ইউক্রেন নয় বিশ্বে পরবর্তী হিরোশিমা হতে পারে চীনের কোন শহর। ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর আগে এ আশঙ্কা করেছেন যুদ্ধ বিষয়ক খ্যাতিমান বৃটিশ সাংবাদিক জন পিলজার। যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে চীনের সাথে যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছে এবং এ যুদ্ধ পারমানবিক হামলায় রুপ নিতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিশ্বে পারমানবিক যুদ্ধের আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা চলছে জোরে শোরে। অনেকে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে পারমানবিক হামলা চালাতে পারে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ রুপ নিতে পারে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধে। তবে ইউক্রেনের আগেই তাইওয়ান ঘিরে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঘটে যেতে পারে বড় কোন অঘটন। চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারমানবিক সংঘাতের নানা দিক নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন।
দ্রুত কালো মেঘ জমছে এশিয়ার আকাশে। তাইওয়ান ঘিরে বিপজ্জনক অবস্থার মুখোমুখি চীন। ইউক্রেনের মত যুক্তরাষ্ট্র একই পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলছে তাইওয়ানে। রাশিয়ার মত তাইওয়ান অভিযানে চীনকে পুরো মাত্রায় উসকানি দিয়ে চলছে বাইডেন প্রশাসন। পেলোসির তাইপে সফর ঘিরে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্কের যে অবণতি ঘটবে তা বাইডেন প্রশাসনের অজানা নয়। কিন্তু তারপরও কেন ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ওয়াশিংটন এ ধরনের বেপরোয়া পদক্ষেপ নিল তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিশ্লেষন। তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভুমিকার নানা দিক বিশ্লেষন করেছেন মেহেদী হাসান।
রাশিয়ান মুদ্রা রুবলের উপর রাশিয়ানদের আস্থা বাড়ছে। ধারণা করা হয়েছিল, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেবে। কিন্তু ডলার ও ইউরোর বিপরীতে রুবল দিন দিন আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ৩১টি প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার মধ্যে রুবলকে ২০২২ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা ঘোষণা দিয়েছে ব্লুমবার্গ। তারা বলেছে, নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়া সরকার যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো রুবলকে একটা শক্ত জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়ছে। এখন, পুঁজি জমানোর জন্য বিদেশী মুদ্রার চেয়ে রুবলের উপর আস্থা অনেক বেড়ে গেছে রাশিয়ানদের। এদিকে, রুবলের বিপরীতে ডলার আর ইউরোর মান পড়ে গেছে। ইউরোর এই পতন আরও কিছুকাল জারি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের উত্তেজনা যত দীর্ঘ হবে, ডলার আর ইউরো তত বিষাক্ত হয়ে উঠবে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
আফগানিস্তানে তালেবানরা গত বছর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন দেশ তাদের সাথে পুরোপুরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। তবে তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দশটি দেশ...
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের ব্যাপারে ভারতের মস্কোপন্থি অবস্থান নিয়ে পশ্চিমাদের চাপে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশেষ করে ভারত সরকার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশে^র নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য...
আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর বিদায় ও তালেবানদের সাথে সংলাপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে দোহা। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক ভূমিকা রাখছে কাতারের দূতাবাস। যুক্তরাষ্ট্র যখন মধ্যপ্রাচ্য থেকে গুটিয়ে আনতে চাচ্ছে, এ রকম পরিস্থিতিতে কাতারের মতো মিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা ২০২২ সালে তুরস্কের অন্যতম লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তুরস্কের জন্য যেমন নতুন সুযোগ বয়ে এনেছে। তেমনি সৃষ্টি করেছে বড় ধরনের ঝুকি। এ ক্ষেত্রে যে কোন ভুল পদক্ষেপ দেশটির জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। তুরস্ক আবার কাছাকাছি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
আকাশপ্রতিরক্ষা বিষয়ে তুরস্কের প্রথম পছন্দ ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেম; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেথনের নীতির সাথে তুরস্কের প্রত্যাশা মেলেনি। দাম, ডেলিভারির তারিখ ছাড়াও আরো কিছু বিষয়ে দেখা দেয় সমস্যা। বিশেষ করে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও পরবর্তীতে যৌথ উৎপাদানের বিষয়ে তুরস্ককে হতাশ করেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি
সিরিয়ায় ইসরাইলের সম্ভাব্য উপস্থিতির ক্ষেত্রে যেসব ইরানপন্থী মিলিশিয়া গোষ্টীকে হুমকি মনে করবে, তাদের হত্যার কোনো সুযোগও ইসরাইল বাদ দিবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে, তুরস্ক অতি সম্প্রতি আকাশ থেকে প্রতিপক্ষকে গুপ্তহত্যার মিশনে নিজেদের নাম লিখিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ আরোপের কয়েকদিন আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা তুরস্কের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হয়েছেন। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাসের অনুসন্ধান করতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে তুরস্ক
আশার কথা হলো ডেমোক্র্যাট দলে এখন অনেক বামঘেষা নেতার উত্থান ঘটেছে যারা ইসরাইলকে আর ব্ল্যাঙ্ক চেক দেওয়ার পক্ষে নন। পররাষ্ট্রনীতিতে তারা এখন উচ্চকণ্ঠ। ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেতে লড়াই করা বার্নি স্যান্ডার্স তাদের অন্যতম। এছাড়া আছেন চার নারীর জোট স্কোয়াড
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানি কর্মকর্তারা আশা করেছিলেন, আরও কিছু বিষয়, যেমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, আঞ্চলিক রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবেন। কিন্তু ফখরিযাদেহ হত্যাকান্ডটি সবকিছুকে জটিল করে দিল। মনে হয়েছিল, ইরানিরা আপসের টেবিলে খোলা মন নিয়ে বসবেন। কিন্তু সবকিছু ভেঙেচুরে গেল
চীন দাবি করছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জিপিএস সিগনালকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। যাতে চীন তাদের প্রয়োজনে মিসাইল ছোড়ার সময় কোনো সুবিধা না পায় এবং লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত মিসাইলগুলো যেন যেতে না পারে। এরপর থেকে চীন ১৯৯৬ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে বেইডোও আবিস্কারের জন্য কাজ শুরু করে
যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয় ফ্র্যাংকলিন রুজভেল্টের আমলে। তিনি ছিলেন ডেমোক্র্যাট দলীয়। তৎকালীন রিপাবলিকান নেতারা বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে ছিলেন। সে আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই রুজভেল্ট যুদ্ধে অংশ নেন। যদিও ১৯৪১ সালে জাপান পার্ল হার্বারে হামলা চালানোর কারনে রুজভেল্টের পক্ষে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়
চীন-আসিয়ান বাণিজ্যের বহর যেভাবে বাড়ছে তাতে করে ইউরোপ থেকে চীনের আমদানি ব্যাপকভাবে কমে যাবে। এ অবস্থায় আগামী বছরগুলোতে তারা আবার চীনের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে
মধ্যপ্রাচ্যের স্বৈরশাসকদের অনেক অপকর্মের দিকে তাকাতেনই না ট্রাম্প, এমনকি আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে তাদের অনেক বিতর্কিত পদক্ষেপকে তিনি সমর্থনই জানাতেন। যেমন ধরা যাক, সাংবাদিক জামাল খাসোগী হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার দায়ে মার্কিন কংগ্রেসে সউদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের তীব্র সমালোচনা থেকে তাঁকে সুরক্ষা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
একটু পেছনে ফিরে তাকালেই আমরা দেখবো, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো তার দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি চিরাচরিত মার্কিন কায়দায় পাকিস্তানকে তুলাধুনা করেন। তার মুখেও সেই একই গৎ পাকিস্তান তালিবান নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প যখন এ অভিযোগ করছেন তখনও পাকিস্তান কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে
কমলা হ্যারিসের মা ভারতের তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ছিলেন। ভারতের এই রাজ্যটির বাসিন্দাদের ৯০ শতাংশ হিন্দু হলেও তারা হিন্দিভাষী নয়। এর বাসিন্দারা প্রচন্ড বিজেপি বিরোধী। গত বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিজেপি বিশাল জয় পেলেও এই রাজ্যে একটি আসনও পায়নি
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন বলেই মনে হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, চীনকে মোকাবেলা করতে হলে এশিয়ার দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্ব আরো জোরদার করতে হবে
বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোটকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহযোগিতা বন্ধ করবেন। এছাড়া রিয়াদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনাও রয়েছে এই ডেমোক্র্যাট নেতার। বহুবছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরব। জো বাইডেন চাইলেই সেটি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে
বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এমন দিনও আসতে পারে, যখন বিশ্বের সবচাইতে জনবহুল দেশ হিসেবে ভারতই হতে পারে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। এক বা দুই প্রজন্ম পর কেমন হতে পারে ইন্দো-প্যাসিফিক নিয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সিনেট, প্রতিনিধি পরিষদ এবং বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের আইনসভা নির্বাচনে আমেরিকান জনগন তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেছেন। এতে বেশ ক'জন মুসলিম প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যের আইনসভায়ও তারা জায়গা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারা গড়েছেন নতুন ইতিহাস। জানা যাক তাদের কয়েকজনের কথা
নতুন মার্কিন প্রশাসনের নীতি হবে ভিন্ন। 'কর্তৃত্ববাদী' শাসকদের প্রতি ট্রাম্পের বহুনিন্দিত আকর্ষণ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইবেন বাইডেন। আর এর অংশ হিসেবে তুরস্কের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেবেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই ব্যবস্থা কতোটা কঠোর হবে এবং বাজারে তার প্রতিক্রিয়াই বা কেমন হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তুরস্কের বিরুদ্ধে পাঁচ রকম ব্যবস্থা নেয়া যায়
২০১৬ সালে শ্বেতাঙ্গ তরুণ প্রজন্ম ঝুঁকেছিল ট্রাম্পের দিকে। চাকরি শিক্ষা আর অর্থনৈতিক নিশ্চয়তায় তারা ট্রাম্পমুখী এবারো। এই বলয়ে খুব একটা প্রবেশ করতে পারেনি ডেমোক্র্যাটরা। পাশাপাশি ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী মানসিকতাও এর একটি বড় কারণ। তরুণ ছাড়াও অন্য যে কোনো বয়সী শ্বেতাঙ্গরাই ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন। অভিবাসনবিরোধী, ইসলামফোবিকরাও যে ট্রাম্পকে জেতাতে মরিয়া হয়েছিলেন সেটিও বলা অপেক্ষা রাখে না
মোটের ওপর, কিরগিজস্তানে আরেকটি রঙিন বিপ্লব ব্যর্থ হওয়াটা মধ্য এশিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি বড় আঘাত হয়েই এসেছে। ক্রেমলিন যেমন সহজে কিরগিজ রঙিন বিপ্লবকে বেপথু করে দিল, তা এ অঞ্চলের জন্য একটি বিরাট বার্তা