারে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ রুপ নিতে পারে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে। তবে ইউক্রেনের আগেই তাইওয়ান ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘটে যেতে পারে বড় কোন অঘটন। চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক সংঘাতের নানা দিক নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন।
রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের উপর রাশিয়ানদের আস্থা বাড়ছে। ধারণা করা হয়েছিল, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেবে। কিন্তু ডলার ও ইউরোর বিপরীতে রুবল দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ৩১টি প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার মধ্যে রুবলকে ২০২২ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা ঘোষণা দিয়েছে ব্লুমবার্গ। তারা বলেছে, নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া সরকার যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো রুবলকে একটা শক্ত জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়ছে। এখন, পুঁজি জমানোর জন্য বিদেশী মুদ্রার চেয়ে রুবলের উপর আস্থা অনেক বেড়ে গেছে রাশিয়ানদের। এদিকে, রুবলের বিপরীতে ডলার আর ইউরোর মান পড়ে গেছে। ইউরোর এই পতন আরও কিছুকাল জারি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের উত্তেজনা যত দীর্ঘ হবে, ডলার আর ইউরো তত বিষাক্ত হয়ে উঠবে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের টার্গেট নিয়েই এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। তবে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের গতিপথ এখন আর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে নেই, বরং ধীরে ধীরে রাশিয়ার দিকেই ঝুকে পড়ছে।
মারিউপোল, খারসন দখলের পর রাশিয়ার পরবর্তী লক্ষ্য ওডেশা। কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্থিত ওডেশা ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দর। ঐতিহাসিক একটি নগরী। রাশিয়ার লক্ষ্য ওডেশা দখলের...
আফগানিস্তানে তালেবানরা গত বছর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন দেশ তাদের সাথে পুরোপুরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। তবে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দশটি দেশ...
ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর শুধু রাশিয়া নয়, বরং তার মিত্রদের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্ররা। কিন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার পরও পশ্চিমাদের...
ভারত ক্রমান্বয়ে নিজেদের সমরাস্ত্র শিল্প আরো বেশি সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে রাশিয়া থেকে আমদানিকৃত অস্ত্রের ওপর ভারতের যে নির্ভরতা রয়েছে, তা কমিয়ে নিয়ে আসার...
রাশিয়ার সমরাস্ত্রের ওপর নির্ভর করে বড় ধরনের বিপাকে পড়তে যাচ্ছে ভারত। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতকে দেয়া নির্ধারিত সময়ে অনেক অস্ত্র সরবরাহ করতে পারবে না...
সে রকম কিছু ঘটলে ইউরোপে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এজন্য রাশিয়া তেল গ্যাসের বাজার হিসেবে চীনকে বেছে নিচ্ছে। আগামি দিনে রাশিয়ার জ্বালানীর বাজারের গতিপথ বদলে গেলে বিশ্বের জ্বালানী নিরাপত্তার ওপর এর প্রভাব পড়বে।
ইউক্রেন তার সীমানার মধ্যে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রগুলো পর্যায়ক্রমে পরিত্যাগ করে। সেগুলো ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয়। কিন্তু রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং বর্তমানে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের জন্য তার হুমকি এখন এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে , বুদাপেস্ট স্মারকলিপির তাৎপর্য কী?
প্রেসিডেন্ট পুতিন আসলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোর সীমানাকে রেডলাইন ঘোষণা করেছে। জর্জিয়া থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত রাশিয়া যেভাবে তার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যটো জোটের ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্বাধীন হওয়া দেশগুলো আশা করেছিলো ন্যাটোর নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে এসব দেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এসব দেশ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে।
ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা ২০২২ সালে তুরস্কের অন্যতম লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তুরস্কের জন্য যেমন নতুন সুযোগ বয়ে এনেছে। তেমনি সৃষ্টি করেছে বড় ধরনের ঝুকি। এ ক্ষেত্রে যে কোন ভুল পদক্ষেপ দেশটির জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তুরস্ক আবার কাছাকাছি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
রাশিয়ার এমন আচরনের কারন মস্কোও কৃষ্ণসাগর নিয়ে অস্থিরতায় আছে। সাবেক সেভিয়েতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্র রোমানিয়া ও বুলগেরিয়াও এখন ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে। ইউক্রেন এখনও স্বতন্ত্র কিন্তু ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই শত্রুতাভাবাপন্ন
রাশিয়ার আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বোম্বার টিইউ-ওয়ান সিক্সটি। সুপারসনিক গতি সম্পন্ন ও সুইপ উইংয়ের অধিকারী এই বোম্বারটি ছাড়াও রাশিয়ার আছে আরো তিন প্রজাতির শক্তিশালী বোম্বার। অ্যাটাক হেলিকপ্টারের মধ্যে রয়েছে কেএ-ফিফটি টু এলিগেটর। এটি এই মূহুর্তে বিশ্বের সেরা অ্যাটাক হেলিকপ্টার বলেই মনে করেন সামরিক বিশ্লেষকরা
বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করবেন। এছাড়া রিয়াদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে এই ডেমোক্র্যাট নেতার। বহুবছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরব। জো বাইডেন চাইলেই সেটি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে
মোটের ওপর, কিরগিজস্তানে আরেকটি রঙিন বিপ্লব ব্যর্থ হওয়াটা মধ্য এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় আঘাত হয়েই এসেছে। ক্রেমলিন যেমন সহজে কিরগিজ রঙিন বিপ্লবকে বেপথু করে দিল, তা এ অঞ্চলের জন্য একটি বিরাট বার্তা
আর্মেনীয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই তাই রাশিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলেও মস্কোর পক্ষে সম্ভব হয়নি সরাসরি কারো পক্ষ নেয়া। ভ্লাদিমির পুতিন বলে দিয়েছেন, তার দেশ নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনীয়ার পক্ষে যুদ্ধে নামবে না। রুশ প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পাভেল লুজিন মনে করেন, রাশিয়া আসলে কারো পক্ষ নিয়ে ছোট ভূমিকায় মাঠে নামতে চায় না। মস্কোর এখন একটাই লক্ষ- সেটি হলো বিশ্বরাজনীতির বড় খেলোয়াড় হিসেবে অবস্থান আরো মজবুত করা
বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগোরনো-কারাবাখ সংঘাত নিরসনে তুরস্ককে এবার সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রে সিরিয়া ও লিবিয়ায় ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে মস্কো হয়তো ককেশাস অঞ্চলে তুরস্কের কাছ থেকে কিছুটা ছাড় পেতে পারে। সিরিয়া ও লিবিয়ায় তুরস্ক ও রাশিয়া বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছে
কেউ বলছেন, মার্কিন এফ-থার্টিফাইভ যুদ্ধবিমান যদি তার সবগুলো ডিভাইস ব্যবহার করতে পারে তাহলে সেটি রাশিয়ার সু-থার্টি ফাইভের চেয়ে এগিয়েই থাকবে
রাশিয়ান মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স পুনর্গঠনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ান সরকার। এ লক্ষ্যে তারা ৭৫০ বিলিয়ন রুবেল ঋনের অর্ধেক মাফ করে দেবে। সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়ার অংশ গ্রহনের ফলে বিশ্ব বাজারে রাশিয়ান সমরাস্ত্রের একটি ভাল বিজ্ঞাপন হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। সিরিয়া যুদ্ধে রাশিয়া তাদের বিভিন্ন অস্ত্রের সক্ষমতা পরীক্ষা নীরিক্ষার সুযোগ পেয়েছে এবং বিশ্ব বাজারে রাশিয়ার অস্ত্রের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে
মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে চীন ও রাশিয়া একটি বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে তার প্রয়োগের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে থাকে। কিন্তু চীন ও রাশিয়া কোনো শর্ত দেয় না। তাদের ভাষ্য হলো-অস্ত্র কেনার পর ক্রেতা সেটি কীভাবে ব্যবহার করবে তা একান্তই তার মর্জি। এক্ষেত্রে বিক্রেতা কোনো শর্ত দিতে পারে না
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের কাছে আরো অস্ত্র বিক্রির আগ্রহ দেখাতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ভারত কখনও চীনের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ভারতের পক্ষে এগিয়ে আসবে আমেরিকা- এমনটি মনে করে না কেউ। এমনকি ভারতের প্রতিরক্ষা মহলেও এ নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে
স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত এয়ারফোর্স এবং নেভির কাছে থাকা ব্যাকফায়ার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। নতুন শক্তি নিয়ে আবার রাশিয়ান নেভিতে ফিরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র নেভির আতঙ্ক ব্যাকফায়ার। এর কারণ সুপারসনিক এ বিমানের ৮০ শতাংশ আপগ্রেড করা হয়েছে। অপরদিকে এ বিমানের জন্য সোভিয়েত আমলে তৈরি করা হয় এন্টি শিপ মিসাইল কে এইচ