কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতে জড়িয়ে পড়লেও এখন এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সর্ম্পকে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বহু মেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো পালন করতে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা। এই প্রথম পরস্পর বিরোধী দেশগুলো কাছাকাছি আসছে। এমনকি দশকের পর দশক ধরে ইরানের সাথে আরব দেশগুলোর যে বিরোধ তা কমিয়ে আনার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ইরানের সাথে বিশ্বশক্তির পারমানবিক চুক্তির বিরুদ্ধে ইসরাইল অবস্থান নিলেও আরব দেশগুলো অনেকটা নিরব। অপরদিকে ঘনিষ্ট হচ্ছে তুরস্ক, সৌদি আরব, মিশর ও কাতারের সাথে সর্ম্পক। সিরিয়ার সাথে আরব আমিরাত, কাতার ও তুরস্ক সর্ম্পক স্থাপনের ইঙ্গিত দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোর পরিবর্তিত সর্ম্পকের নানা দিক থাকছে মুনতাসীর মুনীরের প্রতিবেদনে।
ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া যখন ইউক্রেন অভিযান শুরু করে, তখন জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েছিল প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেন্সকির সরকার। বহু ইউক্রেনিয় নাগরিক তখন জন্মভূমিকে রক্ষার জন্য সোচ্চার হয়েছিল। এখন যুদ্ধের চার মাস পরেও রাশিয়ার অগ্রগতি থামানো যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যাও ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় ইউক্রেনের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ আর হতাশা বাড়তে শুরু করেছে। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যারা বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, তাদেরকে খুবই সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, ফ্রন্টলাইনে সেনাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই। অনেকে চাঁদা তুলে ফ্রন্টলাইনের স্বজনদের জন্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কিনে পাঠিয়েছেন। এদিকে, সেনা পরিবারের সদস্যদেরকে অর্থ সংগ্রহের জন্য সরকার বাধ্য করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের টার্গেট নিয়েই এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। তবে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের গতিপথ এখন আর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে নেই, বরং ধীরে ধীরে রাশিয়ার দিকেই ঝুকে পড়ছে।
প্রেসিডেন্ট পুতিন আসলে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশগুলোর সীমানাকে রেডলাইন ঘোষণা করেছে। জর্জিয়া থেকে ইউক্রেন পর্যন্ত রাশিয়া যেভাবে তার সামরিক শক্তি প্রয়োগ করছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যটো জোটের ওপর আস্থা হারাচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্বাধীন হওয়া দেশগুলো আশা করেছিলো ন্যাটোর নিরাপত্তা সহযোগিতার মাধ্যমে এসব দেশ সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এসব দেশ এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়েছে।
পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় ইরানের সাইবার হামলার ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যায় ইসরাইল। কেননা, এটি এমন এক নিরস্ত্র হামলা, যার শিকার হয়ে লাখ লাখ বেসামরিক মানুষের করুণ মৃত্যু ঘটতে পারতো। এ ধরনের সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্ক না-থাকায় এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি না-রাখায় ইসরাইলের ন্যাশনাল ওয়াটার কোম্পানি মেকোরৎ-কে তীব্র সমালোচনা হজম করতে হয়
একদিকে মার্কিন তর্জনগর্জন, অন্যদিকে কথিত সাম্যবাদী চীনের সামরিক শিল্পের অব্যাহত অগ্রগতি - সব মিলিয়ে একটি আসন্ন মহাযুদ্ধের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক
উত্তর লিবিয়ার মরু অঞ্চলের এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সামরিক অবস্থানগুলো আকাশ থেকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এসব এলাকায় খুব কম জায়গায়ই আছে যেগুলো গোপন থাকছে প্রতিপক্ষের কাছে। যে কারণে আকাশ থেকে হামলা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এই সুবিধাটা নিয়েছে উভয় পক্ষই- জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও পূর্বাঞ্চলীয় খলিফ হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। শুরুর দিকে উভয় বাহিনীই ব্যবহার করতো ফরাসি ও সোভিয়েত যুগের যুদ্ধবিমান। যা এখন অনেকটাই অপ্রচলিত এবং এর প্রযুক্তিগত সুবিধাও কম
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের মাখামাখিকে সুনজরে দেখছে না চীন। আবার পাকিস্তান ও নেপালের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অন্যদিকে চীনের উচ্চাভিলাসী বেল্ট ও রোড প্রকল্প ভারতের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত মহাসাগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চীনের নৌবাহিনীর জাহাজ, আন্ডারওয়াটার ড্রোন এবং তথাকথিত অসামরিক পতাকাবাহী মাছ ধরার নৌকা, যা আসলে তাদের মেরিটাইম মিলিশিয়া বা আধা-সামরিক নৌরক্ষী। চীনের এ অপ্রতিহত অগ্রযাত্রা থেকেই সৃষ্টি হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর আদ্যিকালের ব্রিটিশ-নির্মিত নেভাল হেলিকপ্টারের বহর বদলানোর প্রয়োজনীয়তা
ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ধরনের কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন দেশটির সক্ষমতার নতুন প্রমান হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানের রেভুলশনারি গার্ড স্পেস ডিভিশন কমান্ডার জেনারেল আলি জাফরাবাদি বলেন, নতুন এ স্যাটেলাইট ইরানি আর্মিকে আইডেনটিফিকেশন, কমিউনিকেশন এবং নেভিগেশন মিশনের ক্ষেত্রে কৌশলগত সহায়তা করবে
কমব্যাট ড্রোনগুলোর চলার ধরন একেকটার একেক রকম। সবচাইতে পরিচিতটি হলো, ড্রোনের একজন চালক থাকবেন দূরে কোথাও, তা হোক স্থলে, সমুদ্রে কিংবা অন্য কোনো উড়োজাহাজের ভেতর। আর কিছু ড্রোন ওড়ে আধা-স্বাধীনভাবে এবং সেগুলোর অবস্থান আপডেট করা হয় জিপিএস বা অন্য কোনো উপগ্রহের সাহায্যে। সত্যিকার স্বাধীন ড্রোন হলো সেগুলো, যেগুলো কোনো ডেটা লিঙ্ক ছাড়াই একটি মিশন সম্পন্ন করতে পারে
প্রাথমিকভাবে মার্কিন নেভির পরিকল্পনা ছিল করোনা ধরা পড়লেও রনতরী সমুদ্রেই রাখা হবে এবং আক্রান্তদের জাহাজে রেখেই চিকিৎসা ও করোনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হবে। ২৪ মার্চ মার্কিন নেভির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি থমাস মোডলি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এটি আমাদের একটি অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা যে, কোডিভ-১৯ ধরা পড়ার পরও আমরা রণতরী সাগরে মোতায়েন রাখব
কিরিক্কাল নগরীর প্রতিরক্ষা শিল্পের ইতিহাস শুরু একটি কার্টিজ তৈরির কারখানা দিয়ে। একই সাথে ওটা ছিল কিরিক্কাল প্রদেশের প্রথম শিল্প প্রতিষ্ঠানও। কারখানাটি কিছুকাল মিলিটারি রেডিফ ওয়্যারহাউস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরে এটিকে কার্টিজ তৈরির কারখানায় রুপান্তরিত করা হয়। ১৯২১ সাল থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত তুরস্কের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে এটিকে আবার কাজে লাগানো হয়
উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি সর্ম্পকে সঠিক তথ্য পাওয়া দুস্কর। উত্তর কোরিয়া বৃহৎ সামরিক শক্তির দেশগুলোর একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন সময় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ধারনা করা হয় উত্তর কোরিয়ার সৈন্য সংখ্যা ১১ লাখ ৯০ হাজার। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সামরিক সক্ষমতার যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে বলা হয় উত্তর কোরিয়ার কাছে, ৪ হাজার ২০০ ট্যাংক। ২ হাজার ২শ আর্মাড ভেহিক্যাল, ৮ হাজার ৬০০ আর্টিলারি গান। জিডিপির ২০ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করে। যার পরিমান আনুমানিক ৪০ বিলিয়ন ডলার
চীনা আর্মির একটি বড় দুর্বলতা হলো আধুনিক যুদ্ধের জন্য চীনা আর্মি যথেষ্ট দক্ষ নয়। আর বর্তমান আর্মি কমান্ডাররাও সর্বোচ্চ দক্ষ নয়। তারা এটার নাম দিয়েছে ‘টু ইনএবিলিটিস’। অপর যে দুর্বলতার কথা চীন প্রকাশ্যে স্বীকার করে সেটা হলো- পিস ডিজিস, পিস টাইম হ্যাবিটস এবং লং স্ট্যান্ডিং পিস প্রবলেমস। চীনা আর্মির সাম্প্রতিক বড় ধরনের কোনো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেই। চীন সর্বশেষ বড় ধরনের যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলো ৩৫ বছর আগে ১৯৮০ এর দশকের মাঝামাঝি । বর্তমান চীনা আর্মির যুদ্ধের কোনো অভিজ্ঞতা নেই।
কসোভোর দুই জনগোষ্ঠী আলবেনিয়ান ও সার্ব এদের মধ্যে কখনোই বনিবনা ছিল না। এদের দীর্ঘ দিনের রেষারেষির এক পর্যায়ে ২০০৮ সালে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে কসোভো। স্বাধীন কসোভোকে স্বীকৃতি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বড় বড় দেশগুলো।