মিশরের স্বৈরশাসক আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির নজিরবিহীন বর্বরতার মুখে বিশে^র সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। এ দলটি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্ন জাগছে অনেকের মনে। মিডল ইস্ট আইয়ে এক নিবন্ধে এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুসলিম ব্রাদারহুড ও ইসলামী রাজনীতি বিষয়ক গবেষক এবং আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. এরিকা বিয়াগিনি। তার মতে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়ন সত্ত্বেও ঐতিহাসিকভাবেই তারা অদম্য এবং বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতেও টিকে থাকতে সক্ষম। ইসলামপন্থী রাজনীতির ভবিষতের নানা দিক নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন।
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, লিবিয়ার উভয় পক্ষের সরকারের পদত্যাগের এই কৌশল আমেরিকার। তারা চাচ্ছে লিবিয়ায় রাশিয়ার আধিপত্য বিস্তার রোধ করতে। তবে ফ্রান্স, রাশিয়া ও আমিরাত নতুন এই রাজনৈতিক সমঝোতাকে ভন্ডুল করে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে বুলোভালির বিশ্বাস, সেটা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়
লিবিয়ার গৃহযুদ্ধ ক্রমে জটিল আকার ধারণ করছে। লিবিয়ায় তুরস্ককে কোনঠাসা করতে রাশিয়া, ফ্রান্স, মিশর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নানা ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় লিবিয়ায় তুরস্কের অবস্থান ধরে রাখতে হলে উন্নত মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন ছাড়া বিকল্প পথ নেই। কিন্তু রাশিয়ার তৈরি এস-৪০০ মিসাইল লিবিয়ায় মোতায়েন নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের বিতর্ক আর জটিল হিসাব নিকাশ
তিউনিসিয়া ও মিশরে ক্ষমতাসীনদের পতনের পরপরই সেখানে জন্ম হয়েছে তিনটি অক্ষের। এর একটির নেতৃত্বে রয়েছে সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমীরাত। এ অক্ষটি পুরোপুরি বিপ্লববিরোধী বা প্রতিবিপ্লবী। দ্বিতীয় অক্ষটি ইসলামী-সংস্কারপন্থী। এদের সমর্থন বিপ্লবের প্রতি এবং ইসলামী ব্রাদারহুড ও সমমনা সংগঠনগুলোর প্রতি। এ অক্ষের নেতৃত্বে আছে তুরস্ক ও কাতার। তৃতীয় অক্ষটি প্রতিরোধপন্থী। আমেরিকা ও ইসরাইলকে প্রতিরোধ করাই এদের ধ্যানজ্ঞান। এ অক্ষে আছে ইরান, সিরিয়া ও হেজবুল্লাহ
কৌশলগত কারণে মিশর বেকায়দায় থাকলেও সিসির মতো সামরিক একনায়ক যে কোনো হটকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। সিসির হাতে তামাক খেতে মরিয়া হয়ে আছে আমিরাত ও সৌদি আরব। এরই মধ্যে আমিরাত ও সৌদির অর্থায়নে পরিচালিত গণমাধ্যমে সেরকম কিছু খবরও এসেছে
আরব বসন্তেরর পর মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটতে শুরু করলে উত্থান ঘটতে শুরু করে ইসলামপন্থীদের। মিশরে ক্ষমতায় আসে মুসলিম ব্রাদারহুড। তিউনিসিয়ায় ক্ষমতা পায় ব্রাদারহুডের সহযোগী আন নাহাদা পার্টি। পরে সৌদি ও আমিরাতের সমর্থনে মিশরে ক্ষমতা দখল করেন সিসি। এরপর থেকে আবার উল্টোধারায় বইতে থাকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি
লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে তুরস্ক সমর্থিত বাহিনীর একের পর এক বিজয় দেশটির লৌহমানব খলিফা হাফতারের জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এই বিজয়ের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় ছায়াযুদ্ধে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া বিদেশি শক্তিগুলোর মধ্যে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তুরস্ক
নীল নদীর তীরে গড়ে ওঠা মিশরীয় সভ্যতার বয়স অন্তত ৭০০০ বছর। নীল নদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই সভ্যতা। তবে দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন আর জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে নীল নদের ওপর ভীষণ চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান ঘোষণা দিয়েছেন, রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে আর কোনো সরকারি অর্থ গ্রহন করবেন না তারা বরং রাজপরিবার ছেড়ে সাধারণ মানুষের মতোই সাধারণ জীবন কাটাবেন
বিডিভিউজের আজকের আয়োজন কায়রো নিয়ে, যার গলি-ঘুঁপচিতেও আছে জীবন্ত ইতিহাস। কায়রোর বর্তমানের ভেতর গড়াগড়ি খায় অতীত। সেই অতীতের এক বিজয়ের গল্প থেকেই রাখা হয়েছে শহরের নাম। ‘কায়রো’কে স্থানীয়রা ডাকে ‘ক্বাহিরাহ’। আরবি ভাষার এই শব্দের অর্থ ‘বিজয়ী’। ইংরেজরা ‘ক্বাহিরা’ উচ্চারণ করতে পারে না। তাই বাইরের দুনিয়ায় ‘ক্বাহিরাহ’কে এরা পরিচিত করিয়েছে ‘কায়রো’ নামে।
খেলাধুলার জগত ছেড়ে এবার চলুন দেখতে যাই আল-মুস্তাফা মসজিদ। অনন্য স্টাইল এবং ভেতরে-বাইরে মনকাড়া স্থাপত্য এই মসজিদকে দিয়েছে বিস্ময়কর আকর্ষণ।মসজিদ দেখা শেষে যাওয়া যেতে পারে কপটিক খ্রিস্টানদের হেভেনলি ক্যাথেড্রাল বা গির্জায়।
মিশরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি কারাবন্দী অবস্থায় মারা গেছেন। আদালতে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান বলে মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়।