তুর্কি নেতা রিজেপ তাই্যয়েপ এরদোয়ানকে কোনোভাবেই বশে আনতে পারছে না পাশ্চাত্য। তুরস্কের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি পশ্চিমা দুনিয়াকে মাঝে মাঝেই বেকায়দায় ফেলে দেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক মাসে এরদোয়ানের দুইবার বৈঠক নিয়ে পাশ্চাত্যের নেতারা নাখোশ। বিশেষ করে রাশিয়ার সোচিতে দুই নেতার চার ঘণ্টার বৈঠক পাশ্চাত্যকে উৎকণ্ঠায় ফেলেছে। বৃটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের খবরের ভিত্তিতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত থাকছে ইলিয়াস হোসেনের প্রতিবেদনে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাসে ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের টার্গেট নিয়েই এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল। তবে যুদ্ধের প্রথম দিকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে রুশ বাহিনী ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধের গতিপথ এখন আর ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে নেই, বরং ধীরে ধীরে রাশিয়ার দিকেই ঝুকে পড়ছে।
সম্প্রতি এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রুশ জনগণের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে বেড়েছে। রাশিয়ার নাগরিকরা তাদের দেশের প্রতি...
নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে বাল্টিক দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ড । আবার সীমান্তবর্তী এই দুই দেশ নিয়ে নতুন সঙ্কটে পড়েছে রাশিয়া। সীমান্তে ন্যাটোর তৎপরতা রুখতে ইউক্রেন আক্রমণ...
ইউক্রেন তার সীমানার মধ্যে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রগুলো পর্যায়ক্রমে পরিত্যাগ করে। সেগুলো ধ্বংস করার জন্য রাশিয়ায় পাঠানো হয়। কিন্তু রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখল এবং বর্তমানে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের জন্য তার হুমকি এখন এই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে , বুদাপেস্ট স্মারকলিপির তাৎপর্য কী?
বিশ্বে সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জ্বালানি খাতে কর্মরত রয়েছে এক কোটির বেশি আমেরিকান। সম্প্রতি সৌদি - রাশিয়া তেল যুদ্ধের কারনে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম হয় মার্কিন অনেক বড় বড় তেল কোম্পানী। এক দিকে করোনা ভাইরাস অপর দিকে তেলের মূল্য পতনে দিশেহারা হয়ে পড়ে মার্কিন প্রশাসন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন। তাকে মনে করা হয় বিশ্বের প্রবল ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়াকে আবার বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে পরিনত করেছেন পুতিন। নিজ দেশে লৌহমানব হিসেবে পরিচিত হলেও অনেকে মনে করেন তিনি একজন নিকৃষ্ট স্বৈরাচার। পুতিন আবারো ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার আয়োজন করছেন। যার লক্ষ্য ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা।
ইরান ও তুরস্কের মতো প্রভাবশালী দেশ রাশিয়ার মিত্র হওয়ার কারনে মধ্যপ্রাচ্যে দেশটি অপ্রতিদ্বন্দ্বি শক্তি হিসাবে আর্বিভুত হয়েছে। ফলে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর নীতিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। যা আগামি দিনে আরো দৃশ্যমান হয়ে উঠতে পারে। পুতিনের সৌদি আরব ও আরব আমিরাত সফরের মধ্যদিয়ে এ অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আসলে মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার প্রভাব এ অঞ্চলে এক ধরনের ভারসাম্য তৈরি করছে।
আর্ন্তজাতিক রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু-মিত্র বলে কিছু নেই। জাতীয় স্বার্থে নির্ভর করে অন্য দেশের সাথে বন্ধুত্বের সর্ম্পক। আজ যে দেশ বন্ধুর ভুমিকায় থাকে কাল সে দেশ হতে পারে শত্রু। এর বড় উদহারন তুরস্ক -রাশিয়া ঘনিষ্ট সর্ম্পক।