পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। তালেবানরা কাবুলের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তানের ভেতরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান বা পাকিস্তানি তালেবান। চলতি...
ভূরাজনীতির খেলায় ইমরান খান হেরে গেলেও তিনিই এখন পাকিস্তানের সবচেয়ে জননন্দিত নেতা। দেশ পরিচালনায় ব্যক্তিগত যোগ্যতা ও সততা, গণমানুষের প্রতি অসীম ভালোবাসা, মুসলিম বিশে^র জন্য...
অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইমরান খানকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হতে পারে। ক্ষমতায়...
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী মূলত প্রতিরক্ষামূলক। বিদেশী আগ্রাসন মোকাবেলা করে বড় ধরণের কোনো যুদ্ধে না জড়ানো দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য।
২০১৬ সালের অভ্যুত্থানে তুর্কি বিমান বাহিনীতে এক ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। এমনকী পাইলট না থাকায় অনেক যুদ্ধবিমান ফেলেও রাখা হয়। শুধুমাত্র অভ্যুত্থানের কারণেই বিমান বাহিনীতে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে তাও নয়। এ সমস্যা আগেও ছিল। ২০১২ সালে এরদোয়ান সরকার একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন যাতে পাইলটদের স্বেচ্ছা অবসর বন্ধ করে দেয়া যায়। কারণ পাইলটদের অনেকেই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে চড়া বেতন পাওয়ার লোভে সরকারী চাকুরি থেকে দ্রুত অবসর নেয়ায় সরকারী বিমান পরিবহন খাত বেশ চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল
পাকিস্তানের অভ্যন্তরে এসব হামলার ঘটনা বেইজিং ও ইসলামাবাদকে সিপিইসি করিডোরের ভবিষ্যতের বিষয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। তবে পাকিস্তান এ প্রকল্প এবং এর সফলতা নিয়ে খুবই আশাবাদি। এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সিপিইসি করিডোরের ওপর ভিত্তি করে এ অঞ্চলে একটি মেগা প্রকল্প চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন
ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই এরই মধ্যে উন্নত মানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করেছে। কোনো দেশ যদি ড্রোন দিয়ে সফলতা পেতে চায় তাহলে তাকে প্রতিপক্ষের চেয়েও প্রতাপের সাথে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করতে হবে। ভারতীয় ও পাকিস্তানী এয়ারফোর্স কেউই এখন এরকম কোনো মানে নেই। এ দুটো দেশের বিমান বাহিনী যদি অপর দেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতেও পারে তবে তা হবে সাময়িক
পাকিস্তানের সাথে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ক্রমশ উন্নত হচ্ছে যা ভারতকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। ভারত আশংকা করছে, তুরস্ক হয়তো যে কোনো সময় পাকিস্তানের কাছে বেরাকতার ড্রোন বিক্রি করবে
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় ইমরান খান স্পষ্ট করে বলেননি কোন দেশটি ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে পাকিস্তানের ওপর চাপ দিচ্ছে। উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, কোন দেশটি আপনার ওপর এত চাপ দিচ্ছে? মুসলিম কোনো রাষ্ট্র নাকি অমুসলিম রাষ্ট্র
একটু পেছনে ফিরে তাকালেই আমরা দেখবো, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো তার দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি চিরাচরিত মার্কিন কায়দায় পাকিস্তানকে তুলাধুনা করেন। তার মুখেও সেই একই গৎ পাকিস্তান তালিবান নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প যখন এ অভিযোগ করছেন তখনও পাকিস্তান কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মিত্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে
মার্ক্সবাদী ধ্যানধারণায় উদ্বুদ্ধ ব্রাস জোট লড়ছে একটি স্বাধীন বেলুচিস্তানের জন্য। চীন ও পাকিস্তানসহ কোনো ''বিদেশী'' রাষ্ট্র তাদের খনিজ সম্পদ আহরণ করুক - এটাও চায় না তারা। ব্রাস জোটের প্রধান হচ্ছেন নজর বালুচ। তিনি কখনও পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে, কখনও আফগানিস্তানের কান্দাহারে বসে জোট চালান। এই জোটের তৎপরতা প্রধানত বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলেই সীমাবদ্ধ, যা কিনা আরব সাগর ও ইরান সীমান্ত সংলগ্ন
আসলে তুরস্ক একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের উন্নীত করতে চায়। একটি মাঝারি মাপের উদীয়মান শক্তি থেকে একুশ শতকের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশগুলোর কাতারে তুরস্ককে যাতে নিয়ে যাওয়া যায়। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তার লিগ্যাসি-কে সেভাবেই রেখে যাওয়ার চেষ্টা করছেন
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন তুরস্কের নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বে নতুন একটি জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরে তুরস্ক, ইরান, মালয়েশিয়া ও কাতারের উদ্যেগে অনুষ্টিত হয়েছিলো এক সম্মেলন। এই ফোরামের মাধ্যমে কাশ্মীর ইস্যু সামনে আনতে পারে পাকিস্তান। তুরস্ক ও কাতারের প্রচেষ্টায় মুসলিম বিশ্বের আরো অনেক দেশ তাতে যোগ দিতে পারে। এর ফলে সৌদি আরব আরো কোনঠাসা হয়ে পড়তে পারে
নির্বাচনী প্রচারকালে ইমরান খান অঙ্গীকার করেছিলেন যে তিনি ক্ষমতা পেলে সিপিইসি বাস্তবায়নের দায়িত্ব চীনের কাছ থেকে নিয়ে সেনাবাহিনীর কাছে ন্যস্ত করবেন। সে-অনুযায়ী ইমরান খান ২০১৯ সালে সিপিইসি কর্তৃপক্ষ গঠন করেন এবং সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং আইএসপিআর-এর সাবেক প্রধান জেনারেল বাজওয়াকে এর প্রধান নিযুক্ত করেন। ওই জেনারেল একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারীও। শেষের পদটি মন্ত্রী পদমর্যাদার
চীন তার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনচিয়াং প্রদেশের ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে তথাকথিত 'শিক্ষা শিবিরে' বন্দী করে ইসলাম ধর্ম ভুলিয়ে নাস্তিক্যবাদ শেখানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পাকিস্তান নিজেকে সারা বিশ্বের মুসলমানদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সোচ্চার দেশ বলে দাবি করলেও এ ইস্যুতে তারা চোখ-মুখ বন্ধ করে রেখেছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হিপোক্র্যাসির অভিযোগ উঠছে। কিন্তু 'সিরাজউদ্দৌল্লাহ' নাটকের গোলাম হোসেনের মতো বাস্তবের ইমরান খানেরও হাত-পা বাঁধা অর্থনীতি ও কৌশলগত স্বার্থের দড়িতে
চাবাহার বন্দর নির্মাণে সমস্যা দেখা দেয় গত বছর। পরমাণু ইস্যুতে ইরানের অশোধিত তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে বহু দেশ ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়। ভারতও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মান্য করে। কেউ কেউ বলে, বরং একটু বেশিই মান্য করে
রাশিয়া থেকে ভারতের মিগ আর এসইউ-৩০ বিমান কেনার সমালোচনা করে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ফোর্বস বিজনেস ম্যাগাজিনে। এতে লেখা হয়েছে- ভারতের বিমান বাহিনীর নতুন যুদ্ধবিমান দরকার। গালওয়ান ভ্যালিতে চীনের সাথে রক্তাক্ত সীমান্ত সংঘাতের আগেই তাদের নতুন শক্তিশালী যুদ্ধবিমান দরকার ছিল। আর হিমালায়ে সীমানা নিয়ে চীনের সাথে সাম্প্রতিক বিরোধের তার তাদের এ বিমানের প্রয়োজনীয়তা আরো তীব্র হয়
জম্মু-কাশ্মিরকে ভারতভূক্ত করাকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে সিন্ধুর পানি বণ্টন চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে পারে পাকিস্তান। তেমন কিছু ঘটলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই! এমনিতেই চীনের উচ্চাভিলাষী রোড অ্যান্ড বেল্ট প্রকল্পসহ নানা বিষয়ে পাক-ভারত সম্পর্ক ধোঁয়াটে, এর মাঝে পানি নিয়ে বিরোধ ভবিষ্যতে যদি সামরিক সংঘাতের দিকেও ঠেলে দেয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না
বিশ্বের শীর্ষ ১০টি এটাক হেলিকপ্টারের একটির অধিকারী তুরস্ক। এর নাম টি-১২৯। এর নির্মাতা তার্কিস এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি টিএআই । তার্কিস টি-১২৯ এটাক হেলিকপ্টার ইতালীর এ-১২৯ এটাক হেলিকপ্টারের উন্নত ভার্সন। ইতালীর লিওনার্দোর হেলিকপ্টার নির্মাতা এগেস্টা ওয়েস্ট ল্যান্ডের সহায়তায় তুরস্কের টিএআই নির্মাণ করছে এ হেলিকপ্টার
আসলে জম্মু-কাশ্মীরে ভারত সরকারের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়নের স্বার্থেই বাতিল করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। পরবর্তী বিভিন্ন পদক্ষেপ থেকে ফুটে উঠছে তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। এর অংশ হিসেবে গত ৩১ মার্চ মধ্যরাতে জম্মু-কাশ্মীরে এক নতুন আবাসন নীতি ঘোষণা করে দিল্লি সরকার, যাতে শয়তানি চেহারাটি স্পষ্ট হয়
যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত এ প্রকল্পের সমালোচনা করে একে চীনা ঋণের ফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অনেকের অভিযোগ চীন পাকিস্তানকে ঋণের জালে আটকাচ্ছে এ প্রকল্পের মাধ্যমে। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে করেছে ২০২০ সালের পর থেকে পরবর্তী ৩০ বছরে পাকিস্তাননে মোট ৯০ বিলিয়ন ডলার শোধ করতে হবে চীনকে সিপিইসি বাস্তবায়নের জন্য। তবে পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা এ প্রকল্পের বিষয়ে আশাবাদী। কারণ সিপিইসির ফলে ইতোমধ্যে পাল্টে গেছে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ খাতের দুরবস্থা
ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে লাদাখে। লাদাখের বাণিজ্য রুটের সাথে যুক্ত মধ্য এশিয়া, চীন এবং দক্ষিন এশিয়া। লাদাখের প্রাচীন আর গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্য রুট থাকলেও ১৯৬০ সাল থেকে তা বন্ধ রয়েছে । চীন তিব্বতের সাথে লাদাখের এ সীমন্ত রুট বন্ধ করে দেয়ায় অচল হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বানিজ্য রুট। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় এ রুটের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। তবে ১৯৭৪ সাল থেকে ভারত চেষ্টা করছে এটাকে পর্যটনের গুরুত্বর্পুণ গন্তব্য করার
ভারতীয় বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন কর্মসূচির প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। কিন্তু আগ্রহ থাকলেও একই ক্ষমতাসম্পন্ন জঙ্গি জেট বিমান কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। তা সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের দেশে তৈরী জেএফ-১৭ থান্ডার মাল্টিরোল জঙ্গি বিমানের সর্বশেষ সংস্করণের প্রতি নজর ফিরিয়েছে বলে মনে হচ্ছে
ভারতের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর কাশ্মির জ্বলতে থাকে। লাদাখের বরফে জ্বলে উঠে চীনের ক্রোধ। কাশ্মিরে চলতে থাকে স্বাধীনতার দাবি নিয়ে লড়াই। এই লড়াইয়ের শক্তি যোগায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভূখন্ডটি। বর্তমানে কাশ্মিরের একটি অংশ ‘আজাদ কাশ্মির’ দেখভাল করছে পাকিস্তান। তারা মনে করে বাকি অংশটাও ভারতের অংশ নয়। এই ‘ইস্যু’ নিয়ে নিয়মিতভাবে পাক-ভারত উত্তেজনা লেগেই থাকে। অন্যদিকে লাদাখের একটি অংশের প্রতি দাবি আছে চীনের। দেশটি মনে করে গালওয়ান উপত্যকাসহ বেশ কিছু এলাকা তাদের, বৃটিশদের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তে একে ভারতের মানচিত্রর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে
চীন ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক দিন দিন শুধু অবনতির দিকেই যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভবিষ্যতে চীন ও পাকিস্তান মিলে ভারতের ওপর পূর্ব ও পশ্চিম দিক থেকে আকস্মিকভাবে হামলে পড়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে ভারতের অনেকের কাছে