ভারতের সাথে নেপালের সীমান্ত বিরোধ ও নতুন মানচিত্র প্রকাশ করার পর কাঠমান্ডুর সাথে দিল্লির দূরত্ব আরো বেড়েছে। নেপালের এই কঠোর অবস্থানকে হু ইয়াংকির আগ্রাসী কূটনীতির ফল বলে মনে করেন নয়াদিল্লির অনেক বিশ্লেষক। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি অভিযোগ করছেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাইছে নয়াদিল্লি। দলের মধ্যে প্রথম সারির অনেক নেতা ওলির পদত্যাগ চেয়েছেন। অপরদিকে ভারতের গনমাধ্যমের খবর হচ্ছে ওলিকে ক্ষমতায় রাখতে নানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হু ইয়াংকি
নেপালের রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ ভারতের প্রভাব বলয় থেকে এখন যে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে এর পেছনে ভারতের ভুলনীতি দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশে ভারত কোনো একটি গোষ্ঠী বা দলের সাথে বিশেষ সম্পর্ক রক্ষা করে আসছে। শুধু নেপাল নয় মালদ্বীপ ও শ্রীলংকায় একই ঘটনা ঘটেছে। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে এসব দেশের আভ্যন্তরিন বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে দিল্লি
ইয়েতিদের বাড়ি হিমালয়ে। তিব্বত মালভূমি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে উঁচু দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে হিমালয়। এই দেয়াল দুর্গম। আর দুর্গমে আকর্ষণ দুঃসাহসিকদের। তাই পাহাড় যাদের টানে, তারা ছুটে যান হিমালয়ে। একটি উপত্যকা থেকে শুরু হয় দুঃসাহসিক অভিযান
ভারতের দাদাগিরির বিরুদ্ধে নেপালের জনগনের মধ্যে ক্ষোভ আছে। রাজনীতিকররাও ভারতবিরোধী হয়ে উঠেছেন। দেশটিতে ভারত বিরোধী হ্যাশট্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেকে মনে করছেন, ভারত নেপালকে নিজের মর্জিমাফিক চলতে বাধ্য করতে চায়। চীন থেকে নেপালকে দূরে রাখতেও মরিয়া নয়াদিল্লি
বিশ্ব প্রস্তুত হচ্ছিলো ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধের জন্য। অস্থির হয়ে উঠেছিলো রাজনীতি। মুখোমুখি অবস্থানে ছিলো কয়েকটি বিশ্বশক্তি। চারদিকে যখন রণহুঙ্কার, ঠিক তখনি গর্জন করে মানুষের ওপর হামলে পড়লো প্রকৃতি। চীন দেশ থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লো করোনা ভাইরাস।
২০০২ সালে চীন তার নাগরিকদের যে দক্ষিণ এশীয় দেশটি সফরের অনুমতি দেয় সেটি হলো নেপাল। তখন চীনাদের মধ্যে নেপাল সফরের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। প্রতি বছর পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে চীনা পর্যটকের সংখ্যা। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো এ সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। এর ফলে নেপালে একের পর এক গড়ে উঠতে থাকে চীনা রেস্তোরাঁ।
চীনের নিকট প্রতিবেশি দেশ নেপাল। কিন্তু নেপাল-চীন সর্ম্পকে এক ধরনের দুরত্ব ছিলো। এর বড় কারন নেপালের আভ্যন্তরিন রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপ। বেশ কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা বদলে যাচ্ছে। ভারতের প্রভাব বলয় থেকে বেড়িয়ে নেপাল এক ধরনের ভারসাম্যপূর্ন অবস্থান গ্রহনের চেষ্টা করছে।