তুরস্কের সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে একটা বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বড় ধরণের সামরিক সরঞ্জাম প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে তুরস্ক। এগুলোর একটা বড় অংশের কাজ ২০২৩ সালেই শেষ হবে। প্রজাতন্ত্রের ১০০তম বার্ষিকীতে এই সরঞ্জাম ও প্ল্যাটফর্মগুলো সশস্ত্র বাহিনীর বহরে যুক্ত করা হবে। পঞ্চম প্রজন্মের জঙ্গি বিমান থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ বিমান, অ্যাটাক হেলিকপ্টার, মনুষ্যবিহীন জঙ্গি বিমান, ড্রোন, ট্যাঙ্ক, বিমানবাহী রণতরী, সাবমেরিন, উভচর যানবাহন - সবই রয়েছে এই দীর্ঘ তালিকায়। এগুলো বহরে যুক্ত হলে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বহু গুণে বেড়ে যাবে। আরেকটি বড় দিক হলো, এগুলো সবই নিজস্বভাবে তৈরি করছে তুরস্ক। ফলে, আগামীতে সারা বিশ্বে নিঃসন্দেহে তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের একটা বড় বাজারও গড়ে উঠবে। বিস্তারিত থাকছে হায়দার সাইফের প্রতিবেদনে।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের আরেকটি উদ্ভাবন মনুষ্যবিহীন সশস্ত্র নৌযান। অফিশিয়ালি যেটিকে বলা হচ্ছে আর্মড আনম্যান্ড কমব্যাট সারফেস ভেহিকেল বা এইউএসভি। মনুষ্যবিহীন নৌযানের যে সিরিজ তৈরির যে পরিকল্পনা নিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি- এটি তার প্রথম প্রোডাক্ট
হামলাকারী ড্রোনগুলোর মধ্যে উদ্ধার করা একটি ড্রোনের কম্পিউটার অনুসন্ধান করে দেখা যায়, এ ড্রোনটি টার্গেটে আক্রমন করা ঠিক পূর্ব মুহুর্তে ধ্বংস হয়ে যায়। এমন তথ্য সৌদি আরবের জন্য মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। কারণ দুটো স্থাপনার ওপর তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও এক্ষেত্রে তা সম্পুর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে নাগারনো কারাবাখে যে ড্রোনগুলো ছোড়া হয়েছে, সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে একটি একটি করে ছাড়া হয়েছে
ড্রোন শিল্পে নতুন সরবরাহকারী দেশ হিসেবে চীনের আবির্ভাব ঘটেছে। ২০১১ সালের পর থেকে চীন সংযুক্ত আরব আমীরাত ও পাকিস্তানসহ বেশ কিছু দেশের সাথে ইউএভি ড্রোন বিক্রি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। এরপর থেকে ইউএভি রফতানি মার্কেটে চীনের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়
আর্মেনিয়াকে নিয়ে নতুন করে বিশ্বজুড়ে আরেক বিতর্ক শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার সেনারা এবারের যুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ গুচ্ছ অস্ত্রভান্ডারের প্রয়োগ করেছে অথবা সরবরাহ করেছে। মূলত আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে ২৩০ কিলোমিটার পশ্চিমে বারদা শহরে হামলার সময় আর্মেনিয়া এ নিষিদ্ধ অস্ত্রগুলো ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি
এখন পৃথিবীজুড়ে হাজার হাজার মিলিটারি ড্রোন নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিরক্ষা-বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ কাজে ড্রোনের ব্যবহার মোটেই কমবে না, বরং দিনে দিনে আরো বাড়বে। অ্যানালিস্ট গ্রুপ জেন্স-এর বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, বিশ্বে আগামী ১০ বছরে ৮০ হাজারেরও বেশি নজরদারি ড্রোন এবং প্রায় দুই হাজারের মতো অ্যাটাক ড্রোন বিক্রি হবে
উত্তর লিবিয়ার মরু অঞ্চলের এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সামরিক অবস্থানগুলো আকাশ থেকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এসব এলাকায় খুব কম জায়গায়ই আছে যেগুলো গোপন থাকছে প্রতিপক্ষের কাছে। যে কারণে আকাশ থেকে হামলা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। এই সুবিধাটা নিয়েছে উভয় পক্ষই- জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার ও পূর্বাঞ্চলীয় খলিফ হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। শুরুর দিকে উভয় বাহিনীই ব্যবহার করতো ফরাসি ও সোভিয়েত যুগের যুদ্ধবিমান। যা এখন অনেকটাই অপ্রচলিত এবং এর প্রযুক্তিগত সুবিধাও কম
কমব্যাট ড্রোনগুলোর চলার ধরন একেকটার একেক রকম। সবচাইতে পরিচিতটি হলো, ড্রোনের একজন চালক থাকবেন দূরে কোথাও, তা হোক স্থলে, সমুদ্রে কিংবা অন্য কোনো উড়োজাহাজের ভেতর। আর কিছু ড্রোন ওড়ে আধা-স্বাধীনভাবে এবং সেগুলোর অবস্থান আপডেট করা হয় জিপিএস বা অন্য কোনো উপগ্রহের সাহায্যে। সত্যিকার স্বাধীন ড্রোন হলো সেগুলো, যেগুলো কোনো ডেটা লিঙ্ক ছাড়াই একটি মিশন সম্পন্ন করতে পারে
পরিস্থিতি সামলে উঠতে না পেরে যুদ্ধবাজ হাফতার সম্প্রতি রমজানকে অজুহাত দেখিয়ে একতরফা অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ত্রিপোলি সরকার তা নাকচ করে দিয়েছে। আসলে তুরস্কের সামরিক সহায়তায় লিবিয়া যুদ্ধের স্রোত পাল্টে গেছে। এটা এখন স্পষ্ট যে ত্রিপোলি দখলে হাফতারের অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এখন পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। অনেকেই বলছেন, লিবিয়া সংঘাতে কোনো সামরিক সমাধান নেই, দরকার রাজনৈতিক সমঝোতা। তবে হাফতারের পতন ছাড়া রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব নয়
ড্রোন প্রযুক্তি প্রথম উদ্ভাবন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ‘রাজনৈতিক কারণে’ তারা এ কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে। আর তা লুফে নিয়েছে রাশিয়া, চীন এবং এমনকি ইসরাইলও। তারা ভাবছে, ভবিষ্যতে তাদের সামনে আছে যুদ্ধ এবং এ যুদ্ধে এ স্টেলথ কমব্যাট ড্রোন বা মানুষবিহীন যুদ্ধযান